হুমায়ূনের অপেক্ষা: জীবনের চিরন্তন সত্যের অসাধারণ উপস্থাপন

সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিনই অসংখ্য নিখোঁজ সংবাদ ছাপা হয়। কেউ হয়তো নিজের হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজ করছে, কেউ নিজের স্বামীর খোঁজ করছে আবার কেউ হয়তো নিজের সন্তানের খোঁজ করছে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর পরিবারের অবস্থা ঠিক কেমন থাকে? কতটা আতঙ্কের মধ্যে তারা দিন কাটান? তারা কি আজীবন নিজেদের হারিয়ে যাওয়া মানুষের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন? 

এই প্রশ্নগুলো নিয়েই নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস অপেক্ষার গল্প গড়ে উঠেছে। গল্পের শুরুতেই দেখা যায়, স্বামী হাসানুজ্জামান ও ছেলে ইমনকে নিয়ে সুরাইয়ার সুখের সংসার। সেই সংসারে নতুন এক অতিথি আসতে চলেছে। এই সংবাদ দেওয়ার জন্য স্বামীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল সুরাইয়া। কিন্তু সেদিন অফিস থেকে আর বাসায় ফিরে আসে না হাসানুজ্জামান। থানা, হাসপাতাল সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে খোঁজ চালানো হয় কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায় না।

Credit: Sadat

এভাবে হুট করে নিজের স্বামী হারিয়ে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না সুরাইয়া। একদিন ঠিকই ফিরে আসবে এই বিশ্বাস নিয়ে সে অপেক্ষা করতে থাকে। দুই সন্তান ইমন ও সুপ্রভাকে নিয়ে সুরাইয়া তার বড়ভাই জামিলুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়ে সে নিজেকে আরো বেশি গুটিয়ে নেয়, একটা ঘরে সারাক্ষণ নিজেকে বন্দী রেখে একাগ্র চিত্তে সে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু অপেক্ষা করতে করতে সে ধীরে ধীরে বাস্তব জগত থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, তার বেঁচে থাকার সমস্তটুকুই যেন তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করার মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।

অপেক্ষার প্রচ্ছদ

জগতের সব ব্যাপারেই সুরাইয়ার বিতৃষ্ণা চলে আসে। ব্যক্তিগত হতাশার কারণে তার মেজাজটাও হয়ে যায় তিরিক্ষি। নিজের দুই সন্তান ইমন ও সুপ্রভার সাথেও তার আচরণ দিনদিন অসহনীয় হয়ে যেতে থাকে। সুরাইয়ার এই অপেক্ষার শেষ কোথায়? তার স্বামী কি সত্যিই তার কাছে ফিরে আসবে? নাকি অপেক্ষা করতে করতেই তার জীবন কেটে যাবে? এই বিষয়টাকে উপজীব্য করেই অপেক্ষা উপন্যাসের মূল গল্প এগিয়ে যায়।

একটি ভালো উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূল গল্পের সাথে অন্যান্য পার্শ্বগল্প একই সমান্তরালে এগিয়ে যাবে। অপেক্ষা উপন্যাসে এই গুণটি বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা যায়। স্বামীর জন্য সুরাইয়ার অপেক্ষা করাটা মূল গল্প হলেও গল্পের নায়ক ইমন ও নায়িকা মিতুর অন্যরকম প্রেম কাহিনীটাও বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের অধিকাংশ সময়ে একটা করুণ ধারা বয়ে গেছে, সেই করুণ ধারার বিপরীতে মিতু আর ইমনের মজাদার সংলাপগুলো পাঠকের মনে বেশ খানিকটা স্বস্তির হাওয়া হয়েই এসেছে। ইমনের কাছে পাঠানো মিতুর উড়ো প্রেমের চিঠি কিংবা বেবিটেক্সিতে বসে ভবিষ্যতে ইমনকে বিয়ে করার কথা বলে হকচকিয়ে দেওয়ার সংলাপগুলো পড়ে যেকোনো পাঠকই হেসে উঠবেন। 

এছাড়া সুরাইয়ার ভাই জামিলুর রহমানের পরিবারের গল্পটাও বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে। পরিবারের কর্তা শুধুমাত্র নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সেই পরিবারের গতিপথ ঠিক কতটা এলোমেলো হতে পারে তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ছিল এই জামিলুর রহমানের পরিবার। এই পরিবারের দুই ছেলে শোভন ও টোকন যেন অসংখ্য বিপথে চলে যাওয়া ছেলেদেরই প্রতিনিধিত্ব করে।

একটি উপন্যাসের সার্থকতার সিংহভাগ নির্ভর করে সেই উপন্যাসের চরিত্রগুলোর উপরে, চরিত্রগুলোর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমেই উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। তাই চরিত্রগুলো সুগঠিত হলে উপন্যাসের কাহিনীর এগিয়ে যাওয়ার পথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। অপেক্ষা উপন্যাসও এর ব্যতিক্রম নয়, এই উপন্যাসেও বেশ কয়েকটি শক্তিশালী চরিত্র আছে যারা গল্পকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে। 

সুরাইয়া

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুরাইয়া, হারিয়ে যাওয়া স্বামীর জন্য তার যে অপেক্ষা সেটার মাধ্যমেই উপন্যাসের মূল গল্প গড়ে উঠেছে। লেখক বেশ যত্নের সাথে এই চরিত্রটিকে গড়ে তুলেছেন। উপন্যাসের শুরুতে সুরাইয়াকে সাধারণ গৃহিণীর মতো ঘর-সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তার সমস্ত জগত যেন সেই সংসারের মাঝেই সীমাবদ্ধ। হঠাৎ তার স্বামী হারিয়ে গেলে সেই জগতের সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। স্বামী কোথায় চলে গেছে, সে আদৌ ফিরে আসবে কিনা এসব চিন্তাভাবনায় খুব বেশি পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে সে।

স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে বাস্তব জগত থেকেই আলাদা হয়ে যায়। দুই সন্তানের প্রতি তার আচরণও অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। নিজের সন্তানদের প্রতি তার এই অসদাচরণ অনেক পাঠকের মনেই বিরক্তির জন্ম দেবে। তবে এই আচরণের জন্য পুরো দোষ তার উপর দেওয়া যায় না। স্বামীর জন্য এক অনিশ্চিত অপেক্ষা, সাথে বড় ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে থাকার গ্লানি- সবকিছু মিলিয়ে তার উপর যে প্রচণ্ড মানসিক চাপ ছিল তাতে তার আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক হওয়াটাই বরং স্বাভাবিক।

এদেশের আবহমানকালের আদর্শ স্ত্রীর এক প্রতিচ্ছবি এই সুরাইয়া। এ কারণেই স্বামী হারিয়ে যাওয়ার পর তার বড় ভাই অনেকগুলো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলেও সবগুলো প্রস্তাবই সে দৃঢ়চিত্তে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বামীর জন্য তার এই অপেক্ষা কোনোদিন শেষ হবে কি-না এই প্রশ্নটাই অপেক্ষা গল্পের মূল উপজীব্য হয়ে গিয়েছিল। 

ইমন

কেন্দ্রীয় চরিত্র সুরাইয়ার ছেলে ইমন এই উপন্যাসের নায়ক, লেখক বেশ যত্নের সাথে এই চরিত্রটিকে ধারাবাহিকভাবে গড়ে তুলেছেন। উপন্যাসের প্রথমাংশ থেকেই ইমনকে কিছুটা গম্ভীর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা কথা বলতে চায় না। বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর মামার বাড়িতে আশ্রিত হয়ে থাকার কষ্ট, সাথে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া দুর্ব্যবহার তাকে আরো গম্ভীর করে দিয়েছে। এই কষ্টময় বাস্তব থেকে লুকিয়ে থাকতে সে পড়ালেখাকেই একমাত্র আশ্রয় হিসেবে হিসেবে বেছে নেয়। একারণে উপন্যাসের অধিকাংশ সময়েই ইমনকে বই পড়া অবস্থাতে পাওয়া গেছে।

লেখাপড়ায় অসম্ভব ভালো ইমন কিন্তু নিজে এমন জীবন কাটাতে চায়নি। দুই মামাতো ভাই শোভন ও টোকনের মতো বাঁধাহীন উশৃঙ্খল জীবন তার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। সবাই ভাবে ইমন বুঝি আবেগহীন, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা বুঝি খুবই কম। কিন্তু সেটা যে সত্যি নয় তার প্রমাণ বেশ কয়েকবারই পাওয়া যায়। এ কারণেই ছোট চাচার সাথে আর দেখা হবে না ভেবে সে চোখের জলে চাচার শার্ট ভিজিয়েছে, বিপথে চলে যাওয়া শোভনের দুঃসময়েও বারবার তার কাছে গিয়ে তাকে সাহায্য করেছে। বাইরে রোবটের মতো আচরণ করলেও ভেতরে ইমনের একটি আবেগী মন আছে। সেই আবেগের কারণেই সমবয়সী মামাতো বোন মিতুর প্রতি সে অদ্ভুত এক আকর্ষণ অনুভব করে।    

ইমন সবসময় চেষ্টা করেছে মিতুর প্রতি তার এই আবেগ লুকিয়ে রাখতে। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেই আবেগ প্রকাশ হয়ে গেছে। নিজের মা সুরাইয়াকে যেভাবে কিছু কঠিন বাস্তবতার কথা ইমন বলেছে সেখানে তার দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কেও প্রমাণ পাওয়া যায়।

একপর্যায়ে এমন এক দুর্ঘটনা ঘটে যার ফলে ইমনের সমস্ত চেনা জগতই এলোমেলো হয়ে যায়। লেখাপড়াতেও আর মন দিতে পারে না। সারাদিনই ভবঘুরের মতো রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। একপর্যায়ে চরম এক অন্ধকার জগতে হারিয়ে যেতে থাকে সে। তবে কি দুই মামাতো ভাই শোভন-টোকনের মতো ইমনও সেই অন্ধকারের জগতে হারিয়ে যাবে? নাকি নিজের প্রিয় মানুষ মিতুর হাত ধরে আবারো সে তার চেনা জগতে ফিরে আসবে? সুরাইয়ার অপেক্ষা শেষ হবে কিনা এই অনিশ্চয়তাকে ছাপিয়ে ইমনের জীবনের এই প্রশ্নটাই একসময় পাঠকের মনে বড় ঝড় তোলে। 

মিতু

উপন্যাসের নায়িকা মিতু, সে সুরাইয়ার ভাই জামিলুর রহমানের মেয়ে। উপন্যাসের সবচেয়ে সাহসী চরিত্র। নিজের যা মন চায় কিংবা নিজের যেটা ভালো মনে হয় সেই কাজটা করার সাহস তার আছে। গল্পের শুরু থেকেই দেখা যায় ফুপাতো ভাই ইমনকে সুযোগ পেলেই নানাভাবে বিরক্ত করছে সে। তবে এই বিরক্ত করার মাঝেও একধরনের ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল। একারণেই ইমন যখন পেন্সিল হারিয়ে কাঁদছিল তখন নিজের পেন্সিল দিয়ে সুরাইয়ার হাত থেকে ইমনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে মিতু। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই ভালোবাসা আরো গাঢ় হতে থাকে। নিজের এই ভালোবাসার কথা দুষ্টুমির ছলে ইমনকে জানাতেও সে কোনোরকম সংকোচবোধ করে না। 

যেখানে ভালোবাসা থাকবে সেখানে অধিকারবোধ ও অভিমানের ব্যাপারটাও আপনা আপনি চলে আসে, মিতুও এর ব্যতিক্রম নয়। এ কারণেই ইমন নবনী নামের একটা মেয়েকে পড়াচ্ছে জেনে সে ইমনের প্রতি রেগে যায়। সেই রাগের মাধ্যমে ইমনের প্রতি নিজের অধিকারের কথাটাই যেন অব্যক্তস্বরে জানিয়ে যায়। একপর্যায়ে ইমনের প্রতি তীব্র অভিমান নিয়ে সে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। অন্য ছেলের সাথে বিয়েতেও রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ইমনের চরম দুঃসময়েও কি মিতু নিজের অভিমান নিয়ে পড়ে থেকে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করবে? 

সুপ্রভা

সুরাইয়ার মেয়ে সুপ্রভা উপন্যাসের সবচেয়ে উচ্ছল ও প্রাণবন্ত চরিত্র। স্বভাবের দিক থেকে বড় ভাই ইমনের সম্পূর্ণ বিপরীত। তার জন্মের কয়েক মাস আগে বাবা হারিয়ে যাওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সে কিছুটা অবহেলায় বড় হয়েছে। তবুও সে সবসময় নিজের মতো করে নিজেকে খুশি রাখতে চেষ্টা করেছে। মায়ের ভালোবাসা না পেলেও মামা জামিলুর রহমানের স্নেহের ছায়ার কারণে সেই অভাব অনেকাংশেই সে ভুলতে পেরেছে।

বড় ভাই ইমন লেখাপড়ায় দুর্দান্ত হলেও সুপ্রভা সেখানে বড্ড কাঁচা। বহু গুণ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র পড়ালেখায় দুর্বল হওয়াটা একটা মানুষের জীবন কতটা দুর্বিষহ করে দিতে পারে সেটা এই সুপ্রভা চরিত্রের মাধ্যমে লেখক বেশ ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। 

জামিলুর রহমান

সুরাইয়ার বড় ভাই জামিলুর রহমান যার পুরো জীবনটাই নিজের ব্যবসার মাঝে সীমাবদ্ধ। সেই ব্যবসার পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজের পরিবার থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকলেও তিনি তার মনোযোগ ব্যবসা বাড়ানোর দিকেই সীমাবদ্ধ রাখেন। এই মানুষটার কাছে ভালোবাসার প্রকাশ করাটা দূর্বলতার লক্ষণ। একারণেই ভাগ্নী সুপ্রভাকে নিজের মেয়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেও সেই ভালোবাসা যাতে প্রকাশিত না হয় সে ব্যাপারে সবসময়েই খেয়াল রাখেন।

তবে ভালোবাসা লুকিয়ে রেখে পরিবারের কর্তা শুধুমাত্র কাজের জগতে ডুবে থাকলে সংসারের কী পরিণতি হয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ জামিলুর রহমানের পরিবার। একপর্যায়ে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হলেও নিজের দুই সন্তান চলে যায় বিপথে, সন্তানদের হারিয়ে শুধুমাত্র এই ধন-সম্পদ কি জামিলুর রহমানকে সুখী করতে পারবে? 

এছাড়াও আরো কিছু ছোট চরিত্র এই উপন্যাসে রয়েছে। এদের মধ্যে ইমনের ছোটচাচা ফিরোজ, সুরাইয়ার ভাবী ফাতেমা ও মিতুর বড় ভাই শোভন উল্লেখযোগ্য। মূল কাহিনীতে এদের তেমন ভূমিকা নেই, এরা কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর গল্প গঠনেই বরং ভূমিকা রেখেছে।

Image Credit: Rokomari.com 

হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতো এই উপন্যাসেও বেশ কিছু অসাধারণ উক্তি আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উক্তি- 

মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না, আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে। 

মানুষের জীবন কি চক্রের মতো? চক্রের কোনো শুরু আছে, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় এক চক্রের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই। কিসের অপেক্ষা? 

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বৃষ্টি, মানুষের ভালোবাসা।

কেউ কারো মতো হতে পারে না, সবাই হয় তার নিজের মতো। সব মানুষই আলাদা।

সব মিলিয়ে বলা যায় হুমায়ূন আহমেদের সেরা উপন্যাসগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হলে অপেক্ষার নামটা অবশ্যই সেখানে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জরিপেও খেয়াল করা যায় যে অনেক পাঠকেরই সবচেয়ে প্রিয় বই অপেক্ষা। হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত যারা আছেন তাদের এই বইটা এতদিনে পড়ে ফেলার কথা, যদি কোনো কারণে পড়া না হয়ে থাকে তবে অবশ্যই পড়ে ফেলবেন। বইটি পড়লে উপরে উল্লেখ করা প্রশ্নগুলোর উত্তর তো পাবেনই সাথে মানব জীবনের কিছু কঠিন সত্যকে গভীরভাবে উপলব্ধিও করতে পারবেন। 

ফিচার ছবি- Rokomari.com

Related Articles

Exit mobile version