Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

হাওয়াইয়ান এক কিংবদন্তির গল্প

মাউই এক বুদ্ধি খাটালো। রাতের আঁধারে পাহাড় হতে নিচে নেমে এসে নৌকায় তার ভাইদের নিকট গেলো। সেখানে একটা গাছের গুঁড়িকে ছেঁচে মানুষের আকৃতিতে বানিয়ে তার ভাইদের নিকট রেখে আসলো। দূর হতে অন্ধকারে দেখলে মনে হবে, মাউই তার ভাইদের সাথে নৌকায় বসে আছে। এরপরে চুপিচুপি আবার চলে এলো পাখিটার কাছে। এদিকে টানা তিনদিন ধরে কাঁচা খাবার খেয়ে পাখির জিহ্বার স্বাদ গ্রন্থি উঠে যেতে শুরু করেছিলো। সে পাহাড় থেকে নিচে তাকিয়ে দেখলো মাউই অধৈর্য হয়ে চলে গেছে তার ভাইদের কাছে। নৌকায় বসে আছে। তখন পাখিটা আবার নতুন করে আগুন জ্বালালো। আগুন জ্বালানোর সাথে সাথেই, মাউই এসে ক্যাঁক করে পাখিটার গলা চেপে ধরলো। তারপরে তাকে জেরা শুরু করলো, আলোটা সে কীভাবে জ্বালিয়েছে সেটা জানতে চেয়ে।

article

কন্যার কলমে জাতির পিতা এবং রাজনৈতিক সমাজ

স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের শাসনের সেই অন্ধকার সময়ে শেখ হাসিনার লেখা দশটি প্রবন্ধ নিয়ে রচিত হয়েছে স্মৃতিকথামূলক আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’।

article

হেমন্তের পাখি: এক মধ্য-চল্লিশ নারীর আত্মানুসন্ধানের আখ্যান

সুচিত্রা ভট্টাচার্য তার লেখনীর মাধ্যমে অকপটে তুলে ধরতেন নারীর জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা-কামনা-বাসনার কথা, তাদের জীবনবোধের এপিঠ-ওপিঠ। বাংলা সাহিত্যে নারীকেন্দ্রিক উপন্যাসের হয়তো অভাব নেই, কিন্তু সেসবের অধিকাংশই সৃষ্টি হয়েছে পুরুষ লেখকদের কলমে। তাই সেগুলো নারীমনের উপরিতলকেই কেবল ছুঁয়ে যেতে পেরেছে, পারেনি নারীমনের অতল গহীনে অবগাহন করতে। এই জায়গাটিতে সবচেয়ে বেশি সফল সুচিত্রা ভট্টাচার্য। তার মতো করে শহুরে, মধ্যবিত্ত নারীর মনের সব না-বলা কথা আর কে-ই বা বলতে পেরেছে!

article

‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টেস্ট ক্রিকেটে উত্তরণই বড় চ্যালেঞ্জ’ – রাসেল ডমিঙ্গো

গত বছরের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন এই প্রোটিয়া কোচ। তার অধীনে ২০১৯ সালে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে দু’টি টেস্ট ভারতের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে। টাইগারদের কোচ হিসেবে নিজের অভিষেকেই আফগানিস্তানের কাছে হারের তিক্ততা হজম করতে হয়েছে ডমিঙ্গোকে।

article

কাজের গতি বাড়িয়ে দেবে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের এই মোক্ষম কৌশল

১৯৩৫ সালে এস্কোয়ার ম্যাগাজিনের জন্য দেওয়া নিজের এক সাক্ষাৎকারে ‘দিনে একজন লেখকের ঠিক কতটুকু লেখা উচিৎ’ এই প্রশ্নের উত্তরে হেমিংওয়ে বলেন যে, একজন লেখকের লেখার গতি খুব ভালো থাকলে এবং এরপর কী হবে তা জানা থাকলে সে সময় থেমে যাওয়া উচিৎ। এতে করে কখনোই লেখক তার কাজে স্থবির হয়ে যাবে না।

article

“মুছে যাক আমার নাম, তবু থাকুক বাংলাদেশ”- তাজউদ্দীন আহমেদ

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম তাজউদ্দীন আহমেদ। যিনি তার সততা, মেধা আর কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে গেছেন সব সময়।

article

রাইফেল, রোটি, আওরাত: মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস

এই সেনাবাহিনী বুঝে শুধু তিনটে জিনিস। রাইফেল, রোটি আর আওরাত! সারাদিন রাইফেল নিয়ে মানুষ মারো। মানুষ? সে হতে পারে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। কেবল যুবতী অর্থাৎ আওরাত পেলেই তাকে ধরে নিয়ে চল। আর চালাও গণলুট।

article

একাত্তরের ‘মা’ সাফিয়া বেগম

যে মা, কোনদিন একটা কড়া কথা বলেনি ছেলেকে, ফুলের টোকাও লাগতে দেননি, একমাত্র চোখের মণিকে। সেই মা, হ্যাঁ সেই মা ছেলেকে বলেছিলেন, কষ্ট সহ্য করতে। কারো নাম না বলতে। চোখে অশ্রু, নিজের ছেলেকে নিয়তির হাতে এভাবে তুলে দিয়েছিলেন।

article

আমি বীরাঙ্গনা বলছি: মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের দুঃখগাথা

যুদ্ধ শেষে এই নারীদের যখন ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয় তখন তাদেরক ধর্ষিতা, অপমানিতা বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। বঙ্গবন্ধু এই ভাগ্যহত নারীদের নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দেন এবং তাদের বীরাঙ্গনা উপাধিতে ভূষিত করেন। বীরাঙ্গনা শব্দের অর্থ বীর নারী। আসলেই তো তারা বীর ছিলেন। তাদের সম্ভ্রমের বিনিময়েই তো পেয়েছি এই স্বাধীন দেশ।

article

মীরা: একাত্তরের বিস্মৃতপ্রায় নারী মুক্তিযোদ্ধা

মীরা বলেন, “আমার মা কাজ করে ওয়াপদার এক স্যারের বাড়ি। আমি আপনাদের কাছে মিলিটারির খবর এনে দিতে পারি, যদি আপনারা আমায় দলে নেন।” মুক্তিবাহিনীর কেউই তার কথা বিশ্বাস করেননি। ভেবেছেন মীরা হলো রাজাকারদের পাঠানো গুপ্তচর।

article

ক্র্যাক প্লাটুন: মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার বুকে কাঁপন ধরানো গেরিলাদল

ক্র্যাক প্লাটুনের প্রায় সবাই ছিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত ঘরের মেধাবী তরুণ। অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন; অনেকে উচ্চশিক্ষা অসমাপ্ত ফেলে চলে এসেছেন মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য। সংখ্যার সঠিক হিসাব পাওয়া কঠিন। মেলাঘর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিকভাবে ১৭ জন ঢাকা আসেন। সময়ের সাথে সাথে দাঁড়ায় শতাধিকে। সেই সব ত্যাগী ও প্রিয়মুখের অনেকগুলোই এখনো অচেনা।

article

শ্যামল ছায়া: মুক্তিযুদ্ধের অসাধারণ আলেখ্য

উপন্যাসের চরিত্রগুলো কখনো কখনো হয়ত রসের উদ্রেক করেছে। তারপরেও মূর্ত হয়েছে একাত্তরের সংগ্রামী চেতনা- দুঃসহ দিনে যে চেতনা ঘৃণা আর প্রতিশোধ গ্রহণের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় সেই অন্ধকার দিনে অসংখ্য ছেলেকে দুঃসাহসী করে তুলেছিল, যাদের না ছিল যুদ্ধের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা, না ছিল কোনো সহায়-সম্বল; কিন্তু ভালোবাসা ছিলো নিখাদ— দেশমাতার শ্যামল ছায়ার জন্য।

article

End of Articles

No More Articles to Load