লাতিন আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া কুখ্যাত ৫ নাৎসি

১৯৮১ সালে জর্জ স্টেইনারের উপন্যাসে দেখানো হয় যে, নাৎসি শিকারীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় ৩০ বছর পর অ্যাডলফ হিটলারকে আমাজন জঙ্গলে খুঁজে পেয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে হিটলার আত্মহত্যা করেন, কিন্তু কুখ্যাত এই গণহত্যাকারী বেঁচে আছেন এবং দিব্যি লাতিন আমেরিকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন তত্ত্বও রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিণ আমেরিকা নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। হিটলারকে দক্ষিণ আমেরিকায় দেখতে পাওয়ার বিভিন্ন তত্ত্বে এই ‘স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ার’ ব্যাপারটার ভূমিকা কিছুটা হলেও রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ, তখন নাৎসি বাহিনীর জন্যে ইউরোপ দোজখের চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো। নাৎসি বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার, দলের সদস্য এবং সহযোগীরা তখন প্রাণ হাতে নিয়ে ইউরোপ ছেড়ে পালানো শুরু করলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুখ্যাত ব্যক্তিবর্গের লাতিন আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রকাশিত গোপন দলিলে দেখা যায় যে, প্রায় ৯,০০০ নাৎসি যুদ্ধাপরাধী লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫,০০০ জন গিয়েছিল আর্জেন্টিনায়, ১,৫০০-২,০০০ জনের আশ্রয় হয়েছিল ব্রাজিলে, প্রায় ৫০০-১,০০০ জন পালিয়েছিল চিলিতে এবং বাকিদের ঠাঁই হয় প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। অনেকক্ষেত্রে জেনে কিংবা না জেনে এসব কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের পালানোর ব্যাপারে ভ্যাটিকান ও রেড ক্রস সহযোগিতা করেছিল। লাতিন আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া সবচেয়ে কুখ্যাত কিছু নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আজকের আয়োজন।

নাৎসি বাহিনী কর্তৃক হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়া লাশের ছাই ও হাড়; Source: theatlantic.com

১) অ্যাডলফ আইশম্যান

ইউরোপ থেকে গোটা ইহুদি জাতি নিধনের জন্য হিটলারের চূড়ান্ত পরিকল্পনার মূল রচয়িতা ছিল এই সুৎসটাফে বা এসএস লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যাডলফ আইশম্যান। যুদ্ধ শেষে নাৎসি শিকারীদের তালিকার প্রথম ব্যক্তিটি ছিল দুর্ধর্ষ এই খুনি। ইউরোপে ইহুদিদের চিহ্নিতকরণ এবং নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো করার পর পাঠিয়ে দেওয়া হতো অসওয়িৎজ, ট্রেব্লিংকাসহ নাৎসি পরিচালিত পোল্যান্ডের বিভিন্ন ‘ডেথ ক্যাম্প’ বা মৃত্যু শিবিরে। ভয়ঙ্কর এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নিষ্ঠুর আইশম্যানের কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হয় প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে অস্ট্রিয়ায় আত্মগোপন করে থাকাকালীন সময়ে আইশম্যান ইতালির জেনোয়ার ফ্রান্সিসকান মঠের সহযোগিতায় আর্জেন্টিনার ভিসা ও জালিয়াতি করে রেড ক্রসের পাসপোর্ট জোগাড় করেন। রিকার্দো ক্লেমেন্ট ছদ্মনামে ১৯৫০ সালে জাহাজে চড়ে আর্জেন্টিনায় পাড়ি জমান আইশম্যান। আর্জেন্টিনায় কুখ্যাত এই নাৎসি অফিসার কাজ করতেন মার্সিডিজ বেঞ্জের একটি কারখানায়। বুয়েন্স আয়ার্সের শহরতলীতে আইশম্যান তার স্ত্রী ও চার সন্তানসহ নতুন জীবনের সূচনা করেন।

পাপ কি কখনো পিছু ছাড়ে? ইহুদি হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িতদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ানো নাৎসি শিকারীদের প্রখর দৃষ্টি এড়াতে পারেনি ধূর্ত আইশম্যানও। ১১ই মে, ১৯৬০ সালে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাতে ধরা পরেন আইশমান, ড্রাগ প্রয়োগে অজ্ঞান করার পর দারুণ গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তাকে ইজরায়েলে মিয়ে মোসাদ। জেরুজালেমে মাত্র চার মাসের বিচার-প্রক্রিয়ার পর দোষী সাব্যস্ত হলে ইজরায়েলি আদালত আইশম্যানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। ইহুদি গণহত্যার দায়ে ১৯৬২ সালের ৩১ মে অ্যাডলফ আইশম্যানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ইসরাইলের আদালতে আইশম্যান; Source: timesofisrael.com

২) জোসেফ মেঙ্গেল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে অপারগ হওয়ায়, এসএস অফিসার মেঙ্গেলকে নিয়োগ করা হয় অসওয়িৎজ শিবিরে, যা পরবর্তীতে নিরীহ ইহুদিদের ভাগ্যে ভয়ঙ্কর পরিণতি বয়ে আনে। বন্দীদের নিজের বিভিন্ন গবেষণার জন্যে গিনিপিগের মতো করে ব্যবহার করতেন মেঙ্গেল। তার কর্মকাণ্ড এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে, তাকে ডাকা হতো ‘মৃত্যুদূত’ নামে। মেডিকেল সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণার জন্য মেঙ্গেল বিশেষ করে বেছে নিতেন যমজ, গর্ভবতী মহিলা এবং বিকলাঙ্গদের। পরীক্ষার নামে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করা হতো এসব বন্দীদের, মেঙ্গেলের নিষ্ঠুর হাত থেকে নিস্তার পায়নি অবুঝ শিশুরাও। তাই আইশম্যানের পরই নাৎসি শিকারীদের লক্ষ্য ছিল জোসেফ মেঙ্গেল।

গ্যাস চেম্বার থেকে বের করা হচ্ছে একজন বন্দীর লাশ; Source: aljazeera.com

জার্মানিতে প্রায় ৩ বছরের বেশি লুকিয়ে থাকার পর, ১৯৪৯ সালে মেঙ্গেলে ক্যাথলিক চার্চের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সহযোগিতায় ইতালি হয়ে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যান। আইশম্যানের মতোই তিনিও বসবাস করতেন বুয়েন্স আয়ার্সের কোনো এক নির্জন অঞ্চলে, কিন্তু মোসাদের হাতে আইশম্যানের বন্দী হওয়ার খবর পেয়ে আর্জেন্টিনা থেকে প্রথমে প্যারাগুয়ে এবং এরপর তিনি ব্রাজিলে আত্মগোপন করেন। যুগের পর যুগ নাৎসি শিকারীরা মেঙ্গেলকে খুঁজে বেড়িয়েছে, কিন্তু তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল। অবশেষে, ভাগ্য মেঙ্গেলেকে ঠেলে দেয় চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। ১৯৭৯ সালে ব্রাজিলের কোন এক উপকূলে সাঁতার কাটার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় মেঙ্গেল। ব্রাজিলে বিভিন্ন ছদ্মনামে জীবন যাপন করায় তখনো নিশ্চিত করা যায়নি মেঙ্গেলের মৃত্যু। মেঙ্গেলের দেহাবশেষ ১৯৮৫ সালে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার পর অবশ্য সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।

বন্দিদের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছেন মেঙ্গেল; Source: all-that-is-interesting.com

৩) ওয়াল্টার রাউফ

এসএস কর্নেল ওয়াল্টার রাউফ কুখ্যাত মোবাইল বা চলমান গ্যাস চেম্বারের নির্মাণ ও প্রয়োগের জন্য। তার এই পরিকল্পনার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় ১,০০,০০০ জন নিরীহ মানুষ। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, রাউফ ট্রাক বিশেষভাবে পরিবর্তন করে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করতো। চলমান ট্রাকের ধোঁয়া পাইপের মাধ্যমে পেছনে রাখা বিশেষভাবে তৈরি চারপাশ আটকানো চেম্বারের মধ্যে পরিচালনা করা হতো, যেখানে প্রতিবারে প্রায় ৬০ জনকে পাঠানো হতো নির্দয়ভাবে হত্যার করার জন্য। ধোঁয়ায় উপস্থিত কার্বন-মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় এবং দম বন্ধ হয়ে নিমিষে মারা যেত বন্দীরা। যতক্ষণে বন্দীরা মারা যেত, ততক্ষণে ট্রাকগুলোও পৌঁছে যেত বিভিন্ন গণ-কবরস্থানে।

যুদ্ধশেষে মিত্রবাহিনীর হাতে বন্দী হলেও, আমেরিকার বন্দী শিবির থেকে পালিয়ে ইতালিতে আত্মগোপন করেন রাউফ। ১৯৪৮ সালে, তৎকালীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন তিনি। এরপর ১৯৪৯ সালের দিকে আবার ইতালি হয়ে ইকুয়েডরে পাড়ি দেন। পরবর্তীতে নিজের আসল নাম নিয়ে চিলিতে বসবাস শুরু করেন।

দুর্ভাগ্য বলতে হবে, কারণ এই নাৎসি অফিসারকে বিচারের মুখোমুখি করানো যায়নি। ১৯৫৮-৬০ এই সময়কালে রাউফ পশ্চিম জার্মানির একজন গুপ্তচর হিসেবে কাজ চালিয়ে গেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পেনশন চিলির নতুন ঠিকানায় পাঠানোর জন্য জার্মানিতে চিঠি পাঠালে, তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে জানা যায়। ঐ বছরেই চিলিতে তাকে গ্রেফতার করা হলেও চিলির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পরের বছরেই মুক্তি পান রাউফ। চিলিতে ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধী। তার শেষকৃত্যে উপস্থিত জার্মান ও চিলিয়ানরা তাকে নাৎসি অভিবাদন প্রদান করার পাশাপাশি ‘Heil Hitler‘ স্লোগান দেয়।

ওয়াল্টার রাউফ; Source: pinterest.com

৪) ফ্রানৎস স্টাঙ্গল

যুদ্ধ শেষে আমেরিকান সৈন্যদের হাতে বন্দী হলেও ‘সাদা মৃত্যু’ হিসেবে পরিচিত স্টাঙ্গল ১৯৪৭ সালে অস্ট্রিয়ান বন্দি শিবির থেকে পালিয়ে ইতালি চলে যান। সাদা ইউনিফর্ম পরিধান ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্টাঙ্গলকে ‘সাদা মৃত্যু’ নাম দেওয়া হয়। নাৎসিপন্থী অস্ট্রিয়ান বিশপ আলোয়িস হুদালের সহযোগিতায় রেড ক্রসের পাসপোর্ট নিয়ে সিরিয়া যাওয়ার পর ব্রাজিলের পথ ধরেন ১৯৫১ সালে। নাৎসি শিকারীদের অন্যতম লক্ষ্যে পরিণত হওয়া ও পালিয়ে বেড়ানোর পেছনে তার নিষ্ঠুর কার্যক্রম দায়ী। অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত এই নাৎসি অফিসার কাজ করতেন Atkion T-4 কার্যক্রমে। এই কার্যক্রমের অধীনে মূলত বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রক্রিয়ায় হত্যা করা হতো শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষমদের।

সোবিবোর বন্দী শিবিরে কাজ করার সময় প্রায় ১,০০,০০০ এর বেশি ইহুদি হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। হয়ত তার নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে তাকে পাঠানো হয় দ্বিতীয় ভয়ংকর মৃত্যুপুরী ট্রেব্লিংকা বন্দীশিবিরে। এই শিবিরে তার নিষ্ঠুরতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় পূর্বের হত্যা সংখ্যাকে, স্টাঙ্গল সরাসরি প্রায় ৯,০০,০০০ জনের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন।

বিখ্যাত নাৎসি শিকারি সিমন উইজেনথাল ব্রাজিলের সাও পাওলোতে স্টাঙ্গলের সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করার পর, ১৯৬৭ সালে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে স্টাঙ্গলকে আজীবন কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালে মারা যান স্টাঙ্গল।

ফ্রানৎস স্টাঙ্গল; Source: br.de

৫) ইউসেফ সোয়াবেয়াগার

পোল্যান্ডের রোজওয়াদো জোরপূর্বক শ্রম শিবিরের দায়িত্ব ১৯৪২ সালে ইউসেফ সোয়াবেয়াগার নেওয়ার পর, সেখানে শত শত মানুষ নির্বিচারে মারা যেতে থাকে। অনেককে নিজে গুলি করে হত্যা করেছেন কুখ্যাত এই এসএস অফিসার। সেমেসো ক্যাম্পের প্রায় ৫০০ জন ইহুদি গণহত্যার মূল হোতা ছিলেন তিনি এবং প্রায় ৩৫ জনকে ঘাড়ের পিছনে গুলি করে হত্যা করেন। প্রবল ইহুদি বিদ্বেষী এই নাৎসি অফিসার বন্দীদের উপর প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড লেলিয়ে দিতেন এবং অনেক বন্দীকে অসওয়িৎজ মৃত্যু শিবিরে স্থানান্তরিত করার পিছনে ব্যাপক ভূমিকে রেখেছিলেন। ইহুদি অধ্যুষিত মিয়েলেক্স শহর একরকম সম্পূর্ণ ইহুদিশূন্য করে ফেলেন সোয়াবেয়াগার। তার সম্বন্ধে নাৎসি শিকারী সিমন উইজেনথাল বলেন, “তার পথ ছিল লাশে পরিপূর্ণ।”

আরো অনেক নাৎসি অফিসারের মতোই, অস্ট্রিয়া থেকে ১৯৪৮ সালে পালিয়ে ইতালি চলে যান তিনি। মাত্র কয়েক মাস পরেই পাড়ি জমান আর্জেন্টিনায়, যেখানে নিজের আসল নামেই বসবাস করতেন এবং একসময় নাগরিকত্বও অর্জন করেন। কিন্তু সময়ের পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার করা হয় তাকে এবং পশ্চিম জার্মানির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৯০ সালে বিচারের মুখোমুখি হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আজীবন কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। বিচার চলাকালীন সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় যে, সোয়াবেয়াগার বন্দীদের আগুনে ছুঁড়ে মারতেন, গণকবরের পাশে ইহুদিদের নিয়ে হাঁটু গেঁড়ে বসিয়ে গুলি করে হত্যা করতেন। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো তিনি শিশুদের দেয়ালে নিক্ষেপ করে হত্যা করতেন। কারণ সোয়াবেয়াগার অতিরিক্ত গুলি খরচ করতে রাজি ছিলেন না। কারাগারে সাজা ভোগকালে ২০০৪ সালে ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন কুখ্যাত এই নাৎসি অফিসার।

ইউসেফ সোয়াবেয়াগার; Source: history.com

ফিচার ইমেজ- fastcodesign.com

Related Articles

Exit mobile version