Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আমাদের লোকজ খেলাধুলা: ডাংগুলি, গাইগোদানি, ওপেনটি বায়োস্কোপ ও অন্যান্য

আমাদের দেশে শিশুতোষ খেলাধুলার ক্ষেত্রে বৈচিত্রময়তার অভাব নেই একদম! আমাদের শৈশব সাজানো ছিলো হাজারও রকম খেলায়। বিশেষ করে আমরা যারা গ্রাম কিংবা মফস্বল শহরগুলোতে বড় হয়েছি, এ ধরণের খেলা ছিলো আমাদের নিত্য দিনের সাথী। শহুরে শিশু কিশোরদের অবশ্য সে সুযোগ হয়নি।

শিশু-কিশোরদের বেশির ভাগ খেলাই সরঞ্জামবিহীন, শারীরিকভাবে স্বতঃস্ফূর্ততার প্রয়োজন হয় সবার। কিংবা যৎসামান্য উপকরণ যা প্রয়োজন হয়, তার প্রায় সবই নিত্য ব্যবহার্য বা প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত। শিশুতোষ উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় খেলাগুলো হচ্ছে আগডুম বাগডুম, এক্কা দোক্কা, ইচিং বিচিং, এলাটিং বেলাটিং, ওপেনটি বায়োস্কোপ, কানামাছি, কুৎ কুৎ, কুমির কুমির, দড়িলাফ, বউছি, লুকোচুরি, রুমাল চুরি, মার্বেল, টোক্কা টুক্কি, গোল্লাছুট, মোরগ লড়াই, সাত চারা ইত্যাদি।

এছাড়াও ব্যাঙ লাফ, কাঁঠাল চোর, পাতা পাতা সাত পাতা, ডাকবন্দি, টুটু খেলা, গাছ ছোঁয়া, অভি অভি, এসকি মেসকি, চোর ধরা, চোর পলান্তি, তালকাটা, পান্তা খাওয়া, বউ চোর, লক্ষ্মীবিলাস, বুড়ি বসান্তি,  শান্তালতা, ফুলুডন, ডাইগ্যা, কাচ্ছি, কুকুর শকুনি, গর্ত গর্ত, চাকচাকালু, ছক্কা খেলা, ছাউসি, ছি-ছত্তর, ঝাঁপুর, দাপপা, বিস্কুট ঝাপা ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

গোল্লাছুট

সাধারণত খোলা মাঠের খেলা গোল্লাছুট, তবে বাড়ির বড় উঠান বা বাগানে গোল্লাছুট খেলা যেতে পারে। দুই দলে ভাগ হয়ে গোল্লাছুট খেলা হয়। প্রথমে একটি ছোট গর্ত করে সেখানে একটি কাঠি পুঁতে রাখা হয়। এর নাম গোল্লা এবং এটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সীমানা। খেলোয়াড় সংখ্যার অনুপাতে পনেরো থেকে পঁচিশ হাত দূরে একটি গাছ হয় বাইরের সীমানা। এ খেলায় একজন প্রধান থাকে, তাকে বলা হয় গোদা। সে গোল্লা ছুঁয়ে দাঁড়ায় আর অন্য হাত ধরে শিকল করে ঘুরতে থাকে। বিপক্ষ দল সুবিধামতো জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম আউটডোর স্টেডিয়ামে গোল্লাছুট; আলোকচিত্রী: মো: রাশেদ

ঘুরতে ঘুরতে গোল্লা থেকে ছুটে গিয়ে পক্ষ দলের খেলোয়াড় সীমানার গাছ ছুঁতে চেষ্টা করবে। গাছ ছোঁয়ার আগে বিপক্ষ দলের কেউ তাকে ছুঁয়ে দিলে সে মারা যায়। একেবারে শেষে গোল্লা ছেড়ে গোদাকেও দৌড়াতে হয়। যে কয়জন সফল হয়, তারা গোল্লা থেকে জোড়া পায়ে বাইরের সীমানা অর্থাৎ গাছের দিকে লাফ দিয়ে এগিয়ে যায়। সব লাফ মিলিয়ে সীমানা ছুঁতে পারলে এক পাটি হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে দুই পক্ষের খেলা চলতে থাকে। যাদের পাটি বেশি হয়, তাদের জিত।

ডাংগুলি

ডাংগুলি খেলা বাংলাদেশের সব জায়গাতেই খুব জনপ্রিয়। দুই দলে ভাগ হয়ে এটি খেলতে হয়। সাধারণত কম বয়সী ছেলে আর কিশোরেরা ডাংগুলি খেলে থাকে। একটি দেড় হাত লম্বা লাঠি এবং এক বিঘত পরিমাণ লম্বা একটি কাঠি হলো খেলার উপকরণ। লম্বা লাঠিটিকে বলে ডান্ডা আর ছোটটিকে বলে গুলি বা ফুত্তি।

ডাংগুলি খোলা মাঠের খেলা। মাঠে ছোট্ট একটি লম্বালম্বি গর্ত করা হয়। টসের মাধ্যমে যারা দান পায়, তাদের একজন গর্তের উপর গুলি রেখে ডান্ডা মেরে তুলে সেটিকে পরের বাড়িতে দূরে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষ তখন চারিদিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গুলিটি ধরে ফেলার জন্য। তারা গুলিটি মাটিতে পড়ার আগে ধরে ফেলতে পারলে ডান্ডা মারা খেলোয়ারটি আউট হয়। আর না ধরতে পারলে প্রথম খেলোয়াড়টি তার ডান্ডা গর্তের উপর রাখে এবং প্রতিপক্ষ গর্তের উপর রাখা ডান্ডা লক্ষ্য করে গুলিটি ছুঁড়ে মারে। গুলিটি ডান্ডা ছুঁলে সে দান হারায়, আর না ছুঁলে সে আবার গুলিটি ডান্ডা দিয়ে তুলে দূরে পাঠায়। পরে সে গুলি থেকে গর্ত পর্যন্ত ডান্ডা দিয়ে মাপতে থাকে।

ডাংগুলি খেলা; ছবিসত্ত্ব: প্রতিক্ষণ ডট কম

এ মাপ হয় সাত ভিত্তিক। সাতটি মাপের নাম হলো বাড়ি, দুড়ি, তেড়ি, চাঘল, চাম্পা, ঝেঁক ও মেক। এমন সাত মাপে হয় এক ফুল বা গুট আর সাত ফুলে হয় এক লাল। ফুল ভাঙা থাকলে তা পরের খেলায় যোগ হয়। আউট না হওয়া পর্যন্ত একজন খেলোয়াড় খেলতে পারে। দলের সবাই আউট হয়ে গেলে পরবর্তী দল খেলতে নামে। অঞ্চলভেদে খেলাটি ডাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।

দাড়িয়াবান্ধা

গ্রামবাংলার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা দাড়িয়াবান্ধা। পাঁচ-সাতজনের দুটি দল নিয়ে দাড়িয়াবান্ধা খেলা হয়ে থাকে। খেলোয়াড়ের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মাঠে ঘর কাটা হয়। ঘরগুলির মধ্যে একটি গাদিঘর ও একটি লবণঘর থাকে। খেলার শুরুতে গাদিঘরে একটি দল এবং অন্য দলের খেলোয়াড়েরা রেখায় রেখায় অবস্থান নেয়। গাদিঘর থেকে বের হয়ে প্রতিটি খেলোয়াড় বিপক্ষ খেলোয়াড়ের ছোঁয়া বাঁচিয়ে ঘরগুলি ঘুরে গাদিঘরে ফিরে আসতে চেষ্টা করে। যেকোনো একজন সফল হলে সে দল পয়েন্ট পায়। আবার কোনো একজন ছোঁয়া হলে ঐ দল দান হারায়।

বাংলাদেশের ডাকটিকিটে দাড়িয়াবান্ধা

পরবর্তীতে বিপক্ষ দল গাদিঘরে অবস্থান নেয় আর অন্য দলটি অবস্থান নেয় রেখায়। শেষে দু’দলের মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়। বিজয়ী দল প্রতি পয়েন্টে একটি করে ঘরের দখল পায়। সবক’টি ঘর জিতে গেলে এক পাটি হয়। গাদিঘরের পাশের লবণঘরটি আকারে একটু ছোট হয়; প্রতিপক্ষ খুব সতর্কতার সঙ্গে এটি রক্ষা করার চেষ্টা করে। এ খেলাটি নুনদাড়ি  বা গাদিখেলা  নামেও পরিচিত।

সাত চাড়া

সাত চাড়া সাধারণত ছেলেদের খেলা। ভাঙা হাঁড়ি বা কলসির টুকরা কিংবা পাতলা ইট বা পাথরের সাতটি চাড়া ওপর নিচে স্তম্ভ আকারে সাজানো হয়। স্তম্ভের দশ বারো হাত সামনে থেকে দাগ দিয়ে একটি সীমানা দেওয়া থাকে। তার ওপাশ থেকে একটি টেনিস বল চাড়াগুলোকে লক্ষ্য করে ছুড়ে দেওয়া হয় যেন বলটি চাড়াগুলোকে আঘাত করে, কিন্তু একেবারে কম সংখ্যক চাড়া স্তম্ভচ্যূত হয়।

বল ছোঁড়ার জন্য তিন দান থাকে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের। কেউ সফল হলে তারা দ্রুততার সাথে আবার স্তম্ভটিকে সাজিয়ে তুলতে চেষ্টা করে আর বিপক্ষ দল বলটি কুড়িয়ে তাদের আঘাত করার চেষ্টা করে। স্তম্ভ পুনরায় গড়ে তুলতে পারলে সে দল এক পয়েন্ট পায়, আর বিপক্ষ দল যদি সব ঐ দলের সব খেলোয়াড়কে বল দিয়ে আঘাত করতে পারে, তবে তারা পয়েন্ট পায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে এবং শেষে যার পয়েন্ট বেশি হয় সেই দল জিতে যায়।

সাতচাড়া খেলার প্রারম্ভে বল ছোঁড়ার দৃশ্য

ওপেনটি বায়োস্কোপ

ওপেনটি বায়োস্কোপ একটি সহায়ক খেলা। সাধারণত দল ভাগ করার জন্য ওপেনটি বায়োস্কোপ খেলা হয়ে থাকে। আবার মূল খেলা হিসেবেও খেলা হয়। এ খেলার সাথে জড়িত ছড়া-গানটি বেশ মজার এবং ছড়া-গানটি থেকে এ খেলাটির সূচনা যে ব্রিটিশ আমল, তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ওপেনটি বায়োস্কোপ
নাইন টেন তেইশ কোপ
সুলতানা বিবিয়ানা
সাহেব বাবুর বৈঠকখানা
সাহেব বলেছে যেতে
পান সুপারি খেতে
পানের আগায় মরিচ বাটা
স্প্রিং এর চাবি আঁটা
যার নাম মনিমালা
তাকে দেবো মুক্তোর মালা।

দল ভাগ করার জন্য আগে দুই জন দলপতি ফুল বা ফলের নামে নিজেদের দলের নাম নির্ধারণ করে। তারপর তারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দু’হাত দিয়ে তোরণ বা সুড়ঙ্গের মতো বানায়। অন্যান্য খেলোয়াড়েরা পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে রেলগাড়ির মতো সারি বেধে ছড়াটি কাটতে কাটতে সুড়ঙ্গের নিচ দিয়ে যায়। যে মুহূর্তে ছড়াটি শেষ হয়, তখন যে দলপতিদের হাতের নিচে অবস্থান করে তাকে বন্দি করা হয়। তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সে কোন দলে যেতে চায়। এভাবে একে একে সবাই পছন্দের দলে ভাগ হয়ে মূল খেলা শুরু করে। এক্ষেত্রে কখনও কখনও বিপত্তি দেখা দেয়, যখন দু দলের খেলোয়াড় সংখ্যা সমান না হয়। তাই সময় বিশেষে হাতের নিচে আটকা পড়া খেলোয়াড়কে পর্যায়ক্রমে দু’দলে ভাগ করা হয়।

গাছ ছোঁয়া

সাধারণত বেশি ডালপালা বিশিষ্ট গাছে গাছ ছোঁয়া খেলা হয়। এই খেলায় একজন খেলোয়াড় থাকে গাছের নিচে, বাদবাকি সবাই গাছে চড়ে বসে। যে নিচে থাকে সে হলো বাঘ, আর যারা গাছে থাকে তারা হলো গাছ ছোঁয়া। খেলার শুরুতে বাঘ ছেলেটি ছড়াটি কাটতে আরম্ভ করে আর গাছ ছোঁয়ারা জবাব দিতে থাকে। ছড়াটি এরূপ:

গাছছুয়া রে ভাই গাছছুয়া
গাছে উঠছোত ক্যা রে?
বাঘের ডরে।
বাঘ কই?
মাটির তলে।
মাটি কই?
এই তো।
তোরা কয় ভাই?
সাত ভাই?
এক ভাই দিবে?
ছুঁইতে পারলে নিবে।

ছড়া কাটা শেষ হলে সে গাছ ছোঁয়াদের ছুঁতে চেষ্টা করে আর গাছ ছোঁয়ারা বাঘের ছোঁয়া থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে গাছের গুঁড়ি কিংবা মাটি ছোঁবার চেষ্টা করে। বাঘ কোনো গাছ ছোঁয়াকে ছুঁতে পারলে তার জয় হয়, একই ভাবে কোনো গাছ ছোঁয়া গাছের গুঁড়ি ছুতে পারলে সে জিতে যায়।

নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড় এ খেলায় অংশ নেয় না। তাই খেলোয়াড় সংখ্যা বেশি হলে কাছাকাছি কয়েকটি গাছ নিয়ে খেলাটি খেলা হয়ে থাকে। তখন প্রথম বাঘ গাছ ছোঁয়াদের ছুঁয়ে তার দল ভারি করার চেষ্টা করবে। কোনো গাছ ছোঁয়া ছোঁয়া হলে সে বাঘ হয়ে যাবে আর প্রথম বাঘের সাথে গাছ ছোঁয়াদের ছুঁতে চেষ্টা করবে। এভাবে বাঘেরা সব গাছ ছোঁয়াদের ছুঁয়ে ফেলতে পারলে কিংবা কোনো গাছ ছোঁয়া মাটি ছুঁতে পারলে খেলাটি শেষ হবে। খেলাটি আবার শুরু করতে হলে বাঘ প্রথম যে গাছ ছোঁয়াকে ছুঁয়েছে সে ছড়া কাটতে আরম্ভ করবে।

মার্বেল বা গুলি খেলা

কিশোরদের কাছে এক নেশার নাম মার্বেল। নাওয়া খাওয়া ভুলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিলেও মার্বেলের আসর থেকে ওঠার ইচ্ছে আমাদের হয় না। স্বভাবতই এই কারণে মার্বেল খেলা আমাদের অভিভাবকদের কাছে ব্ল্যাক লিস্টেড। মার্বেল দিয়ে অনেক রকম খেলা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ আমলে প্রথম কাঁচের গুলি এদেশে আমদানি হলেও আগে মাটির গুলি আগুনে পুড়িয়ে তার সাহায্যে খেলা হত। গ্রামাঞ্চলে এখনও মাটির গুলির চলন আছে। অনেকভাবে গুলি বা মার্বেল খেলা যায়। অনেক সময় অন্যের মার্বেল জিতে নেওয়ার মাধ্যমে খেলা সমাপ্তি হয়। গুলি ছোঁড়া আর আঘাত করায় যে যত দক্ষ, সে এ খেলায় তত ভালো করে।

মার্বেল বা গুলি খেলা

মার্বেল খেলাকে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি বলে মনে হলেও এর শুরু ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্সে। সেখানকার লোককাহিনী অনুসারে ১৫৮৮ সালে খেলাটি শুরু হয়।

গাইগোদানি

রাখাল বালকেরা মাঠে গরু ছাগল চরাতে চরাতে বিকেলের অবসরে গাইগোদানি খেলাটি খেলে থাকে। গরু ছাগল তাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত লাঠি এ খেলা উপকরণ। ভেজা মাটিতে এ খেলাটি হয়ে থাকে। চার-পাঁচজন রাখাল বালক একসাথে এ খেলাটি খেলতে পারে। টসের মাধ্যমে একজন প্রথমে তার লাঠি মাটিতে ছুঁড়ে পুঁতে দেয়। পরবর্তী জন তার লাঠি এমন ভাবে ছোঁড়ার চেষ্টা করে যেন আগের লাঠিটি সে আঘাতে পড়ে যায় বা তার সাথে গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দ্বিতীয় জন সফল হলে লাঠি দুটি তার আয়ত্ত্বে আসে, আর ব্যর্থ হলে প্রথম জন চেষ্টা করে। যে এ কাজে সফল হয়, সে তৃতীয় জনের সাথে খেলতে যায়।

এমনভাবে সবগুলো লাঠি একজনের হাতে এলে সে নিজের লাঠিটি বাদে অন্য লাঠিগুলো দূরে ছুঁড়ে দেয় আর নিজের লাঠিটিকে লুকিয়ে রাখে। শেষ লাঠি ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য বালকেরা নিজ লাঠিটি কুড়িয়ে আনতে ছুটে যায় আর ফিরে এসে লুকিয়ে রাখা লাঠিটিকে খুঁজে বের করে নিজ লাঠি দিয়ে স্পর্শ করে। যে শেষে স্পর্শ করে, সে লাঠিটি বয়ে এনে মালিকের কাছে দেয়, তাকে গাই বলা হয়। আর গাই অর্থাৎ পরাজিত বালকটিকে নিজ লাঠি ছুঁড়ে পরের দান শুরু করতে হয়। এ খেলাটি ফলাখাউট নামেও পরিচিত।

গত পর্ব: আমাদের লোকজ খেলাধুলা: নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, ঘোড়দৌড় ও অন্যান্য
পরবর্তী পর্ব: বাংলার লোকজ খেলাধুলা: কানামাছি, রুমাল চুরি, গোলাপ টগর ও অন্যান্য

তথ্যসূত্র

১) বাংলাপিডিয়া

২) বাংলাদেশের খেলাধুলা, রশীদ হায়দার, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।

৩) বাংলার লোকজ খেলাধুলা – মাহবুবুল হক, শব্দঘর (সাহিত্য সাময়িকী – এপ্রিল, ২০১৭)

৪) বাংলা লোকসাহিত্য ছড়া, ওয়াকিল আহমদ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।

৫) থাম্বনেইল ছবিটির আলোকচিত্রী ফজলে রাব্বি (flickr.com/photos/fazlerabbisakil)

Related Articles