১
১৫৭৬ সালের ১২ জুলাই বাংলার কররানী বংশের শেষ বাদশাহ দাউদ শাহ কররানীকে পরাজিত করে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলার উপর নিজের আধিপত্য বিস্তারের প্রাথমিক কাজটি শেষ করেন। বাংলা বলতে অবশ্য পুরো বাংলা না। বাংলার খুব সামান্য অংশই তখন পর্যন্ত মুঘলদের অধীনে ছিল। ঐতিহাসিক শহর তান্ডাকে কেন্দ্র করে মুঘল সাম্রাজ্যের এ প্রদেশটির সীমানা ছিল মালদহ আর দিনাজপুর হয়ে উত্তরে ঘোড়াঘাট আর পূর্বে করতোয়া নদী পর্যন্ত।
সমগ্র বাংলা বিজয়ের ক্ষেত্রে মুঘলদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো ভাটি অঞ্চলের জমিদাররা। ‘বার ভূঁইয়া’ নামেই যারা বেশি পরিচিত ছিলেন। বার ভূঁইয়ারা মূলত বাংলার অসামান্য ভৌগোলিক সুবিধা পেয়েছিলেন। প্রবল বর্ষণের কারণে বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় এ অঞ্চলটি পানির নিচে থাকতো। নদ-নদীগুলো এ সময় ফুলেফেঁপে উঠতো। নদী আর এর শাখা-প্রশাখাগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় মুঘল নৌবহর এই অঞ্চলে চলাচলের ক্ষেত্রে নানা অসুবিধায় পড়তো। ভাটির ভূঁইয়ারা ঠিক এই দিকটি দিয়েই এগিয়ে ছিলেন।
নদ-নদীর আধিক্য ছাড়াও রাজধানী থেকে বিশাল দূরত্ব আর বাংলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ দুর্গম হওয়ায় মুঘলরা সহজে এই অঞ্চলের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। আর সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা পাহাড়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো তা হলো, বন্যাপ্রবণ এই অঞ্চলে দুর্ধর্ষ মুঘল অশ্বারোহী বাহিনী তেমন কাজেই লাগানো সম্ভব হয়নি। বাংলার প্রতিকূল আবহাওয়ায় সাথে মুঘল সৈন্যরাতো বটেই, এমনকি অশ্বারোহী বাহিনীর ঘোড়াগুলোকেও মানিয়ে নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিলো। তাছাড়া মশার উপদ্রব তো ছিলোই। এসব কারণেই দীর্ঘদিন অত্যন্ত সফলতার সাথে বার ভূঁইয়ারা মুঘলদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ ধরে রাখতে পেরেছিলেন।
২
বাংলার পূর্বাঞ্চল আর দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাংশ মূলত ভাটি বাংলা নামে পরিচিত ছিল। পদ্মা, ব্রক্ষ্মপুত্র আর মেঘনার অববাহিকায় থাকা এ অঞ্চলটুকুর সীমানা নির্ধারণ করা যায় এভাবে- উত্তরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, উত্তর-পূর্বে সিলেটের বাণিয়াচংগ, পূর্বে ত্রিপুরা, দক্ষিণে পদ্মা নদী এবং পশ্চিমে ইছামতী নদী। অর্থাৎ, বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেটের নিম্নাঞ্চল আর ত্রিপুরা নিয়েই ছিলো ভাটি বাংলা। এই ভাটি বাংলাই ছিল মূলত বার ভূঁইয়াদের শক্ত ঘাটি। বার ভূঁইয়াদের তীব্র প্রতিরোধ আর ভৌগোলিক অসুবিধার জন্য ভাটি বাংলা জয় করতে মুঘলদের দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
সম্রাট আকবরের বাংলা অভিযানের সময় বাংলায় কিছু জমিদারের অস্তিস্ত্ব ছিল। এসব জমিদাররা বলতে গেলে স্বাধীনভাবেই বাংলা শাসন করতেন। তবে মুঘল অভিযানের সময় অনেকেই আনুগত্য স্বীকার করতেন, আবার সৈন্যরা সরে গেলেই বিদ্রোহ করে বসতেন। প্রাথমিকভাবে বাংলার এসব জমিদারদের একত্রে ‘বার ভূঁইয়া’ বলা হতো। বার (১২) শব্দটি দিয়ে আসলে নির্দিষ্ট সংখ্যা বোঝানো হতো না, বরং শব্দটি দিয়ে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বোঝানো হয়েছে। যেমন ‘দশ চক্রে ভগবান ভূত’, এখানে দশ চক্র বলতে আক্ষরিক অর্থেই দশ সংখ্যাটি বোঝানো হয়নি।
সমসাময়িক মুঘল ঐতিহাসিকরা যখনই বার ভূঁইয়াদের কথা বলেছেন, তখনই ভাটি অঞ্চলের কথা উল্লেখ করেছেন। তাতে এটা স্পষ্ট হয় যে, সমস্ত বাংলার জমিদারদের নয়, বরং ভাটির জমিদারদেরই ‘বার ভূঁইয়া’ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘বার ভুঁইয়া’ নামকরণের পেছনে অন্য আরেকটি মতও আছে। ধরা হয় বার ভূঁইয়া বলতে সত্যি সত্যিই বারজন জমিদারের অস্তিত্ব ছিল এবং তাদের নেতাসহ এই সংখ্যাটা মোট ১৩ জনে দাঁড়ায়। আবার সম্রাট আকবরের শাসনামলের বার ভূঁইয়া আর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলের বার ভূঁইয়ারা আবার এক না। সম্রাট আকবরের শাসনামলের অনেক ভূঁইয়ারই মৃতুর পর তাদের পুত্ররা তাদের স্থলাভষিক্ত হয়েছিলেন। তাদেরও বার ভূঁইয়ার অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ আবদুল করিম সম্রাট আকবর ও সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের ‘বার ভূঁইয়াদের’ নামের একটি তালিকা দিয়েছেন। তালিকাটি এখানে দিয়ে দিলাম।
সম্রাট আকবরের সমসাময়িক সময়ের বার ভূঁইয়ার নামের তালিকা
১. মসনদ-ই-আলা ইশা খান
২. ইবরাহীম নারাল
৩. করিমদাদ মুসাজাই
৪. মজলিস দিলাওয়ার
৫. মজলিস প্রতাপ
৬. টিলা গাজী
৭. বাহাদুর গাজী
৮. চাঁদ গাজী
৯. সুলতান গাজী
১০. সেলিম গাজী
১১. কাসিম গাজী
১২. কেদার রায়
১৩. শের খান
সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলের বার ভূঁইয়ার নামের তালিকা
১. মসনদ-ই-আলা মুসা খান
২. আলাওল খান
৩. আবদুল্লাহ খান
৪. মাহমুদ খান
৫. বাহাদুর গাজী
৬. সোনাগাজী
৭. আনোয়ার গাজী
৮. শয়খ পীর
৯. মির্জা মুমিন
১০. মাধব রায়
১১. বিনোদ রায়
১২. পাহলোয়ান
১৩. হাজী শামস উদ্দিন বাগদাদী
৩
ভাটি বাংলার বার ভূঁইয়াদের মূল নেতা ছিলেন মসনদ-ই-আলা ঈশা খান। ঈশা খানের মৃত্যুর পর এই নেতৃত্ব যায় তার পুত্র মুসা খানের হাতে। বার ভূইয়াদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী ছিলেন বিক্রমপুরের চাঁদ রায় ও কেদার রায়। এছাড়া সোনারগাঁও শাসন করতেন ইবরাহীম নারাল, আর মহেশ্বরদীর জমিদার ছিলেন করিমদাদ মুসাজাই। মজলিশ দিলাওয়ার আর মজলিশ প্রতাপ ছিলেন জোয়ানশাহী আর খালিয়াজুরি পরগণার জমিদার। এছাড়াও প্রভাবশালী ভূঁইয়াদের তালিকায় ছিলেন গাজীপুরের গাজী পরিবারও। এই পরিবারের উত্থান হয় ফজল গাজীর হাত ধরে, তবে আকবরের সমসাময়িক ছিলেন টিলা গাজী, বাহাদুর গাজী, কাসিম গাজী, সেলিম গাজী, সুলতান গাজী, চাঁদ গাজী প্রমুখ।
প্রভাবশালী ভূঁইয়াদের তালিকায় আরও আছেন বরিশালের (চন্দ্রদ্বীপ) কন্দর্প নারায়ণ, ভুসনার (খুলনা-ফরিদপুর) মুকুন্দ রায়। এছাড়াও আছেন ভুলুয়ার (নোয়াখালী) লক্ষণ মাণিক্য, দিনাজপুরের প্রমথ রায়। রাজশাহীতে প্রভাবশালী ছিলেন পীতাম্বর রায়, বীর হাম্বির ছিলেন বাঁকুড়ার ক্ষমতায়, নাটোরে ছিলেন কংস নারায়ণ।
ভাটি বাংলার ভূঁইয়া ছাড়াও রাজমহলের যুদ্ধে দলছুট কয়েকজন আফগান নেতাও মুঘল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রাণপনে লড়াই করেছিলেন। খাজা উসমান আফগান এদের মাঝে অন্যতম। ময়মনসিংহের বুকাইনগরকে কেন্দ্র করে তিনি বিদ্রোহ জারি রাখেন। আরেকজন প্রভাবশালী আফগান নেতা ছিলেন বায়েজিদ কররানী। সিলেটকে কেন্দ্র করে তিনি তার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা আরেকজন বিখ্যাত সেনানায়ক ছিলেন খোদ মুঘল সেনাবাহিনীর মধ্য থেকেই। বাংলার মুঘল বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হলেও মাসুম খান কাবুলী নামক এক মুঘল অফিসার আকবরের আনুগত্য স্বীকার না করে ঈশা খানের সাথে যোগ দিয়ে বিদ্রোহ চালিয়ে যান। পাবনা ও এর আশেপাশের অঞ্চলের উপর আধিপত্য বিস্তার করে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র মীর্জা মুমিনও বার ভূঁইয়াদের সাথে মিত্রতা বজায় রাখেন, এবং ভূঁইয়াদের একজন হয়ে যান।
৪
হুসেনশাহী বংশের শেষ সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে শের শাহ বাংলা দখল করলে তিনিও ভাটি বাংলাতে মুঘলদের মতো একই সমস্যায় পড়েছিলেন। ভাটি বাংলায় শের শাহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহের সময়ও এই প্রতিরোধ জারি ছিল। ইসলাম শাহের মৃত্যুর পর ভাটির জমিদাররা স্বাধীনভাবেই নিজ নিজ অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। আফগান কররানী শাসনামলেও ভাটির জমিদাররা নামমাত্র বাদশাহর আনুগত্য স্বীকার করতেন। আর নিজ নিজ অঞ্চলে ঠিকই স্বাধীনভাবেই শাসনকাজ পরিচালনা করতেন।
কররানী শাসনামলের শেষ দিকে ১৫৭৬ সালে রাজমহলে বাদশাহ দাউদ শাহকে মুঘলদের সাথে একটা সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। যুদ্ধের পূর্বেই বাদশাহ দাউদ শাহ বাংলার কোষাগারের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ জমা রাখেন তার মন্ত্রী ও প্রতাপাদিত্যের পিতা শ্রীহরির কাছে। রাজমহলের এই যুদ্ধে বাদশাহ পরাজিত ও নিহত হন। বাদশাহর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর বাদশাহর মা নওলাখা বেগম অবশিষ্ট সম্পদ নিয়ে চলে যান সাতগাঁয়ের দিকে। জমশেদ আর মাহমুদ খান খাসখেল নামক দুইজন আফগান অফিসার ও বেশ কিছু সৈন্য বাদশাহের মা নওলাখা বেগম ও সম্পদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ধন সম্পদের লোভ মানুষকে মানুষের স্তর থেকে পশুর স্তরে নামিয়ে আনে, দায়িত্ব আর হিতাহিতজ্ঞান ভুলিয়ে দেয়। মাহমুদ খান খাসখেল ওরফে মতিও সম্পদের ফাঁদে পড়ে গেল। মরহুম বাদশাহ দাউদ শাহের বিপুল এই সম্পদের লোভ পেয়ে বসলো মতিকে। মতি জামশেদকে হত্য করে বসলো। তবে বাদশাহর সম্পদ হস্তগত করতে পারলো না। সুবাদার খান জাহান নওলাখা বেগমের অবস্থান চিহ্নিত করে দ্রুত অগ্রসর হলে মতি আর তার অধীনস্ত সৈন্যরা পালিয়ে যায়। বাদশাহ দাউদ শাহের মা আশ্রয় নিলেন খান জাহানের কাছে। একইসাথে বাদশাহের কোষাগার খান জাহানের হস্তগত হলো।
বাদশাহ দাউদ শাহের রাজকোষের এই বিপুল অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব লাগে স্বয়ং মুঘল অফিসারদের মাঝেও। আকবর তখন বাংলা সুবাহর পুরো প্রশাসন ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলা বিহারের বিপুল নিষ্কর ভূমির উপর কর বসানো হলো, ঘোড়া দাগানো পদ্ধতি কঠোরভাবে আরোপ করা হলো, বাংলা বিহারের সৈন্যদের অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়া বেতন হ্রাস করা হলো। একই সাথে এ সময়ে ইসলামের প্রতি সম্রাটের অসহিঞ্চুতা চোখে পড়ছিল। সব মিলিয়ে বাংলা আর বিহারে থাকা মুঘল সৈন্যরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসলো। ১৫৮০ সালের ১৯ এপ্রিল খোদ বাংলার সুবাদার মুজাফফর খান তুরবাতি বিদ্রোহীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন। তান্ডাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহীরা সম্রাটের সৎ ভাই মির্জা মুহাম্মদ হাকিমকে সম্রাট ঘোষণা করে স্বাধীন বাংলা সরকার গঠন করলেন।
বিদ্রোহ দমন করতে ১৫৮১ সালের আগস্ট মাসে সম্রাট আকবর নিজেই কাবুলের দিকে অগ্রসর হয়ে কাবুল বিজয় করলেন। অন্যদিকে বাবা খান কাকশালসহ বেশ কিছু বিদ্রোহী নেতা মৃত্যুবরণ করায় বাংলার বিদ্রোহীরাও মানসিকভভাবে ভেঙে পড়ে হাল ছেড়ে দেয়।
তবে বাংলার এই মুঘল বিদ্রোহ মসনদ-ই-আলা ঈশা খান ও তার নেতৃত্বাধীন বার ভূঁইয়াদের নিজেদের সেনাবাহিনী গুছিয়ে নেওয়ার বিরল এক সুযোগ এনে দিলো। যথাসময়ে সেই গল্প বলা হবে।
৫
এদিকে আপাতত ঈশা খান আছেন বেশ বিব্রতকর এক পরিস্থিতিতে। বাদশাহ দাউদ শাহ যখন কটকের চুক্তির পর পুনরায় বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন, তখন ঈশা খান উৎসাহী হয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে বসলেন বাংলার মুঘল নৌ ঘাটিতে। মীর-ই-বহর শাহ বারদী ঈশা খানের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলেন।
এখন রাজমহলের যুদ্ধে বাংলার বাদশাহ দাউদ শাহ কররানী পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছেন। ঈশা খান বুঝে গেলেন তারা মাথার উপর এখন বিপদ ঘণ্টা বাজছে। মুঘল নৌ বহরে আক্রমণের কারণে তাকে এবার মুঘলদের তাড়া খেতে হবে। কিন্তু পরাক্রমশালী মুঘল সাম্রাজ্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সামর্থ্য ঈশা খানের ছিল না।
তিনি চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে গেলেন, তবে দমে গেলেন না। তিনি জানেন আজ হোক কাল হোক, বাংলায় শাসন করতে হলে হয় তাকে মুঘলদের আনুগত্য স্বীকার করতে হবে, অথবা যুদ্ধের মাধ্যমে নিজের ভূমি ছিনিয়ে নিতে হবে। ঈশা খান দ্বিতীয়টাকেই পছন্দ করলেন। পরবর্তী কয়েক বছরে তিনি ভাটির জমিদারদের একত্রিত করে একটি শক্তিশালী মৈত্রী গড়ে তুলবেন, মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দুর্ধর্ষ একটি নৌবাহিনী গড়ে তুলবেন এবং ভাটি বাংলায় মুঘলদের প্রভাব বিস্তারে অব্যাহতভাবে বাঁধা দিতে থাকবেন।
[এই সিরিজের পূর্বে প্রকাশিত পর্বটি পড়ুন এখানে। সিরিজের সবগুলো লেখা পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এখানে।]