Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

স্যান্ডকিংস: কল্পবিজ্ঞানের মোড়কে মানব মনের অন্ধকার দিকের গল্প

১৯৭৯ সালের আগস্ট মাসের কথা। তৎকালীন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অমনি এর আগস্ট ইস্যুতে একটি ডার্ক সায়েন্স ফিকশন নভেলা ছাপা হয়। একদমই নতুন একজন লেখকের একটা গল্প ছিল সেটা; এমনকি ছাপার অক্ষরেও প্রথম গল্প বলা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সেই বছরই নেবুলা পুরষ্কার জিতে নেয় গল্পটি। আর তারপরের বছর পায় জনপ্রিয় হুগো পুরষ্কার। এবং তার একবছর পর ঐ একই গল্পের জন্য লেখক পান দ্য লোকাস পুরষ্কার। জ্বি, আজকের গ্রন্থ পর্যালোচনাতে এই বিখ্যাত নভেলার বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বর্তমান সময়ে Winter is Coming এই শব্দত্রয়ীর সাথে আমরা কম-বেশি সকলেই পরিচিত। জ্বি, জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অফ থ্রোনস এর কথাই বলছি। এই তো গেল সপ্তাহেই মুক্তি পেল গেম অফ থ্রোনস নামক জনপ্রিয় ইংরেজি টিভি সিরিজের অষ্টম সিজনের ট্রেইলার। বিখ্যাত লেখক জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা ফ্যান্টাসি উপন্যাস অ্যা সং অফ আইস এন্ড ফায়ার থেকেই মূলত গেম অফ থ্রোনস নামক এই টিভি সিরিজের জন্ম। তবে জানার বিষয় হচ্ছে, জর্জ আর আর মার্টিন কিন্তু একজন ডার্ক সায়েন্স ফিকশন লেখক হিসেবে আগেই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছিলেন। ফ্যান্টাসি লেখা শুরু করেছিলেন অনেক পরে এসে।

জ্বি, ঠিক চিন্তাটাই করছেন আপনি; সেই অমনি ম্যাগাজিনের আনকোরা লেখকই ছিলেন জর্জ আর আর মার্টিন আর তার সেই গল্পের নাম ছিল স্যান্ডকিংস। চোখে একটা গোল চশমা, মুখে সদা হাসি, স্বাস্থ্য ভালো করা লোকটার চুল-দাড়ি-গোফ সবই সাদা হয়েছে, কিন্তু তার হাতের লেখাগুলো নিজেদের চিরযৌবন ঠিকই ধরে রেখেছে। আজ জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা স্যান্ডকিংস নভেলাটি নিয়েই আলোচনা করা হবে, তবে তার আগে কিছু পূর্বাপর বিষয় সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

স্যান্ডকিংস মূল বই; Image Source: fantasybookcollector.com

পূর্বাপর প্রসঙ্গ

সায়েন্স ফিকশনের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা বলতে পারি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। সায়েন্স বা বিজ্ঞান শব্দটি শুনলেই আমাদের কাছে মনে হয় বিজ্ঞানের সব জটিল সূত্রের কিংবা দুর্বোধ্য সব বিজ্ঞান বিষয়ক টার্ম দিয়ে ভরা কিংবা এসব ব্যাপার সংক্রান্ত মারপ্যাঁচ দেয়া কোনো গল্প।

আসলে কি তা-ই? না, একদমই তেমনটা নয়। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হচ্ছে এমন একধরনের গল্প, যেটা বর্তমান বাস্তব সময়ের উপর চিন্তা করে উন্নত এবং অদূর ভবিষ্যতের গল্প; যে গল্পতে কেবল কল্পনার প্রসারই হয় না, বরং বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার বিচার-বিশ্লেষণও করা যায় গল্পের ভাঁজে ভাঁজে। তবে বাস্তবে এই মুহুর্তে যে ব্যাপারগুলো সম্ভব নয়, সেই ব্যাপারগুলোই বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার কাল্পনিক প্রসার ঘটিয়ে উপস্থাপন করা হয়। গল্পের স্বার্থে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত বস্তুর সংমিশ্রণও হতে পারে, তবে অবশ্যই সেটা লজিক রুপে, ম্যাজিক রুপে নয়। তাই বলা যায়, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অথবা সায়েন্স ফিকশন হচ্ছে এমন একটি সাহিত্যধারা, যেখানে গল্পটা বর্ণনা করা হয় বৈজ্ঞানিক বিদ্যমান নীতিমালার উপর ভিত্তি করে যৌক্তিক কল্পনার আশ্রয়ে।

১৮১৭ সালের কথা। জেনিভা শহরে এক রাতে এক লেখিকা বসলেন একটি গল্প লেখার আশায়। গল্পটি ছিল মৃত মানুষের প্রাণসঞ্চার বিষয়ক, তবে সেটা বৈজ্ঞানিক উপায়ে হতে হবে। লেখিকা লিখতে বসে প্রথমেই একটি চরিত্র সৃষ্টি করলেন। গল্পের চরিত্রটি একজন তরুণ বিজ্ঞানীর, নাম তার ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। লেখিকা জিন ক্লোনিং করে নতুন জীবের জন্ম দেয়ার পরিবর্তে জন্ম দিলেন এক অতিমানবীয় দৈত্যকে। পরের বছর উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল ফ্রাঙ্কেনস্টাইন অর দ্য মডার্ন প্রমিথিউস নামে। উপন্যাসটি আজ থেকে ১৭৪ বছর আগে প্রকাশ পেয়েছিল।

মেরি শেলির ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের বইয়ের প্রচ্ছদ; Image Source: independant.ie

যুগ বদলেছে, কিন্তু সেই রাতে সেই লেখিকার অতিমানবীয় দৈত্য কিন্তু এখনও নিজের অস্তিত্ব বজার রাখতে সক্ষম হয়েছে। মেরি শেলির অনবদ্য সৃষ্টি ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে বলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জন্মদাতা। এর আগেও পৃথিবীর ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা হয়েছিল, কিন্তু ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ছিল প্রথাগত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভেঙে আধুনিক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জন্ম দেয়া উপন্যাস।

অনেক কথা বলা হয়ে গেলো, অথচ এখনও স্যান্ডকিংস নিয়েই তেমন কোনো আলোচনা হলো না। তবে অনেক কথা বললেও উপরোক্ত কথাগুলো বলা দরকার ছিল। আমাদের দেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠক এবং লেখক দুই-ই অনেকাংশে কম। তাই যদি উপরোক্ত লেখা পড়ে কারো কারো আগ্রহ জাগে, সেজন্যই লেখা। চলুন, এবার জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা স্যান্ডকিংসের গল্পপ্রসঙ্গ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

গল্পপ্রসঙ্গ

সায়মন ক্রেস। বাল্ডুর গ্রহের অ্যাসগার্ড শহরের বাসিন্দা। শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল দূরে তার বাগানবাড়ি। ব্যবসার কাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়। সেটা মাঝেমাঝে মাসখানেকও, হয় আর গ্রহের বাইরে ভিন্ন গ্রহেও হয়। ভিন্ন গ্রহের বিরল প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করাটা সায়মনের একধরনের শখ। অন্যদেরকে, বিশেষ করে বন্ধুদেরকে, এ ধরনের প্রাণী দেখিয়ে চমকে দিয়ে ব্যাপক আনন্দ পান সায়মন। বর্তমানে তার কাছে আছে পৃথিবী থেকে আনা পিরানহা, শ্যাম্বলার এবং একটি কেরিয়ন হক জাতের বাজপাখি। সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল, কিন্তু ব্যবসার কাজে ডাক পড়ে সায়মনের, থাকতে হবে গ্রহের বাইরে, তা-ও কয়েক সপ্তাহ। অনেক চিন্তা করে তিনি ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়েন।

সায়মন ব্যবসার কাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন, সব পিরানহা মারা গেছে, কেরিয়ন হকটাও মৃত, আর শ্যাম্বলারগুলোর কোনো হদিস নেই। মন খারাপের সাথে সাথে বিরক্তি জেঁকে বসলো তার উপর। পরেরদিন নিজের স্কিমারটা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভিনগ্রহের বিরল প্রজাতির প্রাণীর সন্ধানে। সারাদিন খুঁজেও তেমন ভালো কিছু নজরে পড়ে না তার।

ফেরার সময় এক দোকানে চোখ পড়ে সায়মনের। আশ্চর্য, এতদিন ধরে তিনি বাল্ডুর গ্রহের বাসিন্দা, অথচ এই দোকানটা তার চোখেই পড়েনি কখনো! দোকানের ভেতরে ঢুকেই দোকানের দায়িত্বে থাকা জিয়ালা ও’ নামক মেয়েটির সাথে সাক্ষাৎ হয় সায়মনের। কথা প্রসঙ্গে মেয়েটিই তাকে একদম ভিন্ন আর বিরল প্রজাতির একধরনের প্রাণীর সন্ধান দেয়, যেগুলোকে বলা হয় স্যান্ডকিংস। সায়মন অতি উৎসাহে সেগুলো বাগিয়ে চলে আসে বাড়িতে।

© Wazedur Rahman Wazed

স্যান্ডকিংসরা মূলত কমপ্লেক্স লাইফফর্মের সায়োনিক ক্ষমতাসম্পন্ন একধরনের বুদ্ধিমান প্রাণী। প্রাথমিক অবস্থায় দেখতে বেশ ক্ষুদ্র হলেও ধীরে ধীরে এগুলোর আকার এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। একটি স্যান্ডকিংসের দেহের দু’পাশে তিন জোড়া পা এবং তিন জোড়া চোখ থাকে। কালো শক্ত চোয়াল আর একজোড়া লম্বা এন্টেনা থাকে। স্যান্ডকিংসরা চার প্রজাতির হয়- লাল, সাদা, কালো আর কমলা রঙের। সবগুলো প্রজাতির একটি করে রানী থাকে, যেগুলোকে মাও বলা হয়। প্রতিটি প্রজাতির মাওই হচ্ছে ঐ প্রজাতির মা এবং বাবা। মাওগুলোই মূলত সব স্যান্ডকিংসের খাবারের যোগান দেয়। স্যান্ডকিংসগুলো নিজেদের মাওকে রক্ষার জন্য দুর্গ গড়ে তোলে এবং সেটাকে প্রতিরোধও করে, কেননা তারা একইসাথে দক্ষ শ্রমিক এবং যোদ্ধা। যদিও তারা নিরীহ প্রজাতির প্রাণী, তবে পর্যাপ্ত খাবার না পেলে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে।

এই সবকিছু জেনে-বুঝেই সায়মন স্যান্ডকিংসগুলোকে নিয়ে যান বাসায়। প্রথমদিকে সবকিছুই ঠিকই চলছিল, কিন্তু সায়মন ওদেরকে পর্যাপ্ত খাবার দেয়া বন্ধ করে দিলে ওরা ওদের মাওদের খাবার যোগাড়ের জন্য স্বজাতির সদস্যদেরই মারা শুরু করলো। এই ব্যাপারটি সায়মনকে একধরনের পৈশাচিক আনন্দ দিল। স্যান্ডকিংসগুলো নিজেদের দুর্গে ইতিমধ্যেই সায়মনের মূর্তি বানিয়ে ফেলেছে, কেননা তিনিই ওদের কাছে সর্বকল্যাণময়ী ঈশ্বর। কিন্তু পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার দিনকতক বাদেই সায়মনের মূর্তিতে এক সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যায়। কেননা সায়মন এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ এক যুদ্ধবাজ ঈশ্বর ওদের কাছে।

স্যান্ডকিংস টিভি সিরিজের একটি দৃশ্য; Image Source: youtube.com

সায়মন বন্ধুদের মাঝে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলতে এক ওয়্যার গেমসের ব্যবস্থা করেন, যেখানে তার কোনো এক বন্ধুর সাথে আনা কোনো প্রাণীর সাথে এক ভয়ানক যুদ্ধ বাধিয়ে দেয় স্যান্ডকিংসগুলো। এসব করতে বাধা দেয়ায় জিয়ালা ও’ এবং নিজের সাবেক প্রেমিকা ক্যাথিকে পার্টিতে আসতে নিষেধ করেন সায়মন। ওদিকে স্যান্ডকিংসগুলো ধীরে ধীরে সায়মনের বিকৃত চেহারার মূর্তি গড়ে তোলে নিজেদের দুর্গগুলোতে, যা সায়মনের মনে প্রতিহিংসার জন্ম দেয়। ফলে তিনি সাদাদের দুর্গটা নিজ হাতে গুড়িয়ে দেন এবং সাদা মাওকে রক্তাক্ত করেন। এসব ঘটনা আঁচ করতে পেরে ক্যাথি ছুটে আসে স্যান্ডকিংসগুলোকে মেরে ফেলতে। কেননা স্যান্ডকিংসগুলোর জন্যই সায়মন নিজেকে ঈশ্বর ভাবা শুরু করেছে এবং এতটা জঘন্য মানসিকতার একজনে রূপান্তরিত হচ্ছে। ক্যাথি স্যান্ডকিংসদের জন্য নির্মিত টেরারিয়ামটা ধ্বংস করে দেয়, কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে স্যান্ডকিংসদের রক্ষার জন্য সায়মন ক্যাথিকেই হত্যা করে বসে এবং ওর লাশটা লুকানোর বদলে স্যান্ডকিংসদের খাদ্য হিসেবেই ব্যবহার করে।

শেষ অবধি কী হয়? সায়মন কি সত্যিকার অর্থেই এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ আর বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিল? কিন্তু তিনি কেন এতটা জঘন্য মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন? স্যান্ডকিংসগুলো কি তবে প্রতিহিংসাপরায়ণ সায়মনকেই ঈশ্বর হিসেবে মেনে নিয়েছিল? ক্যাথিরই বা কী দোষ ছিল? স্যান্ডকিংসগুলো মানুষের মাংস আর রক্তের স্বাদ পেয়েছিল। তবে কি ওগুলোর জন্য আরো অনেকগুলো মানুষকে খুন করা হয়েছিল? সায়মন কি তবে খুনী হয়ে গিয়েছিল? নাকি শেষমেশ বিধ্বংসী স্যান্ডকিংসগুলো নিজেদের রানীকে খাবারের যোগান দিতে নিজেদের ঈশ্বরকেই হত্যা করে বসেছিল? এসব কিছুর উত্তর জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে জর্জ আর আর মার্টিন রচিত হুগো, নেবুলা এবং লোকাস পুরষ্কার বিজয়ী ৮০ পৃষ্ঠার এই ক্ষুদ্র নভেলাটি।

জর্জ আর আর মার্টিন। Image Source: pinimg.com

লেখক প্রসঙ্গ

জর্জ রেমন্ড রিচার্ড মার্টিনের পুরো নাম জর্জ আর আর মার্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে ১৯৪৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুটা শিক্ষকতা দিয়ে হলেও শিক্ষকতা এবং দাবা খেলা দিয়ে নিজের ভরণপোষণটা তার জন্য তখন অনেক বেশিই কষ্টসাধ্য ছিল। তাই পুরোদস্তুর লেখক বনে যান মার্টিন। স্যান্ডকিংস লিখে জিতে নেন তিনটি সম্মানজনক পুরষ্কার এবং নিজের আগমনী বার্তা জানান দেন এই বই দিয়েই।

পরবর্তীতে হলিউডে চিত্রনাট্য লেখাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ডার্ক সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি এবং হরর গল্প লিখে নিজেকে জনপ্রিয়তা পাইয়ে দিয়েছিলেন এরই মধ্যে। যদিও স্যান্ডকিংস তার লেখা প্রথম গল্প, যেটা তাঁকে তিনটি সম্মানজনক পুরষ্কার এনে দিয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন তার বিখ্যাত ফ্যান্টাসি উপন্যাস অ্যা সং অফ আইস এন্ড ফায়ার এর জন্য, যা পরবর্তীতে ‘গেম অফ থ্রোনস’ নামে জনপ্রিয় টিভি সিরিজে রুপান্তরিত হয়েছে।

জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা যত বই; Image Source: fandomentals.com

পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গ

হুগো ও নেবুলা পুরস্কার দেয়া হয় সায়েন্স ফিকশন জনরার জন্য। আর লোকাস পুরস্কার দেয়া হয় ফ্যান্টাসি জনরার জন্য। ১৯৭৯ সালে অমনি ম্যাগাজিনে প্রকাশ পাওয়া স্যান্ডকিংস সেই বছরই জিতে নেয় হুগো পুরস্কার এবং পরের বছর পায় নেবুলা। এর ঠিক দুই বছর পর, অর্থাৎ ১৯৮২ সালে পান লোকাস পুরস্কার। তাই বইটির জনরার বিচার করতে গেলে বলতেই হয়, বইটি সায়েন্স ফিকশন ফ্যান্টাসি জনরায় রচিত।

গেমস অফ থ্রোনস টিভি সিরিজের একটি দৃশ্য; Image Source: mashable.com

লেখক সম্পর্কে নির্দ্বিধায় বলা যায়, মানব মনের অন্ধকার দিকগুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন, তা নাহলে মানব মনের অন্ধকার দিকগুলোর এত সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ লেখাতে খুব কমই পাওয়া যায়। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার বিন্দুমাত্র অপব্যবহার না করে বরং গল্পের আবহ, চরিত্র, বিশ্লেষণ বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন লেখক। একটি প্যারালাল গল্প বলে গেছেন, যেখানে মনস্তত্ত্ব, বিশ্বাস, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন। পড়তে পড়তে কখন হারিয়ে যাবেন নিজেও টের পাবেন না।

This article is in Bangla language. It's a review about a Science Fiction novella named 'Sandkings' which was written by renowned writer George R. R. Martin.
Necessary references have been hyperlinked inside the article. 

Featured Image: Wazedur Rahman Wazed

Related Articles