উইন্টারফেলে লর্ড রিকার্ড স্টার্কের চার সন্তান। ব্র্যান্ডন, এডার্ড, বেনজেন ও লিয়ানা। বিপরীতে স্টোর্মস এন্ডের লর্ড রবার্ট ব্যারাথিওনরা তিন ভাই। রবার্ট, স্ট্যানিস ও রেনলি। ছেলেবেলা থেকে এডার্ড ও রবার্টের ভালো বন্ধুত্ব। নিজের স্বভাব কিছুটা উগ্র হলেও বন্ধুর বোন লিয়ানাকে রবার্ট সত্যিই ভালবাসতো। লর্ড রিকার্ডও বাগদানে রাজি ছিলেন। কিন্তু কিছুটা বাদ সাধলেন লিয়ানা। কারণ, ততদিনে স্টোর্মস এন্ডে রবার্টের অবৈধ এক সন্তান আছে।
লিয়ানা তখন মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রতি রবার্টের প্রচন্ড ভালোবাসা থাকলেও, ভবিষ্যতে শুধুমাত্র তার সাথে আবদ্ধ থাকার মতো মানুষ তিনি নন। মিথ্যা এক বসন্ত, বিদ্রোহ ও যুদ্ধের অনেকদিন পর এডার্ড বলেন,
“রবার্ট শুধুমাত্র লিয়ানার সৌন্দর্য্য দেখেছিল। সে কখনোই তার সাহসিকতা ও ইচ্ছাশক্তিকে বুঝতে পারেনি।”
ভ্রান্তিবসন্ত
২৮১ এসি। টানা দুই বছরের প্রচন্ড শীত কমে আসতে শুরু করেছে। পুরো ওয়েস্টেরসে সাড়া পড়ে গেছে। কারণ, শীত বিদায় নিচ্ছে। এমন বসন্ত সহসা আসে না। নতুন বসন্তকে তারা বরণ করে নেবে সাদরে।
হ্যারেনহাল প্রাসাদ তখন হাউজ হোয়েন্টের দখলে। নিজের মেয়ের জন্মদিনে, রাজ্যের লর্ড ওয়াল্টার হোয়েন্ট এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেন। টানা দশদিন চলবে সে অনুষ্ঠান। রাজ্যের রাজা থেকে রাজপুত্র সবাইকে নেমন্তন করলেন লর্ড ওয়াল্টার। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে, প্রাসাদের ভেতর উৎসবমূখর পরিবেশ। একদিন পর শুরু হবে মুল অনুষ্ঠান। বিভিন্ন রাজ্যের লর্ড ও নাইটরা এসে জমতে শুরু করেছে হ্যারেনহালের বিশাল প্রাসাদে। নর্থ থেকে স্টার্করা এসেছে, সাথে হাউজ ডাস্টিন এবং মরমন্ট। মার্টেল ও ব্যারাথিওন পরিবারও আছে। আর আছে রাজপুত্র রেয়গার টারগেরিয়ান। অচেনা খর্বকায় এক যুবক এদের মাঝে প্রায় লুকিয়ে আছেন, তার নাম হাওল্যান্ড রীড। তিনি এসেছেন প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে। প্রাসাদের আসার আগে এক ঘটনার প্রেক্ষাপটে আপাতত তার একমাত্র পরিচয় লিয়ানা স্টার্কের সাথে।
প্রাসাদের বড় বৈঠক টেবিলের একপাশে রাজপুত্র রেয়গার বসে আছেন। তার পাশে রাজবধু ইলিয়া মার্টেল। টেবিলের অন্য পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন স্যার আর্থার ডেইন। তার পাশে খিলখিল করে হেসে উঠল এক নারী কণ্ঠ। হাওল্যান্ড সেদিকে তাকিয়ে আর চোখ ফেরাতে পারলেন না। জীবনে বহু সুন্দরী দেখেছেন তিনি। এই হলরুমেই অসংখ্য সুন্দরীদের আনাগোনা। কিন্তু এমন অপূর্ব নারী তিনি তার জীবনে দেখেননি। বেগুনী তার চোখের মণি, হাসিতে যেন মুক্তো ঝরে। হ্যারেনহালে আসার পূর্বে দীর্ঘ এক নদী পার হতে হয়েছিল হাওল্যান্ডের। মেয়েটির কালো চুল দেখে সেই নদীর কথা মনে হল তার। অবাকদৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে রইলেন হাওল্যান্ড। এ কি রূপ, নাকি ভ্রম? তিনি যেন এই পৃথিবীতে নেই।
লিয়ানার কথায় তার ভ্রম কাটলো। লিয়ানা বলল,
“আরে, কী দেখছো এভাবে?”
লজ্জা পাওয়া কণ্ঠে হাওল্যান্ডের জবাব,
” কই! কিছু না তো।”
কিন্তু লিয়ানা ধরে ফেলল। তার চোখকে ফাঁকি দেওয়া এতো সোজা না। বললেন,
“বুঝেছি। আশারাকে দেখছো তো? ও হচ্ছে ইলিয়ার বান্ধবী, আর্থার ডেইনের ছোট বোন। পাশে স্যার ব্যারিস্টান সেলমি। তার নাম তো শুনেছো, তাই না?”
হাওল্যান্ড চেনে না তাকে। তাকেও দেখলেন তিনি। মাঝারি একহারা গড়ন, সাদা পোশাক। এক হাতে তলোয়ারের ব্যাটন ধরে গল্পে মশগুল। কিন্তু হাওল্যান্ড জানে না, এই ব্যারিস্টান সেলমি আশারার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবেও না। কারণ তিনি রাজার রাজরক্ষী! রাজরক্ষীদের ভালোবাসতে নেই।
হাওল্যান্ড চুপচাপ স্বভাবের মানুষ, ঠিক এডার্ডের মত। তাই তার সাথে হাওল্যান্ডের ভালোই জমলো। আর এডার্ডের ভাই ব্র্যান্ডন পুরো বিপরীত। ঝড়ের গতিতে কথা বলে, প্রাসাদ কাঁপিয়ে হেসে ওঠে। একসময় তার কী মনে হলো, বলে উঠল,
“আশারার সাথে নেডের নাচা উচিত।”
বিব্রত এডার্ড মানা করলেও ব্রান্ডনকে ঠেকায় কে! সে নিজেই আশারাকে গিয়ে বলে বসলো,
“নেড তোমার সাথে নাচতে চায়। কিন্তু লাজুক স্বভাব তো, বলতে পারছে না। তুমি কি একটু নাচবে আমার ভাইয়ের সাথে? দেখো, ঐ টেবিলে বসে আছে আমার ভাই।”
বিব্রত ও লাজুক এডার্ড কোনোমতে আশারার সাথে তাল মিলিয়ে নাচার চেষ্টা করলেন। ভোজনের পর, গানবাজনার মাঝে রাজপুত্র রেয়গার বীণা তুলে নিলেন। রেয়গারের সঙ্গীতে আগ্রহ আছে। তার বীণার সুরের প্রশংসা পুরো সাত রাজ্যে ছড়িয়ে। হাওল্যান্ড খেয়াল করল, সেই বীণার মোহনীয় সুরে এক নেকড়েমানবীর চোখ দিয়ে অজান্তে পানি চলে এলো। রেয়গারের ভরাট গলার গানের একটি লাইনে একসময় ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো সে।
প্রতিযোগিতা
পরদিন সকালে শুরু হয়ে গেল প্রতিযোগিতার মূল পর্ব। অনেকদিন পর রাজা অ্যারিস রেড কিপের প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে জনগণের সামনে আসতে রাজি হয়েছেন। তাই বহু লোকের জমায়েত হলো। রাজার বিরাট মঞ্চে অ্যারিস তার স্মল কাউন্সিল নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু রাজপুত্রের আসন খালি, কারণ রেয়গার এবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।
রেড কিপে ইচ্ছাবন্দী থাকা অ্যারিসের এই প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে আসার পেছনের কারণ, মাস্টার-অফ-হুইসপার ভ্যারিস। তিনি অ্যারিসকে জানিয়েছিলেন, প্রতিযোগিতার আয়োজক ওয়াল্টার হোয়েন্টের ভাই অসওয়েল হোয়েন্ট কিছুদিন আগে হ্যারেনহালে এসেছিল। অসওয়েল আবার রেয়গারের ভালো বন্ধু। তাই হয়তো এই প্রতিযোগিতার আসল আয়োজক রেয়গার। প্রত্যেক রাজ্যের লর্ডরা একত্র হয়ে হয়তো তিনি অ্যারিসকে স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনা করবেন। প্রথমবার নেমন্তন্ন না করে দেয়া অ্যারিস, এই কথা শুনে মতামত পরিবর্তন না করে পারলেন না!
টাইউইনের চলে যাবার পর রাজার মনে নতুন করে ভয় তৈরি হয়েছে রেয়গারকে নিয়ে। ভ্যারিসের গুপ্তচরও তেমন কোনো খবর আনতে পারেনি ড্রাগনস্টোন থেকে। রাজার সভাসদের অনেকেই বুঝে গেছে, নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে কীভাবে উন্মাদ রাজাকে খুশি করা যায়। বিপরীতে লর্ড জন কনিংটন, স্যার মাইলেস মুটন, স্যার রিচার্ড লনমাউথ, কিংসগার্ড আর্থার ডেইন ছিলেন রেয়গারের ভালো বন্ধু। অ্যারিসের বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নিলে এরা তাকে সাহায্য করবেই। আর পুরো অবাধ্য ডর্নিশ শক্তি আছে রেয়গারের হাতে। অনেক চেষ্টা করলেও গ্রান্ড মেইস্টার পাইসেল ও নতুন হ্যান্ড ওয়েন মেরিওয়েদার পরিস্থিতি শান্ত করতে পারলেন না। প্রবীণ মেইস্টার পাইসেল নিজেও চান না, আরেকটি টারগেরিয়ান গৃহযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে।
হ্যারেনহাল প্রতিযোগিতায় রাজা আসলেও প্রাক্তন হ্যান্ড টাইউইন অনুপস্থিত। তবে ওয়েস্টারল্যান্ড থেকে বিভিন্ন লর্ডরা এসেছেন নাইট জেইমির অংশগ্রহণ দেখতে। কিন্তু অ্যারিস সেই ইচ্ছায় পানি ঢেলে দিলেন। রাজার আদেশে জেইমি ফিরে গেলেন কিংস ল্যান্ডিংয়ে, রাণী রায়েলা ও ভিসেরিসকে পাহারা দিতে। টাইউইনের দায়িত্ব ছেড়ে দেবার পর তাকে নিয়ে অ্যারিসের সন্দেহ সম্পূর্ণ দূর হয়নি। রেয়গার ছাড়াও নতুন করে তার মনে সন্দেহের বীজ তৈরি হয়েছে কিংসগার্ডের সদস্য জেইমিকে নিয়ে। হাজার হোক রাজরক্ষী, জেইমি তো টাইউইনেরই রক্ত!
প্রতিযোগিতার শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি হলেন স্যার ব্যারিস্টান সেলমি ও রেয়গার। রাজপুত্র এই প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত লড়াই দেখিয়েছে। ইয়োন রয়েস, ব্র্যান্ডন স্টার্ক ও স্যার আর্থার ডেইনকে হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে। বিপরীতে অপ্রতিরোধ্য ব্যারিস্টান সেলমি। সাত রাজ্যে তার সমকক্ষ আর কেউ নেই। ঘোড়ার পিঠে মঞ্চের দুই প্রান্ত থেকে হাতে বল্লম নিয়ে ফাইনাল লড়াই শুরু হল। রেয়গারের বুক বরাবর বল্লম ধরে ব্যারিস্টান সেলমি এগিয়ে এলেন। রেয়গার বল্লম ধরলেন কিছুটা বাঁকা করে। ব্যারিস্টান সেলমির বল্লম দিয়ে আক্রমণ এড়িয়েই রেয়গার তার বল্লম তাক করলেন। আঘাত সোজা গিয়ে লাগল ব্যারিস্টানের বুকে। ঘোড়ার পিঠ থেকে ছিঁটকে মাটিতে পড়লেন ব্যারিস্টান দ্য বোল্ড। হ্যারেনহালের প্রতিযোগিতায় জয়ী রাজপুত্র রেয়গার টারগেরিয়ান।
নীল গোলাপ
এই ধরনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর বিজেতা তার পছন্দমতো কোনো নারীকে ‘প্রেম ও সৌন্দর্য্যের রাণী’ উপাধি দেবে, এটাই নিয়ম। ব্যারিস্টান সেলমি জিতলে হয়তো এই উপাধি পেতেন আশারা ডায়েন। কারণ, ভালোবাসা বোঝানোর সুন্দর একটি সুযোগ এসেছিল তার সামনে। কিন্তু রেয়গার জিতেছেন। সবারই মনে হয়েছিল, এই উপাধি পাবেন তার স্ত্রী ইলিয়া মার্টেল।
পুরো মঞ্চে হাততালির শব্দে কান পাতা দায়। রেয়গার মূল মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। ঘোড়ার পিঠে বসা রাজপুত্রের লম্বা বল্লমের মাথায় নীল গোলাপ দিয়ে বানানো একটি মুকুট। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেয়গার পার হয়ে গেলেন তার স্ত্রীকে। মঞ্চে হাততালি ততক্ষণে বন্ধ। সবাই অবাক চোখে চেয়ে আছে রেয়গারের দিকে। রেয়গারের চোখ তখনও খুঁজে চলছে।
অবশেষে সেই নারীকে খুঁজে পাওয়া গেল। আস্তে করে বল্লমের মাথা থেকে নীল গোলাপের মুকুট বসে গেল তার মাথায়। প্রেম ও সৌন্দর্য্যের রাণী হিসেবে রেয়গার নির্বাচিত করলেন উইন্টারফেলের লেডি লিয়ানা স্টার্ককে!
মঞ্চে মহা গুঞ্জনের মধ্যেই পাশাপাশি থমথমে ক্রোধের মুখ নিয়ে বসেছিলেন লিয়ানার বাগদত্ত রবার্ট ও ভাই ব্র্যান্ডন। এডার্ডের মুখ ভাবলেশহীন। কিন্তু নীল গোলাপের মুকুট মাথায় লিয়ানার অনুভূতির কথা কেউ জানতে পারল না। কোন রূপে মুগ্ধ হয়ে রেয়গার তাকে এই উপাধিতে ভূষিত করলেন, তা ওয়েস্টেরসের কেউ জানে না।
বিক্ষোভ
বসন্ত বিদায় নিল। হ্যারেনহালের আসর শেষ করে সবাই নিজেদের রাজ্যে ভেতর গেল। রাজা ফিরলেন কিংস ল্যান্ডিং। ইলিয়া মার্টেল তার সন্তানকে নিয়ে ফিরে গেলেন ড্রাগনস্টোনে। শুধু রেয়গার ভিন্ন পথ ধরলেন। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছয়জন নাইট নিয়ে তিনি উত্তরের দিকে যাত্রা করলেন। ব্র্যান্ডন স্টার্ক যাচ্ছিলেন রিভাররানে, কেটলিন টার্লির সাথে বিয়ের পর্ব সেরে নিতে। কিন্তু সবাই জানল, লিয়ানাকে অপহরণ করেছে রেয়গার। ব্র্যান্ডনও তাই জানলেন। ক্রোধে, রাগের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে, তিনি তার গন্তব্য পরিবর্তন করলেন।
ইথান গ্লোভার, এলবার্ট অ্যারিন, কাইল রয়েস, জেফ্রয় ম্যালিস্টারকে সাথে নিয়ে ব্র্যান্ডন পৌঁছালেন কিংস ল্যান্ডিং। চিৎকার করে রেয়গারের নাম ধরে হুংকার ছাড়লেন ব্র্যান্ডন,
“বেরিয়ে আয়, মৃত্যুর মুখোমুখি হ এইবার!”
কিন্তু রেয়গারের কিংস ল্যান্ডিং থাকার কথা না। রাজপুত্র হত্যা করার কথা বলায় সবাইকে আটক করার আদেশ দিলেন অ্যারিস। ব্র্যান্ডনের বাবা লর্ড রিকার্ডও বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য যাত্রা করেছিলেন। ব্র্যান্ডনের আটক হবার বার্তা পাবার সাথে সাথেই ২০০ সৈন্য নিয়ে দ্রুত তিনি কিংস ল্যান্ডিং পৌঁছান।
ইথান গ্লোভার বাদে আর কেউ জীবিত অবস্থায় নর্থে ফিরল না। নর্থের ওয়াডেন লর্ড রিকার্ডকে অ্যারিস ওয়াইল্ডফায়ার দিয়ে পুড়িয়ে মারলেন। ব্র্যান্ডন তো রক্ষা পাবার প্রশ্নই ওঠে না। ভাই ও বাবা যখন কিংস ল্যান্ডিংয়ে করুণ মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে, এডার্ড তখন ভেইলের ঈরী প্রাসাদে। দ্রুতই জন অ্যারিন, রবার্ট ও তার হাত ধরে এক রাজবিদ্রোহের জন্ম নেবে। ভয়ংকর সেই বিদ্রোহ পতন ঘটাবে উন্মাদ রাজার, মুছে দেবে টারগেরিয়ান বংশ, ছাড়খার করে দেবে পুরো ওয়েস্টেরসকে। এডার্ড এখনও কিছু জানেন না।
(চলবে)
[গেম অফ থ্রোনসের মূল ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ কিনতে পারেন রকমারিতে। ক্লিক করুন এখানে।]