Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আপনার সঙ্গী কি একজন সাইকোপ্যাথ?

তো, ভালোবাসা-বিশ্বাস-আস্থা ইত্যাদি আবেগগুলোকে যখন সম্পর্কের ভিত্তি বলা হয় তখন এই সাইকোপ্যাথরা কোথায় পড়েন? তারা তো এসব আবেগ থেকে মুক্ত। আরো ভালোভাবে বললে, তাদের চোখে এসব আবেগ শুধুই স্বার্থ হাসিলের পথ ছাড়া কিছুই না। এমন একজন মানুষ যে আবেগ অনুভব করেন না, আপনার মনকে বুঝতে চেষ্টা করেন না, তেমন একজন মানুষের সাথে প্রেম বা বিয়ের মতো এত অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?

article

বন্য প্রাণীরা কি আসলেই পোষ মানে?

কোনো প্রাণীকে গৃহপালিত বা পোষ্য করার প্রক্রিয়াটি হাজার বছর পুরনো। আর আমরা যতই ভাবি যে কোনো প্রাণীকে ‘আমরা’ নিজেরা পোষ মানিয়েছি, আসলে সেটি সেই প্রাণীর পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও তাদের জেনেটিক গঠনের উপরও অনেকটা নির্ভর করে। বিড়াল বা কুকুর এতো হাজার বছরের গৃহপালিত জীবন পার করার পরও তাদের শিকারি মনোভাব ও পশুত্ব পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারে না। তাই গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালরাও মানুষকে জখম করে। সেখানে বাঘ, সিংহ বা সাপের মতো প্রাণীদের কাছ থেকে আমরা কিভাবে গৃহপালিত পশুর আচরণ আশা করতে পারি?

article

আপনার দৈনন্দিন কর্মক্ষমতা বাড়াবেন যেভাবে

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা। সারাদিন অফিস করে এসে বাসে ঝুলতে ঝুলতে ভাবছেন আগামীকাল শুক্রবার, বেশ আরাম করে ঘুমাবেন। তখনি মনে পড়ল গত সপ্তাহে ঠিক করেছিলেন শুক্রবার বারান্দার জন্য ফুলের টব কিনতে যাবেন! গেল সব আনন্দ মাটি হয়ে। ভাবলেন, নাই-ই বা গেলাম কাল। আগামী শুক্রবার যাব। ঠিক এভাবে ভাবতে ভাবতেই আমি, আপনি, আমরা সবাই আমাদের মূল্যবান কাজগুলোকে চরম নির্মমতায় অবহেলা করতে থাকি। ফলাফল- হতাশা আর দিনশেষে অপরাধবোধ।
ফুলের টব কেনা অবশ্যই কোনো গুরুতর কাজ নয়, কিন্তু তাই বলে একে অবহেলা করলে আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকা তো আর আপনিই ছোট হয়ে যাবে না। ভাবনা নয়। খুব সহজ ও ছোটছোট অভ্যাসের মাধ্যমে  আপনি নিমিষেই এই আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

article

সঞ্জয় দত্তের নিজের রেসিপি ‘চিকেন সঞ্জু বাবা’ ও নূর মোহাম্মদি হোটেল

‘চিকেন সঞ্জু বাবা’ পরিবেশন করার অনেক আগে থেকেই মুম্বাইয়ে বিশেষ পরিচিতি করে নিয়েছিল নুর মোহাম্মদি হোটেল। এর নিয়মিত গ্রাহকের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা দিলীপ কুমার, চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হোসেন এবং সঞ্জয় দত্তের বাবা পরিচালক সুনীল দত্ত। ২০১০-এ-ই সঞ্জয় দত্ত লিখিতভাবে এই চিকেন রেসিপিটির স্বত্বাধিকার দিয়ে দেন নুর মোহাম্মদি হোটেলকে। এরপর থেকে নুর মোহাম্মদি হোটেল নিয়মিত তাদের মেন্যুতে রাখতে শুরু করে এটি- নাম দেয় ‘চিকেন সঞ্জু বাবা’।

article

রাতে ঘুমানোর জন্য ৫টি ভিন্নধর্মী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন

বর্তমানে খুব সহজেই আপনার অ্যানড্রয়েড বা আইফোনে আপনি এমন অনেক অ্যাপ্লিকেশন পাবেন, যেগুলো বিশেষভাবে আপনার মতো ঘুমবঞ্চিত মানুষের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে।

article

সাফল্যের ৫৪ বছরে সবার প্রিয় রুনা লায়লা

১৯৬৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর দেখতে দেখতে ৫৪ বছর পূর্ণ করলেন এই চিরসবুজ গানের পাখিটি, যাকে বলা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।

article

ভূত বিয়ে: চীনের এক অদ্ভুতুড়ে বৈবাহিক প্রথা

মিয়াং খুনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ চীন। মিয়াং খুন একটি প্রাচীন চৈনিক প্রথার নাম যেখানে মৃত ব্যাক্তিকে অন্য একটি মৃত বা জীবিত ব্যাক্তির সাথে বিয়ে দেয়া হয়. বেশিরভাগ সময়েই জীবিত আছে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যাবে- এমন মেয়েদের শরীর বিক্রি করা হয় ভূত বিয়ের জন্য। অনেকে আবার এই মৃত মেয়েদের সন্ধান দেয়ার জন্য ঘটকালীও করে থাকেন। এমনই একজন অভিজ্ঞ ভূত-বিয়ের ঘটক জানান, “যেখানে ১৯৯০ সালে একটি মৃতদেহের দাম ছিল ১,০৩৫ ডলার করে সেখানে ২০১৬-তে সে দাম পৌঁছেছে প্রায় ৩২ হাজার ডলারে!”। মৃতের বয়স, মৃত্যুর সময় ও বংশ মর্যাদা অনুযায়ী মৃতদেহের মূল্যে তারতম্য হয়।

কনে যোগাড় হওয়ার পর, অন্য সব চীনা বিয়ের মতো স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠিত হয় ভূত বিয়ে। পার্থক্য শুধু এই যে বর-কনে দুজন মৃত থাকে আর তাদের আত্মীয়রা একই সাথে সুখী আবার দুঃখী থাকেন। মৃতের শ্রাদ্ধ এবং বিয়ে একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়।

article

ডি. ডব্লিউ. গ্রিফিথ: হলিউডের জন্ম হয়েছিলো যার হাত ধরে

তাঁর আবিষ্কৃত এডিটিং এবং চলচ্চিত্র পরিচালনা কৌশলগুলো সিনেমা নির্মাণ শিল্পের নকশা চিরদিনের জন্য বদলে দেয়। আমেরিকাতে কাজ করলেও তাঁর ফিল্মের সাফল্য অন্যান্য দেশ যেমন সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি দেশের নির্মাতাদেরো অনুপ্রাণিত করে।

article

চলচ্চিত্রে ‘অদৃশ্য শিল্প’ এডিটিংয়ের ভূমিকা: যেভাবে শুরু হলো ‘ফিল্ম এডিটিং’

লুমিয়ারের চলচ্চিত্রে যে দৃশ্যগুলো দেখানো হতো তা আগে থেকে ঠিক করা থাকতো না, বরং তারা যাকে/যেটিকে গ্রহণযোগ্য ‘সাবজেক্ট’ মনে করতেন তার সামনে ক্যামেরাটি বসিয়ে দিতেন। জর্জ  মেলিয়েঁকে বলা হয় ‘দ্য ফাদার অব স্পেশাল ইফেক্টস’। এডিটিংয়ের ইতিহাস এই মহান ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে কল্পনা করা যাবে না। স্পেশাল ইফেক্টস শুনে অনেক কিছু মনে হলেও তা এডিটিংয়ের ক্ষেত্রে সামান্যই ছিল, তবে মেলিয়েঁ সেই ১৮৯৬ সালেই ফিল্ম বা মোশান পিকচারের শিল্প সম্পূর্ণ বদলে দেন। জর্জ মেলিয়েঁ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনেন- ১। ফিল্মে একাধিক শটের প্রচলন করেন, ২। একটি চলচ্চিত্রের সময় বৃদ্ধি করেন।পোর্টার দেখান যে, একটি অসমাপ্ত কাজের শটই যেকোনো ফিল্মের এডিটিংয়ের ভিত্তি। অর্থাৎ, এসব অসমাপ্ত ছোট ছোট শটকে নিজের মতো সাজিয়ে পরিচালক তার চলচ্চিত্রকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।

article

হানান হামিদকে নিয়ে মজা করা এবং আমাদের সাইবার নার্সিসিজমের বহিঃপ্রকাশ

এই বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। ভারতের কেরেলা রাজ্যের একটি স্বনামধন্য পত্রিকা মাথুরিভুমি হানান হামিদ নামের একজন মেয়ের একটি ফিচার সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় কী করে ২১ বছরের সেই মেয়েটি একা তার ভাঙা পরিবারের দেখাশোনা ও নিজের পড়ালেখা দুই-ই চালিয়ে যাচ্ছে। খবরটি প্রকাশের পরে অনলাইন মিডিয়া এবং পত্রপত্রিকায় সবাই মেয়েটিকে বাহবা দিলেও কিছুদিন পরেই তারা হানানকে নিয়ে নিন্দাপূর্ণ ট্রোল বা ঠাট্টা প্রকাশ করতে থাকে।

কিন্তু এর কিছুদিন পরে উঠে আসে সত্য ঘটনা এবং মেয়েটি বেকসুর খালাস প্রমাণিত হয়ে যায়। সবাই তাদের ভুল বুঝতে পেরে হানানের ক্ষমা প্রার্থনা করে। যতক্ষণ পর্যন্ত হানান শুধু একটি খণ্ডকালীন মাছবিক্রেতা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত সাইবার নার্সিস্টরা ঘুমিয়ে ছিল। কারণ তারা হানানকে দয়া করেছিল, তার প্রতি করুণা অনুভব করে নিজেরা একটি শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেয়েছিল; কিন্তু যখন হানান তাদের ছাড়িয়ে যেতে চাইল, একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে যেয়ে, তখনি এসব ছদ্মবেশী সাইবার নার্সিস্টরা তাকে চেপে ধরলো।

article

পাইরোম্যানিয়া: যে বিরল রোগে কেবল আগুন জ্বালিয়েই মিলে স্বস্তি

যারা আগুনের উপস্থিতিতে স্বস্তি অনুভব করেন, তারা একটি বিশেষ মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত- পাইরোম্যানিয়া। এটি একটি গ্রীক শব্দ যার অর্থই হল আগুনের প্রতি আকর্ষণ। অন্যসব মানসিক সমস্যার মতো পাইরোম্যানিয়ার পিছনেও জেনেটিক এবং প্রাকৃতিক নিয়ামক আছে বলে মনে করা হয়। এর প্রতিকারের জন্য কোন স্বীকৃত ঔষধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি। ডাক্তাররা মনে করেন, যথাযথ পারিবারিক সাহায্য ও সার্বিক মানসিকতার পরিবর্তনই পারে এই রোগের প্রতিকার করতে।

article

“থেরাপির চেয়ে সস্তা”: রবিন উইলিয়ামসের একাকী, অন্ধকার জীবন

রবিন ম্যাকলরিন উইলিয়ামসের জন্ম ১৯৫১ সালে উত্তর শিকাগোতে। তার বাবা রবার্ট ফিটজেরাল্ড উইলিয়ামস ফোর্ড মোটর কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা লরি ম্যাকলারিন একজন মডেল ছিলেন। রবিন উইলিয়ামসের শৈশব বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের ছিল। তার বাবা-মা দুজনেরই পূর্বের বিয়ে থেকে ২ জন ছেলে ছিল এবং রবিন ছিলেন তাদের একমাত্র সন্তান। জন্ম শিকাগোতে হলেও বাবার কাজের জন্য রবিন মিশিগানের ডেট্রয়িট এবং পরবর্তীতে সান ফ্রান্সিসকোতে পাড়ি জমান। রবিন উইলিয়ামস তীব্রভাবে হতাশায় ভুগতেন। কিন্তু তার জীবন ও শৈশবে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোনো কমতি ছিল না।আজ তার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা রবিন উইলিয়ামসকে সম্মান জানাতে পারি হতাশা বা ডিপ্রেশন নিয়ে আরেকবার ভেবে। যদি আপনি ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন তাহলে কথা বলুন, মানুষকে জানান। তেমনি আপনার কাছের কেউ হতাশায় ভুগছে না তাও নিশ্চিত করুন। এটি একটি গুপ্ত ঘাতক যা সফল-অসফল সবাইকে গ্রাস করে।

article

End of Articles

No More Articles to Load