যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন গত মঙ্গলবার কানাডার ভ্যাংকুভারে যুক্তরাষ্ট্রের কোরিয়া যুদ্ধের মিত্রবাহিনীর একটি বৈঠক আয়োজন করেন। উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক হুমকি প্রতিহত করার কূটনৈতিক উপায় নিরুপণে বৈঠকটি আয়োজিত হয়।
কানাডা বৈঠকটির সহ-পরিচালনা করে এবং কোরিয়া যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থাকা ২০টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে। টিলারসন এ বৈঠকে জানান, উত্তর কোরিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রচারণা কাজে দিচ্ছে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণে আলোচনার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার আলোচনাকে কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়াকে আমরা আমাদের সমাধান বা সংহতির পথে কুলুপ আঁটতে দেব না। আমরা অবশ্যই দেশটির এরূপ আচরণের মূল্য এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যে উত্তর কোরিয়া বিশ্বাসযোগ্য আলোচনায় আসতে বাধ্য হবে।”
এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অনুমোদন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র সীমাবদ্ধ ছিল, যা অনেকটা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আচরণের সাথেও সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপহাস করে কিম জং উনকে ‘রকেট ম্যান’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং দুজনেই পারমাণবিক বোতাম নিয়ে দম্ভ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই উত্তর কোরিয়ার উপর আরও কঠোর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের কথা বললেও টিলারসন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের মতে, উভয় পক্ষ থেকে এরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ চলতে থাকলে কিম জং উনের পক্ষ থেকে অন্য কোনো আগ্রাসন পাওয়া সম্ভব নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কিয়ুং-হোয়া জানান, উত্তর কোরিয়ার সাথে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাদের আলোচনা দুই কোরিয়ার সম্পর্কোন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানার অভিপ্রায় দেখাতে হবে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময় নিতে চাচ্ছে।” কর্তৃপক্ষ উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে অস্ত্রের প্রসার, বিভিন্ন অনুমোদন ও কূটনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করছে। অপরদিকে রাশিয়া ও চীন এ বৈঠকের ঘোর বিরোধিতা করেছে। এ দেশ দুটি কোরিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে লড়েছিল।
ফিচার ইমেজ: Boston Herald