চাইনিজ ঔপন্যাসিক লিউ ইওংবিয়াও তার সর্বশেষ উপন্যাস ‘দ্য গিল্টি সিক্রেট’ এর ভূমিকায় তার পাঠকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি আরেকটি রহস্য উপন্যাস লিখতে যাচ্ছেন, যেখানে প্রধান চরিত্রটি হবে একটি নারী। ‘দ্য বিউটিফুল রাইটার হু কিলড’ নামের সে উপন্যাসের নারী চরিত্রটি হবে একজন লেখকের চরিত্র, যিনি একাধিক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেতে পারবেন। লিউ অবশ্য তার উপন্যাসটি শেষ করে যেতে পারেননি। তার আগেই গত বছরের আগস্টে গ্রেপ্তার হয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ? তিনি নিজেই ১৯৯৫ সালে একটি গেস্টহাউজে ডাকাতি করার সময় এক পরিবারের চার সদস্যকে লাঠি এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন।
২২ বছর আগে সংগঠিত ঐ হত্যাকাণ্ডের মামলাটি প্রমাণের অভাবে এতদিন চাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ডিএনএ নমুনার সূত্র ধরে পুলিশ নতুন করে অনুসন্ধানে নামে এবং ৬০ হাজার মানুষের ডিএনএর সাথে মিলিয়ে দেখার পর লিউর সন্ধান পায়। আদালতে লিউ তার অপরাধ স্বীকার করেন। গত ৩০শে জুলাই চীনের একটি আদালত লিউকে এবং হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগী ওয়াংকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু তারও আগে বিচার চলাকালীন সময়ে চাইনিজ টিভি চ্যানেল সিসিটিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে লিউ স্বীকার করেছিলেন, তার সফল ঔপন্যাসিক জীবনের অনেকগুলো গল্প-উপন্যাস লেখার সময় ঐ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
লিউ অবশ্য বিশ্বের প্রথম কিংবা একমাত্র সাহিত্যিক নন, যিনি অপরাধ করে এরপর সেই অপরাধকে সাহিত্যে রূপ দিয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে ডাচ লেখক রিচার্ড ক্লিঙ্কহ্যামার তার প্রকাশকের কাছে একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি নিয়ে যান। এটি ছিল স্ত্রীকে হত্যা করার সাতটি পদ্ধতির বীভৎস বিবরণ সম্বলিত একটি বই এবং এর নাম ছিল Wednesday, Mince Day। ক্লিঙ্কহ্যামারের নিজের স্ত্রী এর এক বছর আগে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়, ক্লিঙ্কহ্যামার নিজেই তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছিলেন এবং এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণসহ আরো সম্ভাব্য কিছু পদ্ধতির উপর ভিত্তি করেই বইটি রচনা করেছিলেন।
খুনী সাহিত্যিকের সংখ্যা বাস্তবে অবশ্য খুব একটা বেশি নেই। কিন্তু এমন অনেক সাহিত্যিক আছেন, যারা সমসাময়িক কালে সংঘটিত আলোড়ন সৃষ্টিকারী হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেদের পরবর্তী সাহিত্যকর্মের রসদ সংগ্রহ করেছেন। এটা অবশ্য কোনো অপরাধ বা অন্যায় না। একেবারে নিছক কল্পনা থেকে সৃষ্ট কাহিনীও অনেক আছে, কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সাহিত্যিকরা তাদের আশেপাশের ঘটনাগুলোর সাথে কল্পনার মিশেল দিয়েই সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন। চলুন আজ জেনে নিই এমন কিছু আলোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা, যেগুলো থেকে নির্মিত হয়েছিল বিখ্যাত কিছু উপন্যাস এবং চলচ্চিত্র।
ব্ল্যাক ডালিয়া হত্যাকাণ্ড
ব্লাক ডালিয়া মার্ডার হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আলোচিত অমীমাংসীত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি মাসে লস এঞ্জেলসে এলিজাবেথ শর্ট নামে ২২ বছর বয়সী এক উদীয়মান অভিনেত্রীর লাশ পাওয়া যায়। কোমর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং লাশের বিকৃত অবস্থার কারণে হত্যাকাণ্ডটি সে সময়ের গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ধারণা করা হয়, সংসবাদপত্রগুলো ব্লু ডালিয়া নামের একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের কাহিনীবিশিষ্ট চলচ্চিত্রের নামানুসারে একে ব্ল্যাক ডালিয়া হত্যাকাণ্ড নামে অভিহিত করে। অনেকে অবশ্য মনে করেন, এলিজাবেথ শর্ট চুলে ডালিয়া ফুল দিয়ে সাজতে পছন্দ করতেন বলেই তার এ নামকরণ করা হয়।
লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ খুনীদেরকে ধরার জন্য বেশ বড় ধরনের আয়োজন করে। কিন্তু ১৫০ জনের মতো সন্দেভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গ্রেপ্তার করার মতো কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত তারা সবাইকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ব্ল্যাক ডালিয়া হত্যাকান্ডটি যুক্তরাষ্ট্রে এতোই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে, পরবর্তী কয়েক দশকে অন্তত ৫০০ ব্যক্তি এতে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দোষ স্বীকার করেছিল। কিন্তু ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এবং অধিকতর তদন্তে শেষপর্যন্ত এদের কারো স্বীকারোক্তিই টেকেনি। এই আত্মস্বীকৃত অপরাধীদের মধ্যে এমনও অনেকে ছিল, ঘটনার সময় তাদের জন্মও হয়নি।
ব্ল্যাক ডালিয়া হত্যাকান্ডটি স্বাভাবিকভাবে সাহিত্য জগতেও বেশ প্রভাব ফেলে। ঔপন্যাসিক জন গ্রেগরি ডিউন-এর ১৯৭৭ সালের বিখ্যাত উপন্যাস ট্রু কনফেশন্স এই হত্যাকান্ডের উপর ভিত্তি করেই রচিত। বাস্তবের মতোই উপন্যাসেও লস অ্যাঞ্জেলসে সংঘটিত এক তরুণীর আলোচিত হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী এগিয়ে যায়। এই কাহিনী অবলম্বনে ১৯৮১ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়, যেখানে রবার্ট ডি নিরো অভিনয় করেন।
তবে ব্ল্যাক ডালিয়া হত্যাকান্ড নিয়ে রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো থ্রিলার লেখক জেমস এলোরির ১৯৮৭ সালের উপন্যাস দ্য ব্ল্যাক ডালিয়া। এই উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ প্রায় হুবহু মূল ঘটনাকে অনুসরণ করলেও এখানে একটি কাল্পনিক সমাধান দেওয়া হয়। এই উপন্যাস নিয়ে পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিখ্যাত পরিচালক ব্রায়ান ডি পালমা একই নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
গ্রেট ওয়্যারলি নারকীয়তা
১৯০৩ সালে ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের ছোট একটি গ্রাম গ্রেট ওয়্যারলির এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবি জর্জ এদালজিকে আদালত সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ঐ এলাকার বেশ কিছু গরু, ঘোড়া এবং ভেড়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন এবং তাদের মৃতদেহকে বিকৃত করেছেন। এদালজি অবশ্য সব সময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে তিন বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর ১৯০৬ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু আদালত তার অপরাধ ক্ষমা করেনি।
সে সময় বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। অনেকেই তাকে সত্যিকার গোয়েন্দা মনে করে তার কাছে চিঠি লিখত সত্যিকার রহস্যের সমাধান করার জন্য। এদালজিও তার মামলাটির ব্যাপারে কোনান ডয়েলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কোনান ডয়েল মামলাটিতে অত্যন্ত আগ্রহী হন। তিনি ঘটনাস্থলে যান, দীর্ঘ তদন্ত করেন এবং শেষপর্যন্ত এই বিশ্বাসে উপনীত হন যে, এদালজি নির্দোষ। ভারতীয় কালো চামড়ার জন্য তাকে ঘৃণার চোখে দেখা কিছু এলাকাবাসী তাকে ফাঁসানোর জন্য ঐ অপরাধগুলো করেছিল।
কোনান ডয়েল এদালজির মামলাটি নিয়ে পত্রপত্রিকায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিস্তর লেখালেখি করেন, যেগুলো পরবর্তীতে The Case of Mr. George Edalji নামে প্রকাশিত হয়। কোনান ডয়েল এবং অন্যান্যদের প্রচারণায় অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টি পুনরায় তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে এবং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এদালজিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। এদালজির এই ঘটনাটি, যা পত্রপত্রিকায় দ্য গ্রেট ওয়্যারলি আউটরেজেস (The Great Wyrley Outrages) নামে পরিচিত ছিল, পরবর্তীতে আরো কিছু সাহিত্যকর্মকে উদ্বুদ্ধ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জুলিয়ান বার্নস-এর ২০০৫ সালের উপন্যাস আর্থার অ্যান্ড জর্জ, যা বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। উপন্যাসটি অবলম্বনে পরবর্তীতে একই নামে একটি টেলিভিশন সিরিজও নির্মাণ করা হয়।
পলা জিন ওয়েল্ডেন অন্তর্ধান রহস্য
১৯৪৬ সালের ১লা ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট থেকে পলা জিন ওয়েল্ডেন নামের এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। পলা ঘর থেকে বের হয়েছিল দৌড়ানোর পোশাক পরে। তার সাথে কোনো ব্যাগ বা টাকা-পয়সাও ছিল না। ফলে সে ইচ্ছে করে পালিয়ে গেছে, এরকম সম্ভাবনার চেয়ে তাকে অপহরণ করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে কিংবা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে, এ ধরনের সম্ভাবনাই জোরালো হয়ে দেখা দেয়। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়েও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বরং ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে ঐ এলাকায় একই রকম আরো ৪টি নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল।
পলা জিন যে কলেজের ছাত্রী ছিল, সেই বেনিংটন কলেজের এক শিক্ষকের স্ত্রী শার্লি জ্যাকসন ছিলেন একজন বিখ্যাত লেখক। ১৯৫১ সালে তিনি পলা জিনের ঘটনাটি নিয়ে হ্যাংসম্যান নামে একটি উপন্যাস প্রকাশ করেন। তার লেখা ছোটগল্প দ্য মিসিং গার্লসও একই ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালে, যখন সুসান স্কার্ফ মেরেল নামে এক লেখক শার্লি (Shirley) নামে একটি উপন্যাস লিখেন। কারণ এই উপন্যাসে লেখক শার্লি জ্যাকসনকেই সন্দেহভাজন হিসেবে উপস্থাপন করেন।
প্লেইনফিল্ডের কসাই
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের প্লেইনফিল্ডের অধিবাসী এডওয়ার্ড থিওডোর গাইন সর্বত্র দ্য বুচার অব প্লেইনফিল্ড নামেই পরিচিত। মানসিক ভারসাম্যহীন এই খুনী কবর থেকে লাশ চুরি করে সেগুলোর হাড় ও চামড়া দিয়ে ট্রফি বানিয়ে ঘরে সাজিয়ে রাখতেন। ১৯৫৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তিনি দুইজন নারীকে হত্যার কথাও স্বীকার করেন। তার বক্তব্য ছিল, তিনি তাদেরকে হত্যা করে তাদের চামড়া দিয়ে একটি ‘ওম্যান স্যুট’ বানাতে চেয়েছিলেন, যেন প্রয়োজনে সেই পোশাকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন এবং তার মৃত মাকে অনুভব করতে পারেন। বিচারে এড গাইন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, কিন্তু মানসিক ভারসাম্য প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
এড গাইন এবং তার বিরল ধরনের অপরাধ মার্কিন সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রজগতে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। তার চরিত্রকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত অনেক উপন্যাস এবং চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো রবার্ট ব্লচের রহস্যোপন্যাস ‘সাইকো‘, যেই উপন্যাস অবলম্বনে পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে আলফ্রেড হিচকক তার বিখ্যাত ‘সাইকো‘ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এছাড়াও থমাস হ্যারিসের উপন্যাস এবং একই নামের চলচ্চিত্র ‘দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস-এর মূল অপরাধী বাফেলো বিল এবং ‘টেক্সাস চেইনস ম্যাসাকারের‘ লেদারফেস চরিত্রটিও এড গাইনের চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত।
লেডিকিলার হ্যারি পাওয়ার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার হ্যারি পাওয়ার্স ছিলেন একজন সিরিয়াল কিলার, যিনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নারীদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারপর হত্যা করতেন। ১৯৩১ সালে এক গৃহবধূ এবং তার তিন সন্তানকে হত্যার পর তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। হ্যারি পাওয়ার্সের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড এবং বিচারকার্য সে সময় মিডিয়াতে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার বিচার দেখার জন্য এত বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিল যে, নিয়মিত আদালত কক্ষের পরিবর্তে স্থানীয় অপেরা হাউজে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়েছিল।
হ্যারি পাওয়াার্সের হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়েও একাধিক উপন্যাস ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ঔপন্যাসিক Davis Grubb এর ১৯৫৩ সালের উপন্যাস ‘দ্য নাইট অব দ্য হান্টার’ এই হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়েই রচিত। উপন্যাসটি অবলম্বনে ১৯৫৫ সালে নির্মিত হয় একই নামের চলচ্চিত্র। এছাড়াও জেইন এনি ফিলিপসের ২০০৩ সালের উপন্যাস কোয়াইট ডেলও হ্যারি পাওয়ার্সের সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে রচিত, যেখানে ঔপন্যাসিক পুরো ঘটনা, এর তদন্ত প্রক্রিয়া এবং এতে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিস্তারিতভাবে তুলে এনেছেন।
ফিচার ইমেজ- ahistoryofmystery.com