ভারতীয় সিনেমার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ২০১৩ সালে দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের পাঁচজন তরুণ নির্মাতা বন্ধু ঠিক করলেন, একটা অ্যান্থোলজি বা অমনিবাস সিনেমা বানাবেন। তাদের বন্ধুত্বেরও দু’দশক পূর্ণ হয়েছে। একে অপরকে ভালো বোঝেন। পরস্পরের প্রতি আস্থার সম্পর্ক রয়েছে। কাজেও নেমে পড়লেন। বানিয়ে ফেললেন সমালোচক নন্দিত একটি ‘ভালোবাসা অমনিবাস’।
একাধিক ছোটগল্প দিয়ে সাজানো হয় একেকটি অ্যান্থোলজি বা অমনিবাস সিনেমা। প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা গল্প হলেও কোনো একটি দিক দিয়ে গল্পগুলো একে অপরের সাথে জুড়ে থাকে। ঠিক যেমন করে ফুলের মালা গাঁথা হয়। একটি সাধারণ বিষয়কে কেন্দ্র করে একেকটি অ্যান্থোলজি সিনেমার বিভিন্ন গল্প তৈরি করা হয়। ভারতবর্ষের প্রথম অ্যান্থোলজি সিনেমা হিসেবে ধরা হয় সত্যজিৎ রায়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা (১৯৬২)-কে। তারপর এ ধরনের বহু সিনেমা তৈরি করা হয়েছে।
বলিউডে সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিসেবে আমরা পাই করণ জোহর-দিবাকর ব্যানার্জি-জোয়া আখতার-অনুরাগ কাশ্যপের ‘বোম্বে টকিজ’ (২০১৩), ‘লাস্ট স্টোরিজ’ (২০১৮) এবং ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’ (২০২০) সিনেমাগুলো। সাধারণত এ ধরনের সিনেমায় একাধিক পরিচালক বিভিন্ন অভিনেতা দিয়ে কয়েকটি গল্প সাজাতে পারেন। আবার কখনো দেখা যায়, একজন পরিচালক একদল অভিনেতা দিয়েই বিভিন্ন গল্প নির্মাণ করছেন। তবে এই ঘরানার সিনেমায় মূল চরিত্র হলো গল্প। গল্পগুলোকেই একদল মানুষ ফুটিয়ে তুলে ধরেন পর্দায়।
‘ফাইভ সুন্দারীকাল’ হলো মালায়ালাম ভাষার একটি অ্যান্থোলজি সিনেমা। ২০১৩ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। পাঁচজন সুন্দরী নারীর আকর্ষণীয় পাঁচটি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটি। আলাদা আলাদা করে পাঁচ পরিচালক পাঁচটি গল্প পরিচালনা করেছেন। এই পঞ্চপাণ্ডবেরা হলেন শিজু খালিদ, সামির তাহির, আশিক আবু, অমল নীরদ এবং আনোয়ার রশীদ। তাদের সকলেরই নিজ নিজ অভিনেতা এবং কারিগরী দল ছিল। পাঁচটি গল্পেই বিভিন্ন বিখ্যাত মালায়ালি অভিনেতা অভিনয় করেছেন।
বিজু মেনন, ফাহাদ ফাজিল, নিভিন পাওলি এবং দুলকার সালমানেরা হলেন নতুন প্রজন্মের মালায়ালি অভিনেতাদের প্রতিনিধি। আমাদের আলোচিত পাঁচ সুন্দরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বেবি আনিখা, ইশা শর্বনী, কাব্য মাধবন, রিনু ম্যাথুজ এবং অশ্মিতা শুদ।
উপরের নামগুলো পাঠকদের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে। বিশেষ করে যারা দক্ষিণ ভারতের রূপসী রাজ্য কেরালার সিনেমা শিল্প সম্পর্কে তেমন একটা খোঁজ-খবর রাখেন না। কেরালাকে বলা হয়ে থাকে ‘ঈশ্বরের নিজের দেশ’। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই মূলত এমন নামকরণ। এছাড়াও এর সাথে যুক্ত করা যায় কেরালার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে। সেটি হলো কেরালার তুলনামূলক ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র। এই সিনেমার পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম দেখেই হয়তো পাঠক বিষয়টি প্রাথমিকভাবে টের পেয়ে যাবেন।
এর সাথে যুক্ত রয়েছে কেরালার সম্প্রদায়গত জনসংখ্যার অনুপাত, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি। এসব কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে কেরালার রুচিশীল, গল্পনির্ভর, অগ্রসর সিনেমা শিল্প। কেরালার মূলধারার গল্পনির্ভর সিনেমাগুলোকে অনায়াসে মুম্বাইয়ের বিকল্পধারার সিনেমা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে। এমনকি দক্ষিণের অন্যান্য সিনেমা শিল্পের সাথে এর ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
‘ফাইভ সুন্দারীকাল’ সিনেমার প্রতিটি গল্প প্রায় আধঘণ্টার মতো দৈর্ঘ্যের। প্রথমার্ধে রয়েছে তিনটি সিনেমা। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি দু’টি। সংক্ষেপে, সিনেমার ভাবী দর্শকদের কথা মাথায় রেখে গল্পগুলো বলার চেষ্টা করা যাক।
সেতুলক্ষ্মী
সেতুলক্ষ্মী স্কুলপড়ুয়া বাচ্চা মেয়ে। দৈনিক পত্রিকায় ছাপানো নতুন বিবাহিত দম্পতির ছবি সংগ্রহ করা শখ তার। ছবিগুলো কেটে তার গোপন নোটবুকে আঠা দিয়ে আটকে রাখে সে। নোটবুকটি সে একদিন তার স্কুলের সহপাঠী অভিলাষকে দেখায়। তারা দু’জন মিলে পরিকল্পনা করে, এরকম নবদম্পতির মতো নিজেদের একটা ছবি তুলে নোটবুকে আটকে রাখার। ছবি তোলার পয়সা তারা বিচিত্র উপায়ে যোগাড় করে। ছবি তোলার জন্য গ্রাম থেকে একটু দূরে শহরের শুরুর দিকে একটি স্টুডিওতে যেতে হবে তাদের। সেখানে তারা ব্যাপক উত্তেজনার সাথে নিজেদের যুগল ছবি তুলবে।
তারপর কী হবে? স্বপ্ন সত্যি হবে? নাকি কোনো দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করে থাকবে তাদের জন্য? সিনেমাটোগ্রাফার শিজু খালিদের প্রথম নির্মাণ এটি। সমালোচকদের চোখে ভালোভাবেই উতরে গেছে। গল্পটি নেয়া হয়েছে এম. মুকুন্দামের ছোটগল্প ‘ফটো’ থেকে।
ইশা
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের গল্প। নতুন বছর উদযাপনের কোনো অনুষ্ঠানে যাবে না তেরেসা। মায়ের সাথে তার কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে। জোরাজুরি করার পরও না গেলে তাকে একাই রেখে কোনো এক অনুষ্ঠানে চলে যায় বাবা-মা। বাবা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জোসেফ অবশ্য মেয়ের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেই যান। কিন্তু তাতে কি শেষ রক্ষা হয়? এই গল্পটি সিনেমার মধ্যে হালকা মেজাজি এক রোমাঞ্চের সৃষ্টি করে। শেষদিকে একটা সুন্দর চমক থাকবে দর্শকের জন্য। সে বিষয়ে পূর্বেই আঁচ করা একটু কঠিন। দর্শক তাতে ভালো বিনোদন পাবেন। ‘এনপিসিবি’র (২০১৩) নির্মাতা সামির তাহিরের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা নিভিন পাওলি। ইশা চরিত্রে ছিলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী ইশা শর্বনী।
গৌরী
জোনাথন অ্যান্টনি এবং গৌরী লক্ষ্মীর সুখের সংসার। নিরালা এক পার্বত্য অঞ্চলে সংসার পেতেছে তারা। গৌরী নিজ বাসায় মেয়েদের নাচের পাঠ শেখায়। জোয়ের নেশা ট্রেকিংয়ে। উঁচু উঁচু পর্বতে চড়তে চায় সে। তাদের এই দুর্গম নিরালা পার্বত্য এলাকায় বসবাসের পেছনে অবশ্য ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসটা জানা যায় তাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীর ঠিক আগের দিনে। তাদের এক বন্ধু তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় আশি কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে তাদেরকে দেখতে আসে। বেশিক্ষণ থাকতে পারে না তারা। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ হয়। দুজন দু’টি আলাদা ধর্মের মানুষ হওয়ায় জো এবং গৌরীর প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয় না পরিবার। সেই বন্ধু এবং তার স্ত্রীর সাহায্য নিয়ে তারা গহীন পাহাড়ি অঞ্চলে পালিয়ে এসে সংসার পাতে।
তিন বছর ধরে তারা পরিবার থেকে বেঁচে ফিরে সংসার করে। সেদিন বিকালে তারা এক সপ্তাহ পর তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরের দিন এক আনন্দময় বিবাহবার্ষিকী কাটানোর কথা তাদের। সেটা কি সম্ভব হয়? সিনেমার এই গল্পে দর্শকদের কিছু ধাঁধার সমাধান করতে হয়। গৌরীর সাথে এই ধাঁধার সমাধান করতে গেলে চূড়ান্ত বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
এই বিশেষ গল্পের চলচ্চিত্রায়ন নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়। নির্মাণে শৈল্পিক দক্ষতার ছাপ রেখেছেন নির্মাতা আশিক আবু। আবহসঙ্গীতে অসাধারণ কাজ হয়েছে। সব ভুলে গেলেও এই গল্পটি মর্মে গেঁথে যাওয়ার মতো।
কুল্লান্তে ভার্যা
বঙ্গানুবাদ হলো ‘বামনের বউ’। শহরের ছোট্ট একটি মহল্লায় প্রতিদিন কিছু রুটিনমাফিক ঘটনা ঘটে যায়। পরচর্চা, পরকীয়া এসব নিত্যদিনের ঘটনা। এগুলো সাধারণত গল্প হয়ে ওঠে না। গল্প হয় কিছু অসাধারণ ও অপ্রচলিত ঘটনা। যেমন: মহল্লার ১০ডি-র ফ্ল্যাটে একদিন এক বামন ব্যক্তি এবং তার সাথে লম্বা একজন সুন্দরী নারী এসে ওঠে। মহল্লাবাসীর কাছে বিষয়টি খুব অদ্ভুত ঠেকে। কেউ কেউ প্রথমদিকে মানতেই পারে না যে, তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। পরে তারা বহু গবেষণা করে সিদ্ধান্তে নেয়, এই বিয়ে কোনো স্বাভাবিক বিয়ে নয়। নিশ্চয়ই মেয়েটির কোনো প্রকার বিশেষ স্বার্থ জড়িত ছিল তাতে।
মহল্লায় খোশগল্পের রসদ যোগায় তাদের জুটি। প্রতিবেশীরা তীর্থের কাকের মতো বসে থাকে তাদের ঝগড়াঝাঁটি দেখবার জন্য। বারবার পড়শীদেরকে হতাশ করতে থাকে তারা। আশেপাশের লোকজন এমনকি বাচ্চা ছেলেমেয়েদের টিপ্পনিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা স্বাভাবিক সাংসারিক জীবনযাপন করে যায়। এর মধ্যে এলাকার বখাটে যুবকদের আরো একদফা হতাশ করে অন্তঃসত্ত্বা হয় বামনের বউ। বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এক শিশু সন্তানের জন্ম দেয়।
কিন্তু তাতে কি তাদের সুখ বেড়ে যাবে? নাকি কোন চরম মূল্য দিতে হবে বামনের বউকে? দুর্ঘটনায় আহত এবং সাময়িকভাবে পঙ্গু একজন ফটোগ্রাফারের জবানিতে গল্পটি বলা হয়। পুরো সিনেমার মধ্যে এই গল্পটি সবচেয়ে বিস্তারিতভাবে নির্মিত। এটি পরিচালনা করেছেন অমল নীরদ। তিনি এই পুরো অ্যান্থোলজি সিনেমাটির মূল উদ্যোক্তা এবং প্রযোজক। গল্পটি নেওয়া হয়েছে চীনের একটি লোকগাথা থেকে। অভিনয় করেছেন হালের মালায়ালি সেনসেশন দুলকার সালমান। সমালোচকদের চোখে সিনেমার সেরা নির্মাণ এটি।
আমি
ভূমি ব্যবসায়ী আজমল রাতের বেলায় মালাপ্পুরাম থেকে কোচি পর্যন্ত যাত্রা করে। সে নিজের গাড়ি নিজেই চালিয়ে যায়। সারারাত ব্যাপী লম্বা ভ্রমণকালে তার স্ত্রী আমিনা তাকে জাগিয়ে রাখে। আমিনা তাকে বারবার ফোন দিয়ে কোনো একটি ধাঁধার সমাধান করতে বলে। আজমল চেষ্টা করে সমাধান করার। এরপর আরেকটি ধাঁধা হাজির করে আমিনা। নিজেকে সে আরব্য রজনীর রাজকুমারী শেহরেজাদ বলে ঘোষণা করে।
স্বামী-স্ত্রীর এমন মধুর দাম্পত্য খুনসুটির মধ্যেই আজমলের সাথে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায়। ব্যবসায়িক কারণে কলহ থেকে হাতাহাতি, রাস্তায় ছোটখাট সড়ক দুর্ঘটনা, ঘটনাক্রমে পুরনো প্রেমিকাকে স্মরণ ইত্যাদি ঘটনা ঘটে। সবকিছুর মধ্যে দিয়ে আজমল এই ভ্রমণে নিজের সম্পর্ককে পুনরায় আবিষ্কার করে। পর্দায় সরাসরি উপস্থিত না থেকেও একজন সুন্দরী নারী ঘটনাচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনিই হলেন আমি। আমিনার আদুরে সংস্করণ।
সাধারণ একটি গল্পকে পরিচালনা এবং অভিনয়ের গুণে বিশেষায়িত করে তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘উস্তাদ হোটেল‘ (২০১২) খ্যাত নির্মাতা আনোয়ার রশীদ এই গল্পটির পরিচালনা করেছেন। তিনি নতুন প্রজন্মের বেশ কিছু ব্যবসাসফল মালায়ালাম সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন। অভিনয়ে আছেন সু-অভিনেতা ফাহাদ ফাজিল। চলচ্চিত্রায়নে দুয়েকটি ফ্রেম দারুণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। পুরো সিনেমাটি সামগ্রিকভাবে কুশলী নির্মাণে ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
পাঁচজন সুন্দরীর গল্প বলা হলেও কোথাও তাদেরকে আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হয়নি। তারা মঞ্চের সমস্ত আলো কেড়ে নেয়নি। আশেপাশের চরিত্রগুলোও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ থেকেছে। আমরা বাস্তবে নারীদের যেমন ভূমিকাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি, তেমন ভূমিকাই তারা নিয়েছে সিনেমার প্রতিটি গল্পে। মানব-মানবীর ভালোবাসার ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে।
কেরালার সিনেমার নায়িকা চরিত্রগুলোর মধ্যে কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। বলিউডের তুলনায় তাদের চাকচিক্য কম। শারিরীক কাঠামো এবং চামড়ার রঙের দিক থেকেও তারা আশেপাশের সিনেমা শিল্প কারখানাগুলোর নায়িকাদের চেয়ে পিছিয়ে। যদি ঔপনিবেশিক সৌন্দর্যের ধারণা দিয়ে তাদের বিচার করা হয়, তাহলে আরকি। এরই ধারাবাহিকতায় এই পাঁচ সুন্দরীর গল্পের নায়িকাদের দেখা যাবে। প্রথম গল্পের সেতুলক্ষ্মী স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। ফ্রক পরা এক সুন্দর বালিকা। এমন বালিকা আমাদের আশেপাশে অহরহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তৃতীয় গল্পের গৌরীও এমন স্বাভাবিক সুন্দরী। তার তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীর আগের রাতে সে তার স্বামী জো’কে বলল, তার একটা সন্তান চাই। ফায়ার প্লেস থেকে আগুনের আভা এসে তখন তার মুখে একটা কোমল লালচে ভাব এনে দিয়েছে। আবেগে সে সময় তার চোখে পানি এসে গিয়েছে। এমন বেশ কিছু মানবিক সৌন্দর্যের মুহূর্ত উপহার দিয়েছে সিনেমাটি।
ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পাঁচটি গল্প পরিবেশন করা হয়েছে। সবগুলো মিলিয়ে বলা যায়, একটি উল্লেখযোগ্য ভারতীয় অ্যান্থোলজি সিনেমা হয়ে উঠেছে। দর্শকদের হতাশ করবে না বলা যায়। সিনেমাটি ইউটিউবে পাওয়া যাবে।