যদি জিজ্ঞেস করা হয় , ‘একটি ডিএসএলআর ক্যামেরার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটি?’ যদি আপনার উত্তর হয়, ক্যামেরা বডি, তাহলে আপনি আংশিক সঠিক, এমনকি অনেক বিখ্যাত ফটোগ্রাফার আপনার এই উত্তরকে পুরোপুরি ভুল হিসেবে বিবেচনা করবেন। কেননা, ক্যামেরা লেন্স ব্যতীত ক্যামেরা বডির কোনো মূল্য নেই। আর এই লেন্স বাছাইয়ের সময় নতুনরা সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিট, প্রাইম, জুম, টেলিফটো, ওয়াইড-এঙ্গেলের ভিড়ে তারা হাবুডুবু খেতে থাকে। কোন লেন্সটি ব্যবহার করা উচিত, কেন ব্যবহার করা উচিত, নিজের আগ্রহের ফটোগ্রাফির জায়গাগুলোতে কোন লেন্সটির ব্যবহার উত্তম, এমন নানা চিন্তা তাদের মাথায় এসে ভিড় করে। একসময় হয়তো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে ভুগতে হুট করে ভুল লেন্সটি বাছাই করে বসে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে পড়তে না হয়, সেজন্যই এই লেখা।
কিট লেন্স
ডিএসএলআর ক্যামেরা লেন্সের দুনিয়ায় ‘কিট লেন্স’ টার্মটি বেশ প্রসিদ্ধ, যদিও অধিকাংশ ব্যবহারকারীর মাঝে এটি বেশ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় সকল এন্ট্রি-লেভেলের ডিএসএলআর ব্যবহারকারী কিট লেন্স বলতে ১৮-৫৫ মি.মি. ফোকাল লেন্থের লেন্সটিকে চিনে থাকে। কিন্তু আসলে কিট লেন্স হচ্ছে কোনো ক্যামেরা বডির সাথে বাই-ডিফল্ট একটি লেন্স এবং সেটি যেকোনো লেন্স হতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, Canon EOS kiss Xi7 মডেলটির সাথে কিট লেন্স হিসেবে ১৮-১৩৫ মি.মি. ফোকাল লেন্থের লেন্সটি একই প্যাকেজে অফার করা হয়। আর অধিকাংশ এন্ট্রি-লেভেলের ডিএসএলআরের সাথে কিট লেন্স হিসেবে ১৮-৫৫ মি.মি. লেন্সটি দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, এটি দামে সস্তা এবং ক্যামেরা বডির দাম অনুযায়ী পরিমিত। এছাড়াও, এটি মোটামুটি ওয়াইড-এঙ্গেল থেকে মিড-টেলিফটো জুম রেঞ্জ অফার করে বিধায় নতুন ব্যবহারকারীরা ফটোগ্রাফির বহুমুখী স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
প্রাইম লেন্স
সাধারণত প্রাইম লেন্স বলতে ঐ সকল লেন্সগুলোকেই বোঝানো হয়, যেগুলো অপরিবর্তনশীল ফোকাল লেন্থ অফার করে। অর্থাৎ, অন্যান্য লেন্সের মতো প্রাইম লেন্সে জুম-ইন, জুম-আউটের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ফটোগ্রাফির সময় অবজেক্টকে পছন্দসই ফ্রেমে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই অবজেক্টের সামনে অথবা অবজেক্ট থেকে দূরে গিয়ে কাজটি করতে হবে, যা প্রাইম লেন্স ব্যবহারে প্রধান সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে প্রাইম লেন্স সবচাইতে বেশি প্রসিদ্ধ তার ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচারের আকার বড় হওয়ার কারণে। আর অ্যাপারচারের আকার যত বড় হবে, ক্যামেরার সেন্সরে আলো তত বেশি পড়বে; অর্থাৎ, অল্প আলোতে ফটোগ্রাফির সময় আপনাকে পর্যাপ্ত সুবিধা দিয়ে থাকবে। অ্যাপারচারের আকার বড় হওয়ার কারণে লেন্সটি দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়, কেননা লোয়ার শাটার-স্পিডে ছবি তোলার প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি হায়ার আইএসও’র ব্যবহার কমে যায় বিধায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত আলোহীন, বিকৃত, ডি-ফোকাসড ছবি থেকে রক্ষা পাবেন। তবে হ্যাঁ, অতি উজ্জ্বল আলোতে ফটোগ্রাফির সময় আপনাকে কিছুটা কৌশলী হতে হবে।
অন্যদিকে, লেন্সের অ্যাপারচারের আকার যত বড় হয়, ডেপথ-অফ-ফিল্ডের পরিমাণ তত কমতে থাকে। ডেপথ-অফ-ফিল্ড যত কম হয় ছবিতে তত বুকেহ হয়; অর্থাৎ, ছবির নির্ধারিত অবজেক্টের ব্যাকগ্রাউন্ড তত বেশি ব্লার হয়। এ কারণে প্রাইম লেন্স মূলত পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতেই বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনার যদি ফটোগ্রাফির বহুমুখী স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, যদি আপনি পোর্ট্রেটের সাথে সাথে ল্যান্ডস্কেপ, কিংবা জুম-ইন, জুম-আউটের প্রয়োজন হবে এমন কিছুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে প্রাইম লেন্সের দিকে না আগানোই ভালো। কিন্তু আপনি যদি স্বল্প দামের মধ্যে অল্প ওজনের লেন্সের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন, যদি পোর্ট্রেট, স্ট্রিট, মিনিয়েচার, প্রোডাক্ট, কিংবা ফুড ফটোগ্রাফির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে প্রাইম লেন্স হতে পারে আপনার প্রাথমিক পছন্দ। ক্যানন এবং নিকনের ২৪ মি.মি., ৪০ মি.মি. এবং ৫০ মি.মি. এর মতো অল্প দামের লেন্সগুলো দিয়ে প্রাইম লেন্সের দুনিয়ায় আপনার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
স্ট্যান্ডার্ড লেন্স
যেসব লেন্সের ফোকাল লেন্থ-রেঞ্জ মানুষের চোখের সাথে সদৃশ; অর্থাৎ, সাধারণভাবে একজন মানুষের চোখ যে দৃষ্টিকোণে একটি দৃশ্যকে প্রত্যক্ষ করতে পারে, ঠিক সে দৃষ্টিকোণে বা আড়াআড়িভাবে ৫০ থেকে ৫৫ ডিগ্রী কোণে যদি কোনো লেন্স দ্বারা ক্যামেরার সেন্সরে আলো এসে পৌঁছায়, তাহলে সেগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড লেন্স বা সাধারণ লেন্স বলে। ৩৫ মি.মি. আকারের সেন্সরের জন্য ৫০ মি.মি. বা তার কিছু বেশি কম জুম-রেঞ্জ, প্রাইম বা ফিক্সড ফোকাল লেন্থ এবং ওয়াইডার অ্যাপারচারের লেন্সগুলোই মূলত স্ট্যান্ডার্ড লেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ক্রপ-ফ্রেমের ক্যামেরাগুলোর ক্ষেত্রে যেহেতু সেন্সরের আকার ছোট, সেহেতু ৩৫ মি.মি. ফোকাল লেন্থের লেন্সগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়; ১.৬x/১.৫x ক্রপ ফ্যাক্টরের ফলে ক্রপ-ফ্রেমে তখন ৫০ মি.মি. বা তার কিছুটা বেশি কম ফোকাল লেন্থ-রেঞ্জ অফার করে। পোর্ট্রেট, ক্যান্ডিট, ইন-ডোরে অল্প আলোতে ফটোগ্রাফির জন্য এই ধরনের লেন্সগুলো আদর্শ।
জুম লেন্স
আপনি যদি এক লেন্স দিয়েই সব রকমের কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে জুম লেন্স আপনার জন্য। ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে দূরের কোনো অবজেক্টকে ফ্রেমিং করার কাজে জুম লেন্স ব্যবহার করা হয়। সাধারণত প্রাইম লেন্স বা ফিক্সড ফোকাল লেন্থ অফার করে না, এমন সব রকমের লেন্সকেই জুম লেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সাধারণত ওয়াইড অ্যাঙ্গেল থেকে মিড-টেলিফটোর বা টেলিফটোর ফোকাল লেন্থ অফার করে থাকে এমন লেন্সগুলোকেই জুম লেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৭-৫০ মি.মি., ১৮-৫৫ মি.মি., ১৮-১৩৫ মি.মি. ১৮-২০০ মি.মি.’র মতো পরিচিত লেন্সগুলোই জুম লেন্স হিসেবে পরিচিত।
জুম লেন্স বহুমুখী কম্পোজিশনের সুযোগ দিয়ে থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের ম্যাক্সিমাম অ্যাপারচার f/৩.৫ এর বেশি হয় না; যার কারণে অল্প আলোতে ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফারদের ঝামেলা পোহাতে হয়।
টেলিফটো লেন্স
শিক্ষানবিশ বলুন, আর প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার, টেলিফটো লেন্স প্রায় সবার কাছেই প্রিয়। সাধারণভাবে, মিড-রেঞ্জ থেকে লম্বা দূরত্বে অবস্থিত কোনো অবজেক্টের ছবি তোলার জন্য টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করা হয়।
অনেকেই টেলিফটোর সাথে জুম লেন্সকে মিলিয়ে ফেলে। কিন্তু, টেলিফটো লেন্সে অনেকক্ষেত্রেই জুম লেন্সের বৈশিষ্ট্য থাকলেও উভয়ের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। যেমন: কোনো লেন্সের মিনিমাম ফোকাল লেন্থ যদি ৬০ মি.মি. বা তার বেশি হয়, তাহলে তাকে টেলিফটো লেন্স বা টেলি লেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, প্রাইম লেন্স বা ফিক্সড ফোকাল লেন্থের লেন্সগুলোও টেলিফটো লেন্স হতে পারে। মিডিয়াম রেঞ্জের টেলিফটো হিসেবে ক্যাননের ৭০-২০০ মি.মি. এবং সুপার টেলিফটো হিসেবে ১০০-৪০০ মি.মি. বা তার বেশি রেঞ্জের লেন্সগুলোকে দেখানো যেতে পারে। অপরদিকে, ৮৫ মি.মি., ১০০ মি.মি. এবং ১৩৫ মি.মি. প্রাইম বা ফিক্সড ফোকাল লেন্থের লেন্সগুলোকেও টেলিফটো লেন্স বলা যায়।
ওয়াইল্ড-লাইফ, বার্ডিং, স্পোর্টস ফটোগ্রাফি এবং কাছে না গিয়ে অথবা সাবজেক্টকে বিরক্ত না করে ছবি তোলার জন্য টেলিফটো লেন্সের জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। শ্যালো ডেপথ-অফ-ফিল্ডের জন্য ওয়াইডার অ্যাপারচারের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি লম্বা ফোকাল লেন্থেরও ভূমিকা রয়েছে। সাবজেক্ট যত বেশি ক্যামেরার কাছে আসবে ডেপথ-অফ-ফিল্ডও তত বেশি কমতে থাকবে। তার মানে, ছবিতে ততবেশি বুকেহ হবে; অর্থাৎ সাবজেক্টের ব্যাকগ্রাউন্ডে যে ব্লারি, ক্রিমি ব্যাপারটি আছে, তা বাড়বে। তাই পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতেও এর ব্যবহার অনেক।
ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স
ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্সগুলোর ফোকাল লেন্থ সাধারণ লেন্স থেকে কম; অর্থাৎ লেন্সগুলো প্রশস্ত ফিল্ড-অফ-ভিউ অফার করে থাকে। এ লেন্সগুলো সাবজেক্টের সাথে পর্যাপ্ত ঘনিষ্ঠতা রেখে দৃশ্যকে অপসারণ করা ছাড়াই দৃশ্যাবলী ধারণের সুযোগ দেয়। সাধারণত, ফুল-ফ্রেম ডিএসএলআরগুলোতে ৩৫ মি.মি. এর কম ফোকাল লেন্থের লেন্সগুলোকে ওয়াইড-এঙ্গেল এবং ২৪ মি.মি. এর কম ফোকাল লেন্থের লেন্সগুলোকে আলট্রা-ওয়াইড হিসেবে ধরা হয়। ল্যান্ডস্কেপ, সিটিস্কেপ, ট্রাভেল, আর্কিট্যাকচারাল, ইনটেরিওর ফটোগ্রাফি সহ যেসব ফটোগ্রাফিতে ওয়াইড ফিল্ড-অফ-ভিউ প্রয়োজন হয়, এমন সব জায়গাতেই ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্সগুলো ব্যবহার করা হয়। ২৪ মি.মি., ১০-১৮ মি.মি., ১২-২৪ মি.মি. ফোকাল লেন্থের ফিক্সড এবং জুম-রেঞ্জের লেন্সগুলো ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স হিসেবে পরিচিত।
ফিশ-আই লেন্স
আলট্রা ওয়াইড-এঙ্গেলের মতো বা তার কম ফোকাল লেন্থ রেঞ্জ অফার করে এমন লেন্সগুলোকে ফিশ-আই লেন্স হিসেবে ধরা হয়। তবে ফিশ-আই লেন্সগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ লেন্সগুলো ১০০ থেকে ১৮০ ডিগ্রি ওয়াইড এঙ্গেল-ভিউ অফার করার সাথে সাথে সরল রেখার পরিবর্তে গোলাকার প্যানোরোমিক দৃশ্য তৈরি করতে সক্ষম।
ফিশ-আই টার্মটি ১৯০৬ সালে আমেরিকান পদার্থবিদ এবং উদ্ভাবক রবার্ট ডব্লিউ উড সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। পানির নিচের মাছসহ অন্যান্য দর্শকরা পৃষ্ঠতলের উপরের অংশের দৃশ্যাবলী কীভাবে দেখে, তার উপর ভিত্তি করে তিনি এই নামটি দেন। ১৯২২ সালে আবহবিদ্যায় এর প্রথম ব্যবহার হলেও ফটোগ্রাফিতে ফিশ-আই লেন্সের প্রচলন শুরু হয় ১৯৬০ সালের প্রথম দিকে। রাউন্ড-শেপ কম্পোজিশন, ট্রাভেল ভিডিও লগে এই লেন্সের ব্যবহার দেখা যায়।
ম্যাক্রো লেন্স
‘ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি’ টার্মটির সাথে আশা করি সবাই পরিচিত। ফুল, ক্ষুদ্র প্রাণী, শিশির কণা সহ নানারকম অতিরিক্ত ছোট অবজেক্টগুলোর অতি ক্ষুদ্র বিবরণ স্পষ্ট করে দেখা যায় যেসকল ফটোগ্রাফিতে, সেগুলোই ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আপনি চাইলেই যেকোনো লেন্স দিয়ে এ ধরনের ছবি তোলার সুবিধা পাবেন না। সাধারণ জুম, টেলিফটো অথবা প্রাইম লেন্সগুলোর সাহায্যে ছবি তোলার সময় সাবজেক্টকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব পর্যন্ত ফোকাস করতে পারবেন। এরপর সাবজেক্টটি আউট অফ ফোকাস বা ঝাপসা হয়ে যাবে। আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই ম্যাক্রো লেন্সের আগমন।
টেকনিক্যালি, ম্যাক্রো লেন্সের নিকটস্থ ফোকাসিং দূরত্বের অনুপাত হচ্ছে ১.১; অর্থাৎ, আপনার তোলা ছবির অবজেক্টের প্রকৃত আকার এবং ক্যামেরার সেন্সরে ঐ অবজেক্টের আকার একই। আরো সহজ করে বলতে গেলে, ম্যাক্রো লেন্স ফটোগ্রাফারকে চূড়ান্ত নিকট দূরত্ব থেকে অবজেক্টের উপর ফোকাস করতে সাহায্য করে। বাজারে ক্যানন, নিকন, ট্যামরন, প্যানাসনিক সহ অনেকগুলো ব্র্যান্ডের ম্যাক্রো লেন্স পাওয়া যায়। লেন্সগুলো দামে অত্যধিক বেশি হওয়ায়, অনেক কৌশলী শিক্ষানবিশ ম্যাক্রো ফটোগ্রাফাররা এক্সটেনশন টিউব, ক্লোজ-আপ ফিল্টার, রিভার্সিং রিংয়ের সাহায্যে নিজের সাধারণ জুম, টেলিফটো লেন্সগুলোর সাহায্যে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির আনন্দ নিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ক্যানন বনাম নিকন: স্বল্প বাজেটের মধ্যে নতুনদের জন্য উপযুক্ত ডিএসএলআরগুলো
ফিচার ছবি: gsfdcy.com