পুরাণ সবিশেষ ১১: হর-পার্বতীর বিয়ে

পুরাণগুলো রচিত হয়েছিল আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে। সে যুগে সাহিত্যের মুখ্যধারা বলতে যা ছিল, তা এই পুরাণই। তাই, তখনকার সভ্যতা-সংস্কৃতির ব্যাপারে জানতে হলে পুরাণে মুখ গুঁজতেই হবে। পুরাণ রচয়িতাগণ ঠিক যে পুরাণ রচনা করেছিলেন, আজকের পুরাণগুলো একদম সে অবস্থায় নেই। যুগান্তরে সেগুলো পরিবর্তিত, পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত হয়ে আজকের রূপ পরিগ্রহ করেছে। অনুবাদের খাতিরেও পুরাণের বিভিন্ন সংস্করণ ভূ তথা ভারতের একেক অঞ্চলে একেক ভাষায় প্রচারিত হয়েছে। সেজন্যে একই প্রসঙ্গে একাধিক পৌরাণিক ঘটনা বা প্রেক্ষাপট বা চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। যারা প্রকৃত রসবোদ্ধা, তারা এ বিষয়গুলো মেনে নিয়েই পুরাণ থেকে রসাহরণ করেন।

হর বা শিবের সাথে সতীর বিচ্ছেদের পরে সতী পরের জন্মে পর্বতরাজ হিমালয়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। এ জন্মে তার পিতা গিরিরাজ হিমালয় এবং মাতা মেনকা। পর্বতের কন্যা, তাই পার্বতী। হিমালয় মহাতীর্থ। সেখান সকল দেবতা-ঋষির আগমন ছিল অবারিত। ছোট থেকেই পার্বতী একটি দৈবিক আবহে বেড়ে উঠতে থাকেন। সকল দেবতার মহিমা-স্তব শুনে বেড়ে ওঠা পার্বতীর মনে মহাযোগী শিবের প্রতি আলাদা ভক্তিভাব জন্মে। এ ভক্তি বড় হওয়ার সাথে সাথে প্রেমে পরিণত হয়। পার্বতী সারাদিন শিবের চিন্তায় মগ্ন থাকা শুরু করেন।

হিমালয়ের গিরিগাত্রেই মহাদেব সমাধিতে লীন ছিলেন। একদিন তাদের ক্ষণিকের সাক্ষাৎ হয়। এর মধ্যে কামদেব তার পত্নী রতিকে সাথে নিয়ে শিবের মনে প্রেম জাগাতে পঞ্চবাণ নিক্ষেপ করলে শিব তৃতীয় নয়ন খুলে মদনকে (মদনের আরেক নাম কামদেব) ভস্ম করে দেন। মদন ও রতির বিচ্ছেদে পুরো সংসার ব্যথিত হয়। পরে, অনেক ঘটনাপ্রবাহে তারা আবার এক হতে পারেন। সে আরেক মজার গল্প।

পার্বতীর মন সারাক্ষণ শিবেই নিবিষ্ট থাকে; Image Source : aajbikel.com

শিবকে একবার দেখেই পার্বতী সবকিছু ভুলে যান। গৃহে ফিরে পার্বতী বাবা-মায়ের কাছে তপস্বিনী হওয়ার অনুমতি চান। মেনকা তখন বলেন,

“আমরা জানি রে মা, তুই শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্যই তপস্যায় বসতে চাস। আমাদের তাতে আপত্তি নেই। তবে, তোর দেহ বড্ড কোমল আর তপস্যা বড় কঠোর। হিমালয় স্বয়ং মহাতীর্থ। তাই, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। এই হিমালয়েরই কোনো নির্জন শৃঙ্গ বা খাদে গিয়ে সাধনা কর।”

পার্বতী মায়ের কথা মেনে নিয়ে একটি নির্জন শৃঙ্গে গিয়ে সাধনা শুরু করেন। পার্বতীর তপস্যা দেখে দেবতারাও মুগ্ধ হন। হিংস্র পশুরা পার্বতীর কুটিরে এসে তাকে প্রণাম জানিয়ে চলে যায়। পার্বতী কুটির আঙিনায় ফলদ গাছ রোপণ করেন। সে গাছগুলো বড় হয়ে ফল দেওয়া শুরু করে। গাছের ফল দিয়ে তিনি অতিথি দেব-ঋষি-মানবদের সাদর আপ্যায়ন করতেন। পার্বতীর তপস্যাগুণে সে স্থান পরবর্তীকালে গৌরীতীর্থ নামে প্রসিদ্ধ হয়। ‘গৌরী’ পার্বতীর আরেক নাম। এত বছরের তপস্যার পরেও শিবের দেখা নেই। তবুও পার্বতী অটল থেকে একমনে শিবকে ডাকতে থাকেন। দেবতারা সবাই গিয়ে শিবকে অনুরোধ করে বলেন,

“হে প্রভু, এবার তবে পার্বতীকে দেখা দিন। সংসারের মঙ্গলের স্বার্থে আপনাদের মিলিত হওয়া যে অনিবার্য।”

দেবতাদের অনুরোধে শিব চোখ খোলেন। পার্বতীকে বিয়ে করার ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। ভবিষ্যতে মদন ও রতির পুনর্মিলনের বিষয়েও বলে দেন। দেবতারা খুশিমনে স্ব স্ব লোকে ফিরে যান।

শিব এক ব্রাহ্মণের বেশে পার্বতীর কুটিরের প্রাঙ্গণে এসে দাঁড়ান। ব্রাহ্মণকে দেখে পার্বতী পরম সমাদরে তাকে আসন পেতে দেন, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন, ফল পরিবেশন করেন। কথায় কথায় পার্বতীর তপস্যার কারণ জানতে পেরে ব্রাহ্মণদেব চমকে ওঠেন। তিনি বলেন,

“এ কী বলছ তুমি! শিবের পত্নীত্ব বরণ করতে চাও। তোমার কি মতিভ্রম হয়েছে? তুমি সোনা ফেলে কাঁচের কদর করছ, চন্দন রেখে গায়ে কাদা মাখতে চাইছ, হাতিকে বাদ দিয়ে বলদকে নিজের বাহন বানাতে চাইছ, গঙ্গার জল রেখে কুয়োর জল পান করতে চাইছ। তোমার পক্ষে কি এসব মানায়, বলো? তুমি মহান হিমবানের কন্যা। সকল দেবতা তোমার আত্মীয়। আর তুমি চাইছ ঐ শ্মশানবাসী শিবের সঙ্গ?”

পার্বতী তখন ব্রাহ্মণকে বলেন, “শিব সকল দেবতার দেবতা। এজন্যই তো তিনি দেবাধিদেব মহাদেব।”

একসময় মহাদেব পার্বতীর ডাকে সাড়া দিতে বাধ্য হন; Image Source : Pinterest

ব্রাহ্মণ বলেন,

“রাখো তোমার দেবাধিদেব। শিবের ট্যাঁকে একটা কানাকড়িও নেই, তার সহচরগণ সব ভূত-প্রেত, পিশাচ-গণ। সারাগায়ে ছাই মেখে ঘুরে বেড়ায়। মাথায় বিরাট জটা। তিনটে চোখওয়ালা পাঁচমুখো রাক্ষস একটা। আর, তুমি কোমলমতি, সুন্দরী, শিক্ষিতা, তপস্বিনী। তোমার সাথে শিবের বিয়ে হলে সবাই হাসবে। মান-সম্মান সব ধুলোয় মিশবে। তুমি বরং অন্য কোনো দেবতাকে বিয়ে করো। দেবরাজ ইন্দ্র তোমার যোগ্য পতি হতে পারবেন।”

ব্রাহ্মণের মুখে শিবনিন্দা শুনে পার্বতী যতটা আশ্চর্য হলেন তার চেয়ে বেশি বীতশ্রদ্ধ হলেন। তিনি ব্রাহ্মণকে তার কুটির ছেড়ে যেতে বললেন। নিজেও উঠে দাঁড়িয়ে অন্যদিকে হাঁটা ধরলেন। এমন সময় কে যেন বলে উঠলেন, “আমাকে পেতেই এত তপস্যা, এখন আমাকেই তাড়িয়ে দিচ্ছ?” পার্বতী মুখ ঘুরিয়ে দেখেন, শিবের গম্ভীর মুখে হাসির ঝলকানি। শিবের দর্শন পেয়ে পার্বতী লুটিয়ে পড়লেন। শিব তাকে তার পত্নী হওয়ার বর দিলেন। পার্বতীর তপস্যা পূর্ণতা পেল। হৃদয়ভরা আনন্দ নিয়ে পার্বতী গৃহে ফিরে এলেন। শিব মহাকাশীতে গিয়ে সপ্তঋষিকে ডেকে পাঠালেন। তারা বহুমূল্য ব্যসন-অলঙ্কারাদি ধারণ করে সেখানে গিয়ে শিবের সাথে দেখা করলেন। শিব তাদের হিমালয়ের কাছে বিয়ের ঘটক হিসেবে পাঠালেন।

শিবের রুদ্র রূপ দেখে পার্বতীর মাতা মেনকা মূর্চ্ছিত হয়েছিলেন; Image Source : boldsky

সপ্তর্ষি আকাশপথে উড়ে হিমালয়ের গৃহে এলেন। দূর থেকে হিমালয় দেখলেন, সাতটি উজ্জ্বল সূর্য তার প্রাসাদের দিকে ধেয়ে আসছে। হিমালয় তাদের সাদর অভ্যর্থনা করলেন। সপ্তঋষি হিমালয়ের কাছে শিবের সাথে তার কন্যা পার্বতীর পাণিপ্রার্থনা করলে হিমালয়ের আনন্দের সীমা রইল না। তিনি ও তার পত্নী মেনকা একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। চতুর্থদিন বিয়ের লগ্ন ঠিক করা হলো। সপ্তর্ষিগণকে শিব বিয়ের পৌরোহিত্যেরও দায়িত্ব দিলেন। বিয়ে উপলক্ষে কৈলাসে ফিরে মহাদেব দেবর্ষি নারদকে ডেকে পাঠালেন।

নারদকে সকল লোকে শিবের বিয়ের খবর রটিয়ে দিয়ে সবাইকে নিমন্ত্রণের ভার দেওয়া হলো। নারদ তো মহাখুশি। মহাদেবের বিয়ে উপলক্ষে কৈলাসে সাজসাজ রব উঠল। শিবদূতেরা পাতা, খড়কুটোর অলংকার দিয়ে নিজেদের সাজাল। গণ-প্রেতের দল আরো বেশি করে ছাই মাখল গায়ে। শিবকেও সাজানো হলো। জটার চাঁদ তার মুকুট, কপালের তৃতীয় নয়ন তার তিলক, গলায় সাপ তার মালা, রুদ্রাক্ষ তার অলংকার। সর্পরাজ নানা মণিমুক্তো পড়ে আরো উৎকট রূপ ধারণ করল। সকল দেবতা, ঋষি, দানব, দৈত্য, সাধু-সন্ন্যাসী কৈলাসে এসে হাজির হলেন। সবাই শিবের বিয়ের বরযাত্রী হলো।

মহাদেব দেবতাদের আগে আগে চলার নির্দেশ দিলেন। আতশবাজি পোড়ানো হলো, নানা শঙ্খ-বাদ্যে চারদিক মুখরিত হলো। মহা ধুমধামে বরযাত্রী হিমালয়ের দিকে আগাতে লাগল। হিমালয় তার সকল আত্মীয়-স্বজনকে বিয়েতে নিমন্ত্রণ করেছেন। বরযাত্রীদের অভ্যর্থনার জন্য শয়ে শয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বিয়ের সব আয়োজন শেষ করে হিমালয় সবাইকে নিয়ে বরযাত্রীর অপেক্ষা করতে লাগলেন। প্রাসাদ প্রাঙ্গণে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে তিনি ভৃত্য ও গন্ধমাদন পর্বতকে পাঠালেন। হিমালয়ের প্রাসাদ প্রাঙ্গণে বরযাত্রীদের দেখে সবাই অবাক হলো। মেনকা নারদকে নিয়ে ছাদে গেলেন দেখতে যে, পার্বতী যাকে সাধনা করে পেয়েছে, সেই শিব দেখতে কেমন।

মহাধুমধামে হর-পার্বতীর বিয়ে সম্পন্ন হয়; Image Source : Pinterest

বরযাত্রীদের সবার আগে চলছিল গন্ধর্বগণ। তাদের রাজা বিশ্বাবসুকে দেখে মেনকা ভাবলেন, তিনিই শিব। বিশ্বাবসুর রূপ দেখে মেনকা মনে মনে স্বস্তি পেলেন যে, পার্বতীর তপস্যা ব্যর্থ হয়নি। নারদ মুচকি হেসে মেনকাকে বললেন, “বিশ্বাবসু গান গেয়ে দেবতাদের মনোরঞ্জন করে মাত্র। সে তো একজন গন্ধর্ব। সে শিব হতে যাবে কেন!” মেনকা ভাবলেন, দেবতাদের গায়কই এত সুন্দর, তাহলে দেবতারা নিশ্চয়ই আরো সুন্দর হবেন। আর শিব তো সকল দেবতার দেবতা। তিনি তো হবেন সবার চেয়ে সুন্দর। গন্ধর্বদের পরে এলো যক্ষের দল। তাদের রাজা কুবের সবার আগে প্রবেশ করলেন। কুবের বিশ্বাবসুর চেয়ে সুন্দর ছিলেন। তাকে দেখেও মেনকা শিব ভেবে ভুল করলে নারদমুনি বললেন যে, তিনি শিব নন, তিনি কুবের।

কুবেরের পরে এলেন বরুণ। বরুণদেব কুবেরের চেয়ে সুন্দর ছিলেন। তাকে দেখেও মেনকা একই ভুল করলেন। বরুণের পরে যম এলেন। যমের সৌন্দর্য দেখে মেনকা বললেন, “এবার আর ভুল হচ্ছে না আমার। তিনি নিশ্চয়ই শিব।” তারপর নারদের কথা শুনে আবার চুপসে গেলেন। যমের পরে এক এক করে ইন্দ্র, চন্দ্র, সূর্য, ব্রহ্মদেব প্রবেশ করলেন। তারা সবাই ছিলেন আগের জনের চেয়ে বেশি সুন্দর। পার্বতীর মাতা সবাইকে শিব ভেবে ভুল করলেন। একসময় এলেন বিষ্ণু। বিষ্ণুর রূপে সবাই মোহিত হলো। কিন্তু নারদ বললেন, “তিনি নারায়ণ। এখন শিবের পালা।”

শিব নন্দীর উপর চড়ে তান্ত্রিক-যোগী-অঘোরীদের সাথে নিয়ে দ্বারপ্রান্তে আসতেই সবাই হর্ষধ্বনি দিল। নারদ মেনকাকে বললেন, “এই যে আপনার মেয়ের জামাই শিব।” মেনকা দেখলেন গায়ে ছাই-ভস্ম মেখে হাতে ত্রিশূল নিয়ে গলায় সাপ পেঁচিয়ে তিন চোখওয়ালা পাঁচমুখো কে যেন একটি ষাঁড়ের উপর বসে রয়েছে, আর সবাই তাকে নমস্কার করছে। শিবের এ ভয়াল রূপ দেখে মেনকা “লক্ষ্মীছাড়া, পোড়ামুখি পার্বতী, এ কাকে বিয়ে করতে চাইছিস তুই!” বলেই মূর্চ্ছিত হলেন। পুরো প্রাসাদে শোকের ছায়া নেমে এলো। জ্ঞান ফিরলে মেনকা পার্বতী, নারদ, সপ্তঋষি- সবাইকে ভর্ৎসনা করলেন। নিজের এমন সর্বনাশের জন্য আহাজারি করতে লাগলেন।

সবাই এসে তাকে অনেক বোঝাল যে, “শিবই সবার উপরে। তিনি স্বয়ং তোমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছেন, এ তোমার পরম সৌভাগ্য। নিজের সৌভাগ্যের জন্য কেউ কাঁদে, এ আমরা প্রথম দেখছি।” স্বয়ং ব্রহ্মদেব এসেও মেনকাকে বোঝালেন। নারদ আসল ব্যাপারটি ধরতে পেরে মহাদেবের কাছে গিয়ে বললেন, “প্রভু, আপনার এ বিকট রূপ দেখে গিরিরাজের পত্নী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। অন্তত শাশুড়িকে খুশি করার জন্য হলেও মোহনীয় রূপে আবির্ভূত হোন আপনি।”

বিবাহ সম্পন্ন হলে নন্দীর পিঠে চেপে হর-পার্বতী কৈলাস অভিমুখে যাত্রা করেন; Image Source : V & A

নারদের কথায় শিব আমোদিত হলেন। শুধু শিব নয়, সকল দেবতা-ঋষি বড় আনন্দ পেলেন। শিব রুদ্র রূপ ছেড়ে সুন্দর-কোমল রূপ ধারণ করলেন। এবার মেনকা খেয়াল করে দেখলেন যে, সকলের মধ্যে শিবই সবচেয়ে সুন্দর। তিনি উঠে গিয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন। মেনকার এ কাণ্ডে হাসির রোল পড়ে গেল। শুভলগ্নে শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়ে গেল। বিষ্ণু পার্বতীর ভাই হয়ে তাকে শিবের হাতে তুলে দিলেন। ব্রহ্মা নিজে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতার তদারকি করলেন। বিয়ের সাক্ষী ছিলেন অগ্নিদেব। বরযাত্রী, আত্মীয়গণ প্রচুর আহার-আমোদ করলেন।

একপর্যায়ে পার্বতীর বিদায়ের পালা এলো। গিরিরাজ মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে অগণিত উপহারাদি দিয়ে বিদায় দিলেন। নন্দীর পিঠে চড়ে পার্বতী কৈলাসের দিকে যাত্রা করলেন। অর্ধেক পথ অবধি গিরিরাজ মেয়ের সাথে সাথে এলেন। ঘরে ফিরে গিয়ে কাজেকর্মে আর তার মন বসল না। শিব-পার্বতী নতুন সংসার শুরু করলেন। শিবের যোগী জীবনের অবসান ঘটল। কিছুদিন বাদে শিব-পার্বতীর ঘরে একটি পুত্রের জন্ম হয়, যে তারকাসুরকে বধ করে দেবতাদের বাঁচিয়েছিল। সেই গল্প পরের পর্বে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ গল্পগুলোর প্রেক্ষাপট, ঘটনাক্রম, চরিত্র, প্রতিবেশ প্রভৃতি বিষয়ে অল্পবিস্তর মতভেদ থাকতে পারে। তবে, গল্প বর্ণনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রচলিত কাহিনীটিই অনুসরণ করা হয়েছে। কোনো ধর্ম, বর্ণ এবং মতবাদকে কোনোরূপ কটূক্তি বা কটাক্ষ বা অপমান করার অভিপ্রায়ে এ লেখাটি রচিত হয়নি।

This Article is written in Bangla. It is about the Wedding ceremony of Lord Shiva and Goddess Parvati.

Most of the necessary references are hyperlinked inside the article and here are some reference books: 

1. বৃহৎ, সটীক ও সচিত্র সপ্তকাণ্ড কৃত্তিবাসী রামায়ণ (মূল রামায়ণ থেকে কৃত্তিবাস পণ্ডিত কর্তৃক পয়ার ত্রিপদী ছন্দে অনুবাদিত). সম্পাদনা : শ্রী বেনীমাধব শীল, প্রকাশক : অক্ষয় লাইব্রেরি (কলকাতা).
2. মহাভারত. সারানুবাদ : রাজশেখর বসু (১৪১৭ বঙ্গাব্দ). মূল গ্রন্থ : কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস কৃত মহাভারত. প্রকাশক : এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড (কলকাতা – ৭৩)
3. সচিত্র কিশোর পুরাণ সমগ্র (২০১৫). দীন ভক্তদাস বিরচিত. প্রকাশক : অক্ষয় লাইব্রেরি (কলকাতা).
4. পুরাণের গল্প. লেখক : উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী. মূল বই : উপেন্দ্রকিশোর সমগ্র (২০০৪). প্রকাশক : দে'জ পাবলিকেশন্স (কলকাতা, ৭০০ ০৭৩)

Featured Image: Bhagwan Photo

 

Related Articles

Exit mobile version