সিনেট সদস্যরা নতুন বাজেটে সম্মত হতে না পারায় গত শুক্রবার মাঝরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া শুরু হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিল পাশের জন্য শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত সময়সীমা অর্পণ করা ছিল। সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র ২ ঘণ্টা পূর্বে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে বিলটি পাশ করতে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রিপাবলিকান পরিচালিত সিনেট ডেমোক্র্যাটদের থেকে পর্যাপ্ত ভোট পায়নি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় মধ্য রাত থেকে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ‘হোয়াইট হাউজ‘ ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করে বলেছে, তারা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক পরিবার, অরক্ষিত শিশু ও সব আমেরিকানদের পরিচর্যার সক্ষমতার উপরে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।
Not looking good for our great Military or Safety & Security on the very dangerous Southern Border. Dems want a Shutdown in order to help diminish the great success of the Tax Cuts, and what they are doing for our booming economy.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 20, 2018
কিন্তু বিশিষ্ট সিনেট ডেমোক্র্যাট চাক শুমারের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুটি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা আপসের ব্যাপার প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং কংগ্রেসে তার দলকে চাপ প্রয়োগ করেননি।
কয়েকদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে জাতীয় উদ্যান, জাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি দেশটির পাসপোর্ট ও ভিসা প্রক্রিয়াও বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এতে দেশটির পর্যটন শিল্পেও প্রভাব পড়তে পারে। প্রায় ৭ লক্ষ সরকারি কর্মকর্তার উৎপাদনশীলতাও অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবে। সরকারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ছুটি দেওয়া হবে। যদিও এবার ছুটির কারণে তাদেরকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে আগে এ ধরনের বন্ধের কারণে তাদেরকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতালের মতো কিছু প্রয়োজনীয় খাত খোলা থাকবে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের সাথে অভিবাসন সংক্রান্ত কোনো আপস করবে না। হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন,
“যখন ডেমোক্র্যাটরা আমাদের দেশের বৈধ নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসীদের ঊর্ধ্বে জিম্মি করে রাখে তখন আমরা তাদের অবস্থা নিয়ে কোনো আপস করবো না। যখন ডেমোক্র্যাটরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও প্রথম প্রক্রিয়াকারীদের পারিশ্রমিক দেওয়া শুরু করবে তখন আমরা অভিবাসন সংশোধনে পুনরায় আলাপআলোচনা শুরু করব।”
উল্লেখ্য ২০১৩ সালেও যুক্তরাষ্ট্রে একবার সরকারী কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল যা ১৬ দিন পর্যন্ত বলবত ছিল।
ফিচার ইমেজ: Mic