মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারিকে একটি প্যাকেজ পাঠানোর ঘটনাকে বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত অপরাধ সন্দেহে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ।
- প্যাকেজটিতে সাদা পাউডার ভরা ছিল, যা অ্যানথ্রাক্সের আশঙ্কা ছড়িয়েছিল।
- চিঠিটি ১২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের সেইন্ট জেমস প্যালেসে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ পুলিশ জানায়, প্যাকেজটির সাথে একটি বর্ণবাদী চিঠিও ছিলো। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এক বিবৃতিতে জানায়, “অফিসাররা বিদ্বেষমূলক যোগাযোগের একটি অভিযোগও অনুসন্ধান করছে, যা সেই একই প্যাকেজের সাথে সম্পর্কিত এবং এটিকে বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
ওয়েস্ট মিনিস্টার প্যালেসে সাদা পাউডারভর্তি খামটি ভীতির সঞ্চার করার কিছু পূর্বেই চিঠিটি প্রাসাদে পৌঁছায়। ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, রাজকীয় এ জুটিকে সেই প্যাকেজ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ অনুসন্ধান করে জানার চেষ্টা করছে, চিঠি ও প্যাকেজ পাঠানোর সাথে একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ জড়িত আছে কিনা।
অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর পাউডার যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। তবে সাধারণ সাদা পাউডার পাঠিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শঙ্কায় ফেলে দেওয়ার এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। মেগান মার্কেলের কাছে পাঠানো এ পাউডারও ক্ষতিকর কিছু ছিল না। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলেছে, “পদার্থটি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এটি সন্দেহজক কিছু নয়।”
সেইন্ট জেমস প্যালেসের মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার মতে, এটি পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে অনুসন্ধান চলছে।
সেইন্ট জেমস প্যালেস লন্ডনে প্রিন্স চার্লস ও তার বোন প্রিন্সেস অ্যানাসহ ব্রিটিশ রাজ পরিবারের কিছু সদস্যের সরকারি নিবাস। প্যাকেজটি সরবরাহের আগে বাছাই করার জন্য সেখানে পাঠানো হয়।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল গত বছরের নভেম্বরে তাদের বাগদানের কথা ঘোষণা করেন। আসছে মে মাসে উইন্ডসরে তাদের বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবার কথা।
ফিচার ইমেজ: Evening Standard