১৯৯৯ সালের ৯ আগস্ট, রাশিয়ার নতুন এক ইতিহাস রচনার দিন। রাশিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলৎসিন সেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন সাবেক কেজিবি প্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়রের উপদেষ্টা, এবং সবশেষে মস্কোতে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পুতিন।
অনেকেই ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুব বেশিদিন টিকতে পারবেন না তিনি। এই ধারণা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছিল না। কেননা পুতিনের তিন পূর্বসূরির কেউই বছর পার করতে পারেননি। ১৯৯৮ সালের আগস্ট থেকে পরবর্তী এক বছরে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর আসা-যাওয়া দেখেন ইয়েলৎসিন। তাদের সবাইকে ভঙ্গুর অর্থনীতির চাপে পিষ্ট হয়ে পদ ছাড়তে হয়।
সে হিসেবে পুতিনও অর্থনৈতিক মন্দার চাপে বিদায় নেবেন, এমনটাই ভাবনা ছিল রুশ বিশ্লেষকদের। কিন্তু নিজেকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়ার জন্য সেদিন প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেননি পুতিন! তার নজর ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাওয়া। অবশ্য তার জন্য বেশিদিন অপেক্ষাও করতে হয়নি।
ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইয়েলৎসিন। ১৯৯৯ সালের শেষ মুহূর্তে পুতিনের হাতে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত করে বিদায় নেন তিনি।
এরপর কেটে গেছে দুই দশক। এই সময়ের মধ্যে পুতিন চারবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দুবার। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন পুতিন। রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী কেউ টানা দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারবেন না। এ কারণে তিনি ২০০৮ সালে বিশ্বস্ত দিমিত্রি মেদভেদেভকে রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন।
এরপর ২০১২ সালে আবার রাষ্ট্রপতির পদে প্রত্যাবর্তন করেন বর্তমান রাশিয়ার অবিসংবাদিত এই নেতা। ক্ষমতায় বসেই আইনপ্রণেতাদের দিয়ে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করিয়ে নেন পুতিন।
বর্তমানে পুতিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য পুতিন কি ক্ষমতা ছাড়বেন? নাকি তিনি সংবিধানই পরিবর্তন করবেন?
পুতিনের ক্ষমতা ছাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
২০১৮ সালের মে মাসে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন পুতিন। আবারো টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় রুশ ফেডারেশনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন, ২০২৪ সালে পুতিন ক্ষমতা ছাড়তে যাচ্ছেন কি না। তিনি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, নাকি চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের মতো আজীবন ক্ষমতায় থাকার মতো কোনো আইন তৈরি করবেন?
রাশিয়ার প্রশাসনিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ যা-ই ভাবুক, ওদিকে পুতিনও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার সংবিধানকে সম্মান জানিয়েই রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। ২০১৮ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক ফোরামে তিনি বলেন,
আমি সবসময় রুশ ফেডারেশনের সংবিধানকে কঠোরভাবে মেনে আসছি। সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আমাকেও এই আইন মানতে হবে।
তবে পুতিনের এই কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা রাশিয়া শুধুমাত্র কাগজে-কলমে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে পুতিন বিরোধীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো রুশ প্রশাসন আর ভ্লাদিমির পুতিন সমার্থক হয়ে উঠেছে।
সাধারণ জনগণও তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেন না। এমনকি অনেক ভোটার তাদের আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন তারিখ পর্যন্ত জানেন না!
তার ওপর, রাশিয়ায় পুতিনের বিপক্ষে দাঁড়ানোর মতো ঐরকম নেতাও নেই। যারা তার বিপক্ষে লড়াই করার চেষ্টা করেছেন, তাদের বিভিন্নভাবে দমন করা হয়েছে। ফলে পুতিনের ক্ষমতা হয়েছে আরো বেশি সুসংহত।
এ কথা সত্য যে, পুতিনের হাত ধরেই রাশিয়া আবারও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। কয়েক বছর আগেও রাশিয়ার সিদ্ধান্তকে ওভাবে সমীহ করতো না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পুতিন সেই দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন। এরপরও রাশিয়ায় তার বিপক্ষে একটি হাওয়া সবসময় কাজ করছে। এর বড় কারণ রাশিয়ায় প্রকৃত অর্থে কোনো গণতন্ত্র নেই। সেখানকার নির্বাচনে কে জিতবেন, সেটি বড় কথা নয়। বরং কত ভোট পড়লো, সেটাই মূল বিষয়।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার স্বাধীন নির্বাচনী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘লেভাডা সেন্টার’ পুতিনের প্রতি মানুষের মনোভাব জানার জন্য একটি জরিপ করে। এই জরিপে রাশিয়ার বিভিন্ন বয়সী পুতিন সমর্থক ও বিরোধী লোকজন অংশগ্রহণ করে।
তাদের কাছে দুটি প্রশ্ন রাখা হয়- (১) ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরও পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কি না এবং (২) যদি তিনি পদত্যাগ করেন তাহলে কে তার উত্তরসূরি হবেন।
এই জরিপে দুটি পক্ষই একটি বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। তাদের মতে এত শীঘ্রই ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না পুতিন। তার সমর্থকদের মতে, রুশ রাষ্ট্রপতির এখনো অনেক কাজ বাকি আছে, এবং বর্তমানে তার মতো ক্যারিশমাটিক কোনো নেতাই রাশিয়ায় নেই। বিপরীতে, পুতিন বিরোধীদের ভাষ্য হলো, পুতিন ক্ষমতালোভী। সহসা ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তার নেই।
ক্ষমতার থাকার জন্য পুতিন যা করতে পারেন
২০২৪ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুতিনের জন্য তিনটি পথ খোলা থাকবে।
- প্রথমত, তিনি সংবিধান পরিবর্তন করে চীনের শি চিনপিংয়ের মতো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
- দ্বিতীয়, প্রধানমন্ত্রী পদে এক মেয়াদ থেকে আবারো রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।
- তৃতীয়ত, পছন্দের উত্তরসূরির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারেন।
কিন্তু সবার আগে প্রশ্ন হলো, তিনি কি তৃতীয় অপশনটি বেছে নেবেন? ক্রেমলিনের গোপন সূত্রমতে, এখনো রাশিয়ায় পুতিনের বিকল্প হিসেবে কাউকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। যার ফলে ধারণা করা যায়, পুতিন সহসাই সাধারণ মানুষের জীবনে ফিরছেন না।
এবার প্রথম অপশনের দিকে নজর দেওয়া যাক। রাশিয়ায় পুতিনের সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে। তিনি চাইলে সংবিধান পরিবর্তন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করতে পারেন। তবে এর জন্যও তাকে নির্দিষ্ট একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ এবং উচ্চকক্ষের তিন-চতুর্থাংশের সমর্থন প্রয়োজন। একইসাথে আঞ্চলিক পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।
এর অর্থ হলো, সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় থাকতে হলে পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া ও তার মিত্রদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে। সংবিধান সংশোধন করা যদিও কঠিন ও বিতর্কিত এক বিষয় হবে। তবে পুতিনের পক্ষে সেটা অসম্ভব নয় মোটেও। কিন্তু যদিও স্বয়ং পুতিনের ভাষ্যমতে, তিনি এই উপায়ে ক্ষমতায় আসতে রাজি নন।
সেই হিসেবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের সামনে আর একটি মাত্র পথ খোলা। আর সেটি হলো, বিশ্বস্ত কোনো সহযোগীকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসিয়ে নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা। যা তিনি এর আগেও একবার করেছেন।
তবে এক্ষেত্রে আবার বাধ সাধতে পারে বয়স ও স্বাস্থ্য। বর্তমানে পুতিনের বয়স ৬৬ বছর। ২০২৪ সালে ৭১-এ পা দেবেন তিনি। এক মেয়াদ যদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আবারো রাষ্ট্রপতি পদে ফিরতে চান, তাহলে তাকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন তার বয়স হবে ৭৭ বছর। এই বয়সে রাশিয়ার মতো ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপতি পদ সামলানোও চাট্টিখানি কথা নয়!
পুতিনের বিকল্প কে হতে পারেন?
যদি পুতিন ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে ফিরে যান, তাহলে উত্তরসূরি কে হতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকের নাম আসবে। সবার প্রথমে আসবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদভের নাম। প্রথমত, তিনি এর আগে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয়ত, পুতিনও তাকে বিশ্বাস করেন।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে মেদভেদভের পরেই রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এবং কমিউনিস্ট নেতা পাভেল গ্রুডিনিন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সেনাবাহিনীর সাথে সোইগুর সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। পুতিনের শেষবেলায় সেনাবাহিনী যদি রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে সরাসরি, তবে তাদের আনুকূল্যে রাষ্ট্রপতি হয়ে যেতে পারেন সোইগুর।
এছাড়া মস্কোর মেয়র সোবিয়ানিন রাজধানীর প্রাণ। রুশ রাজনীতিতে তারও বেশ প্রভাব রয়েছে। প্রভাবশালীর তালিকায় আরো আছেন সফল ব্যবসায়ী ও ধনকুবের গ্রুডিনিন। গত নির্বাচনে তিনি পুতিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। যদিও এই ‘ফলাফল’ রাশিয়ার রাজনীতিতে খুব একটা মানে রাখে না!
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, পুতিনের উত্তরসূরি হতে পারেন একেবারেই অচেনা কেউ। যেমন পুতিন ও মেদমেদেভ রুশ জনগণের কাছে একেবারেই অচেনা ছিলেন। আবার এমন হতে পারে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের এক বছর আগে রাশিয়ার রাজনীতিতে নতুন একজনের আগমন ঘটবে। তিনি অল্প সময়ে সবকিছু জয় করে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যাবেন।
অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ধারণা মতে, পুতিনের উত্তরসূরি হবেন গোয়েন্দা সংস্থা অথবা সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্য থেকেই কেউ একজন। অবশ্যই তার গভর্নর, আঞ্চলিক প্রধান অথবা জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকবে।
এক্ষেত্রে একজন কঠোর পরিশ্রমী পুরুষকে বেছে নেবেন পুতিন ও তার দল। কেননা রুশ রাজনীতিতে নারীরা এখনো ব্রাত্য। দেশের জটিল রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক চাপ সামলানোর মতো কাজে রুশ রাজনীতিবিদরা কোনো নারীকে বসাতে আগ্রহী নন!
জনগণের কাছে পুতিনের থাকা না থাকার গুরুত্ব কতটুকু?
যেহেতু তাদের মতামতেরই তেমন মূল্য নেই দেশে, সেহেতু পুতিন আরেক মেয়াদ ক্ষমতায় থাকছেন, নাকি ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছেন- এ বিষয়ে জনগণের মাথাব্যথা অত বেশিও নয়।
অধিকাংশ রুশ নাগরিকই মনে করছেন পুতিন আরো এক মেয়াদ ক্ষমতায় থাকবেন। এদের অনেকে আবার রাজনীতি সম্পর্কে এতটাই উদাসীন যে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কেও অবগত নন। তবে পুতিন সমর্থকরা মনে করেন, পুতিনের বিকল্প কেউ যদি এসেও থাকেন, তারপরও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পুতিনের মতো প্রভাব তৈরি করতে পারবেন না তিনি!
পুতিনের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তার আশেপাশে থাকা অনেকের কাছে অগ্নিপরীক্ষার সমান। ক্ষমতা ছাড়লেও পুতিনকে এমন একজন উত্তরসূরি নির্বাচিত করে যেতে হবে, যিনি তার নীতিসমূহকে সামনের দিকে ধাবিত করবেন। একইসাথে পুতিনকে ভবিষ্যতে রক্ষা করবেন।
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, পুতিন এখনো তার উত্তরসূরি নির্বাচন করেননি। তবে পুতিনকে ক্ষমতা ছাড়ার একটি নিরাপদ পথ বের করতে হবে। নয়তো চিরকাল ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। কারণ তিনি ক্ষমতার যে বলয় তৈরি করেছেন, সেখান থেকে বের হওয়া খুবই জটিল। কার্নেগি মস্কো সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো আন্দ্রেই কালিসনিকভের ভাষায়,
যতদিন তিনি (পুতিন) ক্ষমতা ধরে থাকবেন, তার বের হওয়ার পথ তত কঠিন হবে। এই পুরো শাসন কাঠামোটি তার ব্যক্তিগত প্রকল্প। নিজেই তৈরি করেছেন। এমন একটি জটিল ব্যবস্থা থেকে কীভাবে বের হবেন পুতিন?