দুঃস্বপ্ন থেকে যদি দারুণ কিছু হয়,
তবে দুঃস্বপ্নই ভালো
প্যাট্রিক গ্রাহাম নামের মুম্বাইকেন্দ্রিক এক ব্রিটিশ ফিল্মমেকার এক রাতে একটি দুঃস্বপ্ন দেখলেন। যেহেতু নির্মাতা মানুষ, তাই দেরি না করে তিনি স্বপ্নটিকে চিত্রনাট্য আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখলেন। কে জানতো, একদিন সেই চিত্রনাট্য দিয়ে নেটফ্লিক্সের অরিজিনালের আয়োজনে দ্বিতীয় হিন্দি ওয়েব সিরিজ নির্মিত হবে। আর তা-ও পরিচালনার গুরুভার গিয়ে পড়বে স্বয়ং সেই দুঃস্বপ্নের দ্রষ্টা প্যাট্রিক গ্রাহামের কাঁধে।
নেটফ্লিক্সের সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর অনেকেই হয়তো জানেন, পৃথিবীর নানা প্রান্ত ঘুরে নেটফ্লিক্স এবার ভারতীয় উপমহাদেশে পা রেখেছে। গত ৬ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত নেটফ্লিক্স অরিজিনালের প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘স্যাক্রেড গেমস’ এর নাম এখনো কানে পৌঁছায়নি এমন সিরিজপ্রেমী খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
গত দেড়-দুই মাস ধরে ভারত তো বটেই, আমাদের দেশেও প্রচুর তোলপাড় তুলেছে ‘স্যাক্রেড গেমস’ সিরিজটি। আর সেই তুমুল জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই নেটফ্লিক্স তাদের পরবর্তী হিন্দি ওয়েব সিরিজ নিয়ে আগমন ঘটায়। গত মাসে হরর- থ্রিলার জনরার এই মিনি সিরিজের ট্রেইলার আসার পর থেকেই সিরিজবোদ্ধারা মনে নানা রকম জল্পনা-কল্পনারা বাসা বাঁধছিলো। অতঃপর সব প্রত্যাশার বাধ ভেঙে গত ২৪ জুলাই সিরিজটির পর্দা দর্শকদের সামনে উন্মোচিত হয়।
বলছিলাম সদ্য অনলাইনে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঘুল’ নামক মিনি সিরিজটির কথা। বর্তমানে এই সিরিজটির দর্শকপ্রিয়তা একেবারে আকাশচুম্বী বলা যায়। সংখ্যাগুরু দর্শকদের মতেই, আজ অবধি ভারতে নির্মিত সকল হরর-থ্রিলার জনরার সিনেমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ‘ঘুল’ নামের এই নতুন চমক। আর হবেই বা না কেন? নেটফ্লিক্স যে ভারতের সিনে জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটাতে যাচ্ছে, তা তাদের অনুরাগ কাশ্যপের মতো গুণী ও উচ্চমার্গীয় চিন্তাধারার ব্যক্তিকে নিজেদের দলে ভেড়ানোর মধ্য দিয়েই বোঝা গিয়েছিল।
ভারতে বহু স্বনামধন্য ও বড় মাপের নির্মাতা থাকলেও অনুরাগের ব্যাপারটা যেন আলাদা। তিনি অনেক আগেই তার চিন্তাধারা ও সিনেমা নির্মাণের গণ্ডিকে ভারতের প্রেক্ষাপট ছাড়িয়ে আরও বহু দূরে পাড়ি দিয়েছেন। ‘স্যাক্রেড গেমস’ সিরিজে পরিচালকের দায়িত্বে থাকলেও ‘ঘুল’ সিরিজটি আরও অনেক দেশি-বিদেশি প্রযোজকের সাথে যৌথভাবে প্রযোজনা করার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন। তবুও অনুরাগ মানেই যেন বিশেষ কিছু, মানসিক তৃষ্ণা মেটানোর মতো কিছু।
‘ঘুল’ সিরিজটি নিয়ে বিশদভাবে কথা বলার আগে, সিরিজের নামকরণের পেছনের কারণ ও এই নামের অন্তর্নিহিত অর্থ অন্বেষণে মন দেওয়া যাক। ‘Ghoul‘ বা ‘ঘুল’ শব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ ‘ghul‘ থেকে হয়েছে। আরবি মিথলজিতে ‘ঘুল’ এমন এক বিশেষ জ্বিন, যা কবরস্থান অথবা নির্জন স্থানে আস্তানা গড়ে। ইবলিশের শিষ্য হিসেবে এই ঘুল প্রজাতির জ্বিনেরা পশুপাখি থেকে শুরু করে মানুষের রূপও ধারণ করতে পারে। মানুষখেকো বলে পরিচিত এই দুষ্টু জ্বিনের অস্তিত্ব পারস্যের মিথলজিতেও বিদ্যমান। এছাড়া আরবি ভাষায় মাঝেমধ্যে লোভাতুর ব্যক্তিবর্গকেও ‘ঘুল’ বলে ভূষিত করা হয়।
‘ঘুল’ শব্দটি ও ঘুল নামক পিশাচের সাথে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পরিচয় ঘটে আন্টোনিও গ্যাল্যান্ড যখন ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান নাইট’ নামক আরবের লোকগাঁথা নিয়ে রচিত বইটি আরবি ভাষা থেকে ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন। আর ১৭৮৬ সালে উইলিয়াম বেকফোর্ডের ‘ভ্যাথেক’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে ইংরেজি সাহিত্য প্রথমবারের মতো ‘ঘুল’ এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।
‘ঘুল’ সিরিজের প্লট গড়ে উঠেছে ভারতের এক অস্থিতিশীল ও অরাজকীয় ভবিষ্যতকে ঘিরে। সেই ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবাদ ও দেশদ্রোহ মহামারী আকারে পুরো ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আর দেশের এমন এক সংকটাবস্থায় দেশ শাসনের গুরুভার যাদের উপর অর্পিত ও দেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যারা নিযুক্ত, তাদের কঠোর হয়ে উঠতে হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী ও দেশদ্রোহীদের শক্ত হাতে নির্মূল করতে সে সময়ের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন মিলিটারি ব্যবস্থার অধীনে ‘ন্যাশনাল প্রোটেকশন স্কোয়াড’ গঠন করে।
এই স্কোয়াডের প্রতিটি সেনা দেশভক্তি প্রদর্শনে ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। এই স্কোয়াডের কাজ শুধু কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহীদের আটক করাই নয়, বরং অনেক মুক্তমনা ও স্বাধীন চিন্তাচেতনার পৃষ্ঠপোষকদেরও অবলীলায় ধরে নিয়ে নির্মম বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন করতো।
নিদা রহিম নামের স্কোয়াডের এক নারী সদস্যেকে গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে, যাকে ঘিরে পুরো সিরিজের ঘটনাপ্রবাহ চলতে থাকে। নিদাকে গল্পের শুরুতে একজন সাদাসিধে মুসলিম নারীর রূপে দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর তার আসল পরিচয় প্রকাশ পায়। তবে নিদার অন্ধ দেশপ্রেম ও কর্তব্যের নামে পাষণ্ডতার পরিচয় মেলে ঘটনা প্রবাহের সাথে সাথে।
সিরিজের মূল পর্বের শুরু হয়, যখন নিদাকে ন্যাশনাল প্রোটেকশন স্কোয়াডের মিলিটারি অফিসার হিসেবে মেঘদূত-৩১ নামে একটি মিলিটারি ডিটেনশন সেন্টারে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সরকারের শাসনতন্ত্র ও প্রশাসনের উপর ছিল তার অগাধ আস্থা। দেশের মঙ্গলের জন্য নিজের স্বার্থ ও জাগতিক মায়া বিসর্জনেও আত্মপ্রত্যয়ী ছিল সে। কিন্তু এই নিদা মেঘদূতে পা দেওয়া মাত্রই তার লালন করে আসা আস্থা ও বিবেকের গায়ে চিড় ধরতে শুরু করে। সবকিছু কেমন যেন পাশবিক ও নীতিবিরুদ্ধ মনে হতে থাকে।
মেঘদূত-৩১ এ সেসব আসামীকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল যারা সন্ত্রাসবাদ ও দেশদ্রোহিতার মতো ঘোরতর অপরাধে অপরাধী। বেশ কয়েকজন মিলিটারি অফিসার কর্নেল ডাকুনহার নেতৃত্বে মেঘদূতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নিদাও ধীরে ধীরে নিজেকে খাপ খাইয়ে তাদেরই দলের একজন হবার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
কিন্তু সব ওলটপালট হয়ে গেলো সেই যুগের সবচেয়ে ভয়ংকর ও তাণ্ডব সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসবাদী আলি সাঈদের মেঘদূত-৩১ এ আগমনের মাধ্যমে। এরপর যা ঘটে, তা স্বচক্ষে না দেখলে এর গা শিউরে উঠা ভৌতিক অবস্থা ও বর্বরতার বাস্তবতা পরিপূর্ণভাবে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
‘ঘুল’ সিরিজের পটভূমিতে অদূর ভবিষতের এমন এক কাল্পনিক চিত্র অংকন করা হয়েছে, যাকে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কলুষিত ভবিষ্যৎ রূপ বললেও ভুল হবে না। যে সমাজ ব্যবস্থায় সাধারণ জনগণের মুখ ফুটে কিছু বলার অথবা কর্তৃপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকারটুকুও থাকবে না। যে শাসন ব্যবস্থায় থাকবে না কোনো গণতন্ত্র, যে বিচার ব্যবস্থায় সরকার একপক্ষীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্দোষ জনগণের উপর বিচারের নামে জুলুম করে যেতে পারবে নির্দ্বিধায়।
যাদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা ও নিরাপত্তার ভার সমপর্ণ করা হয়েছে, তারা নিজেদেরকে ‘ঈশ্বর’ ভাবতে শুরু করবে। আর এমন এক অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ও লাগামহীন নিরাপত্তাবাহিনীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একজন বীর অথবা দেবদূতের পদচারণা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর এই সিরিজের ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা পালন করেছে, ‘ঘুল’ নামের এক মানুষের আত্মার সাথে চুক্তিকারী জ্বিন।
‘ঘুল’ নামের এই জ্বিনকে কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদনে ডাকতে হলে নিজের রক্ত দিয়ে তার নাম লিখতে হয়। তারপর ঘুল এসে হাজির হলে নিজের আত্মার বিনিময়ে তার সাথে চুক্তি করতে হয়। এ চুক্তির বিনিময়ে ঘুল থেকে যেকোনো কাজ করার প্রতিশ্রুতি অর্জন করে নেওয়া যায়। আর এই সিরিজের ক্ষেত্রে সেটি ছিল প্রতিশোধ।
এবার ‘ঘুল’ সিরিজের অভিনয়শিল্পীদের দিকে একটু মনোযোগ দেওয়া যাক। মূল চরিত্র নিদা রহিমের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন তার কথা দিয়ে শুরু করা যাক। রাধিকা আপ্তেকে চেনেন না, এমন দর্শক খুব কমই আছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাংলা, বলিউড ও দক্ষিণা মুভিতে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালের ‘অন্তহীন’ নামের বাংলা সিনেমাটি যারা দেখেছেন, তারা জানেন রাধিকা কেমন অভিনেত্রী।
এরপরের কয়েক বছর বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেলেও তার প্রয়োজন ছিল সবার নজরে আসার মতো একটি ভূমিকা। ২০১৬ সালের শর্ট ফিল্ম ‘কৃতি’র মধ্য দিয়ে নতুনভাবে সবার নজরে আসেন। এরপর ‘প্যাডম্যান’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্যও প্রশংসিত হন। তবে রাধিকার অভিনয় জীবনের ভাগ্যচক্র ঘুরতে শুরু করে যখন নেটফ্লিক্স তার সঠিক মূল্যায়ন করতে শুরু করে ও তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে নামে।
প্রথমে এ বছরের নেটফ্লিক্স অরিজিনালের হিন্দি মুভি ‘লাস্ট স্টোরিজ’ সিনেমায়, এরপর ‘স্যাক্রেড গেমস’ সিরিজে অন্যতম প্রধান এক চরিত্রে ও সর্বশেষ ‘ঘুল’ সিরিজে প্রধান চরিত্রে দারুণ সাবলীল ও দক্ষ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি স্পটলাইটে চলে এসেছেন। রাধিকার অতিরঞ্জন বর্জিত অভিনয় ও একদম ন্যাচারাল লুক তাকে ভারতের অন্যান্য অভিনেত্রী থেকে অনন্য করে তুলেছে।
‘ঘুল’ সিরিজে তার অভিনয়শৈলী ছিল এককথায় অসাধারণ। তবে সিরিজে সবচেয়ে নজরকাড়া অভিনয় করেছেন আলি সাঈদ চরিত্রে অভিনয়কারী মহেশ বালরাজ। পর্দায় স্বল্প সময়ের জন্য এসেও কী করে দর্শকদের মনে দাগ কাটা যায়, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ তিনি। তার অভিনয়ের মান এতটাই নিখুঁত ছিল যে সবকিছুকে বাস্তব ভেবে মাঝেমধ্যে পিলে চমকে উঠতে হয়েছে দর্শকের। এছাড়া কর্নেল ডাকুনহা ও লক্ষ্মীর চরিত্র দুটি উল্লেখযোগ্য ছিল। এরা দুজনই নিজ নিজ চরিত্রে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন।
প্রথমে সিরিজের এই ভিন্নধর্মী চিত্রনাট্য নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা থাকলেও পরে সেটাকে তিন পর্বের মিনি সিরিজে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিরিজের সর্বমোট ব্যাপ্তিকাল দেড় ঘন্টার মতো। এবার ‘ঘুল’ সিরিজের তিনটি পর্ব নিয়ে আরেকটু বিস্তারিতভাবে বলা যাক।
প্রথম পর্ব – ‘আউট অব দ্য স্মোকলেস ফায়ার’
এই পর্বের প্রারম্ভের দৃশ্য দেখলেই যেকোনো হরর-থ্রিলারপ্রেমী দর্শক চোখ বন্ধ করে বাকি সিরিজটুকু দেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রথমেই আলী সাঈদের ন্যাশনাল প্রোটেকশন স্কোয়াডের হাতে ধরা পড়ার দৃশ্যটা দেখানো হয়। এরপর একে একে নিদা রহিমের সাথে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ও তার মেঘদূত-৩১ এ পৌঁছানোর কাহিনীটা তুলে ধরা হয়। আর শেষের দৃশ্য আবারো আলি সাঈদের মেঘদূতে পা রাখার দৃশ্য।
ধোঁয়াহীন আগুন থেকে জেগে উঠেছিল ভয়ংকর এক নরপিশাচ!
দ্বিতীয় পর্ব – ‘দ্য নাইটমেয়ার উইল বিগেন’
দুঃস্বপ্নের সূচনা যেখানে – এ পর্বে কাহিনী জমে ক্ষীর হতে শুরু করে। আলি সাঈদকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নিদা থেকে শুরু করে কর্নেল ডাকুনহা নানা রকম অদ্ভুতুড়ে ও অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন হতে থাকেন। মেঘদূত-৩১ এ খুনের তাণ্ডবলীলা শুরু হয়। সবার অতীতের পাপ একে একে সবার সামনে উন্মোচিত হতে থাকে ও সেই পাপের ছোবল থেকে আত্মরক্ষা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এ পর্বে নিদার কাছে সাঈদের আসল পরিচয় প্রকাশ পেলেও সে তার সহকর্মীদের সেটা উপলব্ধি করাতে ব্যর্থ হয়। ফলে পরিস্থিতি আরও বিপদজনক পথে মোড় নেয়।
তৃতীয় পর্ব – ‘রিভিল দেয়ার গিল্ট, ইট দেয়ার ফ্ল্যাশ’
এ পর্বে ‘ঘুল’ নামের জ্বিন একে একে সবার গুনাহর খাতা খুলে দিয়ে, একে একে মেঘদূতের সবার শরীরকে নিজে দখলে করে নিচ্ছিল। নিদা সবকিছু বুঝে উঠতে পারলেও আর এসবের পেছনে কে দায়ী জানতে পারলেও, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। আর মেঘদূতের অন্তিম পরিণতি যা হয়েছিল তা আর না বলাই শ্রেয়।
আর এভাবেই,
দেহের উৎসর্গে,
লুকায়িত পাপ হোক উন্মোচিত
ফিচার ইমেজ- GeekTyrant