ইয়েমেনে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে নিহত ১২, আহত শতাধিক

  • ইয়েমেনের উপকূলবর্তী শহর অ্যাডেনে সরকার সমর্থিত বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মাঝে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ১৩২ জন আহত হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এপির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’।
  • সৌদি আরব সরকারি বাহিনীকে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে।
  • ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘সাদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি) এর সামরিক উইং সরকারি সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলে গত রবিবারে ৮ জন এবং সোমবারে ৪ জন মারা যায়।
  • এসটিসি দক্ষিণ ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের একটি আন্দোলন।

অ্যাডেনে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ; Source: Al-Masdar News

অ্যাডেনের খোরমাকসার ও দার সাদ অঞ্চলের মাঝে দিনভর গুলি চালাচালি হয়। সে অঞ্চলের রাস্তাঘাট সব যানবাহনশূন্য এবং বিদ্যালয় ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এসটিসি এবং ইয়েমেনী বাহিনীর মাঝে প্রচণ্ড যুদ্ধের কারণে জনসাধারণের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, সহিংসতার কারণের তারা তাদের অফিস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে থাকা ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হাদি বিদ্রোহীদের এ অভ্যুত্থান বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। দুই বছর আগে তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “বিদ্রোহ এবং অস্ত্র কখনও শান্তি অর্জন বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন,”প্রধান লড়াই হচ্ছে হুথিদের সাথে এবং এর পাশাপাশি চলা যেকোনো সমস্যা প্রধান লড়াইয়ে প্রভাব ফেলবে।

প্রেসিডেন্ট হাদির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মোহাম্মেদ আলি আল-মিকদাসি জানান, “হুথি এবং বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অন্যান্যদের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই, তারা যে-ই হোক না কেন।” তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ বৈধ সরকারে সাথে না থাকে তাহলে সে বিদ্রোহী এবং পুরো দেশের শত্রু হিসেবে বিবেচিত।

প্রেসিডেন্ট হাদি; Source: New York Post

অ্যাডেনের ঘটনা হাদি সরকারের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্কের অবনতিকে নির্দেশ করে। ২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা সহ দেশটির অনেকাংশ আক্রমণ করলে সৌদি পরিচালিত জোটের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ সালে ইয়েমেনের যুদ্ধে প্রবেশ করে। সৌদি আরবের মতে, তারা এর থেকে বের হয়ে আসতে চাইলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই সংঘর্ষে বেশি জড়িয়ে পড়েছে।

প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরেও জোটটি ইয়েমেনে বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এর মতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনের দক্ষিণের সশস্ত্র দলগুলোকে অর্থ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং হাদি সরকারে সমতুল্য কারাগার ও নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফিচার ইমেজ: Al-Masdar News

Related Articles

Exit mobile version