“Man is born free, and everywhere he is in chains.”
– Jean-Jacques Rousseau
১৭১২ সালে জেনেভায় জন্মগ্রহণ করেন জ্যঁ জ্যাক রুশো, মৃত্যুবরণ করেন ১৭৭৮ সালে। মাঝখানের এই সময়টা পৃথিবীর ইতিহাসের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ – আমরা দেখব এই সময়টাতেই তৈরি হচ্ছে আমেরিকার স্বাধীনতার পটভূমি, ইউরোপের মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে মহান ফরাসি বিপ্লবের জন্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শন-অর্থনীতি-সমাজবিজ্ঞানে মানুষ ক্রমশ ধাপের পর ধাপ উপরে উঠছে। এই সময়েই প্রভাব বিস্তারকারী যে কয়েকজন মনীষী আছেন, তাদের মধ্যে জ্যঁ জ্যাঁক রুশো একজন। একজন প্রভাবশালী সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিক, ভলতেয়ারের সাথে যিনি প্রস্তুত করেন মহান ফরাসি বিপ্লবের পটভূমি।
শৈশবে মা’কে হারান। ১০ বছর বয়সে ত্যাজ্য পুত্র করেন পিতা। ১৬ বছর বয়সে বের হয়ে যান ঘর থেকে, ঘুরতে থাকেন ইউরোপ। পরবর্তীতে জীবনে আসে সফলতা। শেষ জীবনে আবার দুর্ভোগেও পড়তে হয়।
শুধু সমাজবিজ্ঞানে রুশোর অবদান নিয়ে কথা বলে হবে না। রুশোকে নিয়ে বলে বলতে হবে তার চিন্তাধারায় ‘রোম্যান্টিকতা’, প্রকৃতির রাজ্য, সামাজিক চুক্তি, সাধারণ ইচ্ছা তত্ত্ব, সার্বভৌমত্ব ও ফরাসি বিপ্লবে তার প্রভাব নিয়েও।
‘রোম্যান্টিক’ বিদ্রোহ?
তখন মোটামুটি ইউরোপে নতুন চিন্তাভাবনার জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছে, মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে পদার্পণে এখন দরকার নতুন ধরনের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শাণিত বুদ্ধি, এবং পরিপক্ক প্রজ্ঞা। এসবের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন বিভিন্ন মনীষী। রুশো তাদের সমসাময়িক, যোগাযোগও রাখছেন তাদের সাথে। তবুও রুশোর চিন্তাভাবনা কিছুটা ব্যতিক্রমী, প্রাচীনপন্থীও বলে কেউ কেউ। অনেকে বলে রোম্যান্টিক।
রুশোর উত্থান মূলত একটা প্রবন্ধের মাধ্যমে। বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অগ্রগতি নৈতিকতাকে পবিত্র নাকি কলুষিত করছে, তা-ই ছিল প্রবন্ধের মূল বিষয়। প্রবন্ধে রুশো বিস্তারিত মত প্রকাশ করেন যে প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞান-কলা যত অগ্রগতি হচ্ছে, মানুষ নৈতিকভাবে তত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির সন্তান হিসেবে মানুষের যে স্বাভাবিক স্বাধীনতা ও সুযোগ সুবিধা থাকার কথা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রসরে মানুষ তা ক্রমে হারাচ্ছে। অর্থাৎ তৎকালীন প্রচলিত জ্ঞান-বিজ্ঞান-কলার অগ্রগতির জোয়ারে গা না ভাসিয়ে রুশো প্রাচীনপন্থী রোম্যান্টিক চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। বলাই বাহুল্য, প্রবন্ধটি প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়, প্রভাবশালী চিন্তাবিদ হিসেবে আবির্ভাব হয় রুশোর।
ইউরোপে তখন যুক্তিবাদীরা অগ্রগণ্য। আধুনিক সমাজকে বুদ্ধি, বিজ্ঞান, ও প্রজ্ঞা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটাই বোঝাচ্ছিলেন তারা। বিস্ময়করভাবে এ যুগের মানুষ হয়েও রুশো ভিন্নমত ধারণ করতেন। তিনি এসবের চাইতেও সভ্যতার মূল ভিত্তি হিসেবে ‘মোরাল ইনট্যুইশন’কে (শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, নৈতিকতা) বেশি গুরুত্ব দিতেন। রুশো বলতেন বুদ্ধি হলো ভয়ঙ্কর কারণ তা শ্রদ্ধাকে বিনষ্ট করে, বিজ্ঞান হলো ধ্বংসাত্মক কারণ তা বিশ্বাসের বিপরীত, প্রজ্ঞাও খারাপ কারণ তা নৈতিকতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। রুশো রাষ্ট্রদর্শনে নৈতিক অনুভূতিকে মহৎ করে দেখান।
তৎকালীন যুক্তিবাদের জোয়ারে রুশোর এ ধরনের দর্শন কিঞ্চিত উচ্চবিলাসী ছিল। তাকে বলা হতো অযুক্তিবাদী (Irrationalism), বলা হতো যুক্তির বিপরীত রোম্যান্টিক প্রতিক্রিয়া (Romantic Reaction)। ব্যক্তিজীবনেও তার এই ধ্যানধারণার ছবি দেখা যেতে লাগল। প্যারিসের জাঁকজমক জীবন ছেড়ে তিনি কিছুটা গ্রামাঞ্চল এলাকায় বসবাস করতে লাগলেন। রুশো মনে করতেন, আমরা যে নগরজীবন গড়ে তুলছি, সেটা এক বিরাট বন্দিশালা। একদিকে বিরাট অট্টালিকা, আরেক দিকে জীর্ণ কুটির। সমতা ও স্বাধীনতার বালাই নেই এখানে। তার চেয়ে গ্রাম অপেক্ষাকৃত সরল। রাজতন্ত্র ও সামন্তবাদের বিপক্ষে বলতে শুরু করলেন তিনি। অধিকার হরণকারী এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোরকম সংস্কার নয়, বরং সমূলে উচ্ছেদ চেয়েছিলেন। সব মানুষের কাছে স্বাধীনতা পৌঁছে দেয়াই ছিল তার মূল বক্তব্য।
প্রকৃতির রাজ্য
সমাজ উদ্ভব প্রশ্নে সবচেয়ে বিখ্যাত তত্ত্ব প্রদান করেন তিন সমাজবিজ্ঞানী হবস, লক, ও রুশো। তাছাড়া ভিকোও মত প্রকাশ করেন এ ব্যাপারে। মানুষের প্রাথমিক সমাজ তথা প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে দুই ধরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতির রাজ্য সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন রুশো ও লক। অন্যদিকে টমাস হবস পোষণ করতেন নেতিবাচক ধারণা।
রুশোর মতে, প্রকৃতির রাজ্য ছিল সুখ, আনন্দ, স্বাধীনতা ও সাম্যে ভরপুর। এখানে মানুষ মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে থাকতো। তার বিখ্যাত উক্তি ‘Man is born free, and everywhere he is in chains’ মূলত এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে করেছেন যে, মানুষ প্রাচীন প্রকৃতি রাজ্যে সুখে ছিল, মুক্ত ছিল। কিন্তু ক্রমাগত জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নগরের প্রসারে সে নিজের জালে নিজেই বন্দি হয়ে চলছে। রুশোর মতে, প্রকৃতির রাজ্যে সম্পদের মালিকানার প্রশ্ন ছিল গৌণ; সমতা, স্বাধীনতা ও সুখ শান্তি ছিল অত্যধিক।
রুশো প্রকৃতির রাজ্যের মানুষকে Noble Savage (অভিজাত বর্বর) বলে বর্ণনা করেন এবং নিজেও অভিজাত বর্বরদের প্রতি অনুরাগ প্রদর্শন করেন। কিন্তু ক্রমেই প্রকৃতির রাজ্যে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে লাগল, সেই সমস্যা সমাধানে ফরমাল স্ট্র্যাকচারের প্রয়োজনীয়তা দেখা যেতে লাগল। সামাজিক চুক্তি প্রসঙ্গ আসে সেখানেই।
সামাজিক চুক্তি
১৭৬২ সালে প্রকাশিত হয় The Social Contract, সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বই। এই বইয়ে রুশো প্রকৃতির রাজ্য, আধুনিক সিভিল সোসাইটিতে উত্তরণ, সমস্যা, সমাধান, কাঠামো ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন।
রুশোর আদর্শ প্রকৃতির রাজ্যে সুখ শান্তি বেশিদিন থাকেনি। জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্পকলার প্রসারে প্রকৃতির রাজ্যে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে লাগল। বিশেষ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অর্জনের প্রবণতা মাত্রাধিক বৃদ্ধি পায়। ফলে এক ধরনের টানাপোড়েন ও বিশৃঙ্খলা দেখা যেতে শুরু করল। ক্ষীণ হতে শুরু করল সাম্য ও স্বাধীনতা। এমন অবস্থায় সংগঠন, চুক্তি, আইন প্রণয়নের মতো বিষয়গুলো মানুষ ভাবতে শুরু করল। রুশোর মতে,
“The problems is to find a form of association which will defend and protect with whole common force the person and goods of each association.”
উদ্ভূত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে এক ধরনের সামাজিক চুক্তির বন্ধনে যুক্ত হয়, গড়ে তোলে সম্মিলিত জীবনব্যবস্থা। এই সম্মিলিত জীবনব্যবস্থাটা নিজেই স্বতন্ত্র। এই ব্যবস্থা কারো সাম্য ও স্বাধীনতা নষ্ট করবে না, বরং সবার সাম্য ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে নৈতিক ও যৌথ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। এই সংস্থাকে রিপাবলিক হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
সাধারণ ইচ্ছা
এখন পর্যন্ত আমরা আছি এই অবস্থায় যে – প্রকৃতির রাজ্য থেকে সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে মানুষ একটা আনুষ্ঠানিক কাঠামোয় আসল। এখন এই সমাজে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কিভাবে নেয়া হবে? কীভাবে রক্ষা হবে সাম্য ও স্বাধীনতা? এই প্রশ্নে রুশো সামনে আনলেন সাধারণ ইচ্ছা তত্ত্ব।
সাধারণ ইচ্ছার উদ্ভব সামাজিক চুক্তির মাধ্যমেই। সাধারণ ইচ্ছা দ্বারা রুশো বুঝিয়েছেন সমাজের প্রত্যেক সদস্যের সামষ্টিক কল্যাণের ইচ্ছাকে। এটা একা বা কয়েকজনের ইচ্ছা নয়, এমনকি শুধু সবার ইচ্ছাও নয়, বরং সবার সেই ইচ্ছা যা নৈতিকভাবে সঠিক এবং যা দ্বারা সবার কল্যাণ ও মঙ্গল বয়ে আসবে। বিষয়টি সহজভাবে বর্ণনা করার জন্য রুশো ‘সকলের ইচ্ছা’র সাথে ‘সাধারণ ইচ্ছা’র কিছু পার্থক্য দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ‘সকলের ইচ্ছা’ হচ্ছে সেই ইচ্ছা যা কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন বা সংখ্যাগরিষ্ঠের উদ্দেশ্য সার্ভ করে। অন্যদিকে, সাধারণ ইচ্ছা সকল নাগরিকের কল্যাণের উদ্দেশ্য সার্ভ করে। পরিচ্ছন্ন সংজ্ঞা ও রাষ্ট্রের ভূমিকা নির্ধারণে অ্যাবস্ট্রাক্টনেসের কারণে রুশোর সাধারণ ইচ্ছা তত্ত্বের সমালোচনা করা হয়। আসলে নৈতিকতার প্রতি রুশোর দুর্বলতা ছিলো, সাধারণ ইচ্ছা দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রে রুশো নৈতিকতাকেই আরোপ করেছেন।
সার্বভৌমত্ব
সার্বভৌমত্বের ধারণা রুশোর মৌলিক নয়, রুশোর আগেও অনেকেই সার্বভৌমত্বের কথা বলে গেছেন; বিশেষ করে হবস চরমতন্ত্র (Absolutism) এবং লক জনসার্বভৌমত্বের (Popular Sovereignty) ধারণা দিয়ে গেছেন। রুশো তাদের থেকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেছেন। রুশোর সার্বভৌমত্ব এসেছে সামাজিক চুক্তি ও সাধারণ ইচ্ছার ধারাবাহিকতায়। হবস ও লক যেখানে সরকারের সাথে সার্বভৌমত্বের সম্পর্ক দেখিয়েছেন, রুশো সেখানে সরকারকে উপেক্ষা করে সার্বভৌমত্বকে এককভাবে জনসাধারণের সাধারণ ইচ্ছার কাছে ন্যস্ত করেছেন। রুশো বলেছেন, সার্বভৌম ক্ষমতা কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সরকারের হাতে নয়, বরং সরাসরি জনগণের সাধারণ ইচ্ছার কাছে ন্যস্ত থাকে। সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে মানুষ একটা আইনগত কাঠামোতে নিজেদের অধিকার অর্পণ করবে। যে ক্ষমতার কাছে অর্পণ করবে, সেটাই হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতা। এই ক্ষমতা ব্যক্তিবিশেষের নয়, বরং পরস্পরের। সার্বভৌম ক্ষমতাকে রুশো একক, অবিভাজ্য, স্থায়ী এবং অসীম বলে বর্ণনা করেছেন।
ফরাসি বিপ্লব
“I prefer liberty with danger than peace with slavery.”
রুশোর মৃত্যু হয় ১৭৭৮ সালে। এর আশেপাশে কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষের ইতিহাসে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়। ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব। দু’টি ঘটনাতেই জ্যঁ রুশোর অবদান ছিলো। রুশো ছিলেন মানবতাবাদী, তিনি রাজতন্ত্র ও সামন্তবাদের বিরোধী ছিলেন। শুধু সংস্কার নয়, বরং পুরো ব্যবস্থাটাই সমূলে উৎপাটনের কথা বলেছেন তিনি। বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্যে প্রচার করেছেন নিজের বক্তব্য, ‘মানুষের কথাই ঈশ্বরের কথা’। তিনি বলেছেন, এইসব স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের শাসন আনতে হবে যার ভিত্তি হবে সাম্য ও স্বাধীনতা। যে সমাজে সাম্য ও স্বাধীনতা নাই সে সমাজে মানুষ নিজেই নিজেকে বন্দি করে রাখে শিকলে।
তিনি তার গ্রন্থে প্রগতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী তার উপর ছিল খ্যাপা। ১৭৬২ সালে তার The Emile প্রকাশিত হলে বইটাকে ফ্রান্সে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। কয়েক বছর পর ফ্রান্স থেকে বিতারিত করা হয় রুশোকে। এমনকি ইউরোপের আরো কয়েকটা দেশে নিষিদ্ধ হন, শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নেন ইংল্যান্ডে। শেষ বয়সে ভালো সময় কাটেনি তার। কিন্তু তার সাম্যের দর্শনেই বিল্পব হলো, পালটে গেল দুনিয়া। তার দর্শনকে সামনে রেখেই ফ্রান্সের মানুষ অধিকারের প্রশ্নে একত্রিত হলো। বিপ্লবের আগুন জ্বলল দুর্গে দুর্গে।
১। আধুনিক সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব – জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (৩৬-৬৩) ২। দার্শনিক রুশো ও ফরাসি বিপ্লব (https://www.risingbd.com/feature/news/268686) ৩। মাইকেল এইচ হার্টের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষী (জাঁ জাক রুশো) ৪। জাঁ জ্যাক রুশো ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক এক পুঁজিবাদী দার্শনিক, লেখক ও সুরকার (https://fulkibaz.com/biography/jean-jacques-rousseau)https://www.rokomari.com/book/33004/biswsher-sersto-100-monisir-jiboni
রুশো প্রয়াণের প্রায় আড়াইশ বছর হতে চলল। তার তত্ত্বের আলোচনা চলছে, আরো চলবে। সমালোচনাও হচ্ছে, আরো হবে। সমাজতাত্ত্বিক হিসেবে জ্যঁ জ্যাঁক রুশো এতই গুরুত্বপূর্ণ যে তাকে ছাড়া সমাজতাত্ত্বিক্ আলোচনা সম্ভবই নয়।