আমাদের দেশের আশি, নব্বইয়ের দশকে জন্মানো মানুষগুলোর জন্য টেলিভিশনের বিনোদনে বিটিভিই ছিলো একমাত্র উৎস। তখনকার সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দর্শকদের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশি অনুষ্ঠান ছাড়াও বিদেশী কিছু টেলিভিশন সিরিজ প্রচারিত হতো। বাড়ির বড়রা যেমন সবাই বসে থাকতো ম্যাকগাইভার সিরিজের জন্য, তেমনি ছোটরা অপেক্ষায় থাকতো গডজিলা : দ্য সিরিজ নামে একটি কার্টুনের জন্য।
দৈত্য, দানবদের নিয়ে যত কাল্পনিক সিনেমা আছে, তার মধ্যে গডজিলা চরিত্রটি বড় অবস্থান দখল করে আছে। শুধুমাত্র গডজিলার উপর ভিত্তি করে ২৯টি জাপানী সিনেমা, ৫টি আমেরিকান সিনেমা, বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিজ, ৩৪টি ভিডিও গেম, অনেকগুলো কমিক্স/মাঙ্গা এবং বই রয়েছে!
গডজিলার ইতিহাস অনেক গভীর, যেখানে কিছু সময় গডজিলাকে মানুষের বন্ধু হিসেবে দেখানো হয়েছে, আবার কিছু সময় মানবজাতির শত্রু হিসেবে। আস্তে আস্তে গডজিলার জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য কিছু দৈত্য, দানবকেও গডজিলার পাশে শত্রু অথবা মিত্র হিসেবে দেখা গেছে।
গরিলার জাপানী গরিরা এবং কুমিরের জাপানী কুজিরা মিলে জাপানী ভাষায় এ গজিরা (গডজিলা) নামটি এসেছে। গডজিলা হলো অনেকটা ডাইনাসোরদের মতো দেখতে প্রাণী, যা শত শত বছর পর জেগে ওঠে সাগরের তলদেশ থেকে। পঞ্চাশের দশকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাগরতলে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষাই এই দানবের জেগে ওঠার কারণ। বিশালাকার এই প্রাণী এত বছর পর জেগে উঠে মোটেও খুশি ছিলো না, যার কারণে মানবজাতিকে আক্রমণ করে বসে সে। বড় বড় শহর, জাহাজ একাধারে ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয় সে।
মূলত গডজিলার উচ্চতা ছিলো দেড়শো ফুটের মতো। পরবর্তী সিনেমাগুলোতে উচ্চতা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫০ ফুটে। বিশালাকার দেহের সাথে প্রায় অবিনশ্বর এই কাল্পনিক প্রাণী মুখ দিয়ে ড্রাগনের মতো আগুন (পারমাণবিক নীল আগুন) ছুঁড়তে পারতো। এটিই ছিলো টোহো কোম্পানির প্রযোজিত গডজিলার সর্বপ্রথম সিনেমার পটভূমি।
টোহো কোম্পানি তৎকালীন জাপানে বেশ বড় একটি সিনেমা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছিলো। তারা অন্যান্য সিনেমা বানানোর পাশাপাশি দৈত্য-দানোদের নিয়ে কিং কং (১৯৩৩), দ্য বিস্ট ফ্রম ২০০০ ফ্যাদম (১৯৫৩) এর মতো সিনেমা বানিয়েছে।
গডজিলা সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই যাত্রা শুরু করে। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের সিনেমার পটভূমি হওয়ায় গল্পে পারমাণবিক যুদ্ধের আভাস ছিলো অনেকটাই। বলা হয়ে থাকে, মানুষের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে গডজিলার উৎপত্তি হয়। আবার একদিক দিয়ে গডজিলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জাপানে পারমাণবিক আক্রমণের রূপক ধরা হয়।
১৯৫৪ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের সামুদ্রিক সীমার কাছে মার্শাল আইল্যান্ডে ‘ক্যাসেল ব্রাভো’ নামে একটি হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়, যার ফলাফল হিসেবে জাপানী কিছু মাছ ধরার নৌকাতে থাকা নাবিকেরা পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়। একজন নাবিক কয়েকমাস পরই মারা যান। এই ঘটনা তৎকালীন জাপানের টোহো কোম্পানির প্রযোজোক টোমোয়ুকি তানাকার মনে দাগ কেটে যায়। তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই পারমাণবিক আতঙ্কের উপর ভিত্তি করে একটি দানবের সিনেমা তৈরি করবেন। তখনই পরিচালক ইশিরো হোন্ডার সাথে মিলিত হয়ে তিনি ‘গজিরা’র প্রথম ধারণা তৈরি করেন। গডজিলাকে সিনেমার পর্দায় দেখানোর জন্য এক অভিনেতাকে বিশেষভাবে বানানো মোটা রাবারের পোশাক পরে ক্যামেরার সামনে আসতে হতো।
মার্কিন বোমা পরীক্ষা যে বছর হয়েছিলো সেই বছরের নভেম্বরেই জাপানে ‘গজিরা’ সিনেমাটি মুক্তি পায়, এবং মুক্তি পাবার পর জাপানে বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য লাভ করে। ফলে ১৯৫৬ সালে সেই সিনেমাটি ‘গডজিলা: কিং অফ দ্য মনস্টার্স’ নামে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। তৎকালীন বিখ্যাত এক মার্কিন টেলিভিশন অভিনেতাকে সিনেমাটিতে সম্পাদনা করে একটি চরিত্র দেয়া হয়। চরিত্রটি ছিলো মার্কিন এক সাংবাদিকের। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমার বাজারে গডজিলা সিনেমাটির জনপ্রিয়তার জন্য এই চরিত্রটি অনেকটা দায়ী।
মার্কিন দর্শকদের জন্য সিনেমাতে পারমাণবিক আতঙ্ক অনেকটাই কমিয়ে আনা হয় সিনেমার মূল পটভূমি ঠিক রেখে। তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স ফিকশন সিনেমার বিশাল বাজারে ঢুকে পড়ে সিনেমাটি, এবং পরিষ্কার বোঝা যায় যে, গডজিলা ভবিষ্যতে আবার যুক্তরাষ্ট্রে পা দেবে!
প্রথম গডজিলার তুমুল সাফল্যে টোহো কোম্পানি সিনেমাটির সিক্যুয়েল বের করতে বেশি দেরি করেনি। ‘গডজিলা রাইডস এগেইন’ (১৯৫৫) সিনেমাটিও জাপানী বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করে। এই সিনেমাতেই গডজিলার সাথে অন্যান্য দানবের প্রথম দেখা মেলে। পরবর্তীতে টোহো কোম্পানি গডজিলার উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো সিনেমা বের করে।
গডজিলা সিনেমার বিভিন্ন যুগ
গডজিলা ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রায় ৩৫টি সিনেমা ঝুলিতে নিয়ে চলন্ত যেকোনো সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে অনেক এগিয়ে আছে। যুগে যুগে সিক্যুয়েল আর রিমেকের সাথে পৃথিবীর মানুষের মনে এই বিশালাকার দানব জায়গা করে নিয়েছে।
টোহো শোহা যুগ (১৯৫৬-১৯৭৫)
ষাট, সত্তরের দশকে টোহো কোম্পানির করা এই সিনেমাগুলো বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। কিছু সিনেমাতে সিক্যুয়েলের মতো কিছুটা ধারাবাহিকতা ছিলো, কিছু আবার ছিল একক সিনেমা।
টোহো কোম্পানির মুক্তি দেয়া প্রথম সিনেমাগুলোতে গডজিলাকে শুধুমাত্র দানব এবং মানবজাতির শত্রু হিসেবে দেখানো হলেও ষাটের দশকের পর থেকে গডজিলা কে মানবজাতির বন্ধু হিসেবে দেখা গেছে!
ষাটের দশকে আরেক জনপ্রিয় দানব কিং কংয়ের সাথে গডজিলাকে একই সিনেমাতে দেখানো হয় ‘কিং কং ভার্সেস গডজিলা’ সিনেমাটিতে। এটি ছিলো গডজিলার প্রথম রঙিন সিনেমা। এই দশকের আরেকটি জনপ্রিয় সিনেমা ‘মথ্রা ভার্সেস গডজিলা’য় জাপানী কাল্পনিক প্রাণী মথ্রার পরিচয় হয়। বিশালাকার এই মথ (প্রজাপতি) গডজিলা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এক চেনা দানব। ‘গিদোরা দ্য থ্রি-হেডেড মনস্টার’ সিনেমাতে তিন মাথাওয়ালা গডজিলার চিরশত্রু গিদোরার পরিচয় দেয়া হয়। এ বছর বের হওয়া ‘গডজিলা: কিং অফ দ্য মনস্টার্স’সহ পরবর্তীতে গডজিলার সাথে অনেকবারই গিদোরার দেখা হয়। গডজিলাকে যেখানে কিং অফ দ্য মনস্টার্স বলা হয়, গিদোরাকে সেখানে ডাকা হয় দ্য ফলস কিং নামে।
এই সিনেমাতে গিদোরা এবং গডজিলার সাথে মানবজাতির পক্ষে একটি দানব মথ্রা এবং বিপক্ষে আরেকটি দানব রোডান থাকে।
টোহো হেইসেই যুগ (১৯৮৪-১৯৯৫)
প্রথম গডজিলা সিনেমা মুক্তির ত্রিশ বছর পূর্তিতে টোহো ঠিক করলেন সিরিজটিকে আবার পুনর্জীবিত করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এই রিমেক সিরিজে মোট সাতটি সিনেমা মুক্তি দেন টোহো।
সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘দ্য রিটার্ন অফ গডজিলা’র পটভূমি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার যুদ্ধে, যা ছিলো আগেকার সিনেমাগুলো থেকে আলাদা। ‘গডজিলা’, ‘গডজিলা ভার্সেস কিং গিদোরা’, ‘গডজিলা ভার্সেস মেকাগডজিলা’ ছিলো এই সিরিজের উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা।
১৯৯৫ সালে ‘গডজিলা ভার্সেস ডেস্ট্রোয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে টোহো হেইসেই যুগ এর অবসান ঘটে।
টোহো হেইসেই যুগের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের তৈরি করা প্রথম গডজিলা সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে। ট্রাইস্টার পিকচার্সের প্রযোজনা করা এই সিনেমাটি তেমন সাফল্য পায়নি। সমালোচকদের কথায় বাজে সিজিআই এর জন্যই সাফল্য পায়নি ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমাটি ব্যর্থ হলেও পুরো বিশ্বজুড়ে কিছুটা সফল হয়েছিলো। ট্রাইস্টার পিকচার্সের এই ভরাডুবির কারণে তারা আর কোনো সিনেমা তৈরি করেনি গডজিলাকে নিয়ে।
টোহো মিলেনিয়াম যুগ (১৯৯৯-২০০৪)
ট্রাইস্টারের করা সিজিআই গডজিলা ব্যর্থ হবার কারণে টোহো কোম্পানি আবারো পুরনো সেই রাবার পোশাকের গডজিলায় ফিরে গিয়ে আরো ছয়টি সিনেমা মুক্তি দেয়, যার মধ্যে ‘গডজিলা : টোকিও এসওএস’ এবং গডজিলার পঞ্চাশ বছরপূর্তিতে মুক্তি পাওয়া ‘গডজিলা : ফাইনাল ওয়ার্স’ উল্লেখযোগ্য।
এই যুগের পর টোহো কোম্পানি আরেকটি সিনেমা বানিয়েছে ‘শিন গডজিলা’ নামে, যা ২০১৬ সালে মুক্তি পায়।
লেজেন্ডারি পিকচার্স-মনস্টারভার্স (২০১৪- চলমান)
সিনেমা ইউনিভার্সের তুমুল সাফল্যের যুগে লেজেন্ডারি পিকচার্স এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স ঘোষণা দেয় মনস্টারভার্স নামে একটি সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স করবে, যার মধ্যে গডজিলা, কিং কং, মথ্রা এবং গিদোরার মতো বিখ্যাত সব দানব থাকবে!
গডজিলা সিনেমা বানানোয় হলিউডের দ্বিতীয় প্রয়াসে ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং লেজেন্ডারি পিকচার্স মোটামুটি সফল হয়েছে বলাই যায়!
গডজিলা (২০১৪)
গ্যারেথ এডওয়ার্ডসের পরিচালনা এই সিনেমাটি আসল জাপানী গডজিলার প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছে। গডজিলার সেই গা হিম করা জোরালো ডাকের সাথে পারমাণবিক নীল আগুন ছুঁড়তে পারার শক্তির সাথে অনেকদিন পর গডজিলা ভক্তরা একদম মনমতো গডজিলা পেয়েছিলো। গডজিলা ছাড়াও মুতো নামের দুটি দানব ছিলো এই সিনেমাতে।
আধুনিক সিজিআই প্রযুক্তির ফলে গডজিলাকে সবচেয়ে জীবন্ত দেখা গিয়েছে এই সিনেমাতে। এতে অভিনয় করেছিলেন ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, এলিজাবেথ ওলসেন এবং অভিজ্ঞ জাপানী অভিনেতা কেন ওয়াতানাবে। যার ফলাফল বক্স অফিসে পেয়েছে লেজেন্ডারি পিকচার্স। ১৬০ মিলিয়ন বাজেটের সিনেমাটি প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন আয় করে বক্স অফিস থেকে।
গডজিলা সিনেমার সাফল্যে মনস্টারভার্সকে আর থামতে হয়নি। সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের পরবর্তী সিনেমা ‘কং : দ্য স্কাল আইল্যান্ড’ সিনেমাটি মুক্তি পায় গডজিলা মুক্তির তিন বছরের মাথায়। নাম শুনেই বোঝা যায়, সিনেমাটি আরেক বিখ্যাত দানব গরিলা কিং কংকে নিয়ে করা। কিং কং প্রশান্ত মহাসাগরের এক অজানা দ্বীপে (স্কাল আইল্যান্ড) থাকে। ঐ আইল্যান্ডের কিছু আদিবাসী মানুষকে অন্যান্য দানব থেকে রক্ষা করে কিং কং। এই সিনেমার কাহিনীর পটভূমি গডজিলা সিনেমার সময়কাল থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগের। সিনেমাতে স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, টম হিডেলস্টোন এবং ব্রি লারসন অভিনয় করেন। ১৮৫ মিলিয়ন বাজেটের জর্ডান রবার্টসের পরিচালনায় এই সিনেমাটিও প্রায় ৫৬৬ মিলিয়ন জোগাড় করে বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করে। এই সিনেমার পোস্ট ক্রেডিট সিনে কিং কং, গডজিলা, মথ্রা ইত্যাদি যে এক ইউনিভার্সের তা দেখানো হয়।
গডজিলা : কিং অফ দ্য মনস্টার্স (২০১৯)
এই বছর মুক্তি পাওয়া সিরিজের তৃতীয় সিনেমাটিতে লেজেন্ডারি পিকচার্স তাদের ঝুলিতে থাকা অনেকগুলো দানবকে একসাথে উপস্থাপন করে বড় পর্দায়। সিনেমাটির পটভূমিতে গডজিলার সাথে মথ্রা, রোডান, বেহেমথ এবং কিং গিদোরার দেখা পাওয়া যায় এই সিনেমাটিতে। গডজিলার চিরশত্রু দর্শকপ্রিয় কিং গিদোরা আবারো বড় পর্দায় উপস্থাপিত হয়। হাইড্রা এবং কাল্পনিক ড্রাগনের মতো দেখতে তিন মাথাওয়ালা এই দানব নিজেকে গডজিলার অবস্থান দানবদের রাজা (কিং অফ দ্য মনস্টার্স) দাবি করে। মথ্রা এবং গডজিলা মিলিত হয়ে কিং গিদোরা (দ্য ফলস কিং)-কে হারানোর লড়াইতে নামে। কিং গিদোরার দলে আগ্নেয়গিরি থেকে উঠে আসা আরেক ভয়ংকর দানব রোডান মিলিত হয়।
কেন ওয়াতানাবে, চার্লস ডান্স এবং মিলি ববি ব্রাউনের অভিনয় করা এই সিনেমাটি দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় ১৭০ মিলিয়ন ব্যয় করা সিনেমাটি ৩৪৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে নিয়েছে।
মনস্টার ভার্সের পরবর্তী সিনেমা হবে ‘গডজিলা ভার্সেস কং’, যা ২০২০ সালে মুক্তি পাবার কথা।
গডজিলার মতো বন্ধুবর দানবের আরো যত সিনেমা আসবে, ভবিষ্যতে সব বয়সের মানুষই তা সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে, যা গত ৪৫ বছর ধরে করে আসছে।