১৯১৭ সালে রাশিয়ার তৎকালীন জার শাসনের অবসান ঘটিয়ে জন্ম নেয় এক নতুন রাশিয়া যা পরিচিতি পায় ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন’ নামে। রাশিয়ার সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেওয়া সেদিনের রুশ বিপ্লব, অনেকের কাছে পরিচিতি পায় অক্টোবর বিপ্লব নামে। এই বিপ্লবের পুরোধা তিন ব্যক্তিত্ব কমরেড ভ্লাদিমির লেনিন, লিয়ন ট্রটস্কি এবং জোসেফ স্ট্যালিন।
বিপ্লবে জয়ী হওয়ার পর লেনিনের নেতৃত্বে দেশে গড়ে তোলা হয় সমাজতান্ত্রিক এক শাসন ব্যবস্থা। লেনিনের খুব কাছের এবং নির্ভরযোগ্য মানুষ ছিলেন লিয়ন ট্রটস্কি। তাকেই লেলিনের যোগ্য উত্তরসুরী ভাবা হতো। লেনিনের মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কথা ছিল লিয়ন ট্রটস্কির। কিন্তু রাজনৈতিক পাশা খেলায় দক্ষ এবং ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন জোসেফ স্ট্যালিনের কাছে রাজনীতির লড়াইয়ে হেরে যান এবং সেই সাথে ক্ষমতার বলয় থেকেও ছিটকে পড়েন ট্রটস্কি।
নরমপন্থী হিসেবে পরিচিত লিয়ন ট্রটস্কিকে শুধু ক্ষমতার কেন্দ্র থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়নি, তাকে দেশ থেকে বহিস্কার করে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষমতা দখল করে নেন জোসেফ স্ট্যালিন। পরবর্তীকালে মেক্সিকোতে নির্বাসিত জীবন কাটাতে থাকেন ট্রটস্কি। কিন্তু তারপরও তাকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অনেকের মতে, ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে এবং দলের মধ্যকার বিদ্রোহ চিরদিনের মতো চাপা দেওয়ার জন্য গুপ্তহত্যা করা হয় ট্রটস্কি এবং তার অনুসারীদের। এই হত্যাকান্ডের পিছনে যে নামটি বারবার উচ্চারিত হয়, তিনি আর কেউ নন, জোসেফ স্ট্যালিন।
লিয়ন ট্রটস্কির জন্ম ১৮৭৯ সালে তৎকালীন রাশিয়ার ইয়ানভাকা গ্রামে। তার প্রকৃত নাম ছিল লেভ দেভিদোভিচ ব্রনস্টইন। বাবা-মায়ের ৮ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ম। বাবা ছিলেন ছিলেন একজন অবস্থাসম্পন্ন কৃষক। ট্রটস্কি ও তার পরিবার ছিলেন ইহুদি ধর্মে বিশ্বাসী।
৮ বছর বয়সে ট্রটস্কিকে পাঠানো হয় স্থানীয় ওদেসা হাই স্কুলে। ৬ বছর পর স্কুল পরিবর্তন করে নিকোলায়েড এর একটি ভালো স্কুলে তাকে পাঠানো হয়। এখানেই প্রথম তিনি কার্ল মার্ক্সের আদর্শ ও চেতনার সাথে পরিচিত হন। ছাত্র হিসেবে তিনি ছিলেন বেশ মেধাবী, খুবই চিন্তাপ্রবণ এবং শান্ত প্রকৃতির।
১৮৯৭ সালে তার সাথে বন্ধুত্ব হয় বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী গ্রেগরি সোকোলনিকভের সাথে। পরবর্তীকালে তার সাথে মিলিত হয়ে তিনি গঠন করেন সাউথ রাশিয়ান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন নামের এক গোপন সংগঠন। এই সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৯৭ সালে অন্যান্য নেতাদের সাথে ট্রটস্কিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার ৪ বছরের জেল হয়। এই সময় তাকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। নির্বাসিত থাকাকালীন অবস্থায় আলেকসান্দ্রা সোকোলভস্কায়া নামের এক বিপ্লবী নারী নেত্রীর সাথে তার সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে প্রেম হয় এবং তারা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নির্বাসনে থাকা অবস্থায় তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
১৯০২ সালে ২ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর স্ত্রী-সন্তানকে ত্যাগ করে তিনি সাইবেরিয়া থেকে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নেন। লন্ডনে আসার জন্য তিনি পাসপোর্টে নিজের আসল নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন লিয়ন ট্রটস্কি। সেই থেকে ইতিহাসে তিনি এই ছদ্মনামেই পরিচিত। লন্ডনে গিয়ে তিনি সমাজতান্ত্রিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দেন এবং ভ্লাদিমির লেনিনের সাথে সাক্ষাত করেন। ১৯০৩ সালে, লিওন ট্রটস্কি নাটালিয়া ইভানোভা নামের এক সুন্দরী মহিলার সাথে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুটি পুত্র সন্তান।
এদিকে ১৮৯৮ সালে রাশিয়ায় মার্কসবাদীদের সোশ্যালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠিত হলেও শুরু থেকেই দলের গঠন ও কৌশল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের মাঝে প্রায়ই বিরোধ দেখা দিত। ১৯০৩ সালের দলে এক সভায় পার্টির মধ্যে বিভক্তি দেখা দিল। বলশেভিক (সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে) এবং মেনশেভিক (দলের সংখ্যালঘুদের মতামতের ভিত্তিতে) এই দুইটি গ্রুপে পার্টির কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়লো। ট্রটস্কি ১৯১৭ সাল পর্যন্ত মেনশেভিক গ্রুপটিকেই সমর্থন দিয়ে আসলেও পরবর্তীকালে বলশেভিক গ্রুপের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
লেনিন চেয়েছিলেন পেশাদার বিপ্লবীদের একটি ছোট দল তৈরী করতে যারা দলের সাথে সরাসরি যুক্ত নয় এমন এক বিশাল সমর্থকদের নেতৃত্ব দেবে। আবার জুলিয়াস মার্টভের মতো দলের আরেক পক্ষ চাইতেন, সমর্থকদের একটি বৃহত্তর অংশ নিয়ে গড়ে তোলা হোক শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। লিওন ট্রটস্কি এই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করতেন। ফলে উভয় দলের নেতাদের সাথে অনেক বিষয় নিয়ে তার সাথে সাংঘর্ষিক পরিবেশ তৈরি হতো। সেই সময় উচ্চাভিলাষী জোসেফ স্ট্যালিন সহ সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের অনেকেই লেনিনের পক্ষে ছিলেন।
১৯০৫ সালে রাশিয়ায় সামাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্মতৎপরতা শুরু হলে তিনি লন্ডন থেকে রাশিয়ায় প্রত্যার্বতন করেন। এই বিপ্লবী সংগঠনের তৎপরতা চালাতে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এই সময় ট্রটস্কি আবার গ্রেফতার হন এবং তাকে সাইবেরিয়ায় পুনরায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। ১৯০৭ সালের দিকে এবারও তিনি পালিয়ে গিয়ে ইউরোপে বিভিন্ন দেশে ১০ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। আত্মগোপন করা অবস্থায়ও তিনি দলের মতাদর্শ প্রচার এবং দলের সাংগঠিক কাজে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ধীরে ধীরে পার্টির অভ্যন্তরে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
এরপর ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে তিনি নেতৃত্বদানের জন্য এগিয়ে আসেন। নভেম্বরের দিকে বলশেভিকদের চূড়ান্ত সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। বিপ্লবীরা একের পর এক দেশ দখল করতে থাকে। ক্ষমতায় আরোহণ করে বিপ্লবী সরকার। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের জন্য এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের দায়িত্ব ট্রটস্কির ওপর অর্পণ করা হয়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের মধ্যকার শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য তার নেতৃত্বে লাল ফৌজের এক বিশাল বাহিনী নিরন্তর কাজ করতে থাকে।
১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিপ্লবের পর দেশের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, ট্রটস্কির নেতৃত্বে তার অবসান ঘটে ১৯২০ সালের অক্টোবর মাসে। ট্রটস্কির নেতৃত্বে সমাজবাদী বলশেভিক দল সম্পূর্ণ জয়ী হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জার্মানির সাথে লেনিনের পক্ষে তিনি একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসতে থাকেন ট্রটস্কি। ট্রটস্কির এই উত্থান ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি স্ট্যালিনসহ দলের কট্টোরপন্থীরা। দ্বন্দ্ব প্রথম দিকে আদর্শগত থাকলেও পরবর্তীতে তা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত কলহে রূপ নেয়।
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে লেনিনের পরে ট্রটস্কির নামেই বারবার উচ্চারিত হওয়ায় দলের ভিতরে স্ট্যালিনসহ বেশ কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে লেনিনও চেয়েছিলেন ট্রটস্কি দলের প্রধান ভূমিকা পালন করুক। ১৯২৩ সালে র্মাচ মাসে লেনিন স্ট্যালিনকে দল থেকে বিতাড়িত করার জন্য ট্রটস্কিকে পরামর্শ দিলেও উদারপন্থী ট্রটস্কি তাতে আগ্রহী ছিলেন না। স্ট্যালিন তা বুঝতে পেরেই দলের মধ্যে নিজের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট হন। ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি লেনিনের মৃত্যুর পর দলের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এর মধ্যেই শুরু হয় পার্টির দ্বাদশ সম্মেলন।
লেনিনের মৃত্যুর পর ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন ট্রটস্কি। স্ট্যালিন চতুরতার সাথে দলের সর্বময় ক্ষমতা নিজের কাঁধে নিয়ে নেন। দলের মধ্যেই নিজের অবস্থান ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে ট্রটস্কির। এর মধ্যেই স্ট্যালিন ট্রটস্কির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনেন। বিদ্রোহের অভিযোগে ট্রটস্কিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়।
ট্রটস্কি বিতাড়নের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো একটি পর্যায়ের। বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হলেন ট্রটস্কি। অবশেষে আশ্রয় মিললো মেক্সিকোয়। এখানে বসেই ট্রটস্কি লিখে চললেন তার আত্মজীবনী। সাথে তীব্র সমালোচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন স্ট্যালিনের ওপর। অন্যদিকে রাশিয়া ততদিনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ট্রটস্কিপন্থীরা। মেক্সিকোতে সেই আশঙ্কায় দিবারাত্রি ট্রটস্কির বাড়ি পাহারা দিতেন তার অনুগামীরা।
এই যখন অবস্থা তখন মেক্সিকো ছাড়িয়ে বহুদূরে ঘটে চলেছে অন্য এক নাটক। ট্রটস্কির বোন আমেরিকাবাসী ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিলভিয়া অ্যাগনাফ এসে পৌঁছলেন প্যারিসে। ২৭ বছরের যুবতী সিলভিয়ার সাথে পরিচয় হলো বেলজিয়ামের এক ধনী পরিবারের সন্তান জ্যাকুইস মরনারড এর।
প্রথম আলাপেই প্রেম। সেটা ১৯৩৮ সালের জুলাই মাস। মরনারড কিন্তু রাজনীতি সম্পর্কে তেমন আগ্রহী নন। তার পেশা কাগজে লিখে অর্থ রোজগার। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে সিলভিয়া ফিরে আসেন আমেরিকায়। কিছুদিনের মধ্যে একটি কাগজের সমর সাংবাদিক হিসেবে মরনারডেরও আসার কথা। মরনারড এলেন অনেক পরে, সেপ্টেম্বরে। এবার তার নাম ফ্র্যাঙ্ক জ্যাকসন। সাংবাদিক নয়, এবার এসেছেন একটি কোম্পানির চাকরি নিয়ে যারা মেক্সিকো থেকে বিভিন্ন দেশের কাঁচামাল রপ্তানী করে। যুদ্ধের ডামাডোলে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার জন্যই নিজের বেলজিয়াম নাম পালটেছেন বলে জানান মরনারড।
অক্টোবরেই মেক্সিকোয় পাড়ি দেন জ্যাকসন। ১৯৪০ সালের মার্চে আমেরিকা ফিরে যান সিলভিয়া। এর কিছুদিন পরেই মে মাসে কে বা কারা ভোর চারটে থেকে ট্রটস্কির বাড়ি লক্ষ্য করে মেশিনগান চালায়। অপহৃত হন এক রক্ষী, শেলভন হারট। অল্পের জন্য ট্রটস্কি রক্ষা পেলেও হারটকে মাসখানেক বাদে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সিলভিয়ার সুবাদে ২৪ মে জ্যাকসন পরিচিত হন ট্রটস্কির সঙ্গে। ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা। ৩০ মে থেকে ১২ জুনের মধ্যে ৩ বার তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হয়। এরপর বহুদিন পাত্তা নেই জ্যাকসনের। ২৯ জুলাই আবার হাজির জ্যাকসন। পরিচিত মুখ দেখে এই প্রথম খানাতল্লাশী ছাড়াই রক্ষীরা ভেতরে যেতে দেন জ্যাকসনকে। ঐদিন জ্যাকসন কিন্তু সেখান থেকেই ফিরে যান খুশি মনে।
আগস্টে সিলভিয়া আবার আসেন মেক্সিকোয়। দুজনই ৮ ও ১০ আগস্ট দুইবার দেখা করেন ট্রটস্কির সঙ্গে। ১৭ তারিখ জ্যাকসন তার এক লেখা দেখাতে যান ট্রটস্কিকে। আলোচনার জন্য ট্রটস্কি তাকে আবার আসতে বলেন ২০ আগস্ট। নির্দিষ্ট দিনে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এক হাতে রেনকোট ঝুলিয়ে ভিতরে চলে যান জ্যাকসন।
খানিক বাদেই একটি পাশবিক আর্তনাদ শুনে রক্ষীরা দৌড়ে ঢোকেন ভিতরে। মুখ ভর্তি রক্ত নিয়ে ট্রটস্কি পড়ে আছেন স্টাডিরুমের সামনে। জ্যাকসনের ডান হাত ধরা অটোমেটিক পিস্তল। যদিও আঘাত করেছিলেন রেনকোটের তলায়, লুকানো পাহাড়ে ওঠার ধারালো গাঁইতি দিয়ে। সেই গাঁইতির আঘাতে ট্রটস্কির মাথা চিরে নিচে নেমে এসেছিল। ধরা পড়লেন জ্যাকসন।
অনেক চেষ্টা করেও তার আসল নাম বা পরিচয় বের করা যায়নি। ২০ বছর পরে ১৯৬০ সালে জেল থেকে ছাড়া পাবার পর মরনারড ওরফে জ্যাকসনকে শেষবার দেখা গিয়েছিল একটি বিদেশগামী জাহাজ ধরতে। আদৌ জানা হলো না এই হত্যার পিছনে কে ছিল সত্যিকার ইন্ধনদাতা। অদ্ভুত এক ধাঁধা তৈরি করে গেলেন ট্রটস্কির সফল আততায়ী।
ফিচার ইমেজ: witnify.com