জুন, ১৯১৬। ঘোড়ার পিঠে চড়ে নিজের বাসায় ফিরছিলেন ফিলিস্তিনের জাফ্ফা শহরের বেদুইন পুলিশ অফিসার আরেফ আল-আরসান। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই তার পথ আগলে দাঁড়াল ইহুদীদের এক গুপ্ত সংগঠনের দুই সদস্য ডেভিড টিদার এবং ইয়েহোশুয়া লেভি। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তারা গুলি করে হত্যা করল আরেফ এবং তার সহচরকে। রেহাই দিল না আরেফের ঘোড়াটিকেও।
ডেভিড টিদারের অপারেশন সেখানেই শেষ হয়নি। আরেফ আল-আরসানকে হত্যার কিছুদিন পরেই আরেফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অটোমান তুর্কি কমান্ডার হাসান বে-কেও হত্যার চেষ্টা করেছিল ডেভিড টিদার। তাকে হত্যার প্রচেষ্টা হিসেবে গোপনে তার চায়ের কাপে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল সে। ভাগ্যক্রমে সেই চা হাসান বে-র পরিবর্তে পান করেছিল তার সেক্রেটারি। হাসান বে বেঁচে গেলেও মৃত্যু ঘটেছিল তার সেক্রেটারির।
আরেফ আল-আরসান ছিলেন বেশ বদমেজাজী ধরনের অফিসার। অপরাধী তো বটেই, স্থানীয় জনগণের সাথেও তার ব্যবহার ছিল বেশ খারাপ। বন্দীদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কিছু ইহুদী অপরাধীও। আর সে কারণেই প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইহুদী সংগঠনটি। আরেফের হত্যাকারী ডেভিড টিদার ছিল অটোমান পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, যে পরবর্তীতে ব্রিটিশ পুলিশে এবং তারও পরে ইসরায়েলি পুলিশে যোগ দিয়েছিল। আর যে সংগঠনটি আরেফকে হত্যার জন্য তাকে নিযুক্ত করেছিল, সেটি ছিল ‘হাশোমার’।
হাশোমার (השומר) সংগঠনটির জন্ম ১৯১২ সালে। এটি ছিল জায়নবাদী চিন্তা-ভাবনা থেকে সৃষ্ট প্রথম ইহুদী সশস্ত্র সংগঠন ‘বার গিওরা’র বিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত রূপ। বার গিওরা সৃষ্টির প্রধান লক্ষ্য ছিল জমিজমার দখল, পানির নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি নিয়ে স্থানীয় আরবদের সাথে সংঘর্ষকালে ফিলিস্তিনের ইহুদী বসতিগুলোকে রক্ষা করা এবং আরবদের উপর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেন তারা ভবিষ্যতে ইহুদীদের উপর আক্রমণের সাহস না পায়। কিন্তু বাস্তবে বার গিওরা সৃষ্টির দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইহুদীদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘ইসরায়েল’ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। জায়নবাদের উত্থান, বার গিওরার সৃষ্টি এবং জায়নবাদী নেতা ও পরবর্তীতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইৎজাক বেন জাভি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল আমাদের এই সিরিজের পূর্ববর্তী পর্বে।
বার গিওরা সংগঠনটি প্রথম দিকে খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। কারণ সে সময় ফিলিস্তিনের ইহুদী বসতিগুলো রক্ষার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় আরব, বেদুইন, দ্রুজ ও সারকাশান সম্প্রদায়ের প্রহরীদের হাতে। তাদেরকে চাকরিচ্যুত করে নতুন সৃষ্ট একটি ইহুদী সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয়দের বিরাগভাজন হওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ ইহুদী বসতির অধিবাসীরাই রাজি হয়নি। তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে সমমনা ইহুদীদেরকে প্ররোচিত করে এবং কিছুক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কয়েকটি ইহুদী বসতি থেকে স্থানীয়দেরকে সরিয়ে সেগুলো রক্ষার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিতে সক্ষম হয়েছিল বার গিওরা।
উদাহরণস্বরূপ, ইহুদীদের সেজেরা বসতিতে ক্রাউস নামে এক ব্যক্তির খামার পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েকজন সারকাশান প্রহরী। এদের মধ্যে একজন প্রহরী প্রায় রাতেই তার প্রহরাস্থল ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যেত এবং সকালে আবার ফিরে আসত। বার গিওরার সদস্যরা এটা লক্ষ্য করে এক রাতে ক্রাউসের ঘোড়াটিকে লুকিয়ে ফেলে এবং তাকে জাগিয়ে তোলার ব্যবস্থা করে। ঘুম থেকে জেগে নিজের ঘোড়া এবং প্রহরী কাউকেই না দেখে ক্ষিপ্ত ক্রাউস পরদিন সকালেই সারকাশান প্রহরীদেরকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে এবং তার স্থলে বার গিওরার সদস্যদেরকে নিয়োগ করে।
সে সময়টা ছিল দ্বিতীয় আলিয়া তথা দ্বিতীয় ইহুদী পুনর্বাসনের সময়। এ সময়ে ১৯০৪ সাল থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে রাশিয়া এবং অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩৫,০০০ নতুন ইহুদী ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করে। স্বভাবতই এই নবাগত ইহুদীদের মধ্যে অনেকেই ছিল বার গিওরার প্রতিষ্ঠাতাদের মতোই প্র্যাক্টিক্যাল জায়নিজমে বিশ্বাসী। তারাও বার গিওরার সদস্যদের সাথে একমত হয় যে, ভবিষ্যতে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে হলে সমগ্র ফিলিস্তিন জুড়ে ইহুদী বসতিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে তাদের প্রধান কাজ।
বার গিওরা শুধুমাত্র সেজেরা (বর্তমান ইলানিয়া) এবং মেশার (বর্তমান কেফার তাভর) বসতি দুইটি রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। কিন্তু তাদের লোকবলেরও অভাব ছিল এবং তাদের কার্যক্রমের মধ্যে কোনো সাংগঠনিক ছাপ কিংবা যথেষ্ট সামঞ্জস্যও ছিল না। ফলে বার গিওরার নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, বার গিওরা সংগঠনটির পরিবর্তে নতুন একটি বৃহত্তর সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা সমগ্র ইশুভকে (ফিলিস্তিনের সমগ্র ইহুদী অধিবাসী) নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে। এই সংগঠনটিরই নাম তারা দেন হাশোমার।
১৯০৯ সালের ১২ই এপ্রিল বার গিওরার নেতারা এক সভায় একত্রিত হয়ে বার গিওরার অস্তিত্ব বিলুপ্ত করেন এবং নতুন সংগঠন হাশোমার প্রতিষ্ঠা করেন। হাশোমার শব্দটির আক্ষরিক অর্থ প্রহরী। হাশোমারে প্রধানত বার গিওরার সদস্যরাই স্থান পায়, কিন্তু এতে আরো প্রশিক্ষিত এবং পরীক্ষিত সদস্যদেরকেও নিযুক্ত করা হয়। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসরায়েল শোশাত, ইসরায়েল গিলানি এবং মেন্ডেল পর্তুগালিকে, যারা তিনজনেই ছিলেন বার গিওরার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। হাশোমারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে নারীরাও ছিল, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইসরায়েল শোশাতের স্ত্রী মানিয়া শোশাত এবং বেন জাভির স্ত্রী র্যাচেল ইয়ানায়েত।
হাশোমার খুব দ্রুত ইহুদী বসতিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে। অধিকাংশ বসতি পূর্বের আরব এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রহরীদেরকে চাকরিচ্যুত করে শোমরিম তথা হাশোমারের সদস্যদেরকে নিয়োগ করে। ১৯১২ সালের মধ্যেই হাশোমার ফিলিস্তিনের ১৪টি ইহুদী বসতিকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব লাভ করে। আরবদের কাছ থেকে নতুন ক্রয় করা জমিগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যও হাশোমারকে নিয়োগ করা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠছিল। অবশ্য প্রতিটি বসতিতে তাদের সদস্য সংখ্যা সাত-আট জনের বেশি ছিল না। হাশোমারের ইতিহাসে তাদের সংখ্যা কখনোই ১০০ অতিক্রম করেনি। তবে সংখ্যায় অল্প হলেও তারা ছিল অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত।
দীর্ঘকাল ধরে ইহুদী বসতিগুলোর নিরাপত্তা দিয়ে আসা স্থানীয় আরব প্রহরীদেরকে চাকরিচ্যুত করে তাদের স্থলে দায়িত্ব গ্রহণ করাটা হাশোমারের সদস্যদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল। প্রাক্তন প্রহরীদের কৌশলগুলো আয়ত্ত্ব করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রহরায় অভ্যস্ত স্থানীয় ইহুদীদের সাথে মানিয়ে চলার জন্য তারা নিজেরাই আরব বেদুইনদের মতো পোশাক পরিধান গ্রহণ করে এবং আরবি ভাষা ও আরবদের বিভিন্ন সংস্কৃতি আয়ত্ত্ব করে। উদাহরণস্বরূপ, আরব সংস্কৃতির মতো তারাও পথচারীদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য প্রহরাস্থলের পাশেই অতিথিদের জন্য একটি পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা রাখে।
প্রথমদিকে হাশোমারের সদস্যরা পায়ে হেঁটেই তাদের দায়িত্ব পালন করত। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকলে তারা বেশ কিছু ঘোড়া ক্রয় করে, যার ফলে তাদের কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। হাশোমারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইহুদী বসতিগুলো থেকে সকল আরবকে উচ্ছেদ করে নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করে তোলা। আর তা করতে গিয়ে স্থানীয় আরবদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধলেই তারা এসব ঘোড়ার পিঠে চড়ে গিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করত, গুলি চালিয়ে তাদেরকে আহত করত, এবং মাঝেমাঝে হত্যাও করত।
হাশোমার যে শুধুমাত্র আরবদের উপরই আক্রমণ করত, এমন না। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী ইহুদী সদস্যদের উপর আক্রমণ করতেও দ্বিধা করত না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিলিস্তিনে অবস্থিত অধিকাংশ ইহুদী কোনো পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত ছিল, যদিও তাদের মধ্যে বেশ কিছু সংগঠন ব্রিটিশদের পক্ষ হয়ে অটোমান তুর্কিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এরকম একটি সংগঠন ছিল নিলি, যারা প্রধানত ব্রিটিশদের হয়ে অটোমানদের উপর গোয়েন্দাগিরি করত। এই নিলির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ছিল ইওসেফ লিশানস্কি।
১৯১৭ সালের অক্টোবরে তুর্কিরা ভাগ্যক্রমে একটি বার্তাবাহী কবুতর আটক করার মধ্যে দিয়ে নিলির গোয়েন্দাগিরি সম্পর্কে জানতে পারে। তারা ইওসেফ লিশানস্কিকে চিহ্নিত করে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। লিশানস্কি তখন হাশোমারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। হাশোমার অবশ্য আগে থেকেই নিলির কর্মকাণ্ডের বিরোধী ছিল, কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল, নিলির কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়ে গেলে তুর্কিরা হয়ত সমগ্র ইহুদী সম্প্রদায়ের উপরেই তার প্রতিশোধ নিতে পারে। ফলে তারা প্রথমে লিশানস্কিকে আশ্রয় দিলেও পরবর্তীতে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
৯ অক্টোবর, হাশোমারের সদস্যরা লিশানস্কিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর দুটি গুলি করে ফেলে চলে যায়। গুলি লিশানস্কির শরীরে আঘাত করলেও সে যাত্রায় সে বেঁচে গিয়েছিল এবং অটোমান সেনারা উপস্থিত হওয়ার আগেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তবে এর কয়দিন পরেই সে এক আরব বেদুইনের হাতে ধরা পড়ে, যে তাকে তুর্কি পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বন্দী অবস্থায় লিশানস্কি নিলি এবং হাশোমারের বেশ কিছু সদস্যের নাম ফাঁস করে দেয়। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে লিশানস্কির মৃত্যুদণ্ড হয় এবং তার দেওয়া নাম অনুসারে কিছু হাশোমার সদস্যকে তুরস্কে নির্বাসিত করা হয়।
হাশোমার সদস্যদের নির্বাসনের ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম ছিল না। পুরো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জুড়েই হাশোমারের বিভিন্ন সদস্যকে বিভিন্ন সময় নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় যুদ্ধে তুরস্কের শত্রুপক্ষ ছিল রাশিয়া, আর হাশোমারের সদস্যদের অধিকাংশই ছিল রাশিয়া থেকে আগত ইহুদী। ফলে তাদের কর্মকাণ্ডে কোনো সন্দেহ হলেই তাদেরকে নির্বাসনে পাঠানো হতো। নির্বাসিতদের মধ্যে ছিলেন ইৎজাক বেন জাভির মতো নেতাও। এছাড়াও ইসরায়েল শোশাত এবং তার স্ত্রী মানিয়া শোশাতের কাছে গোপন অস্ত্র পাওয়া যাওয়ায় তাদেরকেও ফিলিস্তিন থেকে বহিষ্কার করা হয়। অবশ্য তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে আবার ফিলিস্তিনে ফেরত আসেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয়ের পর ফিলিস্তিনের পরিস্থিতিতে এবং সেই সাথে হাশোমারের ভূমিকাতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর ইহুদী নেতা লায়নেল ওয়াল্টার রথশিল্ডের প্রতি বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের বুকে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করেন। এর পর থেকেই ফিলিস্তিনে আরব এবং ইসরায়েলি অধিবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরকম পরিস্থিতিতে ১৯২০ সালে জেরুজালেমে দাঙ্গা সংঘটিত হলে হাশোমারের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং আসন্ন একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ইহুদীদের নিরাপত্তার জন্য আরো সুসংগঠিত একটি বাহিনীর প্রয়োজন। ফলে হাশোমারকে বিলুপ্ত করে তারা সৃষ্টি হরেন নতুন সংগঠন হাগানা। এই হাগানাই পরবর্তীতে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর রূপ নেয় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স তথা আইডিএফে। হাগানার সৃষ্টি এবং তার বিভিন্ন গোপন অপারেশন সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব এই সিরিজের পরবর্তী পর্বে।
তথ্যসূত্র: Rise and Kill First: The Secret History of Israel’s Targeted Assassinations
এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলো:
(১) সন্ত্রাসী সংগঠন লেহি’র গুপ্তহত্যা, (২) উগ্র জায়নবাদের উত্থান, (৪) আইডিএফের পূর্বসূরী হাগানার উত্থান
ফিচার ইমেজ: tel-avivi.co.il