একজন বীর রুশ জেনারেল, দেশপ্রেম–উদ্ভূত উচ্চাকাঙ্ক্ষা যার একমাত্র চালিকাশক্তি; একজন আদর্শবাদী আইরিশ–বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংবাদিক, নৈতিকতা আর মূল্যবোধ যার মধ্যে গভীরভাবে গ্রন্থিত; একজন সুদর্শন ফরাসি সাংবাদিক, যার সুনিপুণ বাচনভঙ্গি আর লেখনী সকলকে হতবাক করে দেয়; একজন বেপরোয়া রুশ কাউন্ট, সাহসিকতা আর রোমাঞ্চ যার জীবনের নিত্যসঙ্গী; একজন চতুর তুর্কি গুপ্তচর, যে নিজ দেশকে রক্ষার জন্য সবকিছু করতে পারে; একজন নির্বিকার রুশ কূটনীতিবিদ, যার প্রখর বুদ্ধিমত্তা রুশ সম্রাটকেও বিহ্বল করে দেয় আর একজন সাহসী রুশ নারী, ভালোবাসার মানুষের খোঁজে যে ছুটে এসেছে যুদ্ধক্ষেত্রের মৃত্যু উপত্যকায়। এই বিচিত্র চরিত্রগুলোকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে প্রখ্যাত রুশ লেখক বোরিস আকুনিনের ঐতিহাসিক থ্রিলার ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ (The Turkish Gambit), রুশ ভাষায় যেটির নাম ‘তুরেৎস্কি গাম্বিত’ (Турецкий гамбит)।
বোরিস আকুনিন, যার প্রকৃত নাম গ্রিগোরি চ্খার্তিশভিলি, একজন জর্জীয়–বংশোদ্ভূত রুশ থ্রিলার লেখক, অনুবাদক ও জাপান বিশেষজ্ঞ। তার সৃষ্ট ‘এরাস্ত ফান্দোরিন’ ডিটেকটিভ সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’। উপন্যাসটি ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং ব্রিটিশ অনুবাদক অ্যান্ড্রু ব্রোমফিল্ড ২০০৫ সালে উপন্যাসটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
আকুনিনকে আধুনিক রুশ থ্রিলার সাহিত্যের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাম্পিয়ন’ বলা হয়। তিনি সৃষ্টি করেছেন রুশ থ্রিলারের এক অনন্যসাধারণ চরিত্র, যার নাম ‘এরাস্ত ফান্দোরিন’। ব্রিটিশ থ্রিলারের ক্ষেত্রে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সৃষ্ট ‘শার্লক হোমস’ আর আয়ান ফ্লেমিং–এর সৃষ্ট ‘জেমস বন্ড’ যেরকম খ্যাতি অর্জন করেছে, কিংবা বাংলা থ্রিলারের ক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট ‘প্রদোষ মিত্র/ফেলুদা’ যেরকম প্রসিদ্ধ, রুশ থ্রিলারের ক্ষেত্রে বোরিস আকুনিনের সৃষ্ট ‘এরাস্ত ফান্দোরিন’ও সেরকম সুপরিচিত।
আকুনিনের ‘এরাস্ত ফান্দোরিন’ সিরিজটির এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সিরিজটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এগুলো একই ধরনের নয়। একেকটি উপন্যাস একেক ধরনের রহস্য নিয়ে লেখা। যেমন: সিরিজের প্রথম উপন্যাস আজাজিল (Азазель) ছিল ষড়যন্ত্রমূলক রহস্য (конспирологический детектив, ‘কন্সপিরোলোগিচেস্কি দিতেক্তিভ) নিয়ে লেখা। আর সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ লেখা হয়েছে একটি গোয়েন্দা রহস্য (шпионский детектив, শ্পিওনস্কি দিতেক্তিভ) নিয়ে।
‘গ্যাম্বিট’ (gambit) শব্দটি এসেছে ইতালীয় শব্দ ‘গামবেত্তো’ (gambetto) থেকে। ‘গামবেত্তো’ শব্দটির অর্থ কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়া। দাবা খেলার ক্ষেত্রে কখনো কখনো খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলার উদ্দেশ্যে একটি গুটি বিসর্জন দেয়। এটিকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘গ্যাম্বিট’। ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ উপন্যাসটিতেও এ ধরনের একটি কৌশল ব্যবহৃত হয়, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে দাবার বোর্ডে নয়, সেটি প্রয়োগ করা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে।
ফান্দোরিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর ঘটনাবলীর সময়সীমা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের মধ্যে। ১৮৭৬ সালে ১৯ বছর বয়সী ফান্দোরিন মস্কোর পুলিস বিভাগের একজন কেরানী হিসেবে কাজ শুরু করে, কিন্তু ঘটনাচক্রে এবং প্রখর বুদ্ধিমত্তার জোরে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তায় পরিণত হয়।
১৮৭৭ সাল। ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনস্থ বলকান অঞ্চলে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। সার্ব, মন্টেনিগ্রিন, রোমানীয়, বুলগেরীয় – ওসমানীয় সাম্রাজ্যের বলকান স্লাভিক–অর্থোডক্স প্রজারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে ক্ষয়িষ্ণু ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সঙ্গে। স্লাভিক–অর্থোডক্স রুশ সাম্রাজ্য সমর্থন দিচ্ছে বিদ্রোহীদের।
১৮৭৬–৭৭ সালের সার্ব–ওসমানীয় যুদ্ধে সার্বিয়া ওসমানীয় সাম্রাজ্যের নিকট পরাজিত হলো। স্ত্রীর মৃত্যুশোকে কাতর ফান্দোরিন ব্যক্তিগত দুঃখ ভুলে থাকতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিয়েছিল সার্বদের সঙ্গে। যুদ্ধে সে তুর্কিদের হাতে বন্দি হয়।
পরাজিত সার্বিয়ার ওপর ওসমানীয় সাম্রাজ্য কর্তৃক একটি অপমানজনক সন্ধি চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে শুরু হলো ১৮৭৭–১৮৭৮ সালের রুশ–ওসমানীয় যুদ্ধ। ফান্দোরিন কৌশলে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বলকান অঞ্চলে অগ্রসরমান রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল তুর্কি সেনাবাহিনীর গোপন একটি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদেরকে জানানো।
পথিমধ্যে ফান্দোরিনের দেখা হয় রুশ মেয়ে বার্বারা সুভোরভার সঙ্গে। বার্বারা যুদ্ধক্ষেত্রে এসেছিল তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে, যে রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। বার্বারাকে একটি তুর্কি গ্রামে রেখে তার রোমানীয় পথপ্রদর্শক কৌশলে তার সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ফান্দোরিন বার্বারাকে উদ্ধার করে এবং দুজনে একসঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে রওনা হয়। উপন্যাসটিতে বার্বারা চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তার দৃষ্টিকোণ থেকেই বর্ণিত হয়েছে উপন্যাসের ঘটনাবলী।
পথিমধ্যে তুর্কি ‘বাশি–বাজুক’ অনিয়মিত সৈন্যরা তাদেরকে আক্রমণ করে। মেজর জেনারেল মিখাইল সবোলেভের নেতৃত্বাধীন একটি রুশ সৈন্যদল ফান্দোরিন আর বার্বারাকে উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, জেনারেল সবোলেভের চরিত্রটি মধ্য এশিয়া জয়ী রুশ বীর জেনারেল মিখাইল স্কবেলেভের অনুকরণে সৃষ্ট।
এখানে তাদের পরিচয় ঘটে আইরিশ–বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংবাদিক সিমাস ম্যাকলুঘলিন আর ফরাসি সাংবাদিক শার্ল পালাদঁ–এর সঙ্গে, যারা রুশ–ওসমানীয় যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছে। আদর্শবান, নিয়মনিষ্ঠ ম্যাকলুঘলিন আর দুঃসাহসী, মেধাবী পালাদঁ পুরো উপন্যাস জুড়ে বারবার দেখা দেবে। পরবর্তীতে মঞ্চে আবির্ভূত হবে রুশ কর্নেল কাউন্ট হিপ্পোলাইট জুরোভ, যার বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ড উপন্যাসটিকে একটি চিত্তাকর্ষক রূপ দিয়েছে। উল্লেখ্য, ম্যাকলুঘলিন চরিত্রটি বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক জানুয়ারিয়াস ম্যাকগাহানের অনুকরণে সৃষ্ট।
রুশ সেনা সদরদপ্তরে পৌঁছানোর পর ফান্দোরিনের সাক্ষাৎ হয় তার প্রাক্তন বস রুশ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান জেনারেল ল্যাভ্রেন্তি মিজিনভের সঙ্গে। মিজিনভ ফান্দোরিনকে এই যুদ্ধে তাঁর সহযোগী হিসেবে চান, কিন্তু ফান্দোরিন তাতে অস্বীকৃতি জানায়। তার ভাষায়, এই যুদ্ধ নিরর্থক, কারণ দুর্বল ওসমানীয় সাম্রাজ্য রুশ হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজে নিজেই ভেঙে পড়ত।
মিজিনভ তখন ফান্দোরিনকে জানান, ওসমানীয় গোয়েন্দা বিভাগের দুর্ধর্ষ প্রধান আনোয়ার পাশা নিজেই ছদ্মবেশে রুশ বাহিনীতে মিশে গেছে। তার উদ্দেশ্য অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালিয়ে রুশদেরকে পরাজিত করা। এই তথ্য জানার পর ফান্দোরিন বিষয়টি তদন্ত করতে রাজি হয়। আর ভাগ্যচক্রে বার্বারা সুভোরভা পরিণত হয় তার সহকারীতে।
কিন্তু লক্ষ লক্ষ সৈন্যবিশিষ্ট রুশ বাহিনীর মধ্য থেকে ফান্দোরিন কীভাবে খুঁজে পাবে আনোয়ারকে? সেটি জানতে হলে উপন্যাসটি পড়তে হবে!
অধিকাংশ থ্রিলারে যেমন একপক্ষকে ভালো এবং আরেক পক্ষকে খারাপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ এর ব্যতিক্রম। উপন্যাসটি লিখিত হয়েছে রুশ দৃষ্টিকোণ থেকে, কিন্তু তাতে তুর্কিদেরকে ছোট করা হয়নি। রুশ এবং তুর্কি সৈন্যরা কীভাবে নিজ নিজ রাষ্ট্রের জন্য বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছে, সেটি ফুটে উঠেছে এখানে।
উপন্যাসটিতে দেখা যায়, বার্বারা সুভোরভা বা তার প্রেমিক পিওতর ইয়াব্লোকোভ কেউই রাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা রাজতন্ত্রবিরোধী বিপ্লবীদের সমর্থক। কিন্তু রুশ স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা সত্ত্বেও রাশিয়ার জন্য লড়াই করতে তারা প্রস্তুত। একই ধরনের মনোভাব দেখা যায় তুর্কি গুপ্তচর আনোয়ার পাশার মধ্যে। আনোয়ার ওসমানীয় স্বৈরতন্ত্রকে অপছন্দ করে, কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজ রাষ্ট্রের জন্য যেকোনো চরম পদক্ষেপ নিতে সে প্রস্তুত।
ফান্দোরিনের দৃষ্টিভঙ্গি সে তুলনায় অনেকটাই রক্ষণশীল। বিপ্লব বা বিদ্রোহ তার পছন্দ নয়, কারণ তার বিশ্বাস রাষ্ট্র হচ্ছে একটি বৃক্ষের মতো, যেটির শাখাপ্রশাখা নিজস্ব নিয়মে বেড়ে ওঠে। একইসঙ্গে ফান্দোরিনের আনুগত্যও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতি নয়, তার আনুগত্য শুধু রুশ রাষ্ট্রের প্রতি। তবে দেশপ্রেমের নামে সাম্রাজ্যবাদকেও সে ভালো চোখে দেখে না।
যুদ্ধের মধ্যে কীভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক খেলা চলে সেটিও উপন্যাসটিতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই রুশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুদ্ধের শেষে যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হবে সেটির প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষার জন্য রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা কী ধরনের চরম পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটির প্রতি উপন্যাসটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।
যুদ্ধ, রাজনীতি, ষড়যন্ত্র ছাড়াও উপন্যাসটিতে রয়েছে একটি প্রেমের উপকাহিনী। বার্বারা সুভোরভার যুদ্ধক্ষেত্রে এসেছিল তার প্রেমিক ইয়াব্লোকোভের সঙ্গে যোগ দিতে। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর সবোলেভ, পালাদঁ আর জুরোভ তিনজনই বার্বারার প্রতি আকৃষ্ট হয়, আর বার্বারা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে ফান্দোরিনের প্রতি। শেষ পর্যন্ত বার্বারা কাকে বেছে নিয়েছিল? এর উত্তর জানতে হলে উপন্যাসটি পড়ে দেখতে হবে।
প্রেম ছাড়াও মানবীয় সম্পর্কের আরেকটি দিক উপন্যাসটিতে তুলে ধরা হয়েছে– বন্ধুত্ব। ফান্দোরিনের সঙ্গে জুরোভের বন্ধুত্বের কারণে জুরোভ নিজের স্বার্থের বিপরীতে গিয়েও বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করতে চায়, সবোলেভের সঙ্গে পালাদেঁর বন্ধুত্বের কারণে সবোলেভ পালাদেঁর সব ধরনের বিপদে তার পাশে এসে দাঁড়ায়। বন্ধুত্বের এই নিদর্শন জুরোভ আর সবোলেভের ব্যক্তিগত ত্রুটিগুলোকে ম্লান করে দেয়।
অন্যদিকে, আনোয়ার প্রেম বা বন্ধুত্বের মতো মানবীয় সম্পর্কের দিকগুলোর মর্যাদা বোঝে, কিন্তু সে তার জীবনকে উৎসর্গ করেছে তুর্কি রাষ্ট্রের প্রতি। এজন্য রাষ্ট্রের স্বার্থে বন্ধুদেরকে নিজ হাতে খুন করতেও তার হাত কাঁপে না। উপন্যাসটিতে আনোয়ার চরম দেশপ্রেমের প্রতীক। তার চরমপন্থা পাঠককে হতবাক করে দেয়, কিন্তু একইসঙ্গে তার তীব্র দেশাত্মবোধ পাঠককে মুগ্ধও করে।
উপন্যাসটির অবলম্বনে উজবেক চলচ্চিত্রকার দ্ঝানিক ফাইজিয়েভ ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ নামে ২ ঘণ্টা ১২ মিনিটের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, যেটি ২০০৫ সালে মুক্তি লাভ করে। প্রখ্যাত রুশ অভিনেতা ইগর বেরোয়েভ চলচ্চিত্রটিতে ফান্দোরিনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অবশ্য চলচ্চিত্রটির সঙ্গে উপন্যাসটির মূল কাহিনীর বেশকিছু অসামঞ্জস্য রয়েছে।
বাংলা ভাষাভাষী থ্রিলার পাঠকদের মধ্যে শার্লক হোমস বা জেমস বন্ড যতটা পরিচিতি লাভ করেছে, এরাস্ত ফান্দোরিন ঠিক ততটাই অপরিচিত। এজন্য ‘দ্য টার্কিশ গ্যাম্বিট’ থ্রিলারপ্রেমীদের জন্য থ্রিলার জগতের নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারে।