Roar বাংলা - বই ও সিনেমা

কেমন ছিল চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম দুই অ্যান্থলজি সিনেমা?

চলচ্চিত্র ইতিহাসের প্রথম দুই অ্যান্থলজি সিনেমা নিয়ে এই লেখা। দুটো সিনেমাই ছিল এই ধরনের সিনেমার জন্য এক নতুন সংযোজন।

দ্য মাস্টার: মনুষ্য চরিত্রের অবদমিত অভিলাষের স্বরূপ বিশ্লেষণ

‘দ্য মাস্টার’ একজন ব্যক্তির অকপট আখ্যান। এই ব্যক্তি বর্তমানে যে পৃথিবীতে বাস করছে, তার সাথে প্রত্যয়হীন। তার পূর্ণ ইচ্ছা আছে, নিজের শিশুসুলভ আচার-আচরণ এবং আদিম সহজাত বোধ হতে নিষ্কৃতি লাভের। এছাড়া নিজের জীবনকে মহিমান্বিত করতে সে মহৎ কোনো কর্মকান্ডের সাথেও যুক্ত হতে চায়, গুণী লোকের সহচার্য পেতে চায়।

মোটকথা, সে সামাজিক স্বীকৃতির কাঙাল।

যুক্তির ‘ফাঁদ’ থেকে মিলবে কি মুক্তি?

সময়ের ফাঁদ অন্যরকম। জীবনের এক পর্যায়ে এসে সবাই এখানে আটকে যায়। মুহুর্তের নির্দিষ্ট কিছু হিসেব চুকিয়ে দিলেই মুক্তি। তবে যুক্তির ফাঁদ সেভাবে কাজ করে না। প্রকৃতপক্ষে যুক্তির মারপ্যাঁচে গাঁথা হয় যে ফাঁদ, সেখান থেকে মুক্তির জন্য চাই পাল্টা যুক্তি। প্রতি-আক্রমণ না করে হার মেনে নিলেই সমস্যা। আক্রমণকারীর যুক্তির পাল্লা যে আরও বেশি ভারি হয়ে ওঠে তখন।

দি ইকাবগ: ছোটদের রূপকথাতে বড়দের পাঠ

হ্যারি পটারের বইগুলো লেখার সময় জে. কে. রোলিং একটু একটু করে ‘দি ইকাবগ’ লিখতেন। অসম্পূর্ণ ইকাবগের গল্পটা দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাক্সবন্দি হয়ে ছিল। অবশেষে করোনাকালে এলো সুবর্ণ সুযোগ।

ব্লো আউট: কনস্পিরেসি থিওরি বিষয়ক অনবদ্য থ্রিলার

বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রাণপণে লড়েও হেরে যাওয়া অগণিত চরিত্রের একজন জ্যাক টেরি। কনস্পিরেসি থিওরি নিয়ে নির্মিত সেরা সিনেমার তালিকা করলে তাতে ‘ব্লো আউট’-এর স্থান অবধারিত। সময় করে আপনিও দেখতে বসে যেতে পারেন জ্যাকের লড়াই; ব্রায়ান দে পালমার এই মাস্টারপিসের সাথে।

অ্যা স্ক্যানার ডার্কলি: রিচার্ড লিংকলেটারের আন্ডাররেটেড সিনেমা

আমেরিকান ফিল্মমেকার রিচার্ড লিংকলেটারকে আমরা সবাই তার অমায়িক ‘হ্যাং-আউট’ টাইপের সিনেমাগুলোর জন্য চিনি৷ ‘আ স্ক্যানার ডার্কলি’ (২০০৬) প্রমাণ করে জলজ্যান্ত বিভীষিকাময় গল্প বিষয়ক সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রেও তিনি সমভাবে পারদর্শী।
এটি নির্মিত হয়েছে ফিলিপ কে. ডিকের ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। লিংকলেটারের পরিচালনায় এখানে দর্শক এমন একটি গল্পকে মঞ্চস্থ হতে দেখবে, যেটা ভীষণ পীড়াদায়ক।

লাইফচেঞ্জার (২০১৮): শরীরহীন এক সিরিয়াল কিলারের অস্তিত্বের গল্প

এই গল্প এক পরজীবী সিরিয়াল কিলারের, যার নিজের কোনো শারীরিক অস্তিত্ব নেই। আরেকজনের দেহে জায়গা নিয়েই তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পরপরই তার, দেহ পরিবর্তন করতে হয় ক্ষয় হবার হাত থেকে বাঁচতে। কিন্তু সব সমীকরণ বদলে যায় গল্পে জুলিয়া আসার পরে।

আন্দাজ আপনা আপনা: একটি ‘ফ্লপ’ সিনেমার ‘কাল্ট ক্লাসিক’ হয়ে ওঠার গল্প

কোনো এক অলস ছুটির দিনে যদি বিনোদনের কিছু না পান, দেখতে বসুন সিনেমাটি

ইন দ্য মুড ফর লাভ: ব্যতিক্রমধর্মী ভালোবাসার গল্প

অতীত এখন সময়ের দখলে এবং পুষ্পময় দিনগুলোর সমাপ্তি ঘটেছে

সাগরতলে হাজার মাইল: জুল ভার্নের ক্লাসিক কল্পকাহিনীর সফল দৃশ্যায়ন

৫০ বছর আগেও যে কাজটা ছিল সবার জন্য অসম্ভব সেটাই হয়তো হয়ে যায় আজকের দিনে নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার।

দ্য বয়েজ ইন দ্য ব্যান্ড (১৯৭০): ট্যাবু ভাঙা এক সিনেমার কথা

জন্মদিনের এক সন্ধ্যা, যেটা হওয়ার কথা ছিল প্রাণবন্ত; উল্লাসে ভরা, সেটা রূপান্তরিত হলো নারকীয় পরিস্থিতিতে। কেন, কীভাবে; তা নিয়েই এই সিনেমা।

হ্যারি পটার নামা || পর্ব ১৪ || ডেথ ইটারদের যম ম্যাড-আই মুডি

‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স’ বইয়ে সর্বপ্রথম হাউজ হাফলপাফের জাদুকর নিম্ফ্যাডোরা টঙ্কসের সাথে মোলাকাত হয় ম্যাড-আই মুডির। ১৯৯১ সালে হগওয়ার্টসের পাট চুকিয়ে জাদু মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার পর ম্যাড-আই মুডির অধীনে থেকে, সকল গুরুত্বপূর্ণ জাদু কৌশল আয়ত্তের মাধ্যমে নিম্ফ্যাডোরা নিজেকে পরিণত করেন অন্যতম সেরা এক অরোরে।