একঝাঁক ঘুঘু শিকারির পাতা ফাঁদে আটকে পড়লো। পরিস্থিতিটা হতবুদ্ধি করার মতো। কিন্তু উপায় বের করতে খুব বেশি দেরি হলো না। সবাই মিলে জালসহ উড়ে গেলো ইঁদুরের কাছে। আর তা কেটে মুক্ত করে দিলো ইঁদুর। ধীরে ধীরে ইঁদুরের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো কাক, কচ্ছপ এবং হরিণের। তার কিছুদিন পর হরিণটা এক শিকারির জালে আটকে গেলো। ইঁদুর এসেই মুক্ত করলো যথারীতি। দ্রুত পালাতে না পেরে শিকারির হাতে ধরা খেলো বন্ধু কচ্ছপ। এমতাবস্থায় হরিণটা আবার এগিয়ে এসে শিকারির মনোযোগ নিজের দিকে সরিয়ে নিলো। সেই সুযোগে কচ্ছপটাকে মুক্ত করে নিলো ইঁদুর এবং অন্যান্যরা। এরপর থেকে এই প্রাণীর দলটা পরিচিতি পেলো “ইখওয়ান আস সাফা” বা পবিত্র ভ্রাতৃসংঘ হিসাবে।
গল্পটা আবদুল্লাহ ইবনে আল মুকাফফার (মৃত্যু ৭৫৬ খ্রি.) গ্রন্থ “কালিলা ওয়া দিমনা” হতে নেয়া। যা তিনি অনুবাদ করেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় নীতিগল্পের সংকলন পঞ্চতন্ত্র থেকে। সে যা-ই হোক, কালিলা ওয়া দিমনায় উদ্ধৃত নাম গ্রহণ করে দশম শতকের দিকে বসরায় প্রতিষ্ঠিত হয় এক গুপ্ত দার্শনিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিক গোষ্ঠী- ‘ইখওয়ান আস সাফা’। মুসলিম চিন্তার ইতিহাসে তাদের আবির্ভাব নতুন যুগের সূচনা ঘটায়। পিথাগোরাস, প্লেটো এবং এরিস্টটলেল দর্শনের সাথে কোরআন ও মুসলিম চিন্তকদের মধ্যে সামঞ্জস্য আনায় তাদের প্রচেষ্টা অভূতপূর্ব।
যেখান থেকে শুরু
আব্বাসীয় যুগকে বলা হয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগ। বিশেষত হারুন অর রশিদ (৭৮৬-৮০৯) এবং আল মামুন (৮১৩-৮৩৩) এর যুগে ভারত থেকে গ্রিস পর্যন্ত প্রাচীন গ্রন্থিত চিন্তাকে একত্রিত করা হয়। বায়তুল হিকমাকে কেন্দ্র করে বাগদাদে শুরু হয় নতুন স্রোতের। তার প্রতিক্রিয়ায় ৯০৯ সালে ঘটে মিশরে শিয়া ফাতেমীয়দের উত্থান। প্রায় একই সময়ে স্পেনে চলছে সিরিয়া থেকে একসময় বিচ্যুত উমাইয়া রাজত্ব। মুসলিম রাজনৈতিক চিন্তার এমন দ্বিধাগ্রস্থ সময়ে ৯৮০-৮২ সালের দিকে মঞ্চে আসে ইখওয়ান-আস সাফা। গোড়ায় ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসাবে তাদের আবির্ভাব ঘটলেও আস্তে আস্তে দর্শনের দিকে ঝুকে পড়ে।
পুরো নাম ‘ইখওয়ানুস-সাফা ওয়া খোল্লানাল-ওয়াফা ওয়া আহলুল-হামদ্ ওয়া আবনাউল-মাজদ্’। সহজ বাংলায় ‘পবিত্র ভ্রাতৃসংঘ, বিশ্বস্ত বন্ধু, প্রশংসিত পরিবার এবং মহত্ত্বের সন্তানগণ’। খুব সংক্ষেপে পবিত্র ভ্রাতৃসংঘ বা ইখওয়ান আস সাফা বলে অভিহিত করা হয়। নিজেদের ব্যাপারে তাদের অভিমত হলো-
এই ভ্রাতৃত্ব সকল স্বার্থপরতার উর্ধ্বে উঠে পরস্পরকে সহযোগিতা করা। দুর্দশামুক্ত করা কিংবা উপদেশ। যদি কেউ দেখতে পায় নিজেকে কুরবানি দিলে ভাইয়ের মঙ্গল হবে, তবে সে তা-ই করবে স্বেচ্ছায়।
গঠনতন্ত্র ও পদবী
ইখওয়ান আস সাফার পুরো কার্যক্রম চলতো গোপন রহস্যময়তার চাদরের আড়ালে। দীর্ঘদিন অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে যেতে হতো প্রতি সদস্যকে। পুরো ক্ষমতাকে তারা বিভাজিত করেছিলো সুষমভাবে। এজন্য প্রায়ই বয়সকে মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা হতো। গোটা সংগঠন বিন্যস্ত ছিলো চারটি ক্রমিক পদে।
প্রথম স্তরে শিক্ষানবীশ। ১৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বছরের যুবক। তাদেরকে শিক্ষকের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ও বাধ্যতার শিক্ষা দেয়া হতো। এদের বলা হতো আল আবরার ওয়াল রুহামা বা গুণী ও দয়ালু। দ্বিতীয় স্তরে থাকতো পরিণতরা। ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের এই ব্যক্তিদের পার্থিব শিক্ষা ও বস্তুর সাদৃশ্য-আনুমানিক জ্ঞান দেয়া হতো। এছাড়া পেতো রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রায়োগিক জ্ঞান। আখ্যা দেয়া হতো আল আখিয়ার ওয়াল ফুদাল বা উত্তম ও মঙ্গলজনক হিসেবে। তৃতীয় ধাপে অন্তর্ভুক্ত ছিলো ৪০-৫০ বছরের ব্যক্তিরা। বস্তুজগতে ঐশী বিধানাবলি অনুধাবনের চর্চা করতেন তারা। তাদের বলা হতো আল ফুদালা ওয়াল কিরাম বা মঙ্গলময় ও সম্মানিত। সর্বশেষ স্তরে যেতে কমপক্ষে ৫০ বছর হওয়ার শর্ত ছিল। এই স্তর ইতিহাসের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং দার্শনিকদের স্তর। তিনি প্রজ্ঞা ও তত্ত্বজ্ঞানের অধিকারী। সক্রেটিসের মতো ব্যক্তিদের স্তর। একে বলা হতো আল মারতাবাতুল মালাকিয়া বা ফেরেশতার স্তর।
সমাবেশ ও কার্যপ্রণালি
দলের সদস্যরা গোপনে তাদের অধিনায়ক যায়েদ বিন রিফার গৃহে মিলিত হতো। মাসে তিনবার। প্রথমদিকে একবার কেবল বক্তব্য প্রদান এবং প্রয়োজনীয় বিধানাবলির জন্য। মাসের মাঝামাঝি বসতে হতো জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে আলোচনার জন্য। শেষমেশ মাসের ২৫ তারিখ বা তার কাছাকাছি কোনদিন বসা হতো দার্শনিক বিষয়াবলি বিশ্লেষণের নিমিত্তে।
এসময় তারা কিছু ইবাদতও করতো। তাদের একক ব্যক্তিপরিচয় গোপন থাকতো। এ প্রসঙ্গে তাদের লিখিত বিশ্বকোষের চতুর্থ খণ্ডে নিজেদের আসহাবে কাহাফের সাথে তুলনা করেছেন। তাদের মতে,
মানুষের থেকে গোপনে থাকাটা পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান অনাচারের জন্য না। বরং আল্লাহ তাদেরকে যে নেয়ামত (জ্ঞান) দিয়েছেন, তাকে বাকি পৃথিবী থেকে সংরক্ষণ করার বাসনা। (রাসায়েলে ইখওয়ানুস সাফা, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৬৬)
ইখওয়ান আস সাফার সদস্যদের বিশ্বাস ছিলো তৎকালীন ধর্মীয় বিধান ও কার্যাবলি ত্রুটিপূর্ণ। ভুল ধ্যান-ধারণা থেকে মুক্ত হবার জন্য বিশুদ্ধ গবেষণা ও সামঞ্জস্য আনা প্রয়োজন। ধর্ম সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু ধর্মের বাহ্যিক আবরণের নিচে যে দার্শনিক সত্য লুকায়িত, তা কেবল পণ্ডিতেরাই বুঝতে পারবে। তাই প্রথাগত পণ্ডিত ও শাসক গোষ্ঠী থেকে তারা গোপনীয়তাই বেছে নিয়েছিলো।
কিছু মুখ পরিচিতি
ইখওয়ান আস সাফার সদস্যদের সত্যিকার পরিচিতি প্রায়ই ধোঁয়াশাপূর্ণ। যুগের পর যুগ ধরে তারা নিজেদের লোকচক্ষুর অন্তরালে রেখে জ্ঞানচর্চা করে গেছেন। তারপরেও আবু হাইয়ান আল তাওহীদী (৯২৩-১০২৩ খ্রি) তার “কিতাবুল ইমতিয়া ওয়াল মুয়নাসাত”-এ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
তাদের মধ্যে আবু সোলাইমান আল বুশতি অন্যতম, যিনি আল মুকাদ্দাসি নামে ইতিহাসে পরিচিত। এছাড়া আছে আলি ইবনে হারুন আল জানজানি, মুহম্মদ আল নাহরাজুরি, আল আওফি, যায়েদ ইবনে রিফাহ, আবু আহমদ প্রমুখ। (মারকুয়েট, পৃষ্ঠা ১০৭১)
রচনা সংকলন
তাদের সবথেকে বড় অবদান রাসায়েলে ইখওয়ানুস সাফা। এর মধ্যে মোট ৫২টি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি যুক্তিবিদ্যার সমস্যাবলি নিয়ে, ১০টি অধিবিদ্যা নিয়ে, ১১টি সুফিবাদ ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে, ১৭টি প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, আবহাওয়াতত্ত্ব, ভূগোল প্রভৃতি নিয়ে আলোচিত হয়েছে। বিশ্লেষণ করা হয়েছে নীতিবিদ্যা, সংখ্যাতত্ত্ব, মনোবিদ্যা এবং পরকাল নিয়ে।
মূলত দশম শতক পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিকাশ এই সংকলনে বিম্বিত হয়েছে। এজন্য একে দর্শন ও বিজ্ঞানের বিশ্বকোষ বললে ভুল হবে না। এছাড়া বিক্ষিপ্ত কিছু লেখাও পাওয়া যায়।
দর্শন ও চিন্তাধারা
নিও পিথাগোরিয়ানদের পর ইখওয়ান আস সাফাই সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। তাদের মতে, সংখ্যা সর্বোচ্চ স্তরের জ্ঞান। ধর্ম, ইতিহাস, ব্যাকরণ, কাব্য প্রভৃতি বিষয়ে ব্যুৎপত্তি জন্মালেই সংখ্যাতত্ত্বের তাৎপর্য উপলব্ধি করা যায়। গণিত সংখ্যার বিশুদ্ধ বিজ্ঞান এবং জ্যামিতি গণিতের অংশ। দুই-ই আত্মাকে উর্ধ্বতন আধ্যাত্মিক সত্তার জ্ঞানের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। জ্যোতির্বিদ্যায় তাদের চিন্তাধারা অনেক বেশি কল্পনাপ্রসূত।
যুক্তিবিদ্যাকে তারা পদার্থবিজ্ঞান ও অধিবিদ্যার মাঝামাঝি রাখার পক্ষপাতি। তাদের মতে, পদার্থবিদ্যা বস্তুজগৎ নিয়ে এবং অধিবিদ্যা অতীন্দ্রিয় জগৎ নিয়ে আলোচনা করে। যুক্তিবিদ্যায় তাদের বক্তব্যে এরিস্টটলের ছাপ স্পষ্ট। মনোবিজ্ঞানের আলোচনা করতে গিয়ে তারা বলেছেন, প্রত্যেকটি মানুষ একটি ক্ষুদ্র জগৎ এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক অতিকায় মানুষের মতো। প্রতিটি মানুষের আত্মাকে এক করে দেখলে পাওয়া যায় নিরপেক্ষ মানুষ বা মানবতার শক্তি। জন্মের পর শিশুর আত্মা সাদা শ্লেটের মতো থাকে। পাঁচ ইন্দ্রিয় দিয়ে মানুষ যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তা বিশ্লেষণের পর জমা হয় মস্তিষ্কের সামনে, মধ্যে বা পেছনে। শ্রবণ ও দৃষ্টির সমন্বয়ে গঠিত হয় বুদ্ধিপ্রসূত ইন্দ্রিয়সমূহ। তাই ইতর প্রাণীর মতো মানুষের ইন্দ্রিয় থাকলেও তার স্বকীয়তা দিয়েছে চিন্তা ও বুদ্ধিশক্তি। বুদ্ধির দ্বারাই মানুষ কথা বলে, বিচার করে, শুভ-অশুভ, ভালো-মন্দের তফাৎ করতে পারে। প্রত্যেক মানুষের উচিৎ জাগতিক নিয়ম কানুনের দিকে লক্ষ্য রেখে বুদ্ধিমান জীবন-যাপন করা। তবে সর্বোচ্চ পন্থা হলো পরমাত্মার প্রতি প্রেম। আত্মার মুক্তি ও আনন্দের জন্য সাধনা করা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
ইখওয়ান আস সাফা পৃথিবী সৃষ্টি নিয়ে নব্য প্লেটোবাদীদের বিকিরণ মতবাদ (Emanation Theory) ব্যাখ্যা করে। সৃষ্টিপ্রক্রিয়া নিয়ে তাদের ধারণা ছিলো অনেকটা বিবর্তনবাদের কাছাকাছি।
ইসমাইলীয় বিতর্ক
বলা বাহুল্য, উম্মাহের নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে অনেক আগে থেকেই মুসলমানরা শিয়া ও সুন্নি দুটি ভাগে বিভাজিত। ইসমাইলীয়রা এই শিয়াদেরই একটা উপভাগ, যারা সাত ইমামে বিশ্বাস এবং ধর্মের নিগূঢ় অর্থ উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতো।
আধুনিক চিন্তাবিদদের অনেকেই ইখওয়ান আস সাফার লেখায় ইসমাইলীয় শিয়া মতবাদের গন্ধ খুঁজে পান। রিচার্ড নেট্টনের মতে,
ইখওয়ান আস সাফার কোরআন ও হাদিস ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিতে ইসমাইলীয় বাতেনি মতবাদের আমেজ আছে। (Muslim Neoplatonists, London, 1982, Page- 80)
কাছাকাছি প্রসঙ্গ তুলে এনে মারকুয়েট বলেন,
এ নিয়ে আসলে বিতর্ক করার অবকাশ নেই। তাদের লেখা সেই সময়কার ইসমাইলীয় মতবাদকেই প্রতিফলিত করে। (Encyclopaedia of Islam, 1960, Page- 1071)
আবুল মা‘লি হাতিম বিন ইমরান বিন যুহরা (মৃত্যু-১১০৪) তার আল উসুল ওয়াল আহকাম গ্রন্থে লিখেছেন, ইসমাইলীয় দায়ীগণ দীর্ঘ নিবন্ধ লেখার সময় একে অপরকে সাহায্য করতো। এভাবে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ৫২টি নিবন্ধ পাওয়া যায়। এ থেকে সূত্র পাওয়া যায় ইখওয়ান আস সাফা ইসমইলীয় মতবাদের সমর্থক ছিলো। আবার তাদের গ্রন্থ রাসায়েলে ইখওয়ান আস সাফার ২৩ তম নিবন্ধে বলা হয়,
জেনে রাখুন, আমাদের মধ্যে রাজা, রাজপুত্র, খলিফা, সুলতান, মন্ত্রী, প্রশাসক, রাজস্ব কর্মকর্তা, কোষাধ্যক্ষ, চাকরিজীবি, অভিজাত, রাজার অমাত্য এবং সেনা কর্মকর্তা আছে। সেই সাথে আছে ব্যবসায়ী, শিল্পী, কৃষক ও নির্মাতা। সব ধরনের গুণের অধিকারী থেকে জানা অজানা জ্ঞানের সকল শাখার পণ্ডিতেরা।
এবং তারপর
বাগদাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ফাতেমীয়দের ভেতরেই বিভাজনের টানাপোড়েন, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের প্রাদুর্ভাব প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতার কারণেই খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি। গোপন সংগঠন এবং প্রচুর অধ্যবসায়ের ভেতর দিয়ে টিকে থাকার মানসিকতাও হারিয়ে ফেলে অনেকেই। এছাড়া ধর্মতাত্ত্বিক মতবিরোধমূলক আলোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে দার্শনিক জ্ঞানচর্চা উপেক্ষিত হতে থাকে। ইখওয়ান আস সাফাও সক্রেটিস, পিথাগোরাস, প্লেটো এবং এরিস্টটলের মতবাদ পর্যালোচনায় অতিমাত্রায় জোর দিয়ে নিজস্বতা হারিয়ে বসে। যার পরিণাম ইতিহাসের মঞ্চ থেকে তাদের প্রস্থান। এখন পর্যন্ত ইখওয়ান আস সাফার সংকলন রাসায়েলে ইখওয়ান আস সাফা- মধ্যযুগে মুসলিম জ্ঞানচর্চার অন্যতম বিশ্বকোষ বলে গণ্য করা হয়।