যদি এক শব্দে বলতে বলা হয় যে কেন ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যা ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ আপনার অবশ্যই দেখা উচিত, তাহলে সেই একটি শব্দ হতে পারে: অভিনবত্ব।
কেন?
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, একটি মৃত্যু ঘটবে এ ছবিতে। কিন্তু মৃত্যু বা এ জাতীয় শব্দ থাকে যেসব ছবি বা সিরিজের শিরোনামে, সেগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করে, যাকে বলা হয় ‘হুডানিট’ ঘরানা। অর্থাৎ, শুরুতে বা মাঝপথে কোনো মৃত্যু ঘটবে, তারপর একজন গোয়েন্দা বা অতি-বুদ্ধিমান চরিত্র এসে তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করবে সেই মৃত্যুর নেপথ্যে দায়ী কে। কিন্তু ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ সেই চিরাচরিত প্যাটার্নকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়।
নামে যেমন জানিয়ে দেয়া হয়েছে একটি মৃত্যুর কথা, তেমনই ছবির শুরুর দৃশ্যেও দুটি চরিত্র কথা বলে একটি মৃতদেহ নিয়ে, কিন্তু তারপরই সপ্তাহখানেক পিছিয়ে গিয়ে শুরু হয় মূল কাহিনী, যেখানে ক্রমশ জট ছাড়ানো হয় এই দুই রহস্যের: কার মৃত্যু হলো? কেন হলো?
আর সে কারণেই, রহস্যের ঠাস বুনোট এবং কিছুক্ষণ পরপর বুকে কাঁপুনি ধরার মতো অসংখ্য রোমহর্ষক উপাদান থাকা সত্ত্বেও, এ ছবিটিকে আপনি ‘মিস্ট্রি থ্রিলার’ বলতে পারবেন না। এর জনরা হলো ‘ড্রামা’, যেখানে নাটকীয়ভাবে মঞ্চস্থ হয় এক সুগভীর মানবিক অনুভূতির আখ্যান।
অভিনয় দিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকের মন জয় করা, একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার জয়ী কঙ্কনা সেন শর্মা পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। ছবির কাহিনী তিনি গড়ে তুলেছেন পরলোকগত বাবা মুকুল শর্মার একটি ছোটগল্প থেকে, যেটি আবার রচিত হয়েছিল একটি সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায়।
আঙ্গিকে ঠিক আগাথা ক্রিস্টির ‘হুডানিট’ থ্রিলারের মতো না হলেও, এ ছবিতে কাহিনীর পটভূমি ও চরিত্রায়ণ ঠিক আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাসেরই মতো। অর্থাৎ একটি ছোট শহর, একটি বাড়ি, এবং পরস্পরবিরোধী চরিত্রের ও জটিল মনস্তত্ত্বের কয়েকজন মানুষ।
আরো সহজ করে বলতে গেলে, এ ছবির পটভূমি হলো ১৯৭৯ সাল, বিহারের ম্যাকলাস্কিগঞ্জ নামক একটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান শহর। সেখানেই বক্সী দম্পতি, অর্থাৎ ও. পি. বক্সী ও অনুপমা বক্সীর বাড়িতে কলকাতা থেকে কয়েকদিনের জন্য অতিথি হয়ে আসে তাদের ছেলে নান্দু, নান্দুর স্ত্রী বনি, মেয়ে তানি, বনির বান্ধবী মিমি, এবং নান্দুর তুতো ভাই সুটু। এছাড়াও প্রায়ই সে-বাড়িতে যাতায়াত হয় নান্দুর দুই বন্ধু বিক্রম ও ব্রায়ানের।
অর্থাৎ মুখ্য চরিত্রে মোট নয়জন। ছবির শিরোনাম অনুযায়ী, তাদের মধ্যেই কেউ একজন মারা যাবে। কে সে? কেনই বা মারা যাবে সে? এই দুই প্রশ্নকে সামনে রেখেই এগোতে থাকবে ছবির কাহিনী।
কোনোপ্রকার স্পয়লার না দিয়েও বলা যায়, এই ছবির মূল ফোকাস হলো সুটু, যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি।
অতিমাত্রায় সংবেদনশীল এই সুটু। নম্র-ভদ্র ও মৃদুভাষী, নিজের অনুভূতিপ্রবণ জগতে নীরবে বিচরণশীল এই ছেলেটি যাকে বলে পুরুষালি স্বভাবের, তা ঠিক নয়। অর্থাৎ সমাজ পুরুষদের জন্য যে গৎবাঁধা বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারণ করে দিয়েছে যে, সে হবে ম্যাচো ম্যান, নিজের আবেগকে খোলসবন্দি করে বাইরে খুব শক্তসমর্থ হয়ে থাকবে, বুদ্ধি-বিবেচনার চেয়ে গায়ের জোর দেখাবে বেশি, কোনো কাজে বিন্দুমাত্র ভয় বা সঙ্কোচ দেখাবে না– সুটুর মাঝে সেসব বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত।
মোদ্দা কথা, বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সুটু অনুপযুক্ত। তাই সে সমাজের আর দশজনের সঙ্গে মানিয়ে-গুছিয়ে চলতে পারে না, হয়ে যায় সকলের হাসির পাত্র। তাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না, বরং নিজেদের যাবতীয় ছোটখাট কাজ করে দেয়ার আদেশ দেয় তাকে। নারী-পুরুষ, সবাই তাকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে।
অনেক মানুষের ভিড় বা জটলার মাঝে সুটু নিছকই একজন সংখ্যা বৃদ্ধিকারী মানুষ। কিন্তু ছোট্ট তানি বাদে আর কারো কাছেই তার আলাদা করে কোনো আবেদন বা আকর্ষণ নেই। কোনো আসরে সে থাকলে ভালোই, তাকে নিয়ে কিছু স্থূল রসিকতা করে মজা লোটা যাবে; কিন্তু সে না থাকলেও কারো কিছু এসে যাবে না, কেউ অনুভবও করবে না তার অনস্তিত্ব।
তো এই সুটু অন্য সবার কাছে অকিঞ্চিৎকর হলেও, পরিচালক কঙ্কনা বেশিরভাগ সময় এই সুটুর দৃষ্টিভঙ্গিতেই উপস্থাপন করেছেন অন্য সকল চরিত্রকে। ফলে সেসব চরিত্রের মধ্যকার মানবীয় দোষ-ত্রুটি, যেমন ঈর্ষা, অহংকার, আত্মাভিমান, স্বেচ্ছাচারিতা, ভোগবাদিতা, অসংবেদনশীলতা প্রভৃতি যেন আরো বেশি করে মূর্তমান হয়ে উঠেছে।
আর মানবমনের এসব জটিল ও কঠিন অনুভূতিকে খুব সূক্ষ্ম কিন্তু বোধগম্যভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমেই, কঙ্কনা বুনেছেন এমন এক জাল, যে জালে আটকা পড়বে, ছটফট করবে, এবং শেষমেশ মৃত্যু নামক অমোঘ নিয়তিকে বরণ করে নেবে কোনো একটি চরিত্র।
তবে অন্যান্য অধিকাংশ মার্ডার মিস্ট্রিতে যেমন কাহিনীর প্রয়োজনে কেউ একজন মারা যায়, এবং তার মৃত্যুর কারণকে ন্যায্যতা প্রদান করতে গিয়ে এমন সব ‘ওভার দ্য টপ’ ঘটনাক্রম সাজানো হয়; এত করে একপর্যায়ে কাহিনী বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে সম্পূর্ণরূপে অবিশ্বাস্য ও অসম্ভবপর হয়ে ওঠে, পাঠক বা দর্শকের কাছে বানোয়াট হিসেবে প্রতিভাত হয়, ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ সেগুলো থেকে একদমই আলাদা।
এই ছবিতে পরিচালক মৃত্যুর কারণকে ন্যায্যতা প্রদানের জন্য মরিয়া চেষ্টা করেন না। বরং কয়েকটি মানবচরিত্রকে এমনভাবে বিন্যস্ত ও বিশ্লেষিত করেন যে সেখান থেকে একজনের মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। এবং সেই মৃত্যুটি যখন সংঘটিত হয়, তখন দর্শকের কাছে সেটি কেবল বিশ্বাসযোগ্যই মনে হয় না, বরং দর্শক সেই মৃত্যু ও মৃত্যুর নেপথ্যের কার্যকারণকে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারে।
ছবিটিতে রয়েছে ‘আনসাম্বল কাস্ট’, ঠিক যেমনটি এ ধরনের ছবিতে দেখা যায়। বিক্রান্ত ম্যাসির কথা তো আগেই বলেছি। এছাড়া অভিনয় করেছেন দুই বয়োজ্যোষ্ঠ অভিনেতা, তানুজা (অনুপমা) ও প্রয়াত ওম পুরি (ও. পি.)। এছাড়াও আছেন রনবীর শোরে (বিক্রম), কালকি কোয়েচলিন (মিমি), তিলোত্তমা সোম (বনি), গুলশান দেভাইয়া (নান্দু), আরিয়া শর্মা (তানি) ও জিম সার্ভ (ব্রায়ান)।
বিক্রান্ত ম্যাসির অভিনয় এ ছবিতে সবচেয়ে বড় সম্পদ। সুটু চরিত্রটির গভীরতা, রহস্যময়তা ও সংবেদনশীলতা পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু নিজের মৌখিক অভিব্যক্তি, শরীরী ভাষা, সংলাপ সবকিছুতেই বিক্রান্ত এতটা যথাযথ ও মাপা অভিনয় উপহার দিয়েছেন যে, সুটু চরিত্রকে নিজের মধ্যে সর্বাঙ্গীণভাবে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও আলাদা করে যার অভিনয় চোখে পড়ে, তিনি হলেন তিলোত্তমা সোম। আনসাম্বল কাস্টের মাঝেও, তিনি অন্যদেরকে ছাপিয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠেন। তাকে হয়তো অধিকাংশ দর্শকই চেনেন ‘ইজ লাভ এনাফ? স্যার’ এর মাধ্যমে। কিন্তু এই ছবিতেও যেভাবে তিনি আপাতদৃষ্টিতে ছোট একটি চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন, তা প্রশংসার দাবিদার। কালকি কেকলার চরিত্রটি তুলনামূলক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এবং বরাবরের মতোই তার অভিনয়ও ভালো।
আলাদা করে উল্লেখ করা প্রয়োজন আরো কয়েকজন ব্যক্তির নাম। তাদের মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে শীর্ষ রয়ের কথা। এ ছবিতে নয়নাভিরাম, ‘মিনি লন্ডন অভ ইন্ডিয়া’ খ্যাত ম্যাকলাস্কিগঞ্জকে এমন অনবদ্যভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন এ সিনেমাটোগ্রাফার যে ছবিটি হয়ে উঠেছে একটি সত্যিকারের ‘ভিজ্যুয়াল ট্রিট’।
কোনো অংশে কম যান না কস্টিউম ডিজাইনার রোহিত চতুর্বেদীও। এ ছবির অধিকাংশ মুখ্য চরিত্র কেবল গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষ ভাগেরই প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা প্রতিনিধিত্ব করে দেশভাগের তিন দশক পার হয়ে যাওয়ার পরও কলোনিয়াল হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে না পারা, শিক্ষিত ও শহুরে একটি প্রজন্মকে। তাই সেই চরিত্রদের পোশাক-পরিচ্ছদ এই ছবিতে একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, এবং সেই তাৎপর্যের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি চরিত্রকে কাপড় পরিয়েছেন রোহিত।
সম্পাদক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করেছেন আরিফ শেখ ও মানস মিত্তাল। ছবিটিকে মেদমুক্ত রাখার ব্যাপারে তাদের ছিল সজাগ দৃষ্টি। রানিং টাইমকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন ১০৭ মিনিটে, যা এ ছবির বিশেষ ফর্মের জন্য খুব জরুরি ছিল। রানিং টাইম যদি আর মিনিট দশেকও বেশি হতো, সেটিই হয়তো একটি বিশাল ব্যবধান গড়ে দিত, এবং তা অবশ্যই নেতিবাচকভাবে; টানটান উত্তেজনাকর ছবিটি ম্যাড়মেড়ে মেলোড্রামায় পর্যবসিত হতো।
তবে সবশেষে যে ব্যক্তিটিকে টুপিখোলা অভিবাদন না জানালে এ লেখা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে, তিনি হলেন কঙ্কনা। কে বলবে এটি তার প্রথম ছবি! ছবিটি দেখতে দেখতে মনে হবে, এ যেন এক দক্ষ কারিগরের কাজ, যিনি দীর্ঘকাল ধরে ছবি নির্মাণ করে আসছেন। অবশ্য প্রথম ছবিতেই কঙ্কনা যে এমন ছক্কা হাঁকাতে পারলেন, সেজন্য হয়তো খানিকটা কৃতিত্বের দাবিদার তার পরিবারিক প্রেক্ষাপটও।
তবে সবটা কৃতিত্বও আবার তার পারিবারিক প্রেক্ষাপটকে দেয়াটা হবে অবিচক্ষণের মতো কাজ। কেননা, প্রথম ছবিতেই এমন এক্সপেরিমেন্টাল ফর্ম নিয়ে কাজ করতে গেলে নির্মাতার নিজের এলেম থাকারও তো বিকল্প নেই। তাছাড়া শুধু ফর্ম কেন, সামগ্রিকভাবে গোটা ছবিতে যে সংবেদনশীলতার মালা গাঁথতে চেয়েছেন তিনি, তাতে সফল হতে শুধু শিল্পমন থাকাও যথেষ্ট নয়, থাকতে হয় গহন জীবনবোধ। বলাই বাহুল্য, কঙ্কনার তা আছে।
বাবার লেখা ছোটগল্পের চিত্রনাট্য যেভাবে সাজিয়েছেন কঙ্কনা, তা অসাধারণ। এত এত ডিটেইলিং যে অবাক হয়ে যেতে হয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই বলেছেন, কীভাবে দরজা বন্ধ হবে, কীভাবে গাড়ির ডিকি খোলা হবে, এই সবকিছুই নাকি ছিল তার দেড় বছর ধরে কাঁটাছেড়া করা স্ক্রিপ্টে, এবং শুটিংয়ের সময় সেগুলোতে খুব কমই পরিবর্তন এনেছেন তিনি।
সেই ডিটেইলিং যে কতটা অবিশ্বাস্য, তার দুটি উদাহরণ দেয়া যাক। একটি হলো নববর্ষ পালনের উৎসবে। বাইরের ঘরে মূল চরিত্ররা সকলে মেতে উঠেছে মহাভোজ, সুরাপান, গান ও নৃত্যে। অর্থের ঝনঝনানি সেখানে কান পেতে শোনা না গেলেও, মন দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। অথচ সেই দৃশ্যের মাঝখানেই হঠাৎ করে কঙ্কনা এক ঝলকের জন্য দেখালেন, রান্নাঘরের মেঝেতে বসে শুকনো ভাত খাচ্ছে বাড়ির দুই কাজের লোক ও পোষা কুকুর ছানাটি। তাদের জীবনে নেই নববর্ষের আনন্দ। এই যে মূল কাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও সমাজে বিদ্যমান কুৎসিত শ্রেণি ব্যবধানটাকে দেখিয়ে দিলেন কঙ্কনা, এ তো সহজ কথা নয়। আবার সেই রাতেরই একটি যৌনদৃশ্যও দেখালেন তিনি। তবে সেই যৌনদৃশ্যে কোনো নগ্নতার উপস্থাপন না করে, ধীরে ধীরে একটি চেয়ারের পায়ার নিচ দিয়ে কাগজ সরে যাওয়ার দৃশ্য দেখালেন, যা ঘটনাটিতে এক ভিন্নধর্মী ব্যঞ্জনা যোগ করল।
অথচ বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, পরিচালকের এত ধরনের কারিকুরি সত্ত্বেও, ছবির কাহিনী একবারের জন্যও খেই হারানো তো দূরে থাক, এর সিমপ্লিসিটিতেও ন্যূনতম বিচ্যুতি ঘটে না। মাঝেমধ্যে কিছু জায়গা হয়তো ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ কিংবা ‘পিকনিক অ্যাট হ্যাঙ্গিং রক’ এর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, তবু এর মৌলিকত্বে চিড় ধরে না। তাই তো নিজের পয়লা ছবির বদৌলতেই কঙ্কনা ঘরে তোলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের একাধিক পুরস্কার।
আর সেই সঙ্গে কঙ্কনা দর্শককে দেখান আশার আলো। আলগোছে জানিয়ে দেন, মা অপর্ণা সেনের মতো তারও রয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্রকে অনেক কিছু দেবার, এবং সেই দান মায়ের অনুকরণ বা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে নয়, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে, নিজস্বতার ছাপ রেখে।