“মানুষকে গোপন বিষয় সম্পর্কে কথা বলানোয় তার দক্ষতা অসীম এবং অনন্য। আফসোস, আমরা যদি তাকে সিআইএ’তে রিক্রুট করে নিতাম!” সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড সম্পর্কে এই উক্তিটি করেন সাবেক সিআইএ ডিরেক্টর রবার্ট গেটস। উক্তিটি মোটেও অতিরঞ্জিত নয়। বব উডওয়ার্ড এমন একজন সাংবাদিক, যিনি অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতাকে নিয়ে গেছেন অন্য স্তরে। আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি, যা সহযোগী কার্ল বার্নস্টাইনের সাথে মিলে উডওয়ার্ডই উদঘাটন করেন। তাছাড়া সাহসী সাংবাদিকতার জন্য দুবার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী এ সাংবাদিক লিখেছেন ১৮টি বই, যার মধ্যে ১২টিই হয়েছে বেস্টসেলার!
১৯৪৩ সালের ২৬ মার্চ আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন বব উডওয়ার্ড। স্থানীয় স্কুলেই প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ালেখা সেরে ভর্তি হন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে লেখালেখির প্রতি আজন্ম প্রেম তৈরি হয় তার। কিন্তু ইয়েল থেকে ইতিহাস এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করার পর অনিচ্ছাসত্ত্বেও বাবার মন রক্ষার্থে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। নৌবাহিনীতে ৫ বছর থাকার অভিজ্ঞতাই তাকে করে তোলে সাহসী এবং অসীম কর্মশক্তিপূর্ণ। কিন্তু লেখালেখির প্রতি ঝোঁক এবং যুদ্ধে যাবার অনীহার কারণে ১৯৭০ সালে লেফটেন্যান্ট থাকা অবস্থায় বরখাস্ত হন উডওয়ার্ড। ওয়াশিংটন পোস্টে চাকরির জন্য আবেদন করলে সম্পাদক তাকে দুই সপ্তাহের পরীক্ষামূলক সাংবাদিকতার সুযোগ দেন। সম্পাদককে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়ে সে যাত্রায় চাকরি পাননি উডওয়ার্ড। তবে চাকরি পান মন্টোগোমারি সেন্টিনেলে। এই পত্রিকায় ১ বছর কাজ করে তবেই ওয়াশিংটন পোস্টে চাকরি হয় তার।
চাকরি পাবার এক বছরের মাথায়ই জীবন বদলে দেয়া সেই অ্যাসাইনম্যান্ট পেলেন উডওয়ার্ড। ১৯৭২ সালের ১৭ জুন ওয়াশিংটনে অবস্থিত ‘ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল পার্টি’র হেডকোয়ার্টার ওয়াটারগেটে রাতের অন্ধকারে ধরা পরে ৫ জন ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়। ব্যাপারটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় ভেবেই কিনা এ বিষয়ে কাজ করার জন নতুন সাংবাদিক উডওয়ার্ডের কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে দিলেন সম্পাদক! সাথে নিয়োগ করলেন কার্ল বার্নস্টাইনকেও। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক নয়, পুরো দেশকেই বিস্মিত করে একের পর এক স্পর্শকাতর তথ্য বের করে আনতে লাগলেন উডওয়ার্ড এবং বার্নস্টাইন। আর তাদের এই কেলেঙ্কারি বিষয়ক প্রায় প্রতিটি সংবাদেরই নিয়ম করে সমালোচনা করতেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পুননির্বাচন বিষয়ক কমিটির সদস্যরা, রিপাবলিকান নেতারা, এমনকি হোয়াইট হাউজের সদস্যরাও!
১৯৭২ সালের অক্টোবার মাসে তৎকালীন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জিগলার একবার বলেছিলেন, “জনশ্রুতি থেকে উদ্ভট সব সংবাদ তৈরি করে উডওয়ার্ড এবং বার্নস্টাইন সাংবাদিকতার মান নীচে নামিয়ে ফেলছেন!” কিন্তু এসব কথায় দমে যাননি উডওয়ার্ড এবং বার্নস্টাইন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা চালিয়ে গেলেন তাদের অনুসন্ধান এবং একে একে বেরিয়ে এলো রিপাবলিকানদের গুপ্তচরবৃত্তি এবং ডেমোক্র্যাটদের মাঝে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির প্রচেষ্টা। গ্রেফতার হলো প্রেসিডেন্ট নিক্সনের হোয়াইট হাউজ উপদেষ্টা এবং ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৪০ জন। পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে দেখলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি, এর ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা এবং সবশেষে সাংবাদিকদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় ঘটনা উদঘাটন। এতে করে ৬ মাস পূর্বে সমালোচনা করা প্রেস সেক্রেটারির কণ্ঠ আমূল পরিবর্তিত হয়ে যায়। ১৯৭৩ সালের পহেলা মে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ওয়াশিংটন পোস্ট এবং উডওয়ার্ড ও বার্নিস্টানের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী আমার পূর্বোক্ত উক্তির জন্য। তারা যে অসম দুঃসাহসিকতার সাথে স্পর্শকাতর এই ঘটনাটি উদঘাটন করেছে, সেজন্য তারা কৃতিত্বের দাবিদার।”
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি সফলভাবে উদঘাটন করবার পর বব উডওয়ার্ডের আর সাংবাদিক হিসেবে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশব্যাপী সাহসী ও উদ্যমী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া উডওয়ার্ডকে তখন থেকেই সমীহ করেছে প্রতিটি মার্কিন সরকার। ক্লিনটন সরকারের কথাই ধরুন। এক উডওয়ার্ডের রিপোর্টের জন্য কোণঠাসা হয়ে পড়ে ক্লিনটনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। ক্লিনটন সরকারের প্রথম দুই বছর নিয়ে ১৯৯৪ সালের শেষ দিকে উডওয়ার্ড প্রকাশ করেন ‘দ্য এজেন্ডা: ইনসাইড দ্য ক্লিনটন হোয়াইট হাউজ’, যা সে বছর বেস্টসেলার হয়েছিল। এই বইটিকে সমকালীন সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ ‘বাহাইন্ড দ্য সিন অব ক্লিনটন পলিসি’ বলে আখ্যায়িত করেন। অসংখ্য চমকপ্রদ সব তথ্যে ভরপুর এই বইয়ের জন্য সবাই একবাক্যে মেনে নিয়েছিলেন যে একমাত্র উডওয়ার্ডই ক্লিনটন সরকারের প্রকৃত এজেন্ডা ধরতে পেরেছেন। হিলারি ক্লিনটন তো সরাসরিই বলে দিয়েছিলেন, এই বই ক্লিনটন প্রশাসনকে দেশে এবং দেশের বাইরে সমালোচনার মুখোমুখি করছে। তবে যার প্রশাসনের অস্ত্রোপচার হয়েছে এই বইয়ে, সেই ক্লিনটনের একটি উক্তিই শোনা যাক।
“That Woodward book tore my guts out!”- উডওয়ার্ডের বই সম্পর্কে ক্লিনটন
প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় উডওয়ার্ড বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছিলেন। প্রথমত, তিনিই ছিলেন একমাত্র সাংবাদিক যিনি কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন তার শাসন ব্যবস্থা নিয়ে ৪টি বই লিখেছেন, যার দুটি আবার বেস্টসেলার! তাছাড়া বুশের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো সাংবাদিকও তিনিই। বুশের মোট ৬টি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি। ‘বুশ এট ওয়্যার’, ‘প্লান অব অ্যাটাক’, ‘স্টেট অব ডেনিয়েল’ এর মতো বইগুলোতে বুশ প্রশাসনের নানা দিক নিয়ে সমালোচনা করলেও তিনি বুশের ইরাক আক্রমণের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ইরাকে ‘ওয়েপন অব ম্যাস ডেসট্রাকশন’ এর মজুদ রয়েছে। বুশের সময়কালে উডওয়ার্ডের সাংবাদিকতার সাফল্যগুলো এই বিশ্বাসের কারণে ম্লান হয়ে যায়। তিনি বিদ্ধ হন সমালোচনার তীরে। পরে অবশ্য নিজের ভুলও স্বীকার করেছিলেন তিনি।
বুশের আমলে উডওয়ার্ডের জন্য আরো সমালোচনা অপেক্ষা করছিল। ২০০৫ সালে ২ ঘন্টাব্যাপী এক সাক্ষাৎকারে তিনি মুখ ফসকে ‘প্লাম অ্যাফেয়ার্স’ সম্বন্ধে নিজের পূর্বজ্ঞানের কথা স্বীকার করে ফেলেন। ২০০৩ সালে সাবেক সিআইএ এজেন্ট ভেলেরি প্লামকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিই প্লাম অ্যাফেয়ার্স নামে পরিচিত। যা-হোক, উডওয়ার্ড একথা স্বীকার করেও চেপে যাবার চেষ্টা চালান। তিনি দাবি করেন, ব্যাপারটি তার কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ না মনে হওয়ায় তিনি তা প্রকাশ করেননি। এজন্য তিনি নিজ পত্রিকার সম্পাদকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনাও করেন। ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক অবশ্য এটিকে গুরুতর কোনো ভুল মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক উডওয়ার্ডকে বুশ প্রশাসনের সহযোগী বলতেও ছাড়েননি!
বব উডওয়ার্ডের সবচেয়ে প্রশংসিত কাজগুলোর একটি হচ্ছে ‘দ্য কমান্ডারস’। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের নাড়িনক্ষত্র তুলে ধরেন তিনি এই বইয়ে। যদিও এই বইয়ের জন্য তিনি পাঠক সমালোচকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তাকে শুনতে হয়েছে এই বইয়ের মূল চরিত্র, উপসাগরীয় যুদ্ধের কমান্ডার জেনারেল কলিন পাওয়েলের হুমকিও! তবে এর দু’বছর পর তার লেখা ‘দ্য চয়েজ’ এর জন্য অবশ্য এমন কিছু হয়নি। বিল ক্লিনটন আর বব ডোলের নির্বাচনী প্রচারণার আদ্যোপান্ত নিয়ে লেখা বইটি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকতা করার নতুন স্টাইল তৈরি করে দিয়ে যায়। তবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত বই সম্ভবত ‘শ্যাডো’। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত এই বইটি ওয়াটারগেট পরবর্তী ৫ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফোর্ড, কার্টার, রিগ্যান, এইচ ডব্লিউ বুশ এবং ক্লিনটনের উপর সেই স্পর্শকাতর রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। অসংখ্য বিতর্কিত তথ্যে ভরপুর বইটি যেন ছিল বারুদে ঠাঁসা।
বারাক ওবামার দুই মেয়াদে উডওয়ার্ড দুটি বই লিখেছেন। একটির মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের সিকোয়েস্টার বাজেট ঘোষণার পূর্বেই তা হোয়াইট হাউজে আলোচনার ব্যাপারে গোপন কিছু তথ্য উল্লেখ করে সমালোচনা করেছিলেন, যার সপক্ষে খুব একটা প্রমাণ শেষ পর্যন্ত দেখাতে সক্ষম হননি তিনি। তবে, ‘ওবামা’স ওয়্যার’ নামক বইটিতে তার মূল ফোকাস ছিল পুরোটাই আফগান যুদ্ধ নিয়ে ওবামা প্রশাসনের নীতির উপর। তার দ্বিতীয় বই ‘দ্য প্রাইস পলিটিক্স’ এর মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ‘ডেবট সিলিং ক্রাইসিস’। তার সাম্প্রতিকতম বই ‘দ্য লাস্ট অব প্রেসিডেন্ট’স মেন’ খুব একটা সাড়া ফেলেনি পাঠকদের মাঝে। রিচার্ড নিক্সনের সেই ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির আরো কিছু অজানা দিক উন্মোচন করাই ছিল এই বইয়ের উদ্দেশ্য। তথাপি তার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ কাজ এই সিরিজের প্রথম বইটিই, ‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে একই নামে একটি হলিউড সিনেমাও।
বব উডওয়ার্ডের লেখনী নিয়ে দ্বিমুখী মতামত রয়েছে। উডওয়ার্ড সাধারণত তার লেখায় প্রচুর পরিমাণ নামহীন উৎসের উল্লেখ করে থাকেন। তার লেখা মানেই ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষীদের চোখে দেখা বিবরণ। প্রতিটি ব্যাপারে একেবারে শুরু থেকে শেষপর্যন্ত বর্ণনামূলকভাবে লিখে যান তিনি। আর এরূপ রচনাশৈলীর জন্য তাকে সমালোচনা এবং প্রশংসা দুটোই শুনতে হয়েছে। কেউবা তার লেখনীর ধরণকে সহজপাঠ্য, বোধগম্য এবং বিস্তারিত মনে করেন। অনেক সমালোচকের জন্য আবার সেগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং বিরক্তিকর। এসবের সাথে অতিরঞ্জন এবং অগ্রহণযোগ্য উৎসের মনগড়া তথ্য সংযোজনের অভিযোগও রয়েছে তার লেখালেখির বিরুদ্ধে। তবে এসব সমালোচনা তার ক্যারিয়ারে সামান্যই প্রভাব ফেলতে পেড়েছে। তিনি এখনো আমেরিকার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিকদের একজন, যার মুখের কথা সাধারণ মানুষ একবাক্যে বিশ্বাস করে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন বলেই কোনো স্থানে বক্তৃতা দেবার জন্য সময় ভেদে ১৫-৬০,০০০ ডলার পর্যন্ত ফি তিনি পেয়ে থাকেন!
প্রথম দুই স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৮৯ সালে সাংবাদিক এলসা ওয়ালশকে বিয়ে করেন উডওয়ার্ড। বর্তমানে এলসার সাথে দুই মেয়েকে নিয়ে ওয়াশিংটনের জর্জটাউনে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন তিনি। তাকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত তিনটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে। প্রথমটি হলিউড ক্লাসিক ‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’, ‘উইয়ার্ড’ এবং ‘মার্ক ফেল্ট: দ্য ম্যান হু ব্রট ডাউন দ্য হোয়াইট হাউজ’। সাংবাদিকতার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার দুবার জিতেছেন উডওয়ার্ড। প্রথমটি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য, দ্বিতীয়টি জিতেছেন ১/১১’র সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রচারের জন্য। এছাড়াও তার ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য পদক পুরস্কার এবং সম্মাননা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ২০০৪ সালে তাকে সেই প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে আখ্যায়িত করে। ৭৫ বছর বয়সী এই গুণী সাংবাদিক আজও পাঠকের আস্থা অর্জন করে চলেছেন তার চিরায়ত অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার গুণে।
ফিচার ছবি: ohs.org