কথায় আছে- রোম কিন্তু একদিনে গড়ে ওঠেনি। একাগ্রতা এবং অধ্যবসায়ই যে সাফল্যের চাবি তা বোঝাবার জন্য এই প্রবাদের জন্ম। কিন্তু একই সঙ্গে সে বুঝিয়ে দেয়- রোম আসলে কতটা প্রাচীন, কতটা মহিমান্বিত। তাহলে মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক- কীভাবে রোমের জন্ম হলো? কীভাবে গড়ে উঠলো এমন এক শহর, যার মধ্য থেকেই পরবর্তীতে জন্ম হয়েছে কালজয়ী সব সৃষ্টির?
রোমের জন্ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে রোমুলাস এবং তার ভাই রেমাস-এর কথা। যদিও রোমের গোড়াপত্তন নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে, তার মধ্যে রোমুলাস-রেমাসের কিংবদন্তীই সবচাইতে জনপ্রিয়। অবশ্য তাতেও রয়েছে নানা মত-বিরোধ। রোমুলাস-রেমাসের সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় আলকিমাস নামক এক সিসিলিয়ান ইতিহাসবিদের লেখায়, খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে।
রোমুলাস-রেমাস কিংবদন্তীর শুরু হয় প্রকাস বা প্রকা নাম্নী এক ল্যাটিন রাজা থেকে, যিনি ছিলেন অ্যালবা লংগা-এর রাজা।
প্রকাসের ছিল দুই ছেলে: নুমিটর এবং অ্যামালিয়াস। নুমিটর বড়, সিংহাসনের আইনগত উত্তরাধিকারী। এ ধরনের অন্যান্য গল্পে যা হয়, এখানেও তা-ই হলো- ছোট ভাই অ্যামালিয়াস তা সহ্য করতে পারলো না। রাজ্যের কোষাগারের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে বড় ভাইকে সরিয়ে নিজে সিংহাসন দখল করে নিল; নুমিটরের স্থান হলো একটি ছোট্ট খামারে। আর নুমিটরের বংশধরদের কেউ যেন সিংহাসনের দাবি করতে না পারে, সেজন্য হত্যা করা হলো নুমিটরের ছেলেদের; সেই সঙ্গে নুমিটরের মেয়ে, রিয়া সিলভিয়াকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো দেবী ভেস্টা’র মন্দিরে, ভেস্টার ভার্জিন হিসেবে। ‘ভেস্টার কুমারী’রা ছিল দেবী ভেস্টার পূজারিণী, আজীবন কুমারী থাকাই ছিল যাদের নিয়ম। রাজত্বের ভাগীদারদের একে-একে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে যেন।
তবে সবকিছু সরল ভাবনায় সম্পন্ন হয় না। মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।
এই রিয়া সিলভিয়ার গর্ভেই জন্ম নেয় যমজ দুই ভাই রোমুলাস আর রেমাস। মাতৃ-পরিচয় নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না থাকলেও, এদের পিতৃ-পরিচয় রয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। কোনো বর্ণনায় দেখা যায় রোমুলাস আর রেমাসের বাবা হিসেবে অর্ধ-দেবতা অর্ধ-মানুষ হারকিউলিসকে, তবে রোমানদের কাছে রিয়া সিলভিয়ার স্বামী হিসেবে যুদ্ধদেবতা মার্সের কাহিনীই বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়।
অবশ্য ইতিহাসবিদ লিভি ছিলেন একটু বাস্তববাদী। তার মতে রোমুলাস আর রেমাসের বাবা কোনো এক অজানা ব্যক্তি, যে কিনা রিয়া সিলভিয়াকে ধর্ষণ করে তার গর্ভবতী হওয়ার দায় চাপিয়ে দেয় ঐশ্বরিক সত্ত্বার উপরে। সে যাই হোক, রোমুলাস আর রেমাস যে মায়ের দিক থেকে নুমিটরের বংশধর- তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
রিয়া সিলভিয়ার গর্ভধারণ এবং যমজ ছেলের জন্মদানের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে অ্যামালিয়াস, নির্দেশ দেয় দুই সন্তানসহ ভাতিজী রিয়াকে হত্যা করার। তবে এখানে কাহিনীর ভিন্নতা পাওয়া যায়। কোনো কোনো বর্ণনায় দেখা যায় যে অ্যামালিয়াসের নির্দেশ ছিল রিয়া সিলভিয়াকে তার সন্তানসহ টাইবার নদীতে ফেলে দেবার, যাতে তারা ডুবে মারা যায়। আদেশ অনুসারে সিলভিয়া এবং রোমুলাস-রেমাসসহ বাচ্চা রাখার ঝুড়িটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
আরেক বর্ণনায় দেখা যায় যে সন্তানদের বাবা, দেবতা মার্স বা হারকিউলিসের ভয়ে অ্যামালিয়াস আদেশ দেয় রিয়া সিলভিয়াকে বন্দী করার; রোমুলাস-রেমাসকে টাইবার নদীতে ফেলে দেবার। অ্যামালিয়াসের ধারণা ছিল কোনো অস্ত্র (তরবারি কিংবা অন্যান্য কোন জিনিস)-এর মাধ্যমে না মেরে, অন্যভাবে মারলে হয়তো দেবতার রোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অতঃপর রোমুলাস-রেমাসকে নদীতে ফেলে দেয়ার জন্য এক চাকরকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরেক বর্ণনায় দেখা যায় যে সন্তানদের বাবা, দেবতা মার্স বা হারকিউলিসের ভয়ে অ্যামালিয়াস আদেশ দেয় রিয়া সিলভিয়াকে বন্দী করার; রোমুলাস-রেমাসকে টাইবার নদীতে ফেলে দেবার। অ্যামালিয়াসের ধারণা ছিল কোনো অস্ত্র (তরবারি কিংবা অন্যান্য কোন জিনিস)-এর মাধ্যমে না মেরে, অন্যভাবে মারলে হয়তো দেবতার রোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অতঃপর রোমুলাস-রেমাসকে নদীতে ফেলে দেয়ার জন্য এক চাকরকে নির্দেশ দেয়া হয়
কিন্তু বিধি বাম, শিশুদের দেখে তাদের প্রতি সেই চাকরের মায়া জন্মালো। তাই সে রোমুলাস-রেমাসকে না মেরে একটি ঝুড়িতে করে টাইবার নদীতে ভাসিয়ে দিল। রোমুলাস-রেমাসের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে এই ঝুড়ির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে!
তারপর টাইবার নদীর দেবতা টাইবারনিয়াসের কৃপায় দুই ভাইয়ের ঝুড়িটি ভাসতে ভাসতে আটকে গেল এক ডুমুর (মতান্তরে জলপাই) গাছের শেকড়ে। সেখানে তাদের খুঁজে পেল এক মাদী নেকড়ে। এই মাদী নেকড়ে তার গুহায় নিয়ে গিয়ে দুই ভাইকে স্তন্যপান করিয়ে বাঁচিয়ে রাখলো। এরপর তাদের খোঁজ পেল নিঃসন্তান ফাউস্টালাস।
ফাউস্টালাস ছিল অ্যামালিয়াসের রাজ্যের এক মেষপালক। দেবতাদের আশীর্বাদ মনে করে রোমুলাস আর রেমাসকে সে নিয়ে এল নিজ বাড়িতে, দুই ভাইকে তুলে দিল স্ত্রী লরেনশিয়ার হাতে। লরেনশিয়া দুই ভাইকে পরম আদরে লালন-পালন করতে লাগলো। দুই ভাইয়ের নাম রাখা হলো রোমুলাস আর রেমাস।
এরপর বহু বছর কেটে গেল । দুই ভাই ধীরে-ধীরে বড় হতে লাগলো, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়লো তাদের দস্যিপনা। রেমাসের পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই ভাই দস্যুদের কাছ থেকে জিনিসপত্র চুরি করে আশপাশের গরীবদের দান করতে লাগলো। তবে একদিন এক দস্যু রেমাসকে ধরে ফেলে নিয়ে যায় রাজা অ্যামালিয়াসের কাছে, বিচারের জন্য। অ্যামালিয়াসের সামনে দস্যু রেমাসকে ফাঁসালো রাজার ভাই নুমিটরের মেষ চুরির দায়ে। এত ছোট বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে অ্যামালিয়াস তাদের পাঠিয়ে দিল নুমিটরের কাছে।
ছেলেটার চেহারা দেখা মাত্রই নুমিটরের তাকে চিনে ফেলল, আর পালক-বাবাকে নিয়ে ভাইকে উদ্ধার করতে আসা রোমুলাসের চেহারা দেখে তার আর সন্দেহই থাকলো না যে এই দুই ছেলে তার নাতি, তার মেয়ে রিয়া সিলভিয়ার যমজ সন্তান!
অতঃপর সব কাহিনী শুনে রোমুলাস আর রেমাস দুই ভাই নানাকে নিয়ে ছুটলেন অ্যামালিয়াসের কাছে, প্রতিশোধ নেয়ার জন্য; অ্যামালিয়াসকে হত্যা করে নানাকে আবার বসালেন অ্যালবা লংগার সিংহাসনে। এরপর নানার নির্দেশে দুই ভাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন নতুন এক নগরী নির্মাণে। আর তখনই শুরু হলো বিরোধ।
কোনো কোনো বর্ণনায় লেখা- দুই ভাইয়ের বিরোধের শুরু হয় নতুন রাজ্যের অবস্থান নিয়ে; মতান্তরে নতুন রাজ্যের রাজা কে হবে তা নিয়ে। অতঃপর দুই ভাই ঠিক করেন- দেবতারাই তাদের বিরোধের মীমাংসা করে দেবেন। আর তাই রোমুলাস যান প্যালাটাইন পাহাড়ে আর রেমাস অ্যাভেনটাইন পাহাড়ে। রেমাস সেখানে আকাশে ছয়টি শকুন দেখেন, অপরদিকে রোমুলাস দেখতে পান বারোটি শকুন। যেহেতু রোমুলাস বেশি পাখি দেখেছেন, তাই রোমুলাসের অনুসারীরা তাকেই বিজয়ী বলে ধরে নেয়; কিন্তু রেমাস প্রথম শকুন দেখেছেন- এই যুক্তিতে তাকেই বিজয়ী বলে ঘোষণা করে রেমাসের অনুসারীরা।
বিরোধের মীমাংসা না করেই রোমুলাস তার রাজ্য বানাতে শুরু করেন, প্যালাটাইন পাহাড়ের চারপাশে পরিখা খনন করে তৈরি করতে থাকেন প্রাচীর। রোমুলাসকে ব্যঙ্গ করতে রেমাস সেই দেয়ালে এক লাফেই চড়ে বসেন। ভাইয়ের এহেন স্পর্ধা দেখে প্রচণ্ড রাগান্বিত হন রোমুলাস, হত্যা করে বসেন রেমাসকে। অবশ্য অন্য বর্ণনায় দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়, আর তাতে নিহত হন রেমাস। ইতিহাসবিদ লিভির বর্ণনা অনুসারে, লোকেদের বিশ্বাস দেয়ালে লাফ দেওয়া মাত্রই দেবতাদের ইচ্ছায় নিহত হন রেমাস। আর তারপর নিজের নামে রোমুলাস প্রতিষ্ঠা করেন নিজের রাজ্য, রোম। লিভির মতে রোমের প্রতিষ্ঠা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭৫৩ সালের ২১ শে এপ্রিল।
রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর রোমুলাস নজর দেন রাজ্যের জনসংখ্যা বাড়াবার দিকে। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো সমস্যা দেখা দেয়। রোমের প্রাথমিক জনগণদের প্রায় সবাই ছিল পুরুষ, নারীদের সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। আর তাই রোমানরা পরিকল্পনা করে পাশের রাজ্যগুলো থেকে মেয়েদের ধরে আনার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রোমুলাস আয়োজন করেন ক্রোনাসের উৎসব আর সেখানে আমন্ত্রণ জানান স্যাবিন (Sabine) আর ল্যাটিনদের (Latine)। উৎসবে মত্ত হয়ে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে বসে স্যাবিন আর ল্যাটিন পুরুষরা; সেই সুযোগে তাদের মেয়েদের ছিনতাই করে রোমে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদেরকে ভুলিয়া-ভালিয়ে কিংবা ধর্ষণ করে বিস্তার সাধন হয় রোমের।
প্রতিশোধে মরিয়া হয়ে স্যাবিন আর ল্যাটিনরা রোমে আক্রমণ চালায়, কিন্তু রোমুলাস তাদের সহজেই হারিয়ে দেন। তবে স্যাবিনরা আর তাদের রাজা, টাইটাস টাটিয়াস, এত সহজে ভুলে যাওয়ার পাত্র ছিল না। তারা আবার আক্রমণ চালায় রোমে; ক্যাপিটাল সিটাডেল-এর সেনাপতির মেয়ের বিশ্বাসঘাতকতার সুযোগে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল, কিন্তু রোমুলাসের প্রার্থনায় দেবতা জুপিটারের করুণা হয়। অল্পের জন্য হারের হাত থেকে রক্ষা পায় রোম।
যুদ্ধের পর রোম আর স্যাবিন রাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়, একজোট হয়ে তারা রাজ্য চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে করে দুই রাজ্য নিজেদের মধ্যে সংস্কৃতি আর সভ্যতার নানান জিনিস আদান-প্রদান করে। এ সময়টা ছিল দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের শান্তির সময়। কিন্তু তা টিকে ছিল মাত্র পাঁচ বছর।
পার্শ্ববর্তী বন্ধু রাজ্য লাভিনিয়ামে ডাকাতি এবং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বেশ কিছু লোককে স্যাবিন রাজা টাইটাস তার রাজ্যে আশ্রয় দেয়। ব্যাপারটা জানাজানি হলে স্যাবিনদের সিনেট, টাইটাসকে লাভিনিয়ামে পাঠায় প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য। টাইটাস টাটিয়াস সেখানে খুন হয় আর পুরো রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি হন রোমুলাস।
পরের বিশ বছর যুদ্ধের মাধ্যমে নিজের রাজ্যের পরিধি বাড়ান রোমুলাস, আর দিন-দিন তার আচরণ হয়ে উঠে স্বৈরশাসকের মতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিনেট পরিকল্পনা করতে থাকে- কীভাবে রোমুলাসকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করা যায়।
ইতিহাস গবেষক ক্যাসিয়াস ডুয়ো-র মতে, ক্ষোভে মত্ত সিনেট সদস্যরা রোমুলাসকে ছিঁড়ে-ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে; দৈবক্রমে ঠিক সেই সময়ে গ্রহণ লাগে আর হঠাৎ ঝড় শুরু হয়, ঠিক যেমনটা হয়েছিল রোমুলাসের জন্মের সময়। আবার কেউ কেউ বলে, তারা স্বচক্ষে দেখেছে কীভাবে রোমুলাস ধীরে ধীরে স্বর্গে উঠে গিয়ে নিজে একজন দেবতা বনে যায়। লিভির মতেও রোমুলাসের মৃত্যুর পেছনে সিনেটদের হাত রয়েছে। প্লুচার্টের মতে রোমুলাস ৭১৭ খ্রিস্টপূর্বে ৫৩ বছর বয়সে হারিয়ে যান, যদিও ডায়োনিসিয়াস রোমুলাসের মৃত্যু হয় ৫৫ বছর বয়সে বলে উল্লেখ করেন ।
রোমুলাসের মৃত্যু হলেও কিন্তু রোমানরা তাকে ভুলতে পারেনি। যদিও রোমুলাস আর রেমাস নামে আসলেই কোন ব্যক্তিদ্বয় ছিল কিনা ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে, তবুও যুগে-যুগে মানুষ তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেছে। বেশিরভাগ সময়ে দুই ভাইকে খোদাই করা হয়েছে মুদ্রায়। দুই ভাই মাদী নেকড়ের স্তন থেকে দুধ পান করছে এমন শিল্পকর্মও দেখা যায়। সিয়েনায় রয়েছে দুই ভাইয়ের মূর্তি, ধারণা করা হয় যে সিয়েনা প্রতিষ্ঠা করেছিল রেমাসের ছেলে সেনিয়াস। এমনকি দুই ভাইয়ের উল্লেখ পাওয়া যায় ৩০০ খ্রিস্টাব্দের ইয়র্কশায়ারে পাওয়া একটি মোজাইক চিত্রে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘উলফ মোযাইক’।
তবে রোমুলাস-রেমাসকে নিয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্ম হচ্ছে ৫ম খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাওয়া একটি এট্রুসকান ব্রোঞ্জের নেকড়ের মূর্তি, যেখানে ১৫ খ্রিস্টাব্দে রোমুলাস আর রেমাসের দুটি ছোট মূর্তি যোগ করা হয়। রোমুলাস আর রেমাসের এই পৌরাণিক কাহিনী উদ্বুদ্ধ করেছে রেনেসাঁ সময়ের চিত্রকর বারেত্তিনি, লা ফসে থেকে শুরু করে সেয়ারি এমনকি রুবেনকেও।
রোমুলাস আর রেমাসের কাহিনী সত্যি নাকি শুধুই কল্পনা নাকি আধা কল্পনা আধা বাস্তব তা হয়তো কোনদিন জানা যাবে না। তবে তাতে করে রোমের জৌলুসের কোনো ঘাটতি হয় না। রোম এখনও শিল্পীদের কাছে শিল্পের প্রতিমূর্তি, নাগরিকদের কাছে সভ্যতার তীর্থস্থান আর মানুষের কাছে অনিন্দ্যসুন্দর নগরী।
ইতিহাসের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/
রোম সম্পর্কে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইগুলোঃ