স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির শেষে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পনেরোটি রাষ্ট্র তৈরি হয়, তার মধ্যে সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয় রাশিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির সময় রাশিয়ান ফেডারেশন নতুন রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে যাত্রা শুরু করে, নতুন শাসনতান্ত্রিক বিধান তৈরি হয়, বদলে যায় জবাবদিহিতা আর নাগরিক অধিকারের ধারণাও। সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃত্ববাদী কাঠামো থেকে উদার গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলো রাশিয়ান ফেডারেশন, রাশিয়া ভেঙে তৈরি হওয়া পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশেও হয়েছে গণতন্ত্রের বিজয়।
সময় যত গড়িয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো ঝেড়ে ফেলে ততোই কর্তৃত্ববাদী কাঠামোর দিকে গেছে, লঙ্ঘিত হয়েছে রাজনৈতিক অধিকার আর নাগরিক স্বাধীনতা। কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ইতিহাস থাকা রাশিয়ান রাষ্ট্রকাঠামোতে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটে ভ্লাদিমির পুতিনের, যিনি ক্ষমতার কেন্দ্রে নিজের অবস্থানকে পোক্ত করেন চেচনিয়ায় সীমাহীন বর্বরতা দেখিয়ে।
পরবর্তী কয়েক দশকে রাশিয়ান রাষ্ট্রকাঠামোর সংঘাত উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়েছে, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে একের পর এক নিরাপত্তা সংস্থা। রাশিয়াতে গণমাধ্যমের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, ১৫০ তম অবস্থানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইনডেক্সে। বিরোধী রাজনৈতিক মতামতের উপরও চলছে নির্যাতন, অ্যালেক্সি নাভালনির হত্যাচেষ্টা যার সর্বশেষ প্রমাণ। অভ্যন্তরীণ নিপীড়নের পাশাপাশি পুতিনের রাশিয়া নির্মমতা দেখিয়েছে রাশিয়ার বাইরেও, ২০১৪ সালে অভিযান চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া, ইউক্রেনকে হটিয়ে ক্রিমিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় রাশিয়ার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। ক্রিমিয়ার পর রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে, দুই অঞ্চলের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় চৌদ্দ হাজার মানুষ।
পুতিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের সকল ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ, চার সপ্তাহের এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় নিজেদের দেশ ছেড়েছেন, জাতিসংঘের তথ্যানুসারে ৬৫ লাখ ইউক্রেনীয় দেশের ভেতর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপের বিভিন্ন উদ্যোগ দেখা গেলেও, প্রতিদিনই বাড়ছে যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যা, বাড়ছে অর্থনৈতিক ক্ষতিও।
ইউক্রেনে যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি
গত জানুয়ারি থেকেই পৃথিবী অপেক্ষা করেছে, ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটি দেখার জন্য। কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিভিন্ন সময়ে উগ্র জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপ নেওয়ার ফাঁদে আটকা পড়েছেন পুতিনও, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের নির্দেশে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের চার সপ্তাহ পেরিয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হার
ইউক্রেনে আক্রমণের শুরু থেকেই ভুল অনুমানের খেসারত দিচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার অনুমান অনুযায়ী ইউক্রেনীয়রা রাশিয়াকে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণ করে নেয়নি, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীও রাশিয়ার কাছে প্রতিরোধ ছাড়া আত্মসমর্পন করেনি। বরং, প্রেসিডেন্ট ভালাদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালাচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী, ইউক্রেনীয়রা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিচ্ছে যুদ্ধে।
ফলে, প্রথম আঘাতেই যেখানে পুতিন ইউক্রেনের পতন ঘটিয়ে নিজের অনুগত সরকার স্থাপনের আশা করছিলেন, সেই স্বপ্ন চার সপ্তাহেও পূরণ হয়নি। পুতিনের হাতে এখন অতিরিক্ত সৈন্যও নেই, যাদেরকে পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে পারেন।
আবার, রাশিয়ার জনমিতিও যুদ্ধে অধিক হতাহতের পক্ষে না। রাশিয়াতে ইতোমধ্যেই কমছে তরুণদের সংখ্যা, কমছে জনসংখ্যাও। জনমিতির ধারা বলছে, পুতিন চাইলেও আরো সৈন্য পাঠাতে পারবেন না।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিজয়
রাশিয়া বিশাল সামরিক বাজেটের দেশ, সামরিক বাহিনীর পেছনে রাশিয়ার বার্ষিক ব্যয় ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি। সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরি এই দেশে সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে আধুনিক দেশগুলোর একটি। ইউক্রেনে রাশিয়া এখনো তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। ১ লাখ ৯০ হাজারের বিশাল বহর পাঠিয়েও পতন ঘটানো যায়নি কিয়েভের। কিন্তু, এটাও সত্য, রাশিয়া এখনো পূর্ণ সামরিক সক্ষমতা ব্যবহার করেনি।
রাশিয়া ইউক্রেনে বিশাল সামরিক বহর পাঠালেও, রাশিয়া এখনো বিমান বাহিনীকে তেমন ব্যবহার করেনি, যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক ট্যাংক টি-১৪ আরমাতা পাঠায়নি, ব্যবহার হচ্ছে টি-৭২ ট্যাংক। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলো, টি-১৪ আরমাতা ট্যাংক আর আর্টিলারি সক্ষমতা বদলে দিতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি। সর্বশেষ ১৯ মার্চের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া যুদ্ধে হাইপারসনিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে, যেটি শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটে। হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহার করে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ডিপো ধ্বংস করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ান সামরিক বাহিনী কিয়েভে ভালাদিমির জেলেনস্কির সরকারের পতন ঘটাতে পারলে, সেখানে নিজেদের অনুগত একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তবে, যেহেতু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আর জনগণের পুতিনের পাপেট সরকারের প্রতি অনুগত হওয়ার নিশ্চয়তা নেই, সেজন্য রাশিয়াকে তাদের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ স্থায়ীভাবে ইউক্রেনে রাখতে হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ
যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রচলিত একটি কথা হলো, Moral soldier is a back soldier। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মূল আর্টিলারি ফোর্স হিসেবে যে যোদ্ধারা কাজ করছেন, তাদের অনেকের কাছেই এই যুদ্ধের নৈতিকতা তৈরি হয়নি, তৈরি হয়নি যুদ্ধের প্রাসঙ্গিকতা। অনেক সামরিক কমান্ডারও এই যুদ্ধের নৈতিক অবস্থানের সংকটে আছেন।
আবার, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বেড়েছে সামরিক সক্ষমতা। কিন্তু, গত কয়েক দশকে সফল যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর, অভিজ্ঞতা নেই যুদ্ধকে রাজনৈতিক টুলে রূপান্তর করারও। ফলে, দক্ষতার একটি সংকটেও ভুগছে রাশান সামরিক বাহিনীর সদস্য। এ কারণেই বিপুল হতাহত হচ্ছে রাশিয়ানদের, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে ‘নিজেও নিজেকে আঘাত করে আহত’ হচ্ছেন রাশিয়ান সৈন্যরা।
দক্ষতার দিক থেকে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ানদের চেয়ে এগিয়ে নেই। সামরিক সক্ষমতার দিক থেকেও পিছিয়ে। কিন্তু, নৈতিকতার দিক থেকে ইউক্রেনীয়দের অবস্থান পরিষ্কার, নিরাপদ ‘এক্সিট অপশনকে’ পেছনে ফেলে নৈতিক অবস্থানের যুক্তিতেই যুদ্ধে যুক্ত হয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবকেরা।
যুদ্ধ জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেয়, নেতৃত্বের বৈধতার সংকটগুলোকে পেছনে ফেলে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে। এই সমীকরণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালাদিমির জেলেনস্কির ক্ষেত্রে কাজ করলেও, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষেত্রে কাজ করছে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে পুতিন এই যুদ্ধ একাই লড়ছেন। এসবের মধ্যেও, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারলেও, রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের দক্ষিণ দিকে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে এক অঞ্চলের সাফল্য বা ব্যর্থতা অন্য অঞ্চলকে প্রভাবিত করবে।
অঞ্চলভিত্তিক এই উত্থানপতন দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে, ইউক্রেনীয়রা নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে হয়তো আরো কঠোর অবস্থানে যাবে, একইভাবে নিজের শাসনকে টিকিয়ে রাখতে সামরিক বাহিনীকে কঠোর কাঠামোতে রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেন। এটি কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
তবে, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ শেষের সবচেয়ে সম্ভাব্য উপায়ের একটি হলো একটি পক্ষের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে ভেঙে পড়া। আপাতদৃষ্টিতে আকস্মিক বিপর্যয়ের মধ্যে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রাশিয়ার বেশি।
দীর্ঘ কূটনৈতিক লড়াই
যুদ্ধ যত এগিয়ে যাবে, কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধের সমাধানের সম্ভাবনা ততই কমবে। কারণ, প্রতিদিন দুই পক্ষেরই হতাহতের ঘটনা ঘটছে, দুই পক্ষই মুখোমুখি হচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি আর ভারসাম্যহীনতার। আবার, আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র এবং মানবিক সহযোগিতা নিচ্ছে, পুতিনও কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সাথে একধরনের লিয়্যাজু তৈরি করছেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে এই স্বার্থগোষ্ঠীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তাদের স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের দিকে যেতে হবে রাশিয়া আর ইউক্রেনকে। ফলে, এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীর হয়ে যাবে, যেটি যুদ্ধ সমাপ্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
তৃতীয়ত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আটকাতে বিশেষ কিছু করতে পারেনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ব্যর্থ হয়েছে চলমান সংঘাত নিরসনেও। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পরপরই বসে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন, যেখানে ১১টি দেশ যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে থাকলেও রাশিয়ার ভেটোতে প্রস্তাব পাস হয়নি, কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি যুদ্ধ বন্ধে।
জাতিসংঘের জন্ম হয়েছিল যুদ্ধের অভিজ্ঞতার মধ্যে থেকে, প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র ছিল যুদ্ধ এড়ানো। গত কয়েক দশকে জাতিসংঘ সেই ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে, এবারের ব্যর্থতার সাক্ষী হয়ে রইলো ইউক্রেনের নাগরিকেরাও।
ইউক্রেনে রাশিয়ার নির্মমতা বন্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে রেজ্যুলুশন, তবে সেটি বৈশ্বিক জনমত তৈরির বাইরে যুদ্ধ বন্ধে তেমন কোনো প্রভাব রাখবে না। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক প্রতিষ্ঠান, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজও রাশিয়াকে সত্বর যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। ইউক্রেনীয়রা এটিকে নৈতিক বিজয় হিসেবে দেখলেও, যুদ্ধ বন্ধে সেটি কোনো ভূমিকা রাখছে না। আগামী দিনগুলোতেও যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের কার্যকরী কোনো ভূমিকা দেখার সম্ভাবনা কম।
ন্যাটো আর রাশিয়ার যুদ্ধ
রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ংকর ফলাফল হতে পারে ন্যাটো আর রাশিয়ার যুদ্ধ। ইউক্রেনের প্রধান দাবিগুলোর একটি হচ্ছে ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন চালু করা, যাতে রাশিয়ান বিমান বাহিনী আকাশপথে আক্রমণ করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ক্ষতিসাধন করতে না পারে। ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে চাইলে ন্যাটোকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে হতে পারে, শুরু হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
আবার, রাশিয়া নিজে থেকেই ন্যাটোর কোনো দেশের অভ্যন্তরে সামরিক হামলা চালাতে পারে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ন্যাটোর গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই রাশিয়ার আক্রমণের জবাব দেবে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। ন্যাটোভুক্ত দেশে রাশিয়ার সামরিক হামলা ঘটার সম্ভাবনা একেবারেই কম, কিন্তু রাশিয়া ইতোমধ্যেই পোলিশ বর্ডারের কাছাকাছি সামরিক আক্রমণ চালিয়েছে।