এই বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। ভারতের কেরেলা রাজ্যের একটি স্বনামধন্য পত্রিকা মাথুরিভুমি হানান হামিদ নামের একজন মেয়ের একটি ফিচার সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় কী করে ২১ বছরের সেই মেয়েটি একা তার ভাঙা পরিবারের দেখাশোনা ও নিজের পড়ালেখা দুই-ই চালিয়ে যাচ্ছে। খবরটি প্রকাশের পরে অনলাইন মিডিয়া এবং পত্রপত্রিকায় সবাই মেয়েটিকে বাহবা দিলেও কিছুদিন পরেই তারা হানানকে নিয়ে নিন্দাপূর্ণ ট্রোল বা ঠাট্টা প্রকাশ করতে থাকে।
কিন্তু এর কিছুদিন পরে উঠে আসে সত্য ঘটনা এবং মেয়েটি বেকসুর খালাস প্রমাণিত হয়ে যায়। সবাই তাদের ভুল বুঝতে পেরে হানানের ক্ষমা প্রার্থনা করে। যতক্ষণ পর্যন্ত হানান শুধু একটি খণ্ডকালীন মাছবিক্রেতা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত সাইবার নার্সিস্টরা ঘুমিয়ে ছিল। কারণ তারা হানানকে দয়া করেছিল, তার প্রতি করুণা অনুভব করে নিজেরা একটি শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেয়েছিল; কিন্তু যখন হানান তাদের ছাড়িয়ে যেতে চাইল, একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে যেয়ে, তখনি এসব ছদ্মবেশী সাইবার নার্সিস্টরা তাকে চেপে ধরলো।