দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এক অনাক্রমণ চুক্তিতে আসে। ইতিহাসে এটি মলোটভ-রিবেনট্রপ চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তি অনুযায়ী দেশ দুটি পূর্ব ইউরোপকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়, এবং একে অপরকে আক্রমণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর সোভিয়েত-জার্মান সহযোগিতা চুক্তি ক্রমেই স্থবির হতে থাকে। এই চুক্তির বাইশ মাসের মাথায় সাম্রাজ্যবাদী জার্মানি চুক্তি ভঙ্গ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর অপারেশন বারবারোসা পরিচালনা করে। আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে সোভিয়েত বাহিনীকে পঙ্গু করে দেয় জার্মানরা। প্রথমদিকে জার্মান বাহিনী ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে জার্মান বাহিনী মস্কোর কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু স্ট্যালিনের ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে সোভিয়েতরা ঘুরে দাঁড়ায়। কিছুদিন পর সোভিয়েত বাহিনী প্রতি-আক্রমণ শুরু করে। সোভিয়েত কাউন্টার অ্যাটাকের ফলে জার্মান বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে ইতিহাসের বৃহত্তম সামরিক অভিযান ‘অপারেশন বারবারোসা’ ব্যর্থ হয়।
জার্মান বাহিনী ক্রমেই সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে কুপোকাত হতে থাকে। ইতোমধ্যে জার্মান বাহিনী স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধে লাল ফৌজের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। কঠোর আক্রমণের মাধ্যমে সোভিয়েতরা জার্মানদের কয়েকশো কিলোমিটার পশ্চিমে হটিয়ে দিয়েছে। পূর্ব রণাঙ্গনে তখন জার্মান বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সোভিয়েত বাহিনীর আক্রমণে জার্মান সামরিক সক্ষমতা বিশাল ধাক্কা খায়। ফলশ্রুতিতে জার্মান সৈন্যদের মনোবল ভেঙে পড়ে, এবং মিত্রদের কাছে জার্মানির মর্যাদা হ্রাস পায়। এমতাবস্থায় সৈন্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে, মিত্র ও নিরপেক্ষ দেশগুলোর কাছে নিজেদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে, এবং যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে থার্ড রাইখ এবার আরো বিস্তৃত পরিকল্পনা শুরু করে।
ইস্টার্ন ফ্রন্টে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারে নাৎসিরা সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন অত্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। কিছুদিন পর ভের্মাখট (নাৎসি সামরিক বাহিনী) পেল নতুন ট্যাংক, নতুন অ্যাসল্ট গান এবং নতুন যুদ্ধবিমান। এ সময় সৈন্যসংখ্যাও অনেক বাড়ানো হয়। জার্মানি তখন পূর্ব রণাঙ্গনে অত্যন্ত মনোনিবেশ করে। হিটলার যেকোনো মূল্যে সোভিয়েত বাহিনীকে পরাজিত করার নির্দেশ দেন। জার্মান বাহিনী তার সমগ্র শক্তি দিয়ে পুনরায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন জার্মান বাহিনীর সেরা ইউনিট, সেরা সেনাপতি, সেরা যুদ্ধ সরঞ্জাম এই আক্রমণের জন্য নিয়োজিত করা হয়।
১৯৪৩ সালের মে মাসের শুরুতে হিটলার তার ৬ নং অপারেশন আদেশের মাধ্যমে ভের্মাখটকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেন। জার্মানির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে, এবং জার্মানিতে নিযুক্ত স্পাই এজেন্টদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোভিয়েত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একটি আসন্ন হামলা সম্পর্কে সোভিয়েত নেতৃবৃন্দকে জানায়। এই সংবাদ পেয়ে সোভিয়েতরাও আসন্ন যুদ্ধের জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা শুরু করে।
অপারেশন কার্যকর করার জন্য জার্মানি কুর্স্ক অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ শক্তি সমবেত করে। জার্মান সামরিক বাহিনী এই আক্রমণের জন্য ১৬টি প্যানজার ডিভিশনসহ ৫০ ডিভিশন সৈন্য সমাবেশ করে। এই আক্রমণে প্রথমদিকে জার্মান বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লক্ষাধিক সৈন্য অংশগ্রহণ করে। সেই সঙ্গে, প্রায় ২,১১০ যুদ্ধবিমান, প্রায় ৩,০০০টি ট্যাংক এবং প্রায় দশ হাজারের মতো তোপ ও মর্টার কামান নিয়োজিত করা হয়। তবে যুদ্ধ শুরুর পর সোভিয়েত কাউন্টার অ্যাটাক আরম্ভ হলে আরো দেড় লক্ষাধিক সৈনিক এবং আড়াইশোর মতো ট্যাংক অংশগ্রহণ করে। সোভিয়েত ইউনিয়নও এই আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল। এর আগে অপারেশন বারবারোসার সময় স্ট্যালিন সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্ত্র কারখানাগুলো পূর্বাঞ্চলে সরিয়ে নেন, যেন শত্রুদের আক্রমণে উৎপাদন ব্যাহত না হয়। বলা বাহুল্য, স্ট্যালিনের সেই কৌশল অসাধারণ ফলপ্রসূ হয়। সেখানে সোভিয়েত শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক সক্ষমতাও অনেক বেড়ে যায়।
সোভিয়েতরাও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী নিয়ে কুর্স্কে জার্মান বাহিনীকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত হতে থাকে। সোভিয়েত রেড আর্মি প্রায় উনিশ লক্ষাধিক সৈন্য, ২৫,০০০ এর মতো বন্দুক ও মর্টার, প্রায় ৫,০০০ এর বেশি ট্যাংক এবং প্রায় ৩,০০০-৩,৫০০ বিমান নিয়ে জার্মানদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হয়। এছাড়া সোভিয়েত বাহিনীতে আরও প্রায় অর্ধ মিলিয়ন সৈন্যের পাঁচটি রিজার্ভ ফিল্ড আর্মি এবং দুই সহস্রাধিক অতিরিক্ত ট্যাংক, প্রায় বিশ হাজারের অধিক তোপ ও মর্টার, এবং আরো অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রিজার্ভ ছিল। সোভিয়েত কাউন্টার অ্যাটাকের সময় এসব রিজার্ভ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হয়।
সোভিয়েত জেনারেলদের উদ্দেশ্য ছিল প্রথমে রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিয়ে যুদ্ধ করে জার্মান বাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়া, এবং পরবর্তীতে পূর্ণ শক্তি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে জার্মানদের বিধ্বস্ত করে দেওয়া। কিছুদিন পর সোভিয়েত গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, ৫ জুলাই নাৎসিরা আক্রমণ শুরু করবে। এই খবর পেয়ে সোভিয়েত লাল ফৌজ চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সোভিয়েত জেনারেলরা আগেই জার্মান বাহিনীর উপর আকস্মিক আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন ভোরে সোভিয়েতরা জার্মানদের উপর অপ্রত্যাশিত আক্রমণ করে। সোভিয়েতদের আচমকা আক্রমণের ফলে জার্মানরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তাদের আক্রমণ দেড় থেকে দুই ঘন্টা পিছিয়ে যায়।
১৯৪৩ সালের ৫ জুলাই সকালে জার্মান বাহিনী কুর্স্কের সোভিয়েত বাহিনীকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করে। সোভিয়েত রেড আর্মিও কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুই বাহিনী কুর্স্কের রণাঙ্গনে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধ করতে করতে যেসব জায়গায় সোভিয়েত বাহিনীর প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়ে, সেখানেই সংরক্ষিত বাহিনী দ্বারা প্রতি-আক্রমণের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ায় সোভিয়েতরা। উভয়পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে থাকে। কঠোর প্রতিরোধের মাধ্যমে সোভিয়েতরা জার্মানদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে সমর্থ হয়। ওরিওলের দক্ষিণ এবং বেলগোরদের উত্তরাঞ্চলে কঠোর লড়াই শুরু হয়। সেখানে জার্মান বাহিনী জেনারেল পুখোভের ইউনিটের উপর শক্তিশালী আক্রমণ করে। স্থলযুদ্ধের সঙ্গে অন্তরীক্ষেও তখন ব্যাপক যুদ্ধ চলছিল। আকাশযুদ্ধে সোভিয়েত পাইলটরা বিশাল নৈপুণ্য দেখায়। দুই বিমানবাহিনীর সংঘর্ষে উভয় বাহিনী অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে দুই বাহিনীর অনেকগুলো যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়।
দক্ষিণে জার্মানরা কিছুটা সাফল্য পায়, এবং কুর্স্কের প্রায় ৫৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে প্রোখোরোভকা নামক গ্রাম পর্যন্ত চলে যায়। ১২ জুলাই সেখানে জার্মান ও সোভিয়েত বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এটি ছিল কুর্স্কের যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রক্তক্ষয়ী ও ব্যয়বহুল সংঘর্ষগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেদিন রাশিয়ার পঞ্চম গার্ডস ট্যাংক আর্মির ট্যাংক এবং স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি বন্দুকগুলো জার্মানির দ্বিতীয় এসএস-প্যানজার কর্পসের ট্যাংক এবং আর্টিলারি বন্দুকের সাথে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে দুই বাহিনীর প্রায় এক হাজারের অধিক ট্যাংক ব্যবহৃত হয়। প্রোখোরোভকা যুদ্ধে উভয় শিবির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়। জার্মানদের প্রায় একশো ট্যাংক ধ্বংস হয়, প্রায় ১৯টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, এবং প্রায় এক হাজারের মতো সৈনিক ও অফিসার প্রাণ হারায়। অন্যদিকে সোভিয়েত বাহিনীর ৩০০-৪০০ ট্যাংক ধ্বংস হয়, প্রায় ১৪টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, এবং প্রায় ৫,৫০০ সৈনিক নিহত হয়। সোভিয়েত রেড আর্মি যদিও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়, কিন্তু তবুও তারা জার্মানদের প্রোখোরোভকা দখল করতে দেয়নি। এই সংঘর্ষে জার্মানদের পরাজয়ের মাধ্যমে অপারেশন সিটাডেল ব্যর্থতার সঙ্গে সমাপ্ত হয়।
১২ জুলাইয়ের সোভিয়েত প্রতি-আক্রমণ জার্মানদের পিছু হটতে বাধ্য করে। সোভিয়েত বাহিনীর প্রবল আক্রমণে জার্মানরা আশ্চর্য হয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েকদিন জার্মান বাহিনী পশ্চাদপসরণ করতে থাকে। ২৩ জুলাই নাগাদ জার্মান বাহিনী পিছু হটতে হটতে যুদ্ধের শুরুতে যে অবস্থানে ছিল সেই পর্যন্ত চলে যেতে বাধ্য হয়। সোভিয়েত কাউন্টার অ্যাটাক ব্যাপক সফলতার সঙ্গে জার্মানদের হটাতে থাকে। ৫ আগস্ট সোভিয়েতরা ওরিয়ল শহর মুক্ত করে, এবং ১৮ আগস্ট নাগাদ সমগ্র অরিয়ল অঞ্চল অধিকার করে। স্থলে ট্যাংক ও মর্টারের গোলাবর্ষণ এবং অন্তরীক্ষে যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণের মাধ্যমে সোভিয়েতরা জার্মানদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে, সেই সঙ্গে একের পর এক অঞ্চল অধিকার করে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর আরো কঠোর আক্রমণের মাধ্যমে ২৩ আগস্ট সোভিয়েতরা জার্মানদের হাত থেকে খারকভ শহর মুক্ত করে। এরই সঙ্গে প্রায় দেড় মাসের কুর্স্কের যুদ্ধ শেষ হয়।
সোভিয়েতরা কুর্স্কের যুদ্ধে জয়লাভ করে, সেই সঙ্গে হিটলারের রাশিয়া জয়ের দিবাস্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু এই যুদ্ধে জেতার জন্য সোভিয়েত সৈন্যদের চড়া মূল্য দিতে হয়। জার্মানদের তুলনায় সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও তারা অনেক বেশি হতাহত এবং অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য যদিও পাওয়া যায়নি, তবে এই যুদ্ধে আনুমানিক দুই লক্ষাধিক জার্মান সৈন্য হতাহত হয়, এবং প্রায় আট লক্ষ সোভিয়েত সৈন্য হতাহত হয়। তবে অনেক ইতিহাসবিদের মতে- এই সংখ্যা আরো বেশি। এই যুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ট্যাংক ব্যবহৃত হয়েছে, এজন্য একে ইতিহাসের বৃহত্তম ট্যাংক যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ব্যাটল অব কুর্স্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে জার্মানরা বিশাল বিপর্যয়ে পতিত হয়। কেননা, এই যুদ্ধে হারার ফলে জার্মানি পূর্ব রণাঙ্গনে আর গতি ফিরে পায়নি, এবং পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতেও পারেনি। এরপর থেকে জার্মানি একের পর এক অঞ্চল হারাতে থাকে। কিছুদিন পর পশ্চিম ইউরোপে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলা হয়, ফলে জার্মানিকে একইসঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হয়েছে। এত চাপের মধ্যে জার্মানি বেশি দিন এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেনি। এর প্রায় বাইশ মাসের মাথায় সোভিয়েত রেড আর্মির হাতে বার্লিনের পতন ঘটে। কুর্স্কের যুদ্ধে জয়ের ফলে বিশ্বের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, এবং যুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়।
এই যুদ্ধে যদি জার্মানরা বিজয়ী হতো, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পারত। নাৎসিরা বিজয়ী হলে জার্মানদের মনোবল চাঙ্গা হতো, এবং সোভিয়েতদের মনোবল ভেঙে যেত। এরপর জার্মানরা সোভিয়েত ভূমিতে আরো ভেতরে ঢুকে যেত। কুর্স্কের যুদ্ধে জার্মানরা বিজয়ী হলে হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরো দীর্ঘস্থায়ী হতো। এমনকি জার্মানদের হাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সমূহ সম্ভাবনা ছিল। এই যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মান ভের্মাখটের উপর সোভিয়েত রেড আর্মির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। ব্যাটল অব কুর্স্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পূর্ব রণাঙ্গনের হিসেবনিকেশ বদলে দিয়েছিল।