(আগের পর্বে লিস্টারশায়ারে দুই পনেরো বছর বয়সী কিশোরীর ধর্ষণ ও পরবর্তীতে তাদের হত্যার বিবরণ, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া, পুলিশের মাধ্যমে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে প্রেরণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পর্বে আলোচনা করা হবে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের আবিস্কার, ডন অ্যাশওয়ার্থ হত্যাকান্ডের অপরাধীকে ধরতে এর সফল প্রয়োগ ও নাটকীয়ভাবে প্রকৃত অপরাধীকে কীভাবে গ্রেফতার করা হলো- সেই বিষয়ের বিবরণ।)
ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের যে কৌশল জিনতত্ত্ববিদ অ্যালেক জেফ্রিজ আবিষ্কার করেছিলেন, তার মাধ্যমে যে অপরাধী শনাক্ত করা যেতে পারে, এটা প্রথমে কারোরই মাথায় আসেনি। প্রথমদিকে অ্যালেক জেফ্রিজের কৌশল প্রয়োগ করে যেসব ব্রিটিশ শিশুর নাগরিকত্ব নিয়ে ঝামেলা তৈরি হতো, সেসবের সমাধান করা হতো। তিনি তার গবেষণাপত্রের উপস্থাপনায় বলেছিলেন, অপরাধী নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও এই যুগান্তকারী কৌশলের ব্যবহার বদলে দিতে পারে অনেক কিছু। কিন্তু তখন সেটি নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়। পুলিশ যখন দুটো হত্যাকান্ডের অভিযোগে রিচার্ড বাকল্যান্ডকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করে, তখন তাদের অভিযোগ প্রমাণের জন্য তারা জেফ্রিজের শরণাপন্ন হয়। এটি জেফ্রিজের কাছে বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে পুলিশের ডাক পাওয়ার পর তিনি সময়ক্ষেপণ না করে ছুটে যান।
ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে দুটি পক্ষের কাছ থেকেই ডিএনএ সংগ্রহ করতে হয়। বিষয়টা অনেকটা এরকম যে, ‘ক’ ব্যক্তি ‘খ’ ব্যক্তিকে খুন করেছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ‘খ’ ব্যক্তির মৃতদেহে ‘ক’ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া যাবে। পুলিশের কাজ হচ্ছে ‘খ’ ব্যক্তির মৃতদেহ থেকে অপরাধীর (‘ক’ ব্যক্তি) ডিএনএ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। যদি পরবর্তীতে ‘ক’ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যায়, তাহলে পুলিশের দায়িত্ব হলো ‘খ’ ব্যক্তির মৃতদেহ থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ-র সাথে গ্রেফতারকৃত ‘ক’ ব্যক্তির ডিএনএ মিলিয়ে দেখা। মিলিয়ে দেখার পর যদি দেখা যায়, দুই ক্ষেত্রে ডিএনএ একই, তাহলে পুলিশ শতভাগ নিশ্চিত হতে পারবে যে ‘ক’ ব্যক্তিই ‘খ’ ব্যক্তিকে খুন করেছে, এবং আদালতে এই ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের রিপোর্ট ‘সাক্ষ্য’ হিসেবে পেশ করা যাবে।
ডন অ্যাশওয়ার্থ ও লিন্ডা মান হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে আগে থেকেই দুই পনের বছর বয়সী কিশোরীর মৃতদেহ থেকে উদ্ধারকৃত শুক্রাণু থেকে অপরাধীর ডিএনএ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা ছিল। অ্যালেক জেফ্রিজ দুটি মৃতদেহ থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখলেন দুটি ক্ষেত্রেই অপরাধীর ডিএনএ হুবহু একই– যার অর্থ হলো দুজনকেই অভিন্ন ব্যক্তি ধর্ষণ ও পরবর্তীতে হত্যা করেছিল। কিন্তু পরীক্ষায় আরও দেখা গেল, বাকল্যান্ডের ডিএনএ-র সাথে মৃতদেহগুলো থেকে প্রাপ্ত অপরাধীর ডিএনএ-র কোনো মিল নেই।
বাকল্যান্ডকে গ্রেফতার করার পুলিশ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল। তাদের ধারণা ছিল- বাকল্যান্ডই দুই হত্যাকান্ডের মূল হোতা। লেস্টারশায়ার পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যালেক জেফ্রিজের শরণাপন্ন হওয়া ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তারা ভেবেছিল- ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে বাকল্যান্ডকে আদালতে অপরাধী প্রমাণিত করতে পারলে কেস এখানেই সমাপ্ত হবে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জেফ্রিজ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ভুলভাবে দেখালেন যে দুটো হত্যাকান্ডের কোনোটার পেছনেই বাকল্যান্ডের হাত নেই, তখন পুলিশ বিস্মিত হয়ে যায়। তারা জেফ্রিজকে আবারও পরীক্ষার অনুরোধ জানান, এবং জেফ্রিজ তাদের অনুরোধ রক্ষা করেন। তিনবার পরীক্ষার পর প্রতিবারই ফলাফলে দেখা যায়- মৃতদের শরীর থেকে প্রাপ্ত অপরাধীর ডিএনএ-র সাথে সতেরো বছর বয়সী তরুণ রিচার্ড বাকল্যান্ডের ডিএনএ-র কোনো মিল নেই। তিন মাস হাজতে থাকার পর আদালত বাকল্যান্ডকে বেকসুর খালাস দেয়। পুলিশ নতুন করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরার অভিযান শুরু করে।
যারা ডন অ্যাশওয়ার্থ কেসের তদন্ত করছিলেন, তারা প্রকৃত অপরাধী শনাক্তকরণের জন্য গতানুগতিক পদ্ধতিতে এগোলে যে সফলতার মুখ দেখতে পাওয়া যাবে না, সেটি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই তারা জেফ্রিজের ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং পদ্ধতির উপর নির্ভর করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই পরিকল্পনা মতো অপরাধ সংঘটনস্থলের আশেপাশের যত মানুষ আছে, তাদের সবার ডিএনএ সংগ্রহ করে একটি সমন্বিত ডাটাবেজ তৈরির সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। পুলিশের ধারণা ছিল- একসময় সবার ডিএনএ সংগ্রহ করার পর খুনিকে শনাক্ত করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না, যেহেতু খুনি অপরাধ সংঘটনস্থলের আশেপাশেই বসবাস করছে। ১৯৫৩-৭০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী নার্বোরো, এন্ডার্বি ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে যত পুরুষ আছে, তাদের সবাইকে ডিএনএ সংগ্রহে সহায়তা করার জন্য রক্তদানের আহ্বান জানানো হয়, রক্তের নমুনা দেয়ার জন্য তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়।
স্থানীয় জনগণের প্রথমদিকে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। অনেকে সুঁই ভয় পেতেন, অনেকে পুরো ব্যাপারেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, পাছে তাদের উপর পুলিশি হয়রানি শুরু হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠল যে যদি রক্তের নমুনা দেয়া না হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে খুনি ধরা না পড়ে, তাহলে হয়তো পরবর্তীতে এই ধরনের আরও বেশি অপরাধ হতে পারে। যারা রক্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল, তাদের উপর সামাজিক চাপ বাড়তে থাকে। শেষপর্যন্ত সবাই রক্ত দেওয়ার আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেয়। নার্বোরো, এন্ডার্বি ইত্যাদি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী ফরেনসিক ল্যাবগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে, ল্যাবে কর্মরত ব্যক্তিরা রক্তের নমুনা দিতে আগত ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে শুরু করেন। লেস্টারশায়ার পুলিশ প্রথম মাসেই প্রায় এক হাজার পুরুষের রক্ত থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। আট মাস পর এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় সাড়ে পাঁচ হাজারে। ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্তকরণের এই পদ্ধতি ইংল্যান্ডের জাতীয় গণমাধ্যম ও একইসাথে বৈশ্বিক গণমাধ্যমগুলোতে সাড়া ফেলে দেয়।
অ্যাশওয়ার্থ হত্যাকান্ডের পর যেমন রিচার্ড বাকল্যান্ডকে পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে গ্রেফতার করেছিল, তার আড়াই বছরের আগের লিন্ডা মান হত্যাকান্ডের কেসের ক্ষেত্রেও পুলিশ এরকম একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তি বলেছিলেন, তিনি সেদিন তার সন্তানকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন, ধর্ষণের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির নাম কলিন পিচফর্ক, বয়স ছাব্বিশ বছর; পেশায় খাবার প্রস্তুতকারী, দুই সন্তানের জনক।
নার্বোরো, এন্ডার্বি ও আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএ সংগ্রহ করা সম্ভব হলেও প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ঘটনাক্রমে পুলিশের কাছে এমন তথ্য চলে আসে, যার মাধ্যমে একেবারে নাটকীয়ভাবে দুটো হত্যা মামলার একমাত্র অপরাধীকে গ্রেফতার করা একদম সহজ হয়ে যায়। সেই ঘটনা জানা যাক এখন।
লিন্ডা মান হত্যাকান্ডের পর সন্দেহভাজন হিসেবে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই কলিন পিচফর্ক লিস্টারশায়ারের একটি পানশালায় তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে অ্যালকোহল পানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার একপর্যায়ে মদের নেশায় চুর হয়ে পিচফর্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কেলি বলে ওঠেন, তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করে পিচফর্কের বদলে ডিএনএ টেস্টের জন্য রক্তের নমুনা দিয়ে এসেছেন। তিনি এটাও দাবি করেন যে, তার যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য পিচফর্ক তার নিজের পাসপোর্টে তার (কেলির) ছবি সংযুক্ত করেন। যেদিন রক্তের নমুনা দেয়ার কথা ছিল, সেদিন কেলিকে তার বন্ধু পিচফর্ক নিজে গাড়ি চালিয়ে তাকে ফরেনসিক ল্যাবে নিয়ে যান। এমনকি যতক্ষণ না রক্ত দেয়া শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পিচফর্ক তার বন্ধুর অপেক্ষায় গাড়িসমেত দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সেই পানশালারই এক লোক নিবিড়ভাবে আড়াল থেকে তাদের কথোপকথন শুনছিলেন। কেলি, পিচফর্ক ও তার বন্ধুরা সবাই ছিল মদের নেশায়, কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি যে তাদের কথা কেউ শুনছে। ছয় সপ্তাহ পর সেই লোক স্থানীয় পুলিশের কাছে কেলি ও পিচফর্কের কথোপকথনের কথা জানায়। পুলিশের এতে বেশ সন্দেহ হয়। পুলিশ দ্রুত জনবল পাঠিয়ে কেলিকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর যখন তাদের কথোপকথনের সত্যতা সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হয়, তারপর সেদিনই পিচফর্ককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় পিচফর্ক। শুধু তা-ই নয়, এর বাইরে আরও দুটো যৌন নিপীড়নের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেয় সে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “অ্যাশওয়ার্থকে কেন হত্যা করেছো তুমি?” এর উত্তরে পিচফর্ক বলে, “এটা আসলে সুযোগের ব্যাপার ছিল। সে-ও সেখানে ছিল, আমিও সেখানে ছিলাম।” লিন্ডা মানকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে হত্যাকান্ডের বিষয়ে পিচফর্ক বলে, সে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। তার বাচ্চা গাড়ির পেছনের সিটে ঘুমাচ্ছিল। আদালতে সে দুটি ধর্ষণ, দুটি হত্যাকান্ড, দুটো যৌন নিপীড়ন ও ন্যায়বিচার বিলম্বিত করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়। ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে এবার বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয় যে দুটো হত্যাকান্ডের পেছনেই সে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। লেস্টারশায়ার ক্রাউন কোর্টে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডভোগের শাস্তি প্রদান করা হয়। কোর্টে তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, যে রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, শাস্তিভোগের পর যদি পিচফর্ককে মুক্তি দেয়া হয়, তবে সে আবারও অপরাধে জড়াতে পারে।
প্রফেসর জেফ্রিজকে বর্তমানে ‘ফাদার অব ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ধারণা করা হয়, তার এই কৌশল প্রয়োগ করে অপরাধী শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে এই পর্যন্ত, এর মধ্যে লাখ লাখ অপরাধীকে নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। রিচার্ড বাকল্যান্ডের মতো হাজার হাজার নিরপরাধ ব্যক্তিকে এই কৌশল বাঁচিয়ে দিয়েছে। ডন অ্যাশওয়ার্থ কেসের পর থেকে প্রতিটি দেশেরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায় বহুগুণে। ইংল্যান্ডে ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো ডিএনএ ডাটাবেজ স্থাপন করা হয়, যে ডাটাবেজে বর্তমানে প্রায় ষাট লাখ মানুষের ডিএনএ সংরক্ষিত আছে। অপরাধবিজ্ঞানে তার এমন অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে তাকে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
ডন অ্যাশওয়ার্থ হত্যাকান্ড হচ্ছে প্রথম কেস, যাতে ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং প্রযুক্তি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়। কে জানতো, নিছক ভুলের পরিপ্রেক্ষিতে আবিষ্কার হওয়া এই প্রযুক্তি পরবর্তীতে অপরাধী শনাক্তকরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে?