১৯৩৯ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী ২য় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের যুগে প্রবেশ করে বিশ্ব। ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যখন যুদ্ধ সমাপ্তি ঘটে তখন শুধুমাত্র আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ক্ষয়ক্ষতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলার বিষয়টি। আজও ঐ বিশেষ দিনগুলোকে স্মরণ করে মার্কিনীদের পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করলে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকির হামলাটিকেই বলা হবে সবথেকে ব্যয়বহুল। কিন্তু নাৎসিদের বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনী তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অভিযানের কারণে ইউরোপে বড়সড় দাম নিতে হয় হিটলার এবং তার মিত্রদের।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনালগ্নে পরমাণু গবেষণায় অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যায় জার্মানি। ১৯৩৮ সালে বিজ্ঞানী অটো হান নিউক্লিয়ার ফিশন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এই পদ্ধতি আবিষ্কারের পর ইউরেনিয়াম মজুদ করে গোপন কার্যক্রম শুরু করে জার্মানি। পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশে ওয়ার্নার কার্ল হাইজেনবার্গ নেতৃত্বে একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক ইউনিট গঠন করে তারা। বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জার্মানির পারমাণবিক কার্যক্রমের বিষয়ে গুঞ্জন বাড়তে থাকে। সেসময় নাৎসিদের বহুল আলোচিত ‘আশ্চর্য অস্ত্র (Wonder weapon)’ মিত্র বাহিনীকে আতঙ্কিত করে তোলে। এছাড়াও হিটলার বাহিনীর সংগ্রহে ভূকম্পন জেনারেটর এবং মৃত্যু রশ্মি (death rays) রয়েছে বলেও গুঞ্জন রটে।
গুপ্তচরদের দেয়া তথ্যমতে, জার্মানির সংগ্রহে সম্ভাব্য অস্ত্রের মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য ছিল মানবসৃষ্ট জৈবাস্ত্র, রকেট এবং বিষাক্ত গ্যাস। জার্মানির গোপন বৈজ্ঞানিক ইউনিট ‘ইউরানভেরেইন’ গঠনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তারা পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে পারে বলে সন্দেহ করে মার্কিন গোয়েন্দারা। এছাড়াও জার্মানি পারমাণবিক বোমা নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে এবং এটি মানবজাতির জন্য কত বড় হুমকি তা জানিয়ে ১৯৩৯ সালেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টকে চিঠি দেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। তার চিঠি পাওয়ার পর একটা বিষয় পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে বুঝে নেন মার্কিন গবেষকরা। মার্কিনীদের ম্যানহাটন প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে হাইজেনবার্গের নেতৃত্বে গড়া জার্মানির ইউরানভেরেইন বা ইউরেনিয়াম ক্লাব।
জার্মানির পরমাণু পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নিতে এবং তাদের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে জানতে গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সেনা সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন কর্নেল বোরিস টি. প্যাশ। তিনি ছিলেন ম্যানহাটন প্রজেক্টের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা। জার্মানির পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে জানার জন্য পরিচালিত এই অভিযানের আনুষ্ঠানিক নাম অ্যালসস মিশন দেয়া হলেও সেকালে একে ‘লেফট্যানেন্ট এ’ নামেই অভিহিত করে মার্কিনীরা। এই অভিযানের মাধ্যমে জার্মানির পরমাণু পরীক্ষাগার অবধি পৌঁছাতে পেরেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কর্নেল প্যাশের নেতৃত্বে পরিচালিত দুঃসাহসিক এই অভিযান নিয়েই আজকের আলোচনা।
অপারেশন বিগ
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার পর ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাসে জার্মানিতে পৌঁছায় মার্কিন গোয়েন্দা দল। গুপ্তচরদের দেয়া তথ্যানুযায়ী জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত হাইডেলবার্গ শহরের দিকে যাত্রা করে প্যাশ এবং তার দলবল। শুধুমাত্র ২টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৪টি মেশিনগান-সজ্জিত জিপ এবং কিছু সংখ্যক জার্মান অস্ত্রশস্ত্র নিয়েই যাত্রা করেন তারা। আর এই অভিযানের নাম দেয়া হয় অপারেশন বিগ। একই সময় নাৎসিদের পতন ঘটছিল জার্মানিতে। তবুও বেশ সাবধানতা অবলম্বন করেই অগ্রসর হন মার্কিন গোয়েন্দারা। পথিমধ্যে নাৎসি তরুণদের হুমকির মুখেও পড়তে হয় একাধিকবার। মূলত এই তরুণ সদস্যরা ছিল হিটলারের অন্ধভক্ত। তাদের বাহিনীকে বলা হতো ‘ওয়্যার উল্ভস’।
মিত্রবাহিনীর সাহায্য নিয়ে লেফটেন্যান্ট ‘এ’ হাইডেলবার্গ পেরিয়ে হাইগেরলোচ শহরে পৌঁছায়। সৌভাগ্যবশত এবার কোনোপ্রকার সামরিক বাধার সম্মুখীন হয়নি তারা। আর শহরের মানুষজন পরাজয় বুঝতে পেরে নিজেদের বাড়ির বারান্দা এবং জানালায় আত্মসমর্পণের সাদা কাপড় ঝুলিয়ে রাখে। আর বেশি দূর এগোতে হয়নি, হাইগেরলোচ শহরেই জার্মানির পরমাণু পরীক্ষাগারের খোঁজ পায় মার্কিন গোয়েন্দারা। সেখানে একটি চুল্লিও খুঁজে পান লেফটেন্যান্ট প্যাশ। পরদিন তারা চুল্লিসহ ঝুঁকিপূর্ণ জিনিসপত্র খুলে পরীক্ষাগারটি একেবারে ধ্বংস করে দেয়।
অতঃপর প্যাশ তার ছোট্ট বাহিনীকে দুই ভাগে বিভক্ত করে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত আত্মগোপনে থাকা জার্মান পরমাণু বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করতেই এই পরিকল্পনা করেন তিনি। প্রথম ইউনিটের সদস্যরা টাইলফিঙ্গেন শহরে তরুণ নাৎসিদের ওয়্যার উল্ভস বাহিনীর মুখোমুখি হয়। পরবর্তীতে অবশ্য সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায় তারা। আর অন্যদল, বিসিঙ্গেন শহরে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সেখানে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে সেই বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে পরমাণু বিজ্ঞানীদের খোঁজে অপারেশন বিগ এর দ্বিতীয় অংশ অব্যাহত রাখেন লেফটেন্যান্ট প্যাশ।
২৪ এপ্রিল প্যাশ এবং তার গোয়েন্দারা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খুঁজে পান। বাইরে থেকে এটি দেখতে টেক্সটাইল মিল মনে হলেও ভেতরে চলছিল পরমাণু পরীক্ষার কার্যক্রম। সেখানে বিভিন্ন রকম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির নকশা খুঁজে পায় মার্কিন গোয়েন্দারা। ঐ টেক্সটাইল মিল থেকে ২৫ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় জার্মান বিজ্ঞানীরা দাবি করেন তাদের গবেষণার সকল নথিপত্র ধ্বংস করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত ধ্বংস না করে সমস্ত নথিপত্র জলরোধক ড্রামের মধ্যে সিলগালা করে অগভীর মলকুণ্ডে লুকিয়ে রেখেছিল ইউরেনিয়াম ক্লাবের কর্মীরা। প্রথমে বিরক্ত হলেও গোয়েন্দাদের একজনকে দিয়ে এসব নথিপত্র উদ্ধার করেন প্যাশ।
আরও কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ইউরেনিয়াম পিল এবং নিউট্রন মডারেটর হিসেবে ব্যবহৃত হেভি ওয়াটার বা ভারী পানির সন্ধান পায় মার্কিন গোয়েন্দারা। সাধারণ পানি হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন দিয়ে গঠিত। ডিউটেরিয়াম অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে যে পানি তৈরি করে তাকে বলা হয় ভারী পানি। অন্যান্য বিজ্ঞানীর দেয়া তথ্য অনুসরণ করে মার্কিন গোয়েন্দারা হাইজেনবার্গের অফিস অবধি পৌঁছাতে পেরেছিলেন। যদিও দুর্ভাগ্যবশত সেখানে তাকে খুঁজে পায়নি তারা। মার্কিন গোয়েন্দারা সেখানে পৌঁছানোর সপ্তাহখানেক আগেই নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে বাভারিয়ান পাহাড়ি অঞ্চলে ভ্রমণ করেন ইউরেনিয়াম ক্লাবের প্রধান এই বিজ্ঞানী। মার্কিন গোয়েন্দাদের অবস্থান থেকে এই দূরত্ব ছিল প্রায় ২০০ মাইল!
কার্ল হাইজেনবার্গের খোঁজে মার্কিন গোয়েন্দারা
নথিপত্র উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অপারেশন বিগ এর সমাপ্তি ঘোষণা করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ততক্ষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গিয়েছিল যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে জার্মানি ঠিক কতটুক পিছিয়ে আছে। তবে অভিযান শেষে ওয়ার্নার কার্ল হাইজেনবার্গকে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেন লেফটেন্যান্ট প্যাশ। ২০০ মাইল পাড়ি দিয়ে বাভারিয়ান পর্বতমালায় পৌঁছানোর কথা ভাবেন তিনি। এরই মধ্যে নাৎসিদের ওয়্যার উল্ভস বাহিনী তাদের পিছু নিয়েছে এমনও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
দীর্ঘ এই যাত্রাপথে ওয়্যার উল্ভসের সদস্যরা মার্কিন গোয়েন্দাদের রুখতে বিশাল সেতু উঁড়িয়ে দেয়। অতঃপর লেফটেন্যান্ট ‘এ’ টিম তাদের সকল যানবাহন এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র রেখেই গিরিখাত পেরিয়ে পাহাড়ে পৌঁছায়। পাহাড়ে অভিযানের সময় কৌশলগত কারণে সকল সদস্যকে সাথে নেননি লেফটেন্যান্ট প্যাশ। মাত্র ১৯ জন সদস্যকে সাথে নিয়েই উরফেল্ড শহরের পাশ্ববর্তী ওয়ালচেন লেকের পাড়ে পৌঁছে যান তিনি। মিত্রবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেখানকার স্থানীয় লোকজন এবং কিছু সংখ্যক জার্মান সেনা আত্মসমর্পণ করে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেরা সংখ্যায় কম এটি বুঝতে দেননি প্যাশ। জার্মান সেনাদের কাছ থেকে কিছু সংখ্যক 700 SS মডেলের মার্কিন অস্ত্রও উদ্ধার করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
প্যাশ জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হাইজেনবার্গের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। শেষপর্যন্ত ইউরেনিয়াম ক্লাবের এই শীর্ষ বিজ্ঞানীর সন্ধান পায় মার্কিন গোয়েন্দারা। ১৯৪৫ সালের ২ মে পাহাড়ে অবস্থিত একটি গোপন কেবিন থেকে সপরিবারে আটক করা হয় তাকে। এর ২ দিন পূর্বে হিটলার আত্মহত্যা করেন। কার্ল হাইজেনবার্গ এবং আটক হওয়া অন্যান্য পরমাণু বিজ্ঞানীদের ইংল্যান্ডের গডম্যানচেস্টারের ফার্ম হলের একটি বাড়িতে গৃহবন্দী করা হয়।
যদিও আটককৃত বিজ্ঞানীদের অনেকে দাবি করছিলেন তারা হিটলারের বিরোধিতা করেছেন। পারমাণবিক বোমা বানাতে নয় বরঞ্চ হিটলারকে থামাতেই নাকি এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা। তাদের উপর নজরদারি করা ব্রিটিশ গোয়েন্দারা শেষপর্যন্ত কয়েকজনের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। তবে নিউক্লিয়ার ফিশনের আবিষ্কারক অটো হান প্রমাণ করেন যে, তিনি জার্মানির পারমাণবিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। বরঞ্চ তিনি হিটলারকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে অটো হানকে মুক্তি দেয় মার্কিন গোয়েন্দারা।
বন্দী থেকেও মানসিকভাবে হাল ছাড়েননি কার্ল হাইজেনবার্গ। অন্যদিকে, নাৎসিদের পতন ঘটলেও অক্ষশক্তির অন্যতম প্রধান দেশ জাপান পুনরায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জাপানকে উচিত শিক্ষা দিতে হিরোশিমায় লিটল বয় নামক পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হাইজেনবার্গ শুনে বলেন, “পুরো বিষয়টি আমি একটুও বিশ্বাস করি না।” এর তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকিতে ফ্যাটম্যান নামক আরও একটি পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের ইতিহাসটুকু মার্কিনীদের পক্ষেই লেখা হয়।
যেখানে বন্দী অবস্থায় জার্মান বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, একটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমান জায়গা প্রয়োজন, সেখানে তাদেরকে আটক করার মাত্র চার মাসের মাথায় দুটো পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে জার্মানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা মিত্রবাহিনী। অন্যদিকে, লেফটেন্যান্ট প্যাশ কর্তৃক পরিচালিত অ্যালসস মিশন পারমাণবিক শক্তির প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন প্রজেক্টকে জিতিয়ে দেয়। একদিকে বিশ্বযুদ্ধ জয়, অন্যদিকে পরমাণু পরীক্ষায় জয়- একসাথে এত বড় অর্জন দেশে এবং বিদেশে রুজভেল্ট প্রশাসনের ভাবমূর্তি বাড়িয়ে তোলে।
পারমাণবিক বোমা হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইটি-
১) সাচিকো – নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক শিশুর সত্য ঘটনা