কোনো দেশের সামরিক শক্তির মর্যাদা বাড়াতে এলিট স্পেশাল ফোর্সের তুলনা হয় না। সবচেয়ে সেরা, দক্ষ এবং অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনাদের নিয়েই সাজানো হয় এলিট স্পেশাল ফোর্স। দুর্গম গিরি কিংবা কান্তার মরুতে অভিযান চালানোর জন্য স্পেশাল ফোর্সের জুড়ি মেলা ভার। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, প্রশিক্ষিত সেনারাও যেখানে যেতে সাহস করে না, এলিট স্পেশাল ফোর্স সেখানে চলে যায় কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই।
সামরিক শক্তির দিক থেকে এগিয়ে থাকা প্রতিটি দেশই নিজেদের সামরিক ক্ষমতার চূড়ান্ত প্রমাণ দিতে তৈরি করেছে নিজস্ব এলিট স্পেশাল ফোর্স। প্রতিটি স্পেশাল ফোর্সই নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যেতে সর্বদা প্রস্তুত এবং তাদের অভিযানের তালিকাটাও প্রতিনিয়ত বড় হয়েই চলেছে। এ কারণে, তাদের মধ্যে তুলনা করাটাও বেশ কঠিন। তবুও তাদের ব্যবহার করা অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি, তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং তাদের অভিযানের সাফল্যসহ বেশ কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে বিজনেস ইনসাইডার সেরা এলিট স্পেশাল ফোর্সগুলোর র্যাংকিং বানানোর চেষ্টা করেছে। চলুন তাহলে, পৃথিবীর বুকে বিচরণ করা সেরা পাঁচটি স্পেশাল ফোর্স সম্পর্কেই জেনে নেওয়া যাক।
৫. Spetsgruppa ‘A’, Спецназ (Alpha Group)
স্পিয়েৎনাজ বলতে মূলত রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সবকয়টি স্পেশাল ফোর্সকেই বুঝানো হয়। কিন্তু সেরাদেরও সেরা যেরকম থাকে, ঠিক তেমনিভাবে স্পিয়েৎনাজের সেরা দল হলো আলফা গ্রুপ। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আলফা গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় কেজিবির তত্ত্বাবধানে, যেটি বর্তমানে FSB পরিচালনা করছে। আলফা গ্রুপ প্রথম নজরে আসে আফগানিস্তান আক্রমণ করার পর যখন তারা কাবুলের রাষ্ট্রপতি ভবনে ঝড় বইয়ে দেয়। চেচনিয়া যুদ্ধেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে আলফা গ্রুপ, স্নাইপারের গুলিতে বিদ্ধ করেছে চেচনিয়ার প্রধান প্রধান নেতাদের।
আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিতি থাকলেও রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে সবসময়ই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে আলফা গ্রুপ। ২০০২ এর মস্কো থিয়েটার অবরোধ এবং বেসলান স্কুল অবরোধে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছে আলফা গ্রুপই।
৪. Groupe d’intervention de la Gendarmerie Nationale (GIGN)
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিককে কেন্দ্র করে ইসরায়েলী দলকে জিম্মি করে পরবর্তীতে হত্যা করার ঘটনায় টনক নড়ে ওঠে ইউরোপের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশগুলোর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে ফ্রান্সে জন্ম নেয় GIGN, জিম্মি উদ্ধারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন সফলভাবে শেষ করার জন্য। ফ্রেঞ্চ পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অধীনে থাকা এই স্পেশাল ফোর্সের শুরুটা হয়েছিলো হাতেগোনা কয়েকজনকে দিয়ে, যা বর্তমানে রুপ নিয়েছে ৪০০ জনের বেশ বড় একটা গ্রুপে।
সন্ত্রাস দমন, জিম্মি উদ্ধার, জেলখানা দাঙ্গা প্রতিরোধ, অপরাধীদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে সরকারী কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দেওয়া এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশেও গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করাও GIGN সদস্যদের নিয়মিত কাজ। এসকল মিশন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন সবচেয়ে দক্ষ সেনাদেরকে, এ কারণে GIGN প্রশিক্ষণটাও করা হয়েছে অগ্নিপরীক্ষার মতো কঠিন। ১৪ মাসের এই বিশাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের প্রথম ধাপেই উত্তীর্ণ হতে পারে মাত্র ৭-৮% ভলান্টিয়ার!
GIGN-এর পুরো দলকে কয়েকটা বিশেষ ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগই নিজেদের কাজে অন্যান্যদের তুলনায় সেরা। ডাইভিং, ফ্রি ফল জাম্পিং কিংবা প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা, সবকিছুতেই রয়েছে আলাদা বিশেষ বিভাগ। এদের সফলতার অঙ্কটাও ঈর্ষণীয়। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০০-এর বেশি জিম্মিকে সফলভাবে মুক্ত করেছে GIGN এর সদস্যরা এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৯ এর মক্কার মসজিদুল হারাম অভিযান, এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইটের ২২৯ জন যাত্রীকে GIA সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি এবং স্কুলবাসে থাকা ৩০ জন স্কুলছাত্রকে সোমালিয়ান সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে মুক্ত করার মতো ঘটনা।
৩. סיירת מטכ”ל (Sayeret Matkal)
১৯৫৪ সালে ইসরাইলের প্রথম স্পেশাল ফোর্স ‘ইউনিট ১০১’ কিবিয়া গণহত্যাকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়ার পর ইসরাইল আরেকটি স্পেশাল ফোর্স গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। শুধুমাত্র নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স ‘শায়েতেত ১৩’ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা সম্ভব না হওয়ায় ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিসের আদলে তৈরি করা হয় স্পেশাল ফোর্স ‘সাইয়্যেরাত মেতকাল’।
আরব বেদুইনদের কাছ থেকে ট্র্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া এই স্পেশাল ফোর্সই প্রথম সন্ত্রাস দমন এবং জিম্মি উদ্ধারের জন্য বিশেষভাবে ট্রেনিংয়ের প্রচলন করে। সাইয়্যেরাত মেতকাল গঠনের প্রথমদিকে পুরো প্রজেক্টটাই ছিলো খুব গোপন, এমনকি এতে নিয়োগও দেওয়া হতো খুবই বিশ্বস্ত এবং একান্ত পরিচিত কমান্ডোদেরকে। সত্তরের দশক থেকে মেতকালের কার্যক্রম প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়, এই সময় থেকেই যোগ দিতে ইচ্ছুক ভলান্টিয়ারদেরকে নিয়ে যাওয়া হতো ‘গিব্বুশ’ ক্যাম্পে, যেখানে একটানা কয়েকদিন না ঘুমাতে দিয়ে তাদের শারীরিক ক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা করে অনুত্তীর্ণদেরকে বাদ দেওয়া হতো।
পরবর্তীতে সাইয়্যেরাত মেতকালের দেড় বছরের ট্রেনিং কার্যক্রম প্রকাশ করা হয়, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে চার মাসের মৌলিক যুদ্ধ কৌশল, তিন সপ্তাহের প্যারাস্যুটিং ট্রেনিংসহ আলাদা বিশেষ কিছু ট্রেনিং।
অন্যান্য স্পেশাল ফোর্স থেকে সাইয়্যেরাত মেতকালের পার্থক্য হলো প্রয়োজনে মেতকালের সদস্যরা প্রতিপক্ষকে খুন কিংবা অপহরণ করতেও পিছপা হয় না। মেতকালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিন নেতা আবু জিহাদকে হত্যা, লেবাননের আমাল আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুস্তাফা দিরানি অপহরণ, সাথে জিম্মি উদ্ধারের অসংখ্য ঘটনা তো রয়েছেই।
২. Navy SEALs
১৯৬২ সালে গঠিত হওয়া নেভি সীলদেরকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম দুর্ধর্ষ স্পেশাল ফোর্স। নিজেদের অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অন্যান্য দলের সমীহ আদায় করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সবচেয়ে চৌকস এই সৈন্যদল। ভিয়েতনাম যুদ্ধ, সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম, যুগোস্লাভিয়ান যুদ্ধসহ ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধেও নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে Sea, Air and Land-এর এই ফ্রগম্যানরা। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অপারেশনের পুরোটুকুই হয়েছিলো নেভি সীল সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভূমিকায়।
তবে নেভি সীলের সোনালী ব্যাজ অর্জন করতে হলেও সেনাদেরকে মুখোমুখি হতে হয় ভয়াবহ সব পরীক্ষার। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ট্রেনিংয়ের হেল উইকেই বাদ পড়ে যায় বেশিরভাগ ট্রেইনি। ২৪ সপ্তাহের বাড/স ট্রেনিং এবং পরবর্তীতে ৩ সপ্তাহের প্যারাস্যুট ট্রেনিং এবং ২৬ সপ্তাহের কোয়ালিফিকেশন ট্রেনিং-এ উত্তীর্ণ হলেই অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে এই গৌরবময় দলে।
নেভি সীল ট্রেনিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন এ লেখাটি- ‘নেভি সীল ট্রেনিংঃ দুর্ধর্ষ সৈনিক তৈরির অন্তরালের গল্প’।
১. Special Air Service (SAS)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ আর্মির বিশেষ রেজিমেন্ট হিসেবে গঠিত হওয়া স্পেশাল এয়ার সার্ভিস (SAS) বিশ্বের বুকে গড়ে ওঠা প্রথম স্পেশাল ফোর্সগুলোর একটি। মূলত SAS কেই আদর্শ ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গড়ে তুলেছে নিজেদের স্পেশাল ফোর্স। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং রোডেশিয়া ছাড়াও বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ফিলিপাইন, আয়ারল্যান্ডও রয়েছে এই তালিকার মধ্যে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ডেলটা ফোর্স এবং ইসরাইলের সাইয়্যেরাত মেতকালও SAS-এর নিয়মনীতি ধার করে তৈরি হয়েছে।
SAS-এর ট্রেনিং-কে ধরা হয় বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। মাত্র ছয় মাসের এই ট্রেনিং-এ ১০%-এরও কম ভলান্টিয়ার উত্তীর্ণ হতে পারে! ট্রেনিং করতে গিয়ে মারা যাওয়ারও রেকর্ড রয়েছে SAS এর খাতায়! ট্রেনিংয়ের মধ্যে রয়েছে বিশাল বোঝা নিয়ে ২০ ঘন্টার মধ্যে ৪০ মাইল পাড়ি দেওয়া, এক ঘন্টার মধ্যে দুই মাইল সাঁতার কাঁটা এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে চার মাইল দৌড়ানো! এই অসাধারণ শারীরিক সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করার পর তাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয় বেলিজের জঙ্গলে যেখানে পরীক্ষা করা হবে নেভিগেশন দক্ষতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার কৌশল। SAS ট্রেইনিদের বেশিরভাগই প্রথম কয়েকদিনেই হাল ছেড়ে দেয়, প্রতি সেশনে থাকা ২০০ জনের মধ্যে ২০-৩০ জনই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। বেলিজের জঙ্গলে ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর উত্তীর্ণদেরকে একটানা ৩৬ ঘন্টা জেরার উপর রাখা হয়। এই মানসিক চাপে থাকার ফলে শেষমেশ টিকে থাকে হাতেগোনা কয়জন এবং এই কয়জনই বুকে লাগাতে পারে SAS এর সোনালী ব্যাজ। SAS এর ট্রেইনিদের শেখানো হয় অ্যাপাচি ইন্ডিয়ানদের ছোরা ব্যবহার কৌশল এবং তিন-চার ধরনের মার্শাল আর্ট। ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগ MI-5 এবং MI-6 এর প্রশিক্ষকরা হাতে কলমে সন্ত্রাস দমন এবং জিম্মি উদ্ধারের কলাকৌশল শিখিয়ে দেয় আর Navy SEAL-দের সব ধরনের ট্রেনিং-তো SAS এর সিলেবাসে রয়েছেই।
স্পেশাল এয়ার সার্ভিসের ইতিহাস অন্য যেকোনো স্পেশাল এলিট ফোর্সের তুলনায় সমৃদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান আরব বসন্ত পর্যন্ত কম করে হলেও সাত হাজার শত্রুকে ঘায়েল করেছে SAS এবং আটক করেছে আরও ২৩ হাজার! লন্ডনের ইরান দূতাবাস অবরোধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, ফকল্যান্ড যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধসহ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনেই SAS এর ভূমিকা রয়েছে।
অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা কিংবা অভিযানের সাফল্য যাই হোক না কেন, স্পেশাল ফোর্সগুলোর মধ্যে সেরা ৫ বাছাই করা খুবই কঠিন। নেভি সীল, স্পেশাল এয়ার সার্ভিস কিংবা আলফা গ্রুপ বাদেও যেসব স্পেশাল এলিট ফোর্সের কথা না বললেই নয় সেগুলো হলো:
Unidad de Operaciones Especiales
স্পেনের এই স্পেশাল ফোর্স গঠিত হয়েছিলো ১৯৫২ সালে Amphibious Climbing Company নামে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের অন্যতম সেরা স্পেশাল ফোর্স হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে এই বাহিনী।
Special Services Group
পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ খ্যাতি অর্জন করেছে ‘ব্ল্যাক স্টর্ক’ নামে। এদের ট্রেনিংয়ের মধ্যে রয়েছে ১২ ঘন্টায় ৩৬ মাইল কুচকাওয়াজ এবং ৫০ মিনিটে ৫ মাইল দৌড়!
Einsatzkommando Cobra
অন্যান্য স্পেশাল ফোর্সের মতো অস্ট্রিয়ার এই কোবরা স্পেশাল ফোর্সের ট্রেনিংও একইরকম। সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা এই বাহিনী পৃথিবীর একমাত্র স্পেশাল ফোর্স যারা প্লেন আকাশে উড়তে থাকা অবস্থাতেই হাইজ্যাকারদের হাত থেকে প্লেন মুক্ত করেছে!
Delta Force
নেভি সীলের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দক্ষ স্পেশাল ফোর্স ধরা হয় ডেলটা ফোর্সকে। ১৯৭৭ সালে গঠিত হওয়া এই স্পেশাল ফোর্সের ট্রেনিংও অগ্নিপরীক্ষার সমান।
JTF2
বসনিয়ার প্রান্তরে সার্বিয়ান স্নাইপারদের তুলোধুনো করা কিংবা আফগানিস্তান যুদ্ধে অন্যান্য স্পেশাল ফোর্সের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করা কানাডার এই স্পেশাল ফোর্সের সবকিছুই করা হয় অত্যন্ত গোপনে। তবুও অসাধারণ দক্ষতার কারণে JTF2-কেও ধরা হয় পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্পেশাল ফোর্স হিসেবে।