বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন
এশিয়ার এই অঞ্চলটি যেমন বরাবরই বিভক্ত তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। অন্ততপক্ষে বিগত কয়েক বছরের প্রেক্ষাপটে তা বলাই যায়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমায় চীনের বলয় সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। তাই বলা যায় কর্তৃত্ববাদের জোয়ার এবং পিছিয়ে পড়া গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর একটি বিস্তৃত সম্মেলন বা আলোচনা স্বত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ায় বিষয়টি কতোটুক কার্যকর হবে সে বিষয়ে সন্দিহান অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। প্রথমতো, সমালোচকরা যুক্তি দেন যে ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের কাছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচারের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার নিজের ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে। কারণ এই অঞ্চলের মানুষ ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিকালে গণতন্ত্রের দিকদিয়ে পিছিয়ে পড়েছে। দেশটিতে নাগরিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউসের ফলাফল এখন মঙ্গোলিয়ার মতো নতুন গণতান্ত্রিক দেশের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। আর তাই দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে বলা চলে দেশ সমূহ ওয়াশিংটনের নেতৃত্ব অনুসরণ আগ্রহ হারিয়েছে।