আগামীকাল আপনার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ দিন। সকাল থেকেই আপনি ভাবছেন, এই তো একটু পরই কাজে হাত দেব। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো, দুপুর পেরিয়ে বিকেল, তারপর সন্ধ্যা হয়ে এখন রাত দশটা। আপনি এখনো ভেবেই চলেছেন, এই তো আর একটু পর…!
এভাবে ভাবতে ভাবতে রাত বারোটার বেশি বেজে গেল। নতুন একটি দিনের আগমন ঘটল। সেই নতুন দিনেরও একেকটা ঘণ্টা কেটে যেতে লাগল। কিন্তু আপনার ‘একটু পর’ আর আসে না। শেষমেশ ঘুম ঘুম চোখে ভোর পাঁচটার সময় আপনি অ্যাসাইনমেন্ট করা শুরু করলেন। এ বিষয়ে আপনার যে প্রস্তুতি, তাতে অ্যাসাইনমেন্টে আপনার ১৫-র মধ্যে অন্তত ১২ পাওয়ার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে আপনি যে ছাইপাঁশ লিখলেন, তাতে ছয়-সাতের বেশি পাবেন কিনা সন্দেহ!
এই যে কোনো কাজ এখন না করে পরের জন্য ফেলে রাখা, এর নামই হলো Procrastination, যার বাংলা পরিভাষা দীর্ঘসূত্রিতা। জীবনে একবারও দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদে পড়েনি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি এই দীর্ঘসূত্রিতা। তাদের মেধা ও প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কেউ। অথচ এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণেই তারা জীবনে সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে পারছে না, এবং সেই সাফল্যের দেখা পাচ্ছে না, যেটির তারা যোগ্য দাবিদার।
এই যে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তরুণ প্রজন্ম তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, প্রতিযোগিতায় অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে, এর ফলে তাদের ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার মাত্রা যাচ্ছে বেড়ে। আবার মজার ব্যাপার হলো, তরুণ প্রজন্মের দীর্ঘসূত্রিতার নেপথ্যের কারণও কিন্তু শুধু আলসেমি নয়, বরং এক্ষেত্রে বিষণ্ণতাও একটি বেশ বড় ভূমিকাই পালন করে।
তার মানে দেখা যাচ্ছে, বিষণ্ণতার কারণেই তরুণ প্রজন্ম ভুগছে দীর্ঘসূত্রিতায়। আবার এই দীর্ঘসূত্রিতার ফলেই বেড়ে যাচ্ছে তাদের বিষণ্ণতার পরিমাণ। অর্থাৎ বিষণ্ণতা ও দীর্ঘসূত্রিতার যে প্রেমকাহিনী, তা যেন হার মানায় টোয়ালাইটকেও!
একজন মানুষ যখন বিষণ্ণতায় ভোগে, তখন সে সেইসব কাজেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, সাধারণ অবস্থায় যেসব কাজ তার কাছে উপভোগ্য হিসেবেই বিবেচিত হতো। আর তাই উপভোগ্য কাজটি শুরু করার বেলায়ও তার মাঝে আলসেমি দেখা যায়। সে মনে মনে ভাবতে থাকে, কী হবে যদি কাজটি করে যদি আমার ভালোই না লাগে? আর এমন ভাবনার কারণে সে ক্রমশই কাজটিকে পেছনে ঠেলে দিতে থাকে। আর এভাবেই বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষটির মধ্যে পছন্দের কাজেও দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়।
অনেক সময় কঠিন কাজের ভীতিও কোনো মানুষকে একই সাথে বিষণ্ণতা ও দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান্ত করে ছাড়তে পারে। মনে করুন, আপনাকে এমন একটি কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেটি আপনার কাছে খুবই কঠিন বলে মনে হচ্ছে। ইতোপূর্বে কঠিন কাজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকিয়ে ফেলার লজ্জাজনক ইতিহাস রয়েছে আপনার। তাই আবারো যখন একটি কঠিন কাজের দায়িত্ব পেলেন, অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে শুরুতেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন আপনি। আর বিষণ্ণ ব্যক্তির পক্ষে মানসিক শক্তি সঞ্চার করে কোনো কাজ শুরু করা তো খুব বেশি কষ্টকর। সুতরাং যা হবার, তা-ই হলো। বিষণ্ণ আপনি এবার দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালেও বন্দি হয়ে গেলেন।
আবার বিষণ্ণতা মানুষের আত্মবিশ্বাসও কেড়ে নিতে পারে। যে কাজটি আপনি হয়তো অতীতে বহুবার করেছেন, বিষণ্ণ অবস্থায় সে কাজটি করার ক্ষেত্রেও আপনি হঠাৎ করে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে শুরু করবেন। যেহেতু ইতোমধ্যেই আপনার নিজেকে ‘গুড ফর নাথিং’ বলে মনে হতে শুরু হয়েছে, তাই যে কাজটি আপনার বাঁহাতের খেল, সেটি করার সময়ও মনে হবে, যদি কোনো ভুলচুক হয়ে বসে! এমন আত্মবিশ্বাসের অভাবই আপনাকে ঠেলে দেবে দীর্ঘসূত্রিতার দিকে।
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষদের কাছে জগতের সবকিছুকে সাময়িকভাবে অর্থহীন মনে হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রায় সময়ই দেখা যায়, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষটির স্বাভাবিক জীবনাচরণে ছন্দপতন ঘটেছে। আকস্মিকভাবেই সে মনে করছে, সে যা করছে বা যা তার সাথে ঘটছে, সেগুলো সবই অপ্রয়োজনীয়, কোনো মানে হয় না। ঠিক এমন অবস্থায় যখন তার সামনে কোনো একটি কর্তব্য এসে পড়ে, তখনও তার অবচেতন মন তাকে বলতে থাকে, কী হবে এই কাজ করে! যেমন ধরুন, আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন, এবং আগামীকাল আপনার পরীক্ষা। অন্য সময় হলে আপনি পরীক্ষার আগের রাতে প্রচুর পড়াশোনা করতেন।
কিন্তু, আজ আপনার মনে হচ্ছে, কী হবে এত পড়াশোনা করে? কী লাভ পরীক্ষায় ভালো সিজিপিএ পেয়ে? তার চেয়ে পড়াশোনা না করে শুয়ে থাকাই ভালো। এভাবেই পরীক্ষায় ভালো করার পেছনে যৌক্তিক কারণ খুঁজে না পেয়ে পড়াশোনার ব্যাপারে আপনি দীর্ঘসূত্রিতা শুরু করে দিলেন।
বিষণ্ণতা অনেক সময় এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে, তখন আক্রান্ত ব্যক্তি সকল ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে শুরু করে। এবং তার কোনো কাজে যদি সামাজিকতা রক্ষার প্রয়োজন পড়ে, তখন সে ওই কাজটি করার ব্যাপারেও অনীহা প্রদর্শন করতে থাকে। যেমন ধরুন বিষণ্ণ অবস্থায় আপনার মনে হলো, কেউ আপনাকে ভালোবাসে না, কেউ আপনাকে বোঝেও না। সুতরাং কারো সাথে সম্পর্ক না রাখাই সমীচীন। এমতাবস্থায় যদি দেখা যায় যে আগামীকাল আপনার দলীয় প্রেজেন্টেশন, সবার সাথে মিলে আপনার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, তখনো আপনি অজুহাত খুঁজতে থাকবেন যদি কোনোভাবে কাজটি থেকে নিস্তার লাভ সম্ভব হয়!
সুতরাং এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বিষণ্ণতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়, বরং এদের মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই আপনি যদি দীর্ঘসূত্রিতায় ভুগতে থাকেন, অর্থাৎ বেশিরভাগ সময়ই এখনের কাজ এখন না করে পরের জন্য ফেলে রাখেন, তবে সেটিকে কেবল নিজের চারিত্রিক ত্রুটি বা আলসেমি ভেবে বসে থাকবেন না। আপনি যে আদতে বিষণ্ণতায় ভুগছেন, সে বিষয়টি স্বীকার করে নিন, এবং বিষণ্ণতা দূরীকরণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা মনোবিদের শরণাপন্ন হোন।
আবার যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং নিজে তা উপলব্ধিও করতে পারছেন, তাহলে বিষয়টিকে আর হালকাভাবে নেবেন না, কিংবা সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলার দায়ভার সময়ের উপর ছেড়ে দেবেন না। বিষণ্ণ অবস্থায় যদি আপনার উপর কোনো বড় ধরনের কাজের দায়িত্ব পড়ে, তাহলে সেই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা আপনার জন্য খুবই দুরূহ বিষয় হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে আপনি দু’ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
প্রথমত, যদি আপনি বিষণ্ণতা সত্ত্বেও কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে আপনার মনের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়তে পারে। এই ভীষণ চাপ আপনাকে মানসিকভাবে আরো দুর্বল করে দেবে, এবং ক্রমান্বয়ে আপনার বিষণ্ণতার মাত্রা আরো বাড়বে।
দ্বিতীয়ত, আপনি যদি বিষণ্ণতায় ভোগেন, তাহলে কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করার বদলে আপনি দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান্ত হতে পারেন। দেখা যাবে, আপনি মন থেকেই চেষ্টা করছেন দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে উঠে কাজটি শুরু (এবং শেষ) করার, কিন্তু পারছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার মনের মধ্যে যেহেতু কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার দুশ্চিন্তা বিরাজ করতে থাকবে, তাই সেই দুশ্চিন্তা আপনাকে আরো বিষণ্ণ করে দেবে।
অর্থাৎ বিষণ্ণ অবস্থায় যদি কোনো কাজের দায়িত্ব চলেই আসে, তাহলে আপনি কাজটি করুন কিংবা না করুন, একটি বিষয় অবশ্যম্ভাবী, আর তা হলো আপনার আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়া। তাই কখনোই উচিত নয়- বিষণ্ণতার সমস্যাটি নিরসনের চেষ্টা না করেই কোনো কাজে হাত দেয়া, কিংবা কাজটি না করে ফেলে রাখা। বরং আপনার উচিত হবে আগে বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা, এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া।
দীর্ঘসূত্রিতা ক্ষেত্রবিশেষে মরণঘাতী ব্যাধি হিসেবেও আবির্ভূত হতে পারে। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ইউনিভার্সিটি অভ ক্যালগারির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক পিয়ার্স স্টিল। তিনি ‘দ্য প্রোক্রাস্টিনেশন ইক্যুয়েশন’ নামে একটি বইও রচনা করেছেন। তার ভাষ্যমতে,
“আপনি অবশ্যই এটি (দীর্ঘসূত্রিতা) থেকে মারাও যেতে পারেন। আমি এমন অনেককেই চিনি, যারা এর ফলে মারা গেছে। এটি অনেকটা আপনার স্তনে সৃষ্ট পিণ্ডের মতো হতে পারে, যেটি আপনি শনাক্ত করতে পেরেছেন, কিন্তু সারানোর কোনো চেষ্টা করছেন না।”
এই সারানোর চেষ্টা না করাই দীর্ঘসূত্রিতার সবচেয়ে বিপদজনক দিক। অনেক মানুষই মনে করে, এ আর এমন কী, ক’দিন পরই সব ঠিক হয়ে যাবে। আবার যাদের ক’দিন পরও ঠিক হয় না, তারাও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে কালবিলম্ব করতে থাকে। অর্থাৎ দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রেও অনেকে দীর্ঘসূত্রিতা প্রদর্শন করতে থাকে, আর সে ফাঁকে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়।
তাই কেউ যদি দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান্ত হয়, তার নিজের সচেতনতার পাশাপাশি তার কাছের মানুষদের সচেতনতাও অনেক জরুরি। যে ব্যক্তির মাঝে দীর্ঘসূত্রিতার রোগ রয়েছে, সে তো আলসেমি করবেই। তাই তার কাছের মানুষদেরই উচিত তাকে জোর করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, এবং তাকে যথাযথ চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা।
দীর্ঘসূত্রিতা (এবং বিষণ্ণতা) এমন একটি মানসিক অসুখ, যা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসালাভের কোনো বিকল্প নেই। তারপরও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগপর্যন্ত কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করা যেতে পারে।
প্রথমত, আপনি যে দীর্ঘসূত্রিতা করছেন, তা স্বীকার করে নেয়া। অধিকাংশ মানুষই এই সহজ বিষয়টিই স্বীকার করতে চায় না। ফলে গোড়ায়ই গলদ থেকে যায়, এবং সেই গলদ সংশোধনের কোনো উপায়ও থাকে না। তেমন কিছু যাতে না হয়, তাই শুরুতেই আপনাকে আপনার সমস্যাটির কথা মন থেকে মেনে নিতে হবে, এবং আন্তরিক চেষ্টা করতে হবে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার জন্য। আন্তরিক চেষ্টার প্রথম ধাপই হলো কোনো কাজ পরের জন্য ফেলে না রেখে তৎক্ষণাৎ শুরু করা।
দ্বিতীয়ত, কেন আপনি দীর্ঘসূত্রিতা করছেন, তা জানাও দরকার। অনেকের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ হয়তো তার সময়সূচির সমস্যা। আবার কারো কারো দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারে ভুল বা নিজের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কঠিন কাজ বেছে নেয়ার ফলে। তাছাড়া বিষণ্ণতার কারণে তো দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারেই। যদি বিষণ্ণতা ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়কে আপনি আপনার দীর্ঘসূত্রিতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন, তবে সেই বিষয়টির পরিবর্তন বা উন্নয়নের মাধ্যমেও আপনি দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু যদি মূল কারণটি বিষণ্ণতাই হয়ে থাকে, তাহলে আপনার উচিত হবে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া।
তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে আর দীর্ঘসূত্রিতা না করার জন্য কিছু বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন। যেমন:
- অতীতে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য নিজেকে ক্ষমা করে দিন।
- আর কখনো দীর্ঘসূত্রিতা না করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন।
- কোনো কাজকে এড়িয়ে যাওয়ার বদলে একাগ্রচিত্তে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা শুরু করুন।
- একটি রুটিন তৈরি করুন, যে কখন কাজটির কতটুকু অংশ আপনাকে শেষ করতে হবে।
- নিজের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন যে প্রতিটি ডেডলাইনের মধ্যে কাজের অংশবিশেষ সম্পন্ন করতে পারলে নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দেবেন।
- কাছের কোনো ব্যক্তিকে বলে রাখুন, সে যেন নিয়মিত আপনার ওপর নজরদারি করে যে আপনি কাজটি সত্যি সত্যি করছেন কি না।
- কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন, যেমন মোবাইল হাতে না নেয়া, কারো সাথে গল্পে মশগুল হয়ে না যাওয়া ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/