দ্য ভ্যালিয়েন্ট ডিফেন্ডার ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ

২০ এপ্রিল, ১৯৭১
বেলা আনুমানিক ৩টা
বুড়িঘাট, নানিয়াচর, রাঙামাটি, বাংলাদেশ।

কাপ্তাই লেকের কাচ-স্বচ্ছ পানিতে তীব্র আলোড়ন তুলে পাকিস্তানি কমান্ডোদের স্পিডবোট দুটো দ্রুত ধেয়ে এল; পেছনেই আরও তিনটি লঞ্চ। পাকিস্তানিদের দেখামাত্র মুন্সি আব্দুর রউফ তার প্লাটুনের অন্য সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি সংকেত দিলেন। তার পরমুহূর্তেই নিজের ট্রেঞ্চের ভেতর সেঁধিয়ে গিয়ে লাইট মেশিনগানের গায়ে গাল ঠেকিয়ে সামনের স্পিডবোটটার ওপর নিশানা ঠিক করতে লাগলেন। খুব সামান্য সময়ের জন্য তার মেশিনগানের ব্যারেলটা দ্রুত এগিয়ে আসা স্পিডবোটটিকে অনুসরণ করল।

ইতোমধ্যে পাকবাহিনীর স্পিডবোট আর লঞ্চ থেকে ৩ ইঞ্চি মর্টারের গোলার সাথে বৃষ্টির মতো মেশিনগানের বুলেট ছুটে আসতে শুরু করেছে। মুক্তিসেনারাও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন, তবে বুড়িঘাটের চিংড়ি খালের পাশের এই ডিফেন্সে লোকবল আর গোলাবারুদ নেহাতই অপ্রতুল[1]। তাই পাকিস্তানিদের ফায়ারের তুলনায় সে জবাব বেশ দুর্বলই শোনাল। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, পাকিস্তানিরা প্রায় দুই কোম্পানি কমান্ডো নিয়ে একযোগে আক্রমণ করে মুক্তিসেনাদের যথার্থই চমকে দিতে সমর্থ হয়েছে।

এ লড়াইটা নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে মেনে নিয়েই মুন্সি আব্দুর রউফ মেশিনগানের বাঁটটা কাঁধের কোটরে দৃঢ়ভাবে চেপে ধরে ট্রিগার টানলেন। মেশিনগানের বুলেটের আঘাতে সামনের স্পিডবোটটা যেন অদৃশ্য কোনো দেয়ালে গোত্তা খেল, স্পিডবোট আর বোটের আরোহী কমান্ডোদের নিকেশ করে দিতে পশলার পর পশলা বুলেট ছুটল মুন্সি আব্দুর রউফের মেশিনগান থেকে।

২৫ মার্চ রাতেই মুন্সি আব্দুর রউফ ইপিআর ছেড়ে পালিয়ে ষোল শহরে এসে ৮ম ইস্ট বেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা যখন কালুরঘাট দখল করে ফেলল, তখন ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান রাঙামাটিতে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হলেন। ভারত সীমান্তের কাছে রামগড়ে মুক্তিবাহিনীর হেডকোয়ার্টার করা হলো আর ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের হেডকোয়ার্টার করা হলো মহালছড়িতে। চট্টগ্রাম শহর দখলের পর এবার পাকিস্তানিরা অন্যান্য জেলাও দখলের জন্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মুক্তিসেনারাও আকাশচুম্বী মনোবল নিয়ে প্রতিরোধযুদ্ধ[2] চালিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু প্রশিক্ষিত পাকসেনাদের সাথে লড়ে জিততে হলে মনোবলের পাশাপাশি চাই পর্যাপ্ত অস্ত্র-গোলাবারুদ আর প্রশিক্ষণ। ভারতীয়দের সহযোগিতার নিশ্চয়তা পাওয়ার চেষ্টা এখনো চলছে। কিন্তু কোনো কিছুই এখনো ঠিক গুছিয়ে ওঠেনি।

পাকিস্তানিরা যত দ্রুত সম্ভব মানিকছড়ি, মহালছড়ি আর রামগড় কবজা করতে চাইছে, যেন মুক্তিসেনারা কোথাও কোনো মুক্তাঞ্চল গড়ে তুলতে না পারেন আর ভারতীয়রাও যেন সীমান্ত অতিক্রমের কোনো চেষ্টা চালাতে না পারে। অন্যদিকে মুক্তিসেনারাও যথাসম্ভব প্রতিরোধযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি চাপের মুখে পিছু যদি হটতেই হয়, সেই পিছু হটাকে নিরাপদ করতে মানিকছড়ি-মহালছড়ি-রামগড় হয়ে পিছু হটার সড়ক আর কাপ্তাই লেকের নৌপথ, দুটোই নিরাপদ রাখতে চাইছেন তারা। সেই উদ্দেশ্যেই কাপ্তাই লেকের ধারে বুড়িঘাটে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের একটা কোম্পানি ডিফেন্স নিয়েছে আর মুন্সি আব্দুর রউফ সেই কোম্পানিরই একজন এলএমজি ম্যান।

প্রথম স্পিডবোটটা ডুবিয়ে দিয়েই মুন্সি আব্দুর রউফ এবার দ্বিতীয় স্পিডবোটটার ওপর চড়াও হলেন এবং সেটাকেও ডুবিয়ে দিলেন। ইতোমধ্যে মুক্তিসেনারা প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিয়ে বেশ গুছিয়ে ফায়ারব্যাক করতে শুরু করেছেন।

দু-দুটো স্পিড বোট ডুববার পর পাকিস্তানিদের একটি লঞ্চও যখন ডুবে গেল, তখন পাক সেনাদের টনক নড়ল। বাকি লঞ্চগুলো এবার দ্রুত মুক্তিসেনাদের রাইফেলের রেঞ্জের বাইরে সরে গেল।

ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ। (১ মে, ১৯৪৩–২০ এপ্রিল, ১৯৭১)। অলংকরণ: রহমান আজাদ

ধূর্ত পাকসেনারা এবার নিরাপদ দূরত্বে থেকে মুক্তিসেনাদের উইপন পজিশনগুলোর[3] ওপর মর্টার ফায়ার শুরু করল, সাথে দূরপাল্লার ভারী মেশিনগান ফায়ার। ভয়ংকর সেই বুলেট আর স্প্লিন্টার[4] বৃষ্টিতে মুক্তিসেনাদের প্রতিরোধ ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে শুরু করল। গুলি শেষ হয়ে যাওয়া রাইফেল হাতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলেন। চারপাশে হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান বুঝলেন, স্রেফ স্মল আর্মস[5] দিয়ে এ লড়াই জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাছাড়া রিইনফোর্সমেন্ট[6] আসার কোনো নিশ্চয়তাও নেই। তাই অযথা প্রাণ বিসর্জন না দিয়ে বরং নিরাপদে পিছু হটাই হবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামানের মতোই পাকসেনাদের কমান্ডারও পরিস্থিতি আর বাস্তবতাটা দ্রুত বুঝে ফেলল এবং মুক্তিসেনাদের পিছু ধাওয়া করতে আচমকা এগিয়ে আসতে শুরু করল। রণে ভঙ্গ দেওয়া শত্রুকে নিধনের চেয়ে সহজ যুদ্ধ আর হয় নাকি? কিন্তু পিছু হটতে থাকা দেড়’শ মুক্তিসেনা আর হায়েনার মতো এগিয়ে আসতে থাকা পাকিস্তানি কমান্ডোদের মাঝখানে মেশিনগান হাতে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে একাই দাঁড়িয়ে গেলেন মুন্সি আব্দুর রউফ।

অগত্যা পাকিস্তানি নৌবহর ফের পিছু হটে নিরাপদ দূরত্বে ফিরে যেতে বাধ্য হলো। মুন্সি আব্দুর রউফের মেশিনগানটাকে চিরতরে নিস্ক্রিয় করতে এবার তারা একযোগে তার ট্রেঞ্চ লক্ষ্য করে মর্টার ফায়ার শুরু করল। পাকসেনাদের ছোড়া অসংখ্য মর্টার বোমার একটি আছড়ে পড়ল মুন্সি আব্দুর রউফের ট্রেঞ্চের মেঝেতে। পাহাড়ি সন্ধ্যা এমনিতেই ঝুপ করে হঠাৎ ঘনিয়ে আসে, আজ সন্ধ্যা নেমে আসার আগেই একরাশ নিকষ আঁধার রউফকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো। দেড়শ’ সহযোদ্ধার প্রাণ বাঁচানোর অনন্যসাধারণ তৃপ্তি নিয়ে শৌর্যদীপ্ত মুন্সি আব্দুর রউফ শেষনিশ্বাস ত্যাগ করলেন।

অলংকরণ: রহমান আজাদ

বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফের সংক্ষিপ্ত জীবনী

মুন্সি আব্দুর রউফ ৮ মে ১৯৪৩, ফরিদপুরের বোয়ালমারী (বর্তমানে মধুখালী) থানার সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সি মেহেদি হাসান এবং মাতার নাম মকিদুন্নেসা। তার পিতা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রউফকে পরিবারের সবাই আদর করে ‘রব’ বলেই ডাকত। স্থানীয় আড়পাড়া হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় ১৯৫৫ সালে তার পিতা মৃত্যুবরণ করলে আর্থিক অনটনের কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তার মা অন্যের ফরমায়েশে কাঁথা সেলাই এবং শিকা তৈরির কাজ করে সংসার চালাতেন। সংসারের অভাব দেখে মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৬৩ সালের ৮ মে ইপিআরে যোগ দেন।

তিনি চুয়াডাঙ্গা ইপিআর ক্যাম্পে তার মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানে গমন করেন। পশ্চিম পাকিস্তানে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লায় তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে তিনি চট্টগ্রামে ১১ উইংয়ে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে যুদ্ধে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ পর্বে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনাসদস্য এবং ইপিআরের সদস্যদের সমন্বয়ে গড়া একটি কোম্পানির দায়িত্ব ছিল রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি নৌপথ ঘিরে নিরাপত্তাব্যূহ তৈরির। এই দলের এক নম্বর এলএমজির চালক মুন্সি আব্দুর রউফ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নানিয়ারচর উপজেলাধীন বাকছড়ির একটি বাঙ্কারে। তার মৃত্যুর পর সহযোদ্ধারা তাঁর লাশ উদ্ধার করে নানিয়ারচরের চিংড়ি খালসংলগ্ন একটি টিলার ওপর তাকে সমাহিত করেন।

ফুটনোট

[1] স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হয়ে উঠবার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র বলতে ছিল পালিয়ে আসা সেনা, ইপিআর আর পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র আর দেশীয় কিছু বন্দুক। গোলাবারুদের পরিমাণ ছিল আরো স্বল্প।

[2] সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এক: প্রাথমিক প্রতিরোধ যুদ্ধ, যা সেক্টর বিন্যাসের আগ পর্যন্ত জনযোদ্ধারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে লড়েছেন। দুই: সেক্টর বিন্যাসের পর জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা লড়েছেন। তিন: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনী মিলে মিত্র সেনাবাহিনী হিসেবে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন।

[3] প্রতিটি অস্ত্রের জন্য প্রতিরক্ষা যুদ্ধে খনন করা এক বা একাধিক ট্রেঞ্চ বা পরিখা।

[4] বিস্ফোরিত বোমার লোহার টুকরা।

[5] ক্ষুদ্রাস্ত্র, পিস্তল, রাইফেল ইত্যাদি।

[6] সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে শক্তি বৃদ্ধি করা।

তথ্যসূত্র ও সহায়ক গ্রন্থাবলি

১।  হাসান হাফিজুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, অষ্টম থেকে একাদশ খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্পাদিত, বিজি প্রেস, তেজগাঁও, ঢাকা, নভেম্বর, ১৯৮২।
২।  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংকলিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ-ব্রিগেডভিত্তিক ইতিহাস, দশদিশা প্রিন্টার্স, ১২৪, আরামবাগ, ঢাকা-১০০০, মার্চ, ২০০৬।
৩।  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংকলিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ-সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, দশদিশা প্রিন্টার্স, ১২৪, আরামবাগ, ঢাকা-১০০০, মার্চ, ২০০৬।
৪।  মুহাম্মদ নূরুল কাদির, দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা, মুক্ত প্রকাশনী, ১২৯ দক্ষিণ কমলাপুর রোড, ঢাকা-১২১৭, ২৬ মার্চ, ১৯৯৭।
৫।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১ম থেকে ৭ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, বইমেলা ২০০৮।
৬।  মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান, ১ম থেকে ৭ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, মে ২০১৫।
৭।  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস, ১ম থেকে ৫ম খণ্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত, এশিয়া পাবলিকেশনস, ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা, মে ২০১৫।
৮।  মিলি রহমান সম্পাদিত, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর স্মারকগ্রন্থ, আগামী প্রকাশনী, ৩৬ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০, ফেব্রুয়ারি ২০০৫।
৯।  লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের দেশে ফেরা, শুধুই মুক্তিযুদ্ধ প্রকাশনী, ৭২ ইন্দিরা রোড, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
১০। চন্দন চৌধুরী, বীরশ্রেষ্ঠ, কথাপ্রকাশ, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, ফেব্রুয়ারি ২০০৮।১১। সাইদ হাসান দারা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সময় প্রকাশন, ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১০।
১২। ডা. মোহাম্মদ সেলিম খান, বাংলার বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তপ্রকাশ, ৩৮ বাংলাবাজার, ঢাকা, ডিসেম্বর ২০১১।
১৩। History of Counter Insurgency Operations in Chittagong Hill Tracts (1976-1999), Vol-2, Chapter – 3, 4 and 5, Page – Appendix 4E1-1.

ফিচার ছবি- রহমান আজাদ

[বি: দ্র: ডেল এইচ খানের লেখা সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্বের সবকটি গল্প পড়তে চাইলে দেখুন আদর্শ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের বীরগাথা‘ বইটি।]

Munshi Abdur Rouf was a Lance Nayek in the East Pakistan Rifles during the Bangladesh Liberation War. He enlisted in the East Pakistan Rifles on 8 May 1963, and was attached with a regular infantry unit during the War of Liberation.

Related Articles

Exit mobile version