পরের বছরই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তীব্র খাদ্য সংকট। আমেরিকার ভার্মন্টে সজারু আর সেদ্ধ বিছুটি পাতা খেয়ে দিন কাটাতে থাকে গ্রামবাসীরা। চীনের ইউনান প্রদেশের কৃষকরা খাদ্যাভাবে বাধ্য হয় হোয়াইট ক্লে বা চীনামাটি চাটতে। ফ্রান্সের গ্রীষ্মকালীন পর্যটকেরা নাকি ভিখারিদের লাইনকে সৈন্যদের মার্চ ভেবে বিভ্রান্ত হয়েছিল। এরকমই আরেক পর্যটকের দল সেবার সুইজারল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ায় বাড়িতে আটকে আয়োজন করে এক গল্প লেখা প্রতিযোগিতা। তাদের সৃষ্টি করা রচনায় বদলে যায় বিশ্ব সাহিত্যের ধারা। তবে শুধু ইউরোপ, আমেরিকা আর পূর্ব এশিয়াই নয়, প্রকৃতির হাত থেকে রেহাই পায়নি বাংলার মানুষও। ১৮১৭ তে যশোর জেলায় দেখা দেয় কলেরার প্রাদুর্ভাব। সময়ের সাথে তা রূপ নেয় এক ভয়ঙ্কর মহামারিতে।