ঐতিহাসিক দুর্গ ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’ শুধুমাত্র রাজকীয় বাসভবনই নয়, এটি পৃথিবীব্যাপী পরিচিত আরো অনেক বৈশিষ্ট্যের জন্য। কখনো অস্ত্রাগার, কখনো কোষাগার, কখনো নথিপত্রের ভাণ্ডার, আবার কখনোবা ইংল্যান্ডের রাজকীয় গয়না ও সম্পদের ভাণ্ডার- প্রায় সব ভূমিকাতে কাজে লাগানো হয়েছে এই ঐতিহাসিক ভবনটিকে। তবে সম্ভবত এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত এর ভয়ংকর কয়েদখানা এবং নির্যাতন কক্ষের জন্য।
টাওয়ারটি তৈরির পর থেকেই এর কারাগার দেখা পেয়েছিল বেশ কিছু ইতিহাস প্রসিদ্ধ কয়েদীর। তার মধ্যে উঠতি বিপ্লবী থেকে শুরু করে লাঞ্ছিত রাজবংশীয়- কে না ছিল! এমনই বিখ্যাত ছয়জন বন্দীর সম্পর্কে আমরা জানবো আজ, যাদের জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে টাওয়ার অফ লন্ডনের ভয়ানক কারাগারে।
অ্যান বোলেন
রাজা অষ্টম হেনরির দ্বিতীয় স্ত্রী অ্যান বোলেন দুবার টাওয়ার অফ লন্ডনের বাসিন্দা হয়েছিলেন, তবে দুবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই ভূমিকায়। একবার হেনরির প্রথম স্ত্রীর পরিচর্যাকারী বা ‘লেডি-ইন-ওয়েটিং’ হিসেবে, আরেকবার নিন্দিত কয়েদী হিসেবে।
১৫২২ সালে অ্যান, রাজা অষ্টম হেনরির প্রথম স্ত্রী রানী ‘ক্যাথরিন অফ আরগনে’র ‘লেডি-ইন-ওয়েটিং’ হিসেবে নিযুক্ত হন। তার আকর্ষণীয় চেহারা ও মার্জিত ব্যবহারের কারণে অল্প সময়েই রাজসভায় তার অনেক প্রশংসাকারী জুটে যায়। রাজা হেনরি সে সময়ে তার প্রথম স্ত্রীর উপর বিরক্ত ছিলেন, কারণ ক্যাথরিনের কোনো ছেলেসন্তান ছিল না। হেনরি প্রথমে অ্যানের বোন মেরির সাথে সম্পর্কে জড়ান। এরপর তার নজর পড়ে অ্যানের প্রতি। প্রথমদিকে অনেক বাধা দিলেও শেষ পর্যন্ত ১৫৩৩ সালে হেনরির প্রথম সন্তান অ্যানের গর্ভে আসে। সে বছরই গোপন রীতির মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেবার রোমান ক্যাথলিক চার্চের উপর আধিপত্য বিস্তার করে হেনরি নিজেকে সর্বেসর্বা হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং ক্যাথরিনের সাথে তার বিয়ে রদ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যে অ্যানকে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের রানীর উপাধি দেওয়া হয়।
যে অ্যানকে পাওয়ার জন্য রাজা এত মরিয়া ছিলেন, এলিজাবেথের জন্মের পর, পরপর দুটো অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাতের সাথে সাথে সেই আকর্ষণের তীব্রতা কমতে শুরু করল। ছেলে উত্তরাধিকারীর জন্য হেনরি উতলা ছিলেন। তিনি যখন জানতে পারলেন, না জন্মানো দ্বিতীয় বাচ্চাটা ছেলে ছিল, অ্যানকে অভিশপ্ত বলা শুরু করলেন। তিনি আবার অ্যানের পরিচর্যাকারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লেন আর অ্যানের সাথে সম্পর্ক শেষ করার উপায় খুঁজতে থাকলেন। ছেলে উত্তরাধিকারী জন্ম দিতে না পারাই অ্যানের জন্য কাল হলো, তার বিরুদ্ধে ব্যভিচার, বিশ্বাসঘাতকতা, ডাকিনীবিদ্যা চর্চা, এমনকি নিজের ভাইয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে ১৫৩৬ সালে তাকে টাওয়ার অফ লন্ডনের কারাগারে বন্দী করা হয়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তিনিই ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম রানী, যাকে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, শেষ মুহূর্তে তিনি নিজের উপর চাপানো অভিযোগ অস্বীকার তো করেনইনি, বরং হেনরির সম্পর্কে বেশ ভালো ভালো কথা বলে গেছেন, হয়তো প্রচণ্ড কষ্ট ও অভিমান থেকেই।
স্যার ওয়াল্টার র্যালে
টাওয়ার অফ লন্ডনে দীর্ঘতম সময় থাকা বন্দীদের মধ্যে স্যার ওয়াল্টার র্যালে অন্যতম। দীর্ঘ ১৩ বছর তিনি ঐ দুর্গে বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন।
১৫৭৮ সাথে ওয়াল্টার তার সৎ ভাইয়ের সাথে আমেরিকায় পাড়ি জমান। এই অভিযানই সম্ভবত তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল সেখানে উপনিবেশ গড়তে। ১৫৮৫ সালে তিনি তৎকালীন রোয়ানোক দ্বীপে (বর্তমানে নর্থ ক্যারোলিনা) প্রথম ইংরেজ উপনিবেশ গঠনের চেষ্টা করেন। এরকম পরপর দুটি চেষ্টা তার ব্যর্থ হয়। আয়ারল্যান্ডের মুনস্টার প্রদেশে এক বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে ১৫৮০ সালে রানী এলিজাবেথের নজরে আসেন র্যালে। খুব দ্রুতই তিনি রানীর প্রিয়পাত্র হয়ে যান এবং তাকে ‘নাইট’ উপাধি দেওয়া হয়। রানীর দেহরক্ষীদের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পান তিনি। খুব সম্ভবত রানী এলিজাবেথের মনে ওয়াল্টারের প্রতি দুর্বলতা গড়ে উঠেছিল। যার কারণে ১৯৫২ সালে রানীর এক সহচরী এলিজাবেথ থ্রকমর্টনের সাথে র্যালের গোপন বিয়ের খবর রানীর কানে আসলে, রানী এলিজাবেথ ক্রোধোন্মত্ত হয়ে র্যালে ও তার স্ত্রীকে টাওয়ারে বন্দী করেন। ‘এলিজাবেথ: দ্য গোল্ডেন এজ’ চলচ্চিত্রে ওয়াল্টার র্যালে ও রানী এলিজাবেথের মাঝে সেই নৈকট্য দেখানো হয়েছে।
মুক্তি পাওয়ার পর পুনরায় রানীর সুনজরে আসতে র্যালে ‘এল ডোরাডো‘ (যা ছিল কাল্পনিক এক স্বর্ণভূমি, গুইয়ানার অরিনোকো নদীর মুখ থেকে আরো বহুদূরে যার অবস্থান বলে গুজব ছিল) এর খোঁজে এক অভিযান চালান, যা অবধারিতভাবে অসফল হয়। রানীর নৈকট্যের কারণে এলিজাবেথের উত্তরাধিকারী, প্রথম জেমসের বিরাগভাজনে পরিণত হন র্যালে। ১৬০৩ সালে তার বিরুদ্ধে জেমস রাজদ্রোহের অভিযোগ এনে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে এই সাজা কমিয়ে র্যালেকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পরবর্তী ১২ বছর র্যালে কাটান বন্দী অবস্থায়। সেখানেই তিনি ‘হিস্টোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর প্রথম খণ্ড রচনা করেন। ১৬১২ সালে র্যালেকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় এল ডোরাডো খোঁজার অভিযানে পাঠানো হয়। অভিযান তো ব্যর্থ হয়ই, উপরন্তু রাজার আদেশ অমান্য করে র্যালে ও তার দল স্প্যানিশদের উপর আক্রমণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬১৮ সালের ২৯ অক্টোবর স্যার ওয়াল্টার র্যালের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কেল্লার রাজপুত্ররা
‘প্রিন্স’স ইন দ্য টাওয়ার’ অর্থাৎ কেল্লার রাজপুত্ররা ছিল রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ডের দুই সন্তান- ১২ বছরের এডওয়ার্ড ও ১০ বছরের রিচার্ড। এডওয়ার্ডকে যুবরাজ ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই এই দুই রাজপুত্র কেল্লা থেকে গায়েব হয়ে যায়। এরপর আর তাদের জীবিত দেখা যায়নি।
১৪৫৫ সাল থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ডের ধারাবাহিক গৃহযুদ্ধের শেষের দিকে (যা ‘ওয়ার অফ রোজেজ’ নামে পরিচিত) চতুর্থ এডওয়ার্ড ক্ষমতায় আসেন এবং দেশে কিছুটা শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। ১৪৮৩ সালে তার হঠাৎ মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে পঞ্চম এডওয়ার্ডকে যুবরাজ ঘোষণা করা হয় লাডলোওতে। আর তার চাচা, গ্লস্টারের ডিউক রিচার্ড নিযুক্ত হন তার অভিভাবক হিসেবে। রিচার্ড প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখতেন তার ভাইয়ের ছেলেদেরকে। রিচার্ডের আদেশেই দুই রাজপুত্র টাওয়ার অফ লন্ডনে একপ্রকার গৃহবন্দী হয়েই থাকেন, কেননা গ্লস্টারের ডিউক রিচার্ড তাদের পিতার বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করে তাদেরকে অবৈধ উত্তরাধিকারী এবং নিজেকে সিংহাসনের যোগ্য উত্তরসূরি দাবি করেন। রাজপুত্রদেরকে তাদের বিলাসবহুল কক্ষ থেকে গার্ডেন টাওয়ারে (যা পরে ‘ব্লাডি টাওয়ার’ নামে পরিচিত হয়) অবরুদ্ধ করা হয়। কিছুদিন পর সেখান থেকে দুই রাজপুত্র বেমালুম গায়েব হয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রাজার ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা আজও রহস্যাবৃত। ১৪৯৭ সালে এক লোক নিজেকে পঞ্চম এডওয়ার্ড দাবি করে সিংহাসন দখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে দেখা যায়, সে মূলত একজন ভণ্ড এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। দুই রাজপুত্রের ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তার কিছুটা অনুমান করা যায় ১৬৭৪ সালে কেল্লার পুনঃসংস্কারের সময় পাওয়া দুটো বাচ্চার কঙ্কাল থেকে। যদিও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা যায়নি, আদৌ কঙ্কাল দুটো হারিয়ে যাওয়া রাজপুত্রদেরই কিনা। তবে চাচা রিচার্ডই তার ভাতিজাদের হত্যা করেছিল, এ ধারণা আরো শক্ত করে ঐ কঙ্কালগুলো।
গাই ফোকস
গানপাউডার প্লটের গাই ফোকসকে চেনে না, এমন মানুষ কমই আছে। বিদ্রোহী যোদ্ধা ও সংগ্রামী ক্যাথলিক গাই ফোকস জড়িয়ে পড়েন এক দুঃসাহসিক ষড়যন্ত্রে। সেই ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন এখানে।
রাজা প্রথম জেমস ও তার সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার লক্ষ্যে ৩৫ ব্যারেল গোলাবারুদ নিয়ে ওয়েস্টমিনিস্টার প্যালেসের নিচে অপেক্ষারত অবস্থায় ধরা পড়েন গাই ফোকস। টাওয়ার অফ লন্ডনের কুখ্যাত কারাকক্ষ ‘লিটল ইজ (Ease)’ এ রাখা হয় তাকে। এ কক্ষটি এমন করে বানানো, যেন এতে থাকা কয়েদী সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়াতে বা শুতে না পারে। পরবর্তীতে অবর্ণনীয় অত্যাচারে ফোকস ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সব বিস্তারিত বলে দেন। দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। তবে ফাঁসিকাষ্ঠ থেকে পালাতে গিয়ে পড়ে ঘাড় ভেঙে মারা যান তিনি।
গাই ফোকস ও গানপাউডার প্লটের চেতনা যুগ যুগ ধরে বিপ্লবীদের প্রেরণা যুগিয়েছে। গাই ফোকস হয়তো মারা গেছেন, কিন্তু তার বিপ্লবী চেতনা মরেনি। প্রতি বছর নভেম্বরের ৫ তারিখে এখনো মনে করা হয় সেই গানপাউডার প্লট ও গাই ফোকসকে।
লেডি জেন গ্রে
রাজা ষষ্ঠ এডওয়ার্ডের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে তার চাচাতো বোন কিশোরী জেন গ্রে সিংহাসনে আরোহণ করেন। এডওয়ার্ডের কোনো পুরুষ উত্তরসূরী ছিল না। উপরন্তু, তার সৎ বোন মেরি ছিলেন ক্যাথলিক ধর্মানুসারী। মেরির হাতে ক্ষমতা গেলে ক্যাথলিকদের হাতে ক্ষমতা যাবে, এই ভয়ে এডয়ার্ড তার উত্তরাধিকারী হিসেবে জেনকে নির্বাচন করে যান।
কিন্তু নবনির্বাচিত রানী মাত্র নয় দিন রাজত্ব করার সুযোগ পান। মেরি নিজের পক্ষে বেশ বড়সড় জনমত গড়ে তোলেন, এদিকে অদ্ভুতভাবে রাজার অনুগতরাও আকস্মিকভাবে মেরির প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে এবং তাকে ইংল্যান্ডের যোগ্য রানী হিসেবে মেনে নেয়। বাধ্যতামূলকভাবে রানীর পদমর্যাদা থেকে সরিয়ে জেনকে তার বিলাসবহুল কক্ষ থেকে কেল্লার বন্দীদের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সার্বক্ষণিক পাহারায় রাখা হলেও দুর্গের সামনে তাকে মাঝে মাঝে হাঁটার অনুমতি দেওয়া হতো, এমনকি দেওয়া হতো সাপ্তাহিক হাতখরচও। ১৫৫৩ সালে জেনের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে তা সত্য প্রমাণিত হলেও রানী মেরি তাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু ১৫৫৪ সালে জেনের বাবা রানীর বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়লে তাকে সমর্থন ও মদদের দায়ে জেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
রুডলফ হেস
বিংশ শতাব্দীর দিকে এসে টাওয়ার অফ লন্ডন মূলত পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান ও রাজকীয় গয়নার জন্য সংরক্ষিত স্থানে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার এটি নিজের পুরোনো পরিচয়ে ফিরে যায়, ব্যবহৃত হয় বন্দীশালা হিসেবে, যখন দুজন উচ্চ পদস্থ নাৎসি কর্মকর্তা ব্রিটেনের মাটিতে ধরা পড়ে। তার মধ্যে একজন ছিলেন রুডলফ হেস, যিনি হিটলারের নাৎসি বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন।
দলত্যাগ করে ব্রিটিশদের সাথে শান্তি পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে তিনি প্যারাসুটের সাহায্যে স্কটল্যান্ডে অবতরণ করেন। কিন্তু তার উদ্দেশ্যের প্রতি সন্দিহান উইনস্টন চার্চিল তাকে টাওয়ার অফ লন্ডনে বন্দী করেন। বন্দী অবস্থায় হেসের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা যায়। এমনকি বিক্ষুব্ধ হিটলারও তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দেন।
১৯৪৫ সালে তাকে জার্মানিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং নুরেমবার্গে তার উপর বিচারকার্য চালানো হয়। মানসিক ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৮৭ সালে বার্লিনের স্পান্দাউ কারাগারে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ফিচার ইমেজ- historic-uk.com