ব্যাটম্যানের শেষ সিনেমা মুক্তির প্রায় আট বছর পর নতুন সিনেমা নির্মাণের দায়িত্ব যখন ব্রিটিশ পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের কাঁধে পড়ে, তখনও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক হয়ে উঠেননি। তবে খুবই অল্প বাজেটের চলচ্চিত্র ফলোয়িং, মেমেন্টো এবং ইনসোমনিয়া দিয়ে ততদিনে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি চলচ্চিত্র জগত কাঁপিয়ে বিরাট কিছু করতে এসেছেন।
সেলুলয়েডের জগতে ব্যাটম্যানের বিচরণ ষাটের দশকে শুরু হলেও সেটা সুদূরপ্রসারী হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে এসে। ১৯৬৬ সালে ছোট পর্দায় প্রচার হওয়া ব্যাটম্যানের ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর অনেকদিন পর্যন্ত ব্যাটম্যান নিয়ে নির্মিত হয়নি কোনো সিনেমা বা নাটক। তারপর প্রায় দুই দশক পর, ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায় টিম বার্টন পরিচালিত ব্যাটম্যানের প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘ব্যাটম্যান’। মাইকেল কিটন এবং জ্যাক নিকোলসন অভিনীত সেই সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। ব্যাটম্যান হিসেবে মাইকেল কিটনকে ভালোই মানিয়েছিল, তবে জোকার চরিত্রে জ্যাক নিকোলসন ছিলেন আরেক কাঠি সরেস, তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মনে দারুণ প্রভাব ফেলে। এমনকি হিথ লেজার আসার আগ পর্যন্ত সেই চরিত্রে অন্য কাউকে কল্পনা করাই ছিল অসম্ভব।
সমালোচকদের কাছে আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না পেলেও, বিশ্বব্যাপী ব্যবসাসফল হওয়ার কারণে এর একটি সিকুয়েল নির্মাণ করা অনিবার্য হয়ে ওঠে। তাই আবারো টিম বার্টনের পরিচালনায় নির্মিত হয় দ্বিতীয় সিনেমা ‘ব্যাটম্যান রিটার্নস’, তবে এবারে জোকারের পরিবর্তে ভিলেন হিসেবে নিয়ে আসা হয় ‘পেঙ্গুইনকে’ এবং সাথে ছিল ডিসি কমিকসের আরেক নামকরা চরিত্র ক্যাটওম্যান। আগের সিনেমার মতো বক্স অফিস হিট না হলেও, সমালোচকদের কাছে ভালো প্রশংসা পায় সেই ছবিটি। সিনেমার সফলতা দেখে প্রযোজকরা তৃতীয় সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেন এবং সেই সিনেমার বাজেট ছিল আগের দুটি থেকে বেশি। কিন্তু ঝামেলা বাঁধান টিম বার্টন, স্ক্রিপ্ট পছন্দ না হওয়ায় তিনি সিনেমা নির্মাণে অসম্মতি জানালে অভিনেতা কিটনও তৃতীয় সিনেমায় ব্যাটম্যান হিসেবে ফিরে আসতে চাননি। শেষমেশ ওয়ার্নার ব্রসের প্রযোজকরা পরিচালক হিসেবে ঠিক করে জুয়েল শুমাখারকে এবং ব্যাটম্যান চরিত্রের জন্যে কাস্ট করেন ভ্যাল কিলমারকে।
১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় ‘ব্যাটম্যান ফরেভার’। সমালোচক বা নিয়মিত দর্শক কারোরই মন জয় করতে পারেনি জিম ক্যারি, টমি লি জোন্স, ক্রিস ও’ডনেল আর নিকোল কিডম্যানের মতো তারকা অভিনেতায় ভরপুর এই সিনেমাটি। কিন্তু সবার ভালো না লাগলে কী হবে, বক্স অফিসে ঠিকই ৩৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করে নেয় ছবিটি। এই সাফল্য প্রযোজকদের সাহস জোগায় চতুর্থ সিনেমা নির্মাণে হাত দেওয়ার। আরেকটি ‘ব্লক বাস্টারে’র আশায় শুরু হয় ‘ব্যাটম্যান এন্ড রবিন’ সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা। তবে এবার বাদ সাধেন অভিনেতা ভ্যাল কিলমার। তাই তার পরিবর্তে ব্যাটম্যান হিসেবে নেওয়া হয় অভিনেতা জর্জ ক্লুনিকে। সেই সময় বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় অভিনয় করা ক্লুনি তখন অপেক্ষায় ছিলেন বড় কোনো সাফল্যের। ক্যারিয়ারের সেই সময়টায় ব্যাটম্যানের মতো কিংবদন্তী চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার আর অনেকটা সেকারণেই শত সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি নাম লিখিয়ে নেন ‘ব্যাটম্যান এন্ড রবিন’ সিনেমায়। তার সাথে যোগ দেন সেই সময়কার নামকরা অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ও অভিনেত্রী উমা থারম্যান।
তবে চরিত্রটি হাতে নেওয়ার আগে আরেকবার ভাবা নেওয়া উচিৎ ছিল জর্জ ক্লুনির। ১৯৯৭ সালে, মুক্তির পরপরই সেই সিনেমাটি দর্শক আর সমালোচক দু’দলের কারো কাছেই সমাদর পায়নি। দুর্বল চিত্রনাট্য আর নিরেস পরিচালনার মাধ্যমে অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে যে জগাখিচুড়ী শুমাখার বানিয়েছিলেন সেটা সমালোচকদের ভাষায় ছিল ‘এক কথায় জঘন্য’। এমনকি ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত সেই ছবিটি বক্স অফিসের মুখ থুবড়ে পড়ে আড়াইশো মিলিয়নের ঘরে পৌঁছার আগেই। আপনি এই সিনেমার নামে যত বদনামই শুনে থাকেন না কেন, ছায়াছবির নামে এই নিখুঁত প্রহসনের অলীক বোমার জন্য আপনি মোটেও প্রস্তুত থাকবেন না। অভিনেতা জর্জ ক্লুনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে হয় আমরা ব্যাটম্যানকে গলা টিপে হত্যা করেছি।” পরিচালক নিজেও সিনেমার ডিভিডিতে কিছুটা কৈফিয়তমূলক একটি বিবৃতি দেন। অথচ নির্মাতারা ঠিক করে রেখেছিলেন, এই মোশন পিকচার যদি হিট হয়, তাহলে অনুষঙ্গ হিসাবে নির্মাণ করা হবে রবিনের একটি সিনেমা। এছাড়া পরিকল্পনা ছিল আরও দুটি সিকুয়েলের। সেই আশার বুকে যন্ত্রণার প্রলেপ লেপে দিয়ে ‘ব্যাটম্যান এন্ড রবিন’ সিনেমার সাথে সাথেই আট বছরের মাথায় আবার থেমে যায় সিনেমার জগতে ব্যাটম্যানের পথচলা।
এরপর থেকে ব্যাটম্যানের বিভিন্ন এডাপশন নিয়ে ছবি নির্মাণের জন্যে বেশ ক’জন নামকরা পরিচালকের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন ওয়ার্নার ব্রস কর্তারা। কিন্তু চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ার কারণে, শুরু হওয়ার আগেই বাতিল করে দেওয়া হয় সেসব প্রোজেক্ট। সেই বাতিলের খাতায় আছেন ড্যারেন অ্যারোনফস্কি, জশ হেডন আর দ্য ওয়াচোস্কিসদের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতা। কিন্তু ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া এক্স-ম্যান আর ২০০২ সালের স্পাইডার-ম্যান সিনেমার ব্যপক সফলতার ফলে ব্যাটম্যানের নতুন করে ফিরে আসাটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই অনেকটা বেপরোয়া হয়েই ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়ার্নার ব্রস কর্তৃক নবীন পরিচালক ক্রিস নোলানকে দায়িত্ব দেওয়া হলো ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’ নির্মাণের জন্যে। স্বল্প বাজেটে ভালো সিনেমা নির্মাণের জন্য ভালো নামডাক তখন তার। তার প্রোডাকশন টিমের সাথে যোগাযোগ করা হলো, ডাকা হলো তাকে স্টুডিওতে। নোলান মাত্র পনের মিনিটের মধ্যে একটি চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়ে সেটি পড়ে শুনালেন হলিউড কর্তাদের। এ ব্যাপারে ওয়ার্নার ব্রস প্রযোজনা কমিটির প্রেসিডেন্ট গ্রেগ সিলভারম্যান বলেন,
“নোলান কাহিনী দাঁড় করাতে সময় নিয়েছিল বড়জোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট, তবে তা ছিল অনেক পরিপূর্ণ এবং তা সত্যিই ছিল ব্যাটম্যানের শুরু।”
কমিটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেফ রবিনভ বলেন,
“ক্রিস এসে বলল, ‘দেখুন, আমি সিনেমায় এই ব্যাপারগুলো তুলে ধরবো, আমি দৃষ্টিভঙ্গিগুলো বদলাতে চাই। আমি মনে করি চরিত্রটি ‘এই পর্যন্ত’ নিয়ে গেলে এটি সকল সুপারহিরো সিনেমা থেকে ব্যতিক্রমধর্মী, যেমনটি আগে কেউ কখনও দেখেনি।”
নোলান নিজে এই ব্যাপারে বলেন, “আমার ইচ্ছে হচ্ছে একটি অরিজিন গল্প তৈরি করা, যে গল্প কেউ বলেনি”। তার ভাষায় ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’ হচ্ছে বিশ্বের লুকায়িত বাস্তবতা, যাকে আখ্যায়িত করা যায় এক অসাধারণ বীরত্বপূর্ণ চিত্রে। মনুষ্যত্ব এবং বাস্তবতার মেলবন্ধনই এই চলচ্চিত্রের মূল ভিত্তি। সিনেমা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের মার্চ মাসে এবং সেই সিনেমার ব্যাটম্যান চরিত্রের জন্যে কাস্ট করা হয় ব্রিটিশ অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান বেইলকে। চলচ্চিত্রটির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে এর পার্শ্ব চরিত্রগুলোর জন্যও তার দরকার ছিল অভিজ্ঞ কয়েকজন অভিনেতার। তাই অন্যান্য মুখ্য চরিত্রের জন্যে তিনি কাস্ট করেন মাইকেল কেইন, মরগ্যান ফ্রিম্যান, লিয়াম নেসন, গ্যারি ওল্ডম্যান এবং কিলিয়ান মার্ফির মতো শক্তিশালী অভিনেতাদের।
ব্রুস ওয়েইনের বিশ্বভ্রমণ নিয়ে ড্যানি ও’নেইল এবং ডিক জিওর্দানোর লেখা ছোট উপাখ্যান ‘ব্যাটম্যান: এ ম্যান হু ফলস’, জেফ লয়েবের ‘ব্যাটম্যান: লং হ্যালোউইন’ ও ফ্রাঙ্ক মিলারের ‘ব্যাটম্যান: ইয়ার ওয়ান’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সাজানো হয় ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’ সিনেমার কাহিনী এবং সিনেমার চিত্রগ্রহণের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হিসেবে কাজ করেছে আশির দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত সাই-ফাই ‘ব্লেড রানার’। শুটিং শুরুর আগে একদিন নোলান তার সহকর্মীদের নিমন্ত্রণ করেন একসাথে ‘ব্লেড রানার’ দেখার জন্য এবং সিনেমা দেখা শেষ হওয়ার পর তাদের দিকে তাকিয়ে বলেন, “আমরা ঠিক এভাবেই ব্যাটম্যান বানাতে যাচ্ছি।” এছাড়া ব্যাটম্যানের অরিজিন নিয়ে সিনেমা তৈরির তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ১৯৭৮ সালে রিচার্ড ডনার পরিচালিত ‘সুপারম্যান’ চলচ্চিত্র থেকে।
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর ২০০৫ সালের জুন মাসে মুক্তি পায় ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’। ব্যাপক দর্শকনন্দিত সেই সিনেমাটি সমালোচকদের কাছেও বিপুল প্রশংসা অর্জন করে। এছাড়া বক্স অফিসে আয় করে নেয় ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নোলান তার প্রথম সিনেমা শেষ করেন ছোট একটি ক্লিফ হ্যাংগার দিয়ে। শেষ দৃশ্যে, ডিটেকটিভ গর্ডনকে দেখা যায় ব্যাটম্যানের হাতে একটি জোকারের তাস ধরিয়ে দিতে অর্থাৎ পরের কিস্তিতে তিনি ফিরে আসছেন জোকারকে নিয়ে। ২০০৬ সালেই শুরু হয়ে যায় সেই সিনেমার প্রস্তুতি। নোলান অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা হিথ লেজারের সাথে কাজ করার, তাই তাকেই তিনি নিয়ে নেন জোকার হিসেবে। নোলান তার এই সিনেমায় জোকারকে প্রথমবারের মতো নিয়ে আসলেও, ব্যাটম্যানের মতো করে তার উৎপত্তি নিয়ে কোনো গল্প রচনায় অনিচ্ছুক ছিলেন তিনি। এই ব্যাপারে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“এই চলচ্চিত্রে জন্য জোকারের অরিজিন দেখানোর কোনো ইচ্ছাই আমাদের ছিল না। কারণ এটিকে হার্ভে ডেন্টের অরিজিন বলতে পারেন, আমরা জোকাররে উৎপত্তি নয় বরং তার উত্থানের গল্পই বলার চেষ্টা করেছি।”
‘ব্যাটম্যান: দ্য লং হ্যালোউইন’ এর উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয় চিত্রনাট্য। তবে কমিক বইয়ের মূল রচনা থেকে একটু ভিন্ন করে সাজানো হয় সিনেমার কাহিনী। ব্যাটম্যান আর লেফটেন্যান্ট গর্ডন এবারে জেলা অ্যাটর্নির সাথে হাত মিলিয়েছেন বেশ কয়টি হতাক্যাণ্ডের ঘটনার কিনারা করার জন্য। লং হ্যালোউইন ছাড়াও অ্যালান মুরের ‘দ্য কিলিং জোক’ ও মাইকেল ম্যানের ‘হিট’ তার দ্বিতীয় সিনেমার পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ২০০৮ সালে ব্যাটম্যান নাম ছাড়াই প্রথমবারের মতো মুক্তি হয় ব্যাটম্যানেরই সিনেমা ‘দ্য ডার্ক নাইট’। এছাড়া প্রথমবারের মতো মূলধারার সিনেমা হিসেবে এর অ্যাকশন সিকুয়েন্সগুলো ধারণ করা হয় আইম্যাক্স ক্যামেরায়। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ, আবহ সংগীত আর আলোকচিত্র সম্পাদন ছিল অসাধারণ। মুক্তির পর এখন পর্যন্ত সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সমালোচকরা একে আখ্যায়িত করেন শতাব্দীর সেরা সুপারহিরো সিনেমা হিসেবে।
‘দ্য ডার্ক নাইট’ সিনেমার পর পরিচালক নোলান তিন বছর বিরতি নিয়ে ২০১১ সালের মে মাসে শুরু করেন তার ট্রিলজির শেষ সিনেমা ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ এর নির্মাণ কাজ। এরপরই নোলান ঘোষণা দেন, তিনি আর ব্যাটম্যান নিয়ে কোনো সিনেমা নির্মাণ করবেন না। এবারের সিনেমায় তিনি ভিলেন হিসেবে নিয়ে আসেন ব্যাটম্যানের আরেক চিরশত্রু বেইনকে। ২০১২ সালের জুলাই মাসে থিয়েটারে মুক্তি পায় ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’। দ্বিতীয় সিনেমার মতো করে সমালোচকদের শুভদৃষ্টি পায় সিনেমাটি এবং বক্স অফিসে আয় করে এক বিলিয়ন ডলার।
নোলানের ট্রিলজির প্রত্যেকটি পর্বেই ছিল চিন্তাভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কিছু দৃশ্য। অথচ আজ অনেকেই প্রশ্ন তুলেন নোলানের ব্যাটম্যানের অ্যাকশন নিয়ে, কিন্তু অ্যাকশন ব্যাপারটা কখনোই নোলানের চলচ্চিত্রের মূল ভিত্তি ছিল না। নোলান ব্যাটম্যানকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছেন শুমাখারের সেই দুঃস্বপ্ন থেকে। বুদ্ধিদীপ্তিক পরিচালনা এবং অসাধারণ নির্দেশনায় ক্রিস্টোফার নোলান অতিনাটকীয় রসাতল থেকে ব্যাটম্যানকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়, যে উচ্চতায় অন্য কোনো সুপারহিরো আদৌ উঠতে পারবে কিনা, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।