গতানুগতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণত শহুরে আফগান নারীদের অধিকার নিয়েই বেশি আলোচনা করা হয়। আড়ালে রয়ে যায় গ্রামীণ আফগান নারীদের চাওয়া-পাওয়ার কথা। অথচ এরাই মূলত আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্বশীল নারী। কারণ আফগানিস্তানের ৭০% মানুষই গ্রামে বসবাস করে। সেই নারীদের কথাই নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের একটি দীর্ঘপাঠ প্রবন্ধে তুলে এনছেন সাংবাদিক আনন্দ গোপাল।
সেই সাথে প্রবন্ধটিতে উঠে এসেছে আমেরিকান বাহিনীর এবং তাদের সহযোগী আফগান ন্যাশনাল আর্মির সীমাহীন অমানবিকতার কথা, আফগান জনগণের উপর চালানো তাদের গণহত্যার কথা এবং তালেবানদের বিজয়ের পেছনের কারণগুলোর কথা।
আমাদের এই সিরিজটি দীর্ঘ এই চমৎকার প্রবন্ধটিরই অনুবাদ। মোট সাতটি পর্বে করা অনুবাদ সিরিজটির এটি সপ্তম পর্ব। সবগুলো পর্বের লিঙ্ক এখানে: ১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব | ৬ষ্ঠ পর্ব | ৭ম পর্ব
২০০৬ সালে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তালেবান সদস্যরা আমির দাদোর ছেলেসহ তার বত্রিশ জন বন্ধু এবং আত্মীয়কে হত্যা করে। তিন বছর পর, দাদো যখন সংসদ সদস্য, তখন তারা খোদ দাদোকেই রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়কারী ছিল পান কিল্লায়ের একজন বাসিন্দা। একদিক থেকে দেখলে এই হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এক বিদ্রোহী সংগঠনের কাজ; অন্যদিক থেকে দেখলে এটি ছিল সাবেক নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে দরিদ্র গ্রামবাসীর প্রতিশোধের অভিযান; অথবা দীর্ঘদিন ধরে চলা গোত্রগত যুদ্ধের একটি তোপধ্বনি; অথবা প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি ড্রাগ কার্টেলের আক্রমণ।
বাস্তবে হয়তো এই সবগুলো ব্যাখ্যাই একইসাথে সত্য। কিন্তু যে ব্যাপারটি পরিষ্কার তা হলো, গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্র এই বিভেদগুলো মেটানোর কিংবা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোনো চেষ্টা করেনি। উল্টো তারা একটি গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে এক পক্ষের বিরুদ্ধে অন্য পক্ষকে সমর্থন করেছিল। ফলস্বরূপ সোভিয়েতদের মতো আমেরিকানরাও কার্যকরভাবে দুটি আফগানিস্তান তৈরি করেছিল: একটি ছিল অবিরাম সংঘর্ষে জর্জরিত, অন্যটি ছিল সমৃদ্ধ এবং আশাবাদী।
হামদুল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশ করার পর থেকে এই আশাবাদী আফগানিস্তানই এখন হুমকির মুখে আছে। হাজার হাজার আফগান গত কয়েক সপ্তাহ মরিয়া হয়ে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, আমেরিকানদের এই উন্মাদনাময় প্রস্থান হতে পারে তাদের জন্য একটি ভালো জীবন লাভের সর্বশেষ সুযোগ। “ভাই, আমাকে আপনার সাহায্য করতে হবে,” যে হেলিকপ্টার পাইলটের সাথে আমি কথা বলেছিলাম, সে আমাকে ফোনে অনুরোধ করেছিল। সে সময় সে বিমানবন্দরের গেটের সামনে যাওয়ার জন্য ভিড়ের সাথে লড়াই করছিল। শেষ মার্কিন বিমানটির চাকা রানওয়ে থেকে উঠে গেলে সে পেছনে রয়ে যায়। জানা যায়, তার বস সামি সাদাত যুক্তরাজ্যে পালিয়ে গেছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে কাবুল থেকে সাদাত পালিয়ে গেছে, তাকে সাংগিন থেকে একটি ভিন্ন দেশ, অথবা একটি ভিন্ন শতাব্দীর শহর বলে মনে হতো। কাবুল হয়ে উঠেছিল পাহাড়ের দু’পাশের আলো, ঝলমলে বিয়ের হল আর নিওন বিলবোর্ডের শহর, যা মহিলাদের ভিড়ে উৎফুল্ল ছিল: মায়েরা বাজারে ঘুরে বেড়াত, মেয়েরা স্কুল থেকে দলবেঁধে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরত, পুলিশ অফিসাররা হিজাব পরে টহল দিত, অফিসের নারী কর্মীরা ডিজাইনার হাতব্যাগ বহন করত।
আমেরিকান যুদ্ধের সময় কাবুলের এই মহিলারা যা অর্জন করেছিল এবং এখন যা হারিয়েছে, হেলমন্দের কঠোর জনপদের বিপরীতে বিবেচনা করলে সেগুলোকে বিস্ময়কর এবং দুর্বোধ্য বলে মনে হয়: আফগান পার্লামেন্টে মহিলাদের অনুপাত ছিল মার্কিন কংগ্রেসে মহিলাদের অনুপাতের প্রায় সমান। আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ ছিল নারী।
কাবুলের হাজার হাজার নারী বোধগম্যভাবেই আতঙ্কিত যে, তালেবানরা বিবর্তিত হয়নি। আগস্টের শেষের দিকে আমি ফোনে একজন নারী চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেছিলাম, যিনি তার বাড়িতে বন্দী হয়ে ছিলেন। তিনি একাধিক দেশে পড়াশোনা করেছিলেন, এবং তার পরিচালিত একটি বড় ক্লিনিকে এক ডজন মহিলাকে নিয়োগ করেছিলেন। “আমি এই অবস্থানে আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি,” তিনি আমাকে বলেছিলেন। “আমি দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা করেছি, নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছি, নিজস্ব ক্লিনিক স্থাপন করেছি। এটা ছিল আমার সারা জীবনের স্বপ্ন।” এখন তালেবানদের কাবুল জয়ের পর দুই সপ্তাহ ধরে তিনি বাড়ির বাইরে পা রাখেননি।
তালেবানদের ক্ষমতা দখল একইসাথে রক্ষণশীল গ্রামাঞ্চলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে এবং কাবুলের তুলনামূলক উদার রাস্তাগুলোকে ভয় ও হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। ভাগ্যের এই বৈপরীত্য গত দুই দশকের অনুচ্চারিত বিতর্কই প্রকাশ করে: যদি মার্কিন সৈন্যরা গ্রামাঞ্চলে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়, তাহলে শহরের জীবন প্রস্ফুটিত হতে পারে। এটি হয়তো একটি টেকসই প্রকল্প ছিল- তালেবানরা মার্কিন বিমানশক্তির মুখে শহর দখল করতে সক্ষম ছিল না। কিন্তু এটি কি ন্যায়সঙ্গত ছিল? একটি সম্প্রদায়ের অধিকার কি চিরস্থায়ীভাবে অন্য সম্প্রদায়কে অধিকারবঞ্চিত করার উপর নির্ভর করতে পারে?
সাংগিনে যখনই আমি লিঙ্গ-বৈষম্যের প্রশ্ন তুলেছি, গ্রামের মহিলারা উপহাসের সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। পাজারো বলেছিল, “তারা কাবুলে নারীদেরকে অধিকার দিচ্ছে, আর এখানে মহিলাদেরকে হত্যা করছে। এটা কি ন্যায়বিচার?” পান কিল্লায়ের মারজিয়া আমাকে বলেছিল, “আপনি যদি আমাদেরকে হত্যা করেন, আমাদের ভাইদেরকে হত্যা করেন, আমাদের বাবাদেরকে হত্যা করেন, তখন একে ‘নারীর অধিকার’ বলে না।” পার্শ্ববর্তী গ্রামের খালিদা বলেছিল, “আমেরিকানরা আমাদেরকে কোনো অধিকার দেয়নি। তারা শুধু এসেছে, যুদ্ধ করেছে, হত্যা করেছে এবং এরপর চলে গেছে।”
নারীদের কী ধরনের অধিকার থাকা উচিত, তা নিয়ে হেলমন্দের নারীরা নিজেদের মধ্যে দ্বিমত পোষণ করে। কেউ কেউ চায় গ্রামের পুরাতন নিয়মগুলো ভেঙে পড়ুক- তারা বাজারে যেতে চায়, কোনো প্রকার কটুক্তি শোনা ছাড়াই খালের ধারে পিকনিক করতে চায়। অন্যরা এখনও ঐতিহ্যগত ধারণাকেই আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। “নারী এবং পুরুষ সমান না,” শাকিরা আমাকে বলেছিল। “তারা প্রত্যেকেই আল্লাহ্র সৃষ্টি, এবং তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা এবং নিজস্ব শক্তি আছে, যা অন্যের নেই।”
শাকিরার স্বামী যখন আফিমের নেশায় পড়েছিল, তখন একাধিকবার সে তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কল্পনা করেছিল। কিন্তু নিলুফারের বয়স বাড়ছে, এরকম সময় একটি বিবাহবিচ্ছেদ পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হতে পারে, নিলুফারের ভালো বিয়ের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বান্ধবীদের কাছ থেকে শাকিরা ভাঙা বিয়ে এবং পতিতাবৃত্তিতে ভরা শহরগুলোর গল্প শুনতে পায়। “অতিরিক্ত স্বাধীনতা বিপজ্জনক, কারণ মানুষ তার সীমা জানে না,” শাকিরা বলেছিল।
তবে সাংগিনে আমি যত মহিলার সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তারা সবাই একটি বিষয়ে একমত যে, তাদের অধিকার, সেটা যা-ই হোক না কেন, বন্দুকের নলের মাধ্যমে আসতে পারে না। তাদের নিজেদেরকেই নিজেদের মহিলাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। অনেক গ্রামবাসী বিশ্বাস করে, এই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক উপাদান তাদের রয়েছে: ইসলাম নিজেই। “তালেবানরা বলছে নারীরা বাইরে যেতে পারবে না, কিন্তু ইসলামে আসলে এরকম কোনো নিয়ম নেই,” পাজারো বলেছিল আমাকে। “আমরা যদি নিজেদেরকে ঢেকে রাখি, তাহলে আমাদেরকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।”
আমি হেলমন্দের এক শীর্ষস্থানীয় তালেবান পণ্ডিতকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ইসলামে কোথায় বলা হয়েছে যে নারীরা বাজারে বা স্কুলে যেতে পারবে না? কিছুটা বিরক্ত হয়ে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে এটা আসলে প্রকৃত ইসলামি বিধান না। “এটি গ্রামের সংস্কৃতি, ইসলামের না,” তিনি বলেছিলেন। “নারীদের সম্পর্কে এখানকার মানুষের বিশ্বাসগুলো এরকম এবং আমরা শুধু সেটা অনুসরণ করছি।”
ইসলাম যেরকম বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে অন্য অনেক গোত্রীয় এবং গ্রাম্য রীতিনীতির চেয়ে সুন্দর মানদণ্ড প্রদান করে, ঠিক তেমনি এই মহিলারা আশা করে, তাদের এই ধর্ম, যা তাদের দেশের হাজার বিভাজনের মধ্যে সাধারণ একটি সেতুবন্ধন, তা তাদের জন্য আরও বেশি স্বাধীনতা এনে দেবে।
শাকিরা যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব কমই কথা বলে, কিন্তু সে নিজেও এ ধরনের স্বপ্ন দেখে। কয়েক দশকের যুদ্ধের মধ্য দিয়েও সে নিজে পড়াশোনা শেখা চালিয়ে গেছে। এবং এখন সে একটি একটি সুরা করে কুরআনের পশতু অনুবাদ পড়ছে। “এটা আমাকে অনেক শান্তি দেয়,” সে বলেছিল আমাকে। সে এখন তার কনিষ্ঠ কন্যাকে বর্ণমালা শেখাচ্ছে। এবং তার একটি সাহসী উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে: তার বান্ধবীদেরকে একত্রিত করা এবং পুরুষদের কাছে দাবি জানানো, তারা যেন মেয়েদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে।
পান কিল্লায়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও শাকিরা এর অতীত মনে রাখতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে আমাকে বলেছিল, গ্রামে একটি কবরস্থান আছে যা কয়েকটি পাহাড়ের চূড়া পর্যন্ত বিস্তৃত। সেখানে কোনো ফলক নেই, কোনো পতাকা নেই। আছে শুধু পাথরের স্তূপ, যা সন্ধ্যার আলোয় লাল এবং গোলাপী রঙ ধারণ করে। প্রতিটি কবরের দুই পাশে এক জোড়া করে খালি প্রস্তর খণ্ড আছে— একটি মাথা বরাবর, একটি পা বরাবর।
শাকিরার পরিবার প্রতি সপ্তাহে কবরস্থানটি পরিদর্শন করে। সে তার ছেলেমেয়েদেরকে আঙুল দিয়ে দেখায় কোথায় তার দাদা শুয়ে আছে, কোথায় তার চাচাতো ভাইরা শুয়ে আছে। কারণ সে চায় না তার সন্তানরা তাদের অতীত ভুলে যাক। তারা আশীর্বাদ প্রাপ্তির জন্য গাছের ডালে কাপড় বেঁধে রাখে, এবং যারা চলে গেছে তাদের কাছে প্রার্থনা করে। পাথর, গুল্ম এবং ঝর্ণার সমন্বয়ে তৈরি একটি পবিত্র ভূমির মধ্যে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করে, যা শাকিরাকে নতুন করে বাঁচার অনুভূতি দেয়।
আমেরিকানরা চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে তারা শাকিরার বাড়ি ডায়নামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে যায়, বাহ্যত কাছাকাছি একটি স্থানে তালেবানদের গ্রেনেড হামলার জবাবে। দুটি কক্ষ এখনও দাঁড়িয়ে থাকলেও বাড়িটি অর্ধেক বাসযোগ্য, অর্ধেক ধ্বংসপ্রাপ্ত; অনেকটা আফগানিস্তানের মতোই। শাকিরা আমাকে বলেছিল, তার অনুপস্থিত রান্নাঘর, কিংবা একসময় যেখানে ভাঁড়ার ঘরটি দাঁড়িয়েছিল, সেখানকার ফাঁকা জায়গাটা মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সে তার গ্রামের পুনর্জন্ম দেখতে চায়।
শাকিরা নিশ্চিত, শীঘ্রই একটি নতুন পাকা রাস্তা তার বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাবে, গ্রীষ্মকালে সেই খোয়া বিছানো রাস্তা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আকাশে শুধুমাত্র পালকযুক্ত পাখিরাই উড়বে। নিলুফারের বিয়ে হবে, তার সন্তানরা খালের পাশ ধরে হেঁটে হেঁটে স্কুলে যাবে। মেয়েদের প্লাস্টিকের পুতুল থাকবে, সেই পুতুলগুলোর মাথায় আঁচড়ানোর মতো চুল থাকবে। শাকিরার একটি মেশিন থাকবে, যে মেশিন কাপড় ধুয়ে দিতে পারবে। তার স্বামী পরিচ্ছন্ন হয়ে ফিরে আসবে, সে তার ব্যর্থতা স্বীকার করে নেবে। সে তার পরিবারকে বলবে, তাদেরকে সে যে কোনো কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসে। একদিন তারা কাবুল পরিদর্শন করবে এবং বিশাল কাচের ভবনের ছায়ার নিচে দাঁড়াবে। “আমাকে এসবে বিশ্বাস করতে হবে,” শাকিরা বলেছিল। “তা নাহলে এত কিছু কীসের জন্য?”