লেখার শুরুতেই একটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক। প্রশ্নটি হলো, সঞ্জয় দত্ত অধিকাংশ সময় ফুলহাতা শার্ট পরে থাকেন কেন?
কিশোর বয়সে সঞ্জয় দত্ত এতটাই মাদকাসক্ত ছিলেন যে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলেছিলেন। তাই সবসময় ফুলহাতা শার্ট পরে থাকেন তিনি। আর এই মাদকাসক্তির পেছনে লুকিয়ে আছে সঞ্জয়ের জীবনের এক করুণ অভিজ্ঞতা।
সঞ্জয় দত্ত হচ্ছেন বলিউডের অন্যতম বিখ্যাত দম্পতি সুনীল দত্ত-নার্গিস জুটির সন্তান। তার মা নার্গিস দত্ত ছিলেন বলিউডের শ্রেষ্ঠ সুন্দরীদের একজন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের শীর্ষ বলিউড নায়িকা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। নার্গিস-রাজকাপুর জুটি ছিল তৎকালীন বলিউডের সুপারহিট জুটি।
Bollywood: A History (Roli books, 2008) বইটিতে মিহির বোস জানাচ্ছেন,১৯৪৮-১৯৫৬ সালের মধ্যে নার্গিস-রাজকাপুর জুটি প্রায় ১৬টি মুভিতে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন। রাজকাপুরের প্রেমে মশগুল ছিলেন নার্গিস। কিন্তুু বাস্তব জীবনে নার্গিস পাননি রাজকাপুরকে। রাজকাপুর ছিলেন বিবাহিত। ভগ্নহৃদয়ের নার্গিস অবশেষে জেন্টলম্যান সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন। মেহবুব খানের কালজয়ী সিনেমা মাদার ইন্ডিয়াতে (১৯৫৭) নার্গিস-সুনীল দত্ত মা ও ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। বিয়ের পরপরই নার্গিস সিনেমায় অভিনয় করা প্রায় ছেড়েই দেন। ঘাতকব্যাধি ক্যান্সারের সাথে ২২ বছর লড়াই করে নার্গিস মারা যান ১৯৮১ সালে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত মুমূর্ষু নার্গিস যুক্তরাষ্ট্রে যখন তার জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাচ্ছিলেন, তখন তিনি তার পুত্র সঞ্জয় দত্তের প্রথম ছবি ‘রকি’র প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তুু বিধি বাম। ১৯৮১ সালের ৭ মে রকি মুক্তি পেলো, এর আগে ৩ মে মারা যান নার্গিস। নার্গিস দত্তের সম্মানে প্রিমিয়ার শোতে একটি খালি চেয়ার রাখা হয়। রকি মুভি সুপারহিট হয়। সঞ্জয় দত্ত না পারলেন কাঁদতে, না পারলেন উদযাপন করতে। মায়ের প্রতি একান্ত ভক্ত সঞ্জয় দত্ত মায়ের মৃত্যু সইতে পারলেন না। শোকে বিপর্যস্ত হয়ে ভীষণভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। পিতা সুনীল দত্ত তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মাদকাসক্তি নিরাময়ের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর মার্কিন মুল্লুকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে সঞ্জয় দেশে ফেরেন। ১৯৮৭ সালে অভিনেত্রী রিচা শর্মার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। একের পর এক সুুপারহিট মুভি করে সঞ্জয়ের বৃহস্পতি তখন তুঙ্গে।
আরেকটি ভয়ঙ্কর নেশা ছিলো সঞ্জয়ের, সেটা হলো অস্ত্র সংগ্রহ। ইতোমধ্যে দুবাই ভিত্তিক মাফিয়াদের সাথেও পরিচয় হয় তার। দাউদ ইব্রাহীমের ছোট ভাই আনিস ইব্রাহীম নামে-বেনামে বিভিন্ন মুভি প্রযোজনা করেন বলিউডে। মুম্বাই নগরীতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে সঞ্জয় দত্তের পিতা কংগ্রেসের এমপি সুনীল দত্ত মুসলিম দরদী হিসেবে চিহ্নিত হন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনা সঞ্জয়ের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিলে সঞ্জয় দত্ত মাফিয়াদের কাছে অস্ত্র চান। আবু সালেম সঞ্জয় দত্তের বাসায় এসে তাকে অস্ত্র দিয়ে যান। মুম্বাই নগরীতে সিরিজ বোমা হামলার পর মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন চালাতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে সঞ্জয় দত্ত মাফিয়াদের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়েছেন। অবশেষে গ্রেপ্তার হন সঞ্জয় দত্ত।
পুলিশ হেফাজতে সঞ্জয় দত্তের স্বীকারোক্তি
২০ এপ্রিল, ১৯৯৩; সঞ্জয় দত্তের পৃথিবীটা ছোটো হয়ে আসলো। মুম্বাই নগরীর পুলিশ কমিশনার মি. সামরার সন্মুখে জবানবন্দী দিতে লাগলেন গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয়।
“ছোটবেলা থেকেই পিস্তলের প্রতি আমার নেশা ছিলো। আমার কাছে তিনটি লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। আমার বন্ধু ইউসুফ নুলওয়ালার সাথে আমি এগুলো নিয়ে শিকারে বের হই। ইয়ালগার মুভির ইউনিটের সাথে যখন আমি দুবাই গেলাম, তখনই দাউদ ইব্রাহীম ও আনিস ইব্রাহীমের সাথে আমার পরিচয় হয়। আনিস ইব্রাহীম প্রতিদিন আমার শ্যুটিং স্পটে আসতেন। দাউদ ইব্রাহীম মাঝে মাঝে তারঁ বাসভবন হোয়াইট হাউজে আমাদেরকে নিমন্ত্রণ করতেন। আমরা যেতাম সেখানে। সেখানে পরিচয় হয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যতম সদস্য দাউদের সহযোগী ইকবাল মিরচি, শারদ শেঠী ও ছোটা রাজনের সাথে। মুম্বাই ফিরে আসার পরই দাঙ্গা হয় শহরে। আমাদের পরিবারকে হুমকি দেয় শিবসেনা। আমি পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, কিন্তুু তাদেরকে সহযোগিতাপূর্ণ মনে হয়নি। বাধ্য হয়ে আনিস ইব্রাহীমের কাছে অস্ত্র চাইলাম। আবু সালেম মারফত আমি তিনটি একে-৫৬ ও অল্প কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড পাই। দাঙ্গা শেষ হওয়ার পর আমি অস্ত্রগুলো ফেরত দিতে চাইলাম। আবু সালেম কিংবা তার আরও দুই সহযোগী সামির-হানিফ কেউ সেগুলো ফেরত নিতে আসেনি। আমি পুলিশকেও জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তুু ভয়ে আর মুখ খুলতে সাহস হয়নি।
আমি মরিশাসে শ্যুটিং করার সময় শুনতে পাই সামির-হানিফ গ্রেফতার হয়েছে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। পত্রিকায় খবর বেরুলো, আমি সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত। আমার বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আমি মাফিয়াদের সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করেছি কিনা। আমি মিথ্যা বললাম তাকে। আমি বাবাকে বললাম, আমার সাথে মাফিয়াদের কোনো যোগসূত্র নেই। কিন্তুু মরিশাস থেকেই বন্ধু ইউসুফ নুলওয়ালাকে নির্দেশ দেই, আমার বাসায় গিয়ে অস্ত্রগুলো পুুড়িয়ে ফেলতে। ইউসুফ নুলওয়ালা আমাকে জানিয়েছে, সব অস্ত্র সে পুড়িয়ে দিয়েছে।”
এটুকু বক্তব্য শোনার পর পুলিশ কমিশনার মি. সামরা তার অধস্তনদের নির্দেশ দিলেন, সঞ্জয় দত্তকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার না করে, টাডা আইনে গ্রেফতার করতে। এই সেই কুখ্যাত টাডা আইন (Terrorist and Disruptive Activities (prevention) Act), যেটা শিখ বিদ্রোহীদের দমন করতে প্রথম ১৯৮৫ সালে প্রণীত হয়।
বলিউডে ঝাঁকুনি এবং খলনায়ক মুভির সুপারহিট ব্যবসা
সঞ্জয় দত্তকে গ্রেফতারের খবর শুনে বলিউডের সবাই চুপচাপ হয়ে পড়ে। কারণ সিরিজ বোমা হামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের সাথে জড়িত হবার জন্যই বলিউডের কেউ সঞ্জয়কে সমর্থন দিতে পারছিলেন না। অবশ্য বলিউডে পুলিশি ঝামেলা নতুন কিছু নয়। ষাটের দশকে বলিউড সুপারস্টার দিলীপ কুমারকে বারবার পুলিশ হেনস্থা করেছে পাকিস্তানী এজেন্ট বলে। যেহেতু দিলীপ কুমার মুসলিম (প্রকৃত নাম ইউসুফ খান) এবং আদতে পাকিস্তানী, তাই পুলিশ তার বাসায় বিভিন্ন সময় তল্লাশি চালিয়েছে। শেষমেষ প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হস্তক্ষেপে এ ঝামেলার অবসান হয়। মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন যখন কংগ্রেসের এমপি, প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বোফর্স কেলেংকারিতে তার নাম জড়িয়ে যায়। ভারত জুড়ে রব উঠে, “গলি গলি মশহুর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়”। যখন রাজীব গান্ধী ক্ষমতাচ্যুত হন, অমিতাভ বচ্চন রাজীব গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বারবার পুলিশ হানা দেয় অমিতাভের বাড়িতে। বলিউডের কেউ অমিতাভকে সমর্থন করতে আসেননি।
কিন্তুু সঞ্জয়ের ব্যাপারটা ছিলো আলাদা। সঞ্জয় দত্ত গ্রেফতার হওয়ার পর পুরো বলিউডের দিকেই আঙুল চলে আসলো মাফিয়া-ঘনিষ্ঠ হওয়ার। আসলে বলিউডের কিছুই করার ছিলো না দাউদের শরণাপন্ন না হয়ে। মুভি করার জন্য দরকার টাকা। ব্যাংক কিংবা অন্যান্য লগ্নিকারক সংস্থা সহজে টাকা দিতে চাইতো না। কিন্তুু মাফিয়ারা সহজেই পরিচালক ও প্রদর্শক সংস্থাকে টাকা দিতো। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিলো যে, আশি ও নব্বই দশকে বহু মুভিতে বিনিয়োগ করেছে দাউদের ডি কোম্পানী। মুম্বাই পুলিশ বলিউড-ঘনিষ্ঠ প্রায় আশি জনের নামের তালিকা করে, যারা দাউদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পত্র-পত্রিকায় মৃদু গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লো, বলিউডের বিরুদ্ধে অ্যাকশানে যাচ্ছে মুম্বাই পুলিশ। শেষতক বলিউড কম্যুনিটি সঞ্জয়ের পক্ষে রাস্তায় নামলো। সুভাষ ঘাই, শত্রুঘ্ন সিনহা, রাজ বাব্বার, মহেশ ভাট প্রমুখ ব্যক্তিত্ব সঞ্জয়ের পক্ষে প্রচারণা চালালেন। প্রথম দফায় ১৫ দিন জেল খেটে ১৯৯৩ সালের ৫ মে সঞ্জয় জামিনে মুক্তি পান।
বলিউডে তিন খানের রাজত্ব তখনও ঠিকমতো শুরু হয়নি। অমিতাভ বচ্চনের নায়কের ক্যারিয়ার অস্তাচলে। সঞ্জয় দত্তই তখন সুপারস্টার। সঞ্জয় দত্তের পেছনে প্রযোজকদের লগ্নির পরিমাণ ছিলো প্রায় ৭০ কোটি রুপি। আতিশ, আমানত, মাহান্ত মুভির শ্যুটিং চলছিলো সেসময়। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের খলনায়ক মুভিটি মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছিলো ১৫ জুন। সঞ্জয় দত্তের গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তি পাওয়া জনিত কারণে মুভিটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মুভির পোস্টারে সঞ্জয় দত্তকে হ্যান্ডকাফ পরিহিত অবস্থায় ঘোষণারত দেখা যায়, “হ্যাঁ, ম্যায় হুঁ খলনায়ক”। আমজনতা এই পোস্টার দেখে ভাবলো, সঞ্জু বাবা সত্যি সত্যিই বুঝি অভিমানে নিজেকে খলনায়ক ঘোষণা করেছে। মিডিয়ার লোকজন পরিচালক সুভাষ ঘাইকে দোষারোপ করতে লাগলো এই বলে যে, তিনি কেন সঞ্জয়ের এই অবস্থাকে পোস্টারে তুলে ধরে ব্যবসায়িক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। যদিও সুভাষ ঘাই বললেন যে, পোস্টারের পরিকল্পনাটা আগেই করা ছিলো। সঞ্জয়ের জীবনের গতিপথ যে এভাবে পোস্টারের সাথে মিলে যাবে, তা কে জানতো?
যা-ই হোক,খলনায়ক মুভিটি ১৯৯৩ সালের দ্বিতীয় ব্যবসাসফল মুভিতে পরিণত হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সঞ্জয় দত্ত আবার কাজে মনোনিবেশ করলেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো। একটা ব্যাপারই শুধু একটু অন্যরকম হয়ে গেলো সবার কাছে। তা হলো, মাধুরী দীক্ষিতের সাথে তখন সঞ্জয়ের রোমান্স চলছিলো বলে পত্রিকায় বেরিয়েছিলো। সঞ্জয় গ্রেফতারের পর মাধুরী প্রকাশ্যেই বলতে লাগলেন, সঞ্জয়ের সাথে তার কোনো সম্পর্কই কোনো কালে ছিলো না।
সঞ্জয়ের পাপের প্রায়শ্চিত্ত
সঞ্জয়ের মামলা শম্বুক গতিতে চলতেই লাগলো। ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে আবার গ্রেফতার হন সঞ্জয়। ১৬ মাস জেল খেটে ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে আবার মুক্তি পান। অনেকদিন পর ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই টাডা কোর্ট সঞ্জয়কে ছয় বছরের সাজা দেয় বেআইনীভাবে অস্ত্র রাখার জন্য। তবে সিরিজ বোমা হামলার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। সঞ্জয় দত্ত তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২২ অক্টোবর আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এক মাসের অধিক সময় জেল খেটে সঞ্জয় ২৭ নভেম্বর মুক্তি পান। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলতে থাকে। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেয়। ৬ বছরের সাজা কমিয়ে ৫ বছর করে। রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন সঞ্জয়। রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রাখে। আদালতের রায়কে মাথা পেতে নিয়ে সঞ্জয় শেষবারের মতো জেলে ঢুকেন ১৬ মে ২০১৩ সালে।
৫ বছরের সাজার মধ্যে এর আগেই বিভিন্ন মেয়াদে তিনি প্রায় ১৮ মাস জেলে ছিলেন। তাই এই মেয়াদে সাড়ে তিন বছর সাজা খাটার কথা ছিলো তার। অবশ্য জেলখানায় তার ভালো আচরণের কথা বিবেচনা করে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে তিনি মুক্তি পান। এভাবেই শেষ হয় সঞ্জয় দত্তের প্রায়শ্চিত্ত প্রক্রিয়া। এই মুহুর্তে তিনি স্বাধীন ভারতের একজন পুরোপুরি স্বাধীন প্রজা।
প্রথম পর্ব: সঞ্জয় দত্ত: মুম্বাই নগরীর আন্ডারওয়ার্ল্ডে জড়িয়ে পড়া বলিউডের খলনায়ক
তথ্যসূত্র: Zaidi, S. Hussain. 2002. Black Friday. Page no- 172 -195. Penguin Books India.