২০১১ সালে জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ৯.০ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। জাপানের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প। সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে ভূমির কম্পনের সাথে পানিও কম্পিত হয়। পানির সেই কম্পন সুউচ্চ ঢেউ আকারে প্রবল বেগে তেড়ে এসে আছড়ে পড়ে উপকূলে। সমুদ্রের ঢেউয়ের এই আঘাতকে বলা হয় সুনামি। উপকূলবর্তী এলাকায় শহর থাকলে সুনামি সেই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করে। ছোটখাট সুনামি প্রায় সময়ই হয়, কিন্তু ২০১১ সালে জাপানের মতো সুনামি কমই হয়। প্রায় ১৩০ ফুট হয়েছিল ঢেউয়ের উচ্চতা। ক্ষয়ক্ষতি অনেক প্রাকৃতিক দুর্ঘটনাতেই হয়, কিন্তু ২০১১ সালে জাপানের ক্ষয়ক্ষতি আর ধ্বংসলীলা সকল রেকর্ডকে হার মানাবে। এ ধরনের ঘটনার বাস্তবতা মুখের কথা বা লেখার ভাষার চেয়ে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় ছবির মাধ্যমে। একটি ছবি একশোটি বাস্তবতার কথা বলে, একটি ছবি একশোটি হাহাকারের কথা বলে। এরকম কিছু ছবির আয়োজন থাকছে এখানে। ছবিগুলো দ্য আটলান্টিক, হাইপারবোরিয়ান ভাইব্রেশন সহ আরো কিছু উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
অনুধাবনের সুবিধার জন্য এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। চীন-জাপানে ‘প্রিফেকচার’ শব্দটি প্রচলিত। এলাকা অর্থে এটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত জেলা থেকে বড়, কিন্তু বিভাগ থেকে ছোট এলাকাকে প্রিফেকচার বলে।
মিয়াকো শহরে প্রবেশ করছে সুনামি। সুরক্ষা বাধ টপকে বন্যা নামিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে আয়াট প্রিফেকচারকে, ১১ মার্চ ২০১১; © Mainichi Shimbun/Reuters
সুনামির প্রবল আঘাতে ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর দালানকোঠা। একটি বইয়ের দোকানের ছাদ খসে পড়ছে, দুজন আশ্রয় নিয়েছে দোকানেরই ভেতরে পিলারের কাছে, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ভূমিকম্পের আঘাতে টোকিওর কাছাকাছি একটি শহরে একটি তেল পরিশোধনাগারের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদে লেগে গেছে আগুন, ১১ মার্চ ২০১১; © Asahi/Reuters
ফুকুশিমা প্রিফেকচারের মিনামিসুমা উপকূলে আঘাত করেছে সুনামির ঢেউ। বাতাসে ভাসমান পাতার মতো উড়ে যাচ্ছে গাছপালা গাড়িঘোড়া, ১১ মার্চ ২০১১; © Sadatsugu Tomizawa/AFP/Getty
উত্তর-পূর্ব জাপানের নাতোরি অঞ্চলে সুনামির ঢেউয়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
উত্তর-পূর্ব জাপানের উপকূলে নায়কের মতো আক্রমণ করে বসেছে ধ্বংসাত্মক সুনামি, ১১ মার্চ ২০১১; © Mainichi/Nippon News
সুনামি ও ভূমিকম্পের পর মিয়াগি প্রিফেকচারে নেমেছে বন্যার ঢল। জানালা পর্যন্ত চলে এসেছে পানি, ১১ মার্চ ২০১১; © Yomiuri/Reuters
সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে সেন্দাই বিমান বন্দর, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
প্রবল ধ্বংসলীলায় জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয় সংবাদ পত্রিকার রিপোর্টার টয়া শিবা। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রায় ৩০ মিটার ভেসে যাবার পরে একটি রশি বেয়ে ৮ মিটার উঁচু কয়লার স্তূপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাটি ১১ মার্চের, ছবিটি স্থানীয় ঐ পত্রিকা প্রকাশ করেছিল ১৪ মার্চ ২০১১-তে; © Kamaishi Port Office/Kyodo/Reuters
মাটি উলটে কাদা করে ফেলেছে সেন্দাই শহরকে। গাড়িগুলোকে যেন গিলে ফেলছে আর উপর থেকে অসহায়ের মতো তা অবলোকন করছে মানুষ, ১১ মার্চ ২০১১; © Hiroshi Kawahara/AFP/Getty
ডুবে গেছে ফুকুশিমা প্রিফেকচারের হিরোনো পাওয়ার স্টেশন, ১১ মার্চ ২০১১; © Yomiuri/Reuters
কেসানোমা বন্দরে লোকজন অসহায়ের মতো দেখছে ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা, ১১ মার্চ ২০১১; © Yomiuri/ Reuters
মাছ ধরার নৌকা ও জাহাজকে সমুদ্র থেকে ভাসিয়ে এনে রাস্তায় ফেলেছে সুনামি, ১১ মার্চ ২০১১; © Fukushima Minpo/AFP/Getty
সুনামি ও ভূমিকম্পের পরপর ভয়ঙ্কর সুন্দর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ইয়াকা শহরে, ১১ মার্চ ২০১১; © Yomiuri/Reuters
চারদিকে পানি, পানির মাঝে জ্বলছে আগুন, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
সর্বনাশা আঘাতে মিনামি সাংরিকুর মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির ছাদে, ১১ মার্চ ২০১১; © Naoki Ueda/Yomiuri Shiimbun/AP
ডুবে গেছে সেন্দাই বিমান বন্দর, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
সেন্দাই বিমান বন্দরের স্থলযান ও আকাশযান একত্রে ভেসে গেছে অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের সাথে, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ভূমিকম্পের দিন নাতুরি শহরের এক বাড়িতে লেগে গেছে আগুন, ১১ মার্চ ২০১১; Image: Kyodo/Reuters
গুঁড়িয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে বাড়িঘর, ১১ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ভূমিকম্পের পরের দিন আগুনে দগ্ধ বাড়ি থেকে বেরুচ্ছে ধোঁয়া, ১২ মার্চ ২০১১; © Kenji Shimizu/Yomiuri Shimbun/AP
ভেঙেচুরে ডুবে রয়েছে শক্তিশালী রেসিং কার, ১৪ মার্চ ২০১১; © Wally Santana/AP
এক ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দৃশ্য, ১৪ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতের তিন দিন পরে উদ্ধার কর্মীরা খুঁজছেন অবশিষ্ট হতাহতদের, ১৪ মার্চ ২০১১; © Wally Santana/AP
উল্টাপাল্টা ডিগবাজি খেয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে কার্গো কনটেইনার, ১২ মার্চ ২০১১; © Itsuo Inouye/AP
ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে একজন রোগীকে, ১৩ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
নাতুরি অঞ্চলে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ভেসে আছে ধ্বংসাবশেষ, ১৩ মার্চ ২০১১; © Mike Clarke/AFP/Getty
সুনামির প্রভাবে নদীর জাহাজ উঠে বসে আছে ডাঙ্গায়, ১৩ মার্চ ২০১১; © Itsuo Inouye/AP
বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে খুঁজছে উদ্ধারকারীরা, ১৫ মার্চ ২০১১; © Koichi Kamoshida/ZUMA Press/Corbis
ভাসিয়ে নেবার দুদিন পর উপর থেকে কামাইশি শহরের দৃশ্য, ১৩ মার্চ ২০১১; © EPA
ভবন থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা, ১২ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ইশিনোমাকি শহরের ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি রাস্তায় হাঁটছেন একজন লোক, ১৫ মার্চ ২০১১; © Hitoshi Yamada/NurPhoto/Corbis
ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর উত্থিত ধোঁয়া। দূর থেকে ধারণ করা এই দৃশ্যটি প্রচারিত হয়েছিল জাপানের NTV/NNN- চ্যানেলে। এই বিপর্যয়ের পর পৃথিবীব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুতের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন ও জনমত গড়ে উঠেছিল, ১৪ মার্চ ২০১১; © NTV/dapd/AP
হিটাচি হারবারে পুড়ে যাওয়া গাড়ির স্তূপ, ১২ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ফেরি উঠে বসেছে বাড়ির ছাদে, ১৩ মার্চ ২০১১; © Yomiuri Shimbun/dapd/AP
কংক্রিটের ব্লকে আটকা পড়ে মারা গিয়েছেন একজন লোক। তাকে মৃত আবিষ্কার করা হয় ১৪ মার্চ ২০১১-তে; © Gregory Bull/AP
ইট-পাথর, বাড়ি-ঘর, গাড়ি-ঘোড়ার ধ্বংসস্তূপে আহতদের খুঁজছে উদ্ধারকর্মীরা, ১৫ মার্চ ২০১১; © Aly Song/Reuters
ব্যাগ হাতে ক্লান্ত শ্রান্ত ও বিষণ্ণ চোখে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এলাকা দেখছেন একজন নারী, ১৩ মার্চ ২০১১; © Yomiuri Shimbun/Reuters
চৌরাস্তায় জলে অর্ধনিমগ্ন একটি গাড়ি, ১২ মার্চ ২০১১; © Jo Yong-Hak/Reuters
একটি রেস্টুরেন্টের ভেতরের দৃশ্য, ১৪ মার্চ ২০১১; © Philippe Lopez/AFP/Getty
এক বাড়ি উঠে গেছে আরেক বাড়ির উপরে, ১৩ মার্চ ২০১১; © Kyodo/Reuters
ফুকুশিমা অঞ্চলের একটি ছেলের শরীরে ক্ষতিকর বিকিরণের উপস্থিতি পরীক্ষা করছেন কর্মীরা। তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিরাপত্তামূলক পোশাক পরিধান করে নিয়েছেন, ১৩ মার্চ ২০১১; © Kim Kyung-Hoon/Reuters
প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসছে জাপানের একটি ঘর। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজতে গিয়ে জাহাজ ও উড়োজাহাজ থেকে এই ঘরটি, ১৩ মার্চ ২০১১; © Mass Communication Specialist 3rd Class Dylan McCord/U.S. Navy
ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিকে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন একজন লোক, ১৪ মার্চ ২০১১; © Damir Sagolj/Reuters
কাচের সুরক্ষায় আটকানো এক মেয়ের সাথে কথা বলছে তার মা। ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্তদেরকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল সাধারণ মানুষ থেকে, ১৪ মার্চ ২০১১; © Yuriko Nakao/Reuters
এত ক্ষয় ক্ষতির মাঝেও ‘বেঁচে আছি’ সৌভাগ্যে খুশি দুজন জাপানি, ১১ মার্চ ২০১১; © Kimimasa Mayama/EPA
১৩ই মার্চ উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছায় হিরোমিশু সিংকাওয়া’র কাছে যিনি দুই দিন ধরে একটি গাছের গুড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং ভেসে ভেসে সমুদ্রের অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন; © Japanese Defense Forces/Jiji Press/AFP/Getty
আপনজন হারানোর শোকে পাথর একজন নারী, ১৩ মার্চ ২০১১; © Asahi Shimbun/Reuters
সুনামির এক সপ্তাহ পর ধ্বংসলীলার মাঝে হেঁটে যাচ্ছে একজন বেঁচে যাওয়া লোক, ১৮ মার্চ ২০১১; © Reuters/Aly Song
সুনামির আগে মিনামিসাংরিকু অঞ্চলের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির পরে মিনামিসাংরিকু অঞ্চলের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির আগে মিনামিসাংরিকু অঞ্চলের ফুটবল মাঠের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির পরে মিনামিসাংরিকু অঞ্চলের ফুটবল মাঠের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির আগে সেন্দাই বিমান বন্দরের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির পরে সেন্দাই বিমান বন্দরের স্যাটেলাইট ভিউ; © Google Maps
সুনামির পাঁচ বছর পর ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্ট অঞ্চল, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; © Christopher Furlong / Getty
ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে দুর্ঘটনার ৫ বছর পর একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। তেজস্ক্রিয় দূষণের কারণে ঐ অঞ্চল এখন বসবাসের অনুপযোগী, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; © Christopher Furlong/Getty
ফিচার ছবি- Kyodo/Reuters