মানবসভ্যতার একটি বড় সময় চীন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে ছিল পৃথিবীর অপরাপর অংশের রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে, চীনেই প্রথম বিকাশ ঘটে সংগঠিত আমলাতন্ত্রের। অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি প্রযুক্তির বিকাশেও এগিয়ে ছিল চীন, মানচিত্রের মতো অনেকগুলো কৃষিপ্রযুক্তির প্রথম উদ্ভব ঘটে চীনেই। চীনের এই উজ্জ্বল অতীতের অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয় ১৯৩৯ সালে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৪৯ সালে। এই সময় চীনের ইতিহাসে পরিচিত ‘অপমানের শতাব্দী’ হিসেবে। এই সময়ে চীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে যায়, বিভক্ত রাজ্যগুলোতে চলে ইউরোপীয় উপনিবেশিক শক্তির শাসন।
চীনে যখন মাও সেতুংয়ের লাল বাহিনীর বিজয়োৎসব চলছে, চীনের তখনকার প্রেসিডেন্ট তার অধীনস্থদের নিয়ে পালিয়ে যান তাইওয়ানে। পরের দুই দশক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর কাছে কুওমিনতাং পার্টির সরকারই রিপাবলিক অব চায়নার প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে, চীনের অধিকাংশ নাগরিকের জন্য তাইওয়ান কেবল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের চেয়ে বেশি কিছু। তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে পুনরায় একত্রীতকরণ চীনের নাগরিকদের কাছে ‘অপমানের শতাব্দীর’ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসার সর্বশেষ ধাপ।
গত কয়েক দশকে চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে প্রচার করেছে, তাইওয়ানের ব্যাপারে নিজেদের মতামতের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক ন্যায্যতা তৈরি করেছে, রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছে, প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়েছে। পাশাপাশি, নিজেদের ‘ভিক্টিমহুড’ অবস্থান তৈরি করে তাইওয়ান প্রশ্নে চীন পেতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক সমর্থন। ফলে, চীনাদের কাছে তাইওয়ান প্রশ্ন গভীরভাবে যুক্ত হয়ে গেছে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে। যেসব নাগরিক তাইওয়ানের প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন, গণতন্ত্র কিংবা মানুষের স্বাধীকারের প্রশ্নে, সেসব চীনাদেরও জাতীয়তাবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, প্রশ্ন তোলা হয় দেশপ্রেম নিয়েও। অনেক ক্ষেত্রেই তাইওয়ান ইস্যুতে যেকোনো ধরনের ভিন্নমত কঠোরভাবে দমন করা হয়।
তবে, ঐতিহাসিকভাবে চীন তাইওয়ানের অংশ, চীনা জাতীয়তাবাদীদের এই দাবি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য নয়। মিং সাম্রাজ্যের সময় পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত। মিং সাম্রাজ্য শাসন করে ১৩৬৮-১৬৪৪ সাল পর্যন্ত। মিং সাম্রাজ্যের পতনের পর তাইওয়ানে শুরু হয় ইউরোপীয় শাসন। প্রথমে তাইওয়ান দখল করে পর্তুগিজরা, পরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ডাচদের হাতে। কেবলমাত্র কুইং সাম্রাজ্যের সময়ে তাইওয়ান চীনের সাথে যুক্ত ছিল। মূল ভূখণ্ডের বাইরে তাইওয়ান ছিল কুইং সাম্রাজ্যের প্রোটেক্টরেট। পরবর্তীতে তাইওয়ান চলে যায় জাপানী উপনিবেশ শাসনের অধীনে। মোটাদাগে, তাইওয়ানের স্থানীয়রা অধিকাংশ সময়ই লড়াই করেছে নিজেদের স্বাধিকারের পক্ষে, চীনা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে গড়ে তুলেছে প্রতিরোধব্যবস্থা।
‘অপমানের শতাব্দী’র স্মৃতিগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বাইরে তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের কট্টর অবস্থানের পেছনে আরো বেশ কিছু কারণরয়েছে। এই নিবন্ধে সম্ভাব্য অন্য কারণগুলোর বিশ্লেষণ উঠে আসবে।
চীনের কৌশলগত নিরাপত্তার প্রশ্ন
চিয়াং কাইশেকের জাতীয়তাবাদী সরকার কিংবা মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট সরকার, তাইওয়ানকে প্রত্যেকেই দেখেছেন চীনের মূল ভূখণ্ডের অংশ হিসেবেই। পঞ্চাশের দশক থেকে চীন ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে আনার চেষ্টা করেছে, আশির দশকে প্রস্তাব দিয়েছে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ প্রয়োগের। রাজনৈতিক নেতৃত্বের এই দর্শনের পেছনে চীনের জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা কাজ করেছে, কাজ করেছে কৌশলগত স্বার্থের ধারণাও। জাপানের উপনিবেশ শাসনের সময় থেকেই তাইওয়ানকে বলা হতো ‘অবিচ্ছিন্ন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার’ হিসেবে, যার ডোবার সম্ভাবনা নেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও তাইওয়ানের সামরিক গুরুত্ব কমেনি। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ছিল, যেখান থেকে পরিকল্পনা ছিল সম্ভাব্য কমিউনিস্ট আক্রমণ মোকাবেলার। বর্তমানেও তাইওয়ানকে কেন্দ্র করেই যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-এশিয়া নীতি আবর্তিত হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ডজন স্পেশাল ফোর্সের সদস্য তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকাজে নিয়োজিত, রয়েছে অজ্ঞাতসংখ্যক মেরিন সেনার উপস্থিতিও।
চীনের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের নজর তাই সবসময়ই ছিল তাইওয়ানের দিকে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনবিরোধী দেশগুলো সামরিক আক্রমণের চিন্তা করতে পারে, পূর্ব-এশিয়াতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো সামরিক আক্রমণের সময় ঘাঁটির সুবিধা। চীনের দিক থেকে সম্ভাব্য এই সামরিক আক্রমণের চ্যালেঞ্জের বাইরেও বাণিজ্যকেন্দ্রিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। চীনের হাতে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ থাকলে এই অঞ্চলের সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যে নিরঙ্কুশ সুবিধা পাবে চীন। অন্যদিকে, তাইওয়ানের বৈরি ভূমিকা এই অঞ্চলে চীনের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের পাশাপাশি বাণিজ্যের সুবিধাকেও সংকুচিত করতে পারে।
শি জিনপিংয়ের কর্তৃত্ববাদের বৈধতা
শি জিনপিং চীনের প্রেসিডেন্ট হন ২০১৩ সালে, ২০১৮ সালে পুনরায় দায়িত্ব নেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি শি জিনপিং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক, সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। ফলে, চীনের প্রায় সকল রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে শি জিনপিংকে কেন্দ্র করে, অসীম ক্ষমতার অধিকারী শি জিনপিং চর্চা করছেন রাজনৈতিক অবতারবাদের। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্বোচ্চ দশ বছর দায়িত্ব পালনের সীমারেখা তুলে দিয়েছেন, পরিষ্কার করেছেন আজীবন ক্ষমতায় থাকার রাস্তা।
কমিউনিস্ট দেশ হিসেবে চীনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে সবসময়ই গ্রহণযোগ্যতার সংকট রয়েছে। ফ্রিডম হাউজের সর্বশেষ ইনডেক্সে চীন রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত সূচকগুলোতে ৪০-এর মধ্যে পেয়েছে মাইনাস ২, সিভিল লিবার্টির সূচকে পেয়েছে ৬০-এর মধ্যে ১১। চীনে মুক্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ নেই, স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের আয়োজন হলেও সেগুলো হয় ম্যানুফ্যাকচার্ড ইলেকশন, জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের ব্যাপারে নেই কোনো নির্বাচনের ব্যবস্থা, নেই জবাবদিহিতার সুযোগ। একজন মানুষ জন্মগতভাবে যেসব স্বাভাবিক অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে- বাকস্বাধীনতা, জীবিকার স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অধিকার, সেসবের কোনোকিছুরই অস্তিত্ব চীনে নেই। এর সাথে রয়েছে রাজনৈতিক নিপীড়ন, যেকোনো ভিন্নমত দমন করা হয় কঠোরভাবে।
চীনের এই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন শি জিনপিং, ভিন্নমত পোষণকারীদের পাশাপাশি তার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারাও। দূর্নীতিবিরোধী অভিযানকে শি জিনপিং ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে। এই অভিযান ব্যবহার করে তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করেছেন, নিজের রাজনৈতিক জীবনকে করেছেন নিরঙ্কুশ।
এই ঘরানার কর্তৃত্ববাদীদের জনসমর্থন টিকিয়ে রাখার জন্য, রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য, নিজের শাসনের রাজনৈতিক বৈধতা ধরে রাখার জন্য জাতীয়তাবাদ ব্যবহার করতে হয়। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শি জিনপিংকে সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ সংকটগুলো থেকে বাঁচাবে, সাহায্য করবে নিজের শাসনের ব্যাপারে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার ব্যাপারে। গভীর সংকটের সময়ে এই ঘরানার কর্তৃত্ববাদীরা আসল বা মেকি সামরিক পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকে পড়ে নিজের শাসনকে টিকিয়ে রাখতে। কারণ, একবার যুদ্ধ শুরু হলে নাগরিকেরা শাসনতান্ত্রিক শুদ্ধির চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়, তৈরি হয় প্রয়োজনীয় ত্যাগ স্বীকার করতে। শি জিনপিং সেই পথে এগোবেন কিনা, সেটি রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ ঠিক করবে। কিন্তু, তিনি যদি সম্ভাব্য সামরিক উত্তেজনা তৈরির চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে তাইওয়ান তার জন্য একটি সম্ভাব্য সহজ বিকল্প হবে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নিয়ন্ত্রণ
বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদিত হয়, তাইওয়ান একাই উৎপাদন করে তার ৬৩ শতাংশ। তাইওয়ানের বার্ষিক এই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির বাজার প্রায় একশো বিলিয়নের, তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি একাই উৎপাদন করে বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫৪ শতাংশ। বর্তমানে আবার বাড়ছে ১০ ন্যানোমিটারের চেয়ে ক্ষুদ্র আকৃতির সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা। তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এই ধরনের সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করেই গত বছর তাদের মোট আয়ের ৮৪ শতাংশ আয় করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আর চীন, দুই পক্ষই তাইওয়ানের তৈরি সেমিকন্ডাক্টরের গ্রাহক। পাশাপাশি, এই খাতে তাইওয়ান এত এগিয়ে গেছে যে নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে তাইওয়ানের এই খাতে কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারছে না কেউ।
সেমিকন্ডাক্টরকে বর্তমানে ‘নতুন তেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমানে তীব্র হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টরের সংকট। চিপের সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল শিল্পগুলোকে গাড়ি উৎপাদন করে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে, বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে অটোমোবাইল শিল্প। ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে একই ধরনের সংকট আছে চীনেরও। তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চীন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে নিজেদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য নিশ্চিত করতে পারে, এগিয়ে যেতে পারে নতুন স্নায়ুযুদ্ধে।
চীন কেন তাইওয়ান আক্রমণ করে না?
চীন আর তাইওয়ানের মধ্যে গত কয়েক দশকে ধরেই রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে। গত কয়েক বছরে চীন প্রায় হাজারবার লঙ্ঘন করেছে তাইওয়ানের আকাশসীমা, তাইওয়ানও চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ মোকাবেলায় গড়ে তুলছে মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। দুই দেশের মধ্যে এই রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও প্রায় স্থিতিশীলভাবে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। চীন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী দেশ। তাইওয়ানের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ২৬ শতাংশই হয় চীনের সাথে। তাইওয়ানের আমদানি করা পণ্যের ২২.২ শতাংশ আসে চীন থেকে। তাইওয়ানের প্রথাগত মিত্র হিসেবে পরিচিত জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এই হার কম।
পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চীনে তাইওয়ানের পণ্য রফতানিও। ২০১০ সালে তাইওয়ান ৭৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে চীনে, ২০১৯ সাল নাগাদ রপ্তানির পরিমাণ এসে দাঁড়ায় ৯১ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে, ২০২০ সালে এই পরিমাণ দাঁড়ায় ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। স্বভাবতই, চীন আর তাইওয়ানের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে একটি পারস্পরিক নির্ভরশীলতা গড়ে উঠেছে। তাইওয়ানের অনেক নাগরিকই চীনের ভূখণ্ডে এসে বিনিয়োগ করছে, কলকারখানা খুলেছে। দু’দেশের মধ্যে রয়েছে বিশাল পর্যটন শিল্প। যেকোনো ধরনের সামরিক অস্থিতিশীলতা বা যুদ্ধ দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই নিয়ে আসতে পারে নেতিবাচক ফলাফল। ফলে ক্ষুদ্র ভূমি আর চীনের মোট জনসংখ্যার দেড় শতাংশ জনসংখ্যা নিয়েও তাইওয়ান চীনের সামনে নিজের উপযোগিতা ধরে তুলেছে, অর্থনীতিতে ব্যবহার করছে নিজের স্বতন্ত্র জাতিগত পরিচয় ধরে রাখার ক্ষেত্রে।