বলা হয়ে থাকে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে নাকি একজন নারীর অবদান থাকে। একইভাবে কিন্তু এটাও বলা যায় যে, প্রত্যেক সফল নারীর পেছনে একজন পুরুষের অবদানও থাকে।
এখানে ‘প্রত্যেক’ শব্দটি হয়তো অতিরঞ্জন হয়ে যাচ্ছে, কেননা জগতের কোনো বিষয়কেই পুরোপুরি সাধারণীকরণ সম্ভব নয়। কিছু নিপাতনে সিদ্ধ ব্যাপার তো থাকেই। তাই আমরা যদি শুরুর বক্তব্য থেকে ‘প্রত্যেক’ শব্দটিকে প্রত্যাহার করে নিই, তাহলে আরো জোর দিয়ে অবশ্যই বলা যাবে, অধিকাংশ পুরুষ বা নারীর সাফল্যের পেছনেই থাকে একজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের হাত। এবং সেই বিপরীত লিঙ্গের মানুষটি তার জীবনসঙ্গী, অর্থাৎ তার স্ত্রী বা স্বামী।
ভাববেন না যে নিতান্তই ব্যক্তিগত ধারণা থেকে এমন একটি বিবৃতি দিয়ে দিচ্ছি। বিষয়টি এতদিন সামাজিকভাবেই স্বীকৃত তো ছিলই, এবং এখন এটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির (সিএমইউ) একদল গবেষক এটিই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, একজন ব্যক্তির জীবনে সফলতা লাভের সম্ভাবনা তখনই বেড়ে যায়, যখন সে একজন সহায়ক জীবনসঙ্গীকে পেয়ে থাকে।
এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে গবেষকরা ১৬৩টি বিবাহিত দম্পতির উপর তাদের গবেষণা চালান। শুরুতে তারা প্রতিটি দম্পতির মধ্য থেকে একজনকে সুযোগ দেন দুটির ভিতরে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে– সহজ কোনো ধাঁধাঁর উত্তর মেলানো, কিংবা বড় কোনো উপহারের জন্য লড়াই। পছন্দ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকে তাদের সঙ্গীর সাথে আলোচনার সুযোগও পায়, এবং সেখানে তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টিকেও গবেষকরা গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করেন।
শেষ পর্যন্ত গবেষকরা দেখতে পান, যাদের সঙ্গীরা বেশি সহায়ক ও উৎসাহদায়ক, তারাই কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে বড় পুরস্কার জয়ের ঝুঁকিটি নিয়েছে। আর যাদের সঙ্গীরা অপেক্ষাকৃত কম সহায়ক ও উৎসাহদায়ক, তারা সহজ ধাঁধাঁ মেলানোতেই সন্তুষ্ট থেকেছে।
এখানেই শেষ হয়নি গবেষণা। ছয় মাস পর গবেষকরা ওই ১৬৩টি দম্পতিকে ফের ডেকে পাঠান। এরপর তারা সমীক্ষার মাধ্যমে বের করেন যে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যে দম্পতিরা কঠিন প্রতিযোগিতার ঝুঁকি নিয়েছিলেন, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সহজ ধাঁধাঁর উত্তর মেলানো দম্পতিদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত শ্রেয়। এছাড়া মানসিকভাবে তারা বেশি সুস্থ ও সুখী, এবং তাদের ব্যক্তিত্ব অনেক বেশি মজবুত ও শক্তপোক্ত।
এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রবন্ধটির প্রধান লেখক ও সিএমইউ’র দিয়েত্রি কলেজ অভ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের মনোবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক ব্রুক ফিনি বলেন,
“গবেষণাটি থেকে আমরা যে ধারণা লাভ করেছি তা হলো, এ ধরনের নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দুতে — যেমন কোনো নতুন কাজ বেছে নেয়া বা নতুন বন্ধু বানানো — মানুষ দুইয়ের মধ্যে যেটিকে পছন্দ করে, তা তাদের দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব ফেলে।
“জীবনে চলার পথে সামনে আসা সুযোগের সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার জীবনসঙ্গীই পারে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে। আবার সে-ই পারে আপনার সম্ভাবনাগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, এ দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে যে আপনি সুযোগটিকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারবেন না।”
সহজ কথায় এ গবেষণা বলছে, মানুষের জীবনে বড় কোনো সফলতা লাভ তার জীবনসঙ্গীর মতামতের উপর বেশ অনেকটা নির্ভরশীল। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে উৎসাহ ও প্রণোদনাই পারে একজন ব্যক্তিকে সফলতার কাছাকাছি পৌঁছে দিতে। আবার জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আকাঙ্ক্ষিত প্রণোদনা না পেলে, একজন ব্যক্তির পক্ষে কোনো সুযোগকে গ্রহণ করা, কিংবা গ্রহণ করার পরও তাতে সফলকাম হওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
যেমন ধরুন, আপনার ক্যারিয়ারে বড় একটি সুযোগ এসেছে। সুযোগটির সাথে বেশ বড় ধরনের ঝুঁকি সম্পৃক্ত আছে, আবার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে ক্যারিয়ারে আপনার অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পথও প্রশস্ত হবে। এখন আপনি সুযোগটি কাজে লাগাবেন কি না, সে ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই দোটানায় পড়ে যাবেন। এবং আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে উৎসাহ দেয়, আপনার যোগ্যতার ব্যাপারে ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে, এবং যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়, তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত মনে কাজটি শুরু করতে পারবেন। আপনার জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটিই যখন আপনার উপর পূর্ণাঙ্গ আস্থা রাখবে, তখন নিজের উপর আপনার আত্মবিশ্বাসও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আপনি নির্ভার হয়ে কাজটি করতে থাকবেন। দুই-একবার খেই হারিয়ে ফেললেও আপনার সঙ্গীই আপনার মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনবে। এবং এতে করে আপনার সফলতাও অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে (অবশ্যই কিছু ব্যতিক্রমও থাকতেই পারে)।
অথচ যদি আপনার সঙ্গীই আপনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকে এবং আপনাকে কাজটি করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করে, তবে সেটি হবে আপনার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। সঙ্গীর অনুমোদন না পাওয়ায় আপনি হয়তো কাজটি করবেনই না। ফলে একদম শুরুতেই আপনার সমস্ত সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
এদিকে আপনি যদি সঙ্গীর সম্মতি না পাওয়া সত্ত্বেও, তার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজটি শুরু করেন, তাহলেও আপনাকে বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
প্রথমত, আপনার দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দেবে, সঙ্গীর সাথে মন কষাকষি হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার সঙ্গীই আপনার উপর আস্থা না রাখায় আপনার নিজের আত্মবিশ্বাসও থাকবে তলানিতে। একটুতেই আপনি অধৈর্য হয়ে যাবেন, নিজেকে সন্দেহ করতে থাকবেন যে আসলেই হয়তো আপনার দ্বারা কাজটি করা সম্ভব না। তৃতীয়ত, আপনার মাথার উপর সর্বদা এক নিরন্তর চাপ জেঁকে বসে থাকবে। শেষমেশ কাজটি করতে না পারলে সঙ্গীর কাছে আপনি ছোট হয়ে যাবেন, এই আশঙ্কায় আপনি তটস্থ হয়ে থাকবেন। এবং চতুর্থত, কঠিন কোনো কাজ করতে গেলে সবসময় পাশে একজনকে প্রয়োজন, যে আপনার চরম দুঃসময়েও আপনাকে ভরসা দিয়ে যাবে, মানসিকভাবে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে যাবে। কিন্তু আপনি আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এমন কোনো সাহায্য পাবেন না। ফলে কাজের কঠিন সময়গুলোতে আপনি আরো বেশি একা ও কোনঠাসা হয়ে পড়বেন।
এই বিষয়গুলোর ফলে সামগ্রিকভাবে আপনার সফলতার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। একমাত্র অসীম মানসিক শক্তির অধিকারী হলেই আপনার পক্ষে এই সকল মানসিক প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছজ্ঞান করে বিজয়কে আলিঙ্গন করা সম্ভব হবে।
জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া মানসিক সমর্থন যে সফলতা লাভের ক্ষেত্রে অতি জরুরি, এ ব্যাপারটি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন অনেক সফল ব্যক্তিও। প্রথমেই আমরা উল্লেখ করতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা, যিনি তার রাজনৈতিক সফলতার জন্য কৃতিত্ব দেন নিজ স্ত্রী মিশেল ওবামাকে।
“অবশ্যই আমি যা করেছি তার কিছুই করতে পারতাম না, যদি না মিশেল আমার সঙ্গে থাকত। কীভাবে আমি প্রকৃতিস্থ থাকি, মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখি, এবং সকল চাপ মোকাবিলা করতে পারি? এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে এই নারীর কারণে। সে শুধু একজন অসাধারণ ফার্স্ট লেডিই ছিল না, সে আমার সবচেয়ে বড় নির্ভরতার প্রতীকও বটে। প্রতিদিন অসংখ্য ব্যাপারে আমি তার উপরই নির্ভর করি।”
নিজের সফলতার কৃতিত্ব স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে দিয়েছেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গও। ২০১৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, “প্রিসিলাই আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। কিংবা আপনারা বলতে পারেন, এখানে (হার্ভার্ডে) কাটানো সময়ে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আসলে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা।”
শুধু নারীরাই যে তাদের বিখ্যাত স্বামীকে সফল হতে সাহায্য করেছেন, তা কিন্তু নয়। বিপরীত দৃষ্টান্তও রয়েছে প্রচুর। যেমন- গ্র্যামিজয়ী গায়িকা বিয়ন্সে তার সফলতার সবটুকু কৃতিত্ব দেন তার স্বামী জে-জিকে।
“আজ আমি যে নারী, তাতে পরিণত হতে পারতাম না, যদি না আমি ওই মানুষটির সাথে ঘর করতাম। এটিই (তার সাথে সম্পর্ক) গড়ে দিয়েছে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভিত্তি।”
সুতরাং একটি বিষয় বেশ পরিষ্কার যে, একটি বৈবাহিক সম্পর্ক, এবং সেই সম্পর্কে আবদ্ধ দুজন মানুষের ব্যক্তিজীবনের সফলতাও অনেকটাই নির্ভর করে তাদের মানসিকতার উপর। একজন নারী বা পুরুষ যদি তার সঙ্গীর যোগ্যতার ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হয়, এবং যেকোনো ক্ষেত্রে তাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগায়, তাহলে সঙ্গী নিজে যেমন সফলতার দেখা পাবে, তেমনই ওই সম্পর্কটিও আরো সুখী-স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠবে।
কিন্তু কেউ কেউ বলতে পারেন, অনেকে হয়তো সঙ্গীর যোগ্যতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ঠিকই, কিন্তু তারা নিজেরা হতাশাবাদী বলে সঙ্গীকে বড় কোনো ঝুঁকি নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে পারে না। তাহলে তাদেরকে দোষারোপ করা কি যুক্তিসঙ্গত?
এক্ষেত্রে আমরা স্মরণ করতে পারি পাথর ও পানির গল্পটির কথা। পাথরের উপর যদি আপনি পানি ঢালেন, তাহলে আপাতদৃষ্টিতে পাথরের কোনো পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে পাথরের উপর পানি ঢালা অব্যহত রাখেন, তাহলে একসময় অবশ্যই পাথরের পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।
দুজন মানুষের সম্পর্কও অনেকটা তেমনই। কোনো দম্পতির মধ্যে একজন হয়তো নৈরাশ্যবাদী। কিন্তু অপরজন যদি আশাবাদী ব্যক্তি হয়, এবং তার আশাবাদের তীব্রতা অনেক বেশি হয়, তাহলে তার সংস্পর্শে থাকতে থাকতে হতাশাবাদী ব্যক্তিটিও ক্রমাগত আশাবাদী হয়ে উঠবে। আবার যদি দেখা যায় আশাবাদী ব্যক্তির চেয়ে নৈরাশ্যবাদী ব্যক্তির হতাশার পরিমাণ বেশি, তাহলে আশাবাদী ব্যক্তিটিই একসময় হতাশাবাদীতে পরিণত হবে। সুতরাং কারো সঙ্গী যদি হতাশাবাদী হয়, তার হতাশাবাদকে মেনে নেয়া কোনো কাজের কথা নয়, বরং নিজের আশাবাদের শক্তিকেই তাকে হতাশাবাদী থেকে আশাবাদী ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। সঙ্গী যদি নেতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ করে, তার বিপরীতে আপনাকে অনেক বেশি ইতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ করতে হবে।
মোদ্দা কথা হলো, বিয়ে মানবজীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধনগুলোর মধ্যে একটি। বিয়ের মাধ্যমে দুজন মানুষ পরস্পরের জীবনের সবচেয়ে নিকটতম ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তারা শুধু এক ছাদের নিচেই বাস করে না, পরস্পরের সান্নিধ্যে ক্রমশ তারা একক ব্যক্তিত্বেও পরিণত হয়। বিয়ের আগে হয়তো দুজনের ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। কিন্তু বিয়ের পর দুজনই একে অন্যের দ্বারা কমবেশি প্রভাবিত হয়, এবং এর মাধ্যমে তাদের মাঝে নতুন বৈশিষ্ট্যের জন্ম হয়। এই নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোই তাদের পরবর্তী জীবনের চলার পথের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে দেয়।
তাই কেউ যদি মনে করেন বিয়ের পরও আপনি তেমনই থাকবেন, যেমনটি এখন আছেন, সেটি খুবই ভুল ধারণা। বৈবাহিক সম্পর্ক আপনার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। সুতরাং কাউকে বিয়ে করার আগেই তার সাথে আপনার মনের মিল কতটা, এবং আপনারা দুজনে মিলে একসাথে অভিন্ন স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু করতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করে নেয়া আবশ্যক। এবং এসব ব্যাপার বিবেচনা করে তবেই কারো প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিৎ।
আর যারা ইতিমধ্যেই বিয়ে করে ফেলেছেন, তাদের কর্তব্য জীবনসঙ্গীর নেতিবাচক বিষয়গুলোতে প্রভাবিত না হয়ে নিজের ইতিবাচকতা দ্বারা তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা। পাশাপাশি প্রয়োজন নিজের নেতিবাচকতাকে জোর করে সঙ্গীর উপর চাপিয়ে দেয়ার বদলে, তার ইতিবাচকতাগুলোকে স্বীকার করে নেয়া, এবং নিজেও সেগুলোর অধিকারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করা।
লাইফস্টাইলের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/