বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি ভালোলাগার অনুভূতি, তারপর সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় রূপান্তরিত হওয়া, এবং চিরকাল তাকে নিজের করে পেতে চাওয়ার নামই হলো প্রেম। এই প্রেমের প্রথম পদক্ষেপে কোন বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে? অধিকাংশ মানুষই বলবেন চেহারা বা বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা। অনেকে ভোট দেবেন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের পক্ষেও। এবং কেউ কেউ অর্থনৈতিক অবস্থাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকবেন।
এ কথা সত্য যে আজকের দিনে স্রেফ প্রথম দেখাতেই কারো প্রেমে পড়ে গিয়ে তার সাথে সারাজীবন কাটাবার সংকল্প করা নেহাতই বোকামি। তবে সব কিছুরই তো একটি শুরু আছে। আপনি কারো সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে, তার প্রতি প্রাথমিক ভালোলাগাটা তো আপনার মনে জন্মাতেই হবে। আর সেজন্যই বাহ্যিক সৌন্দর্য, শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব কিংবা অর্থনৈতিক অবস্থার এত গুরুত্ব।
তবে কিছু কিছু মানুষ আছে, যাদের কাছে এই বিষয়গুলো গুরুত্বহীন। তারা বরং বিপরীত লিঙ্গের অন্য কোনো বৈশিষ্ট্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। সেটি হলো বুদ্ধিমত্তা। তাদের মস্তিষ্কে প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় বুদ্ধিমত্তাকে কেন্দ্র করে। যে ব্যক্তি যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী, সে ব্যক্তির প্রতি তাদের মুগ্ধতা জন্মানোর প্রবণতাও তত বেশি।
এ ধরনের মানুষদের বেশ গালভরা একটি নাম রয়েছে। নামটি হলো ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’। এবং সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে শব্দটি। দুইটি বিপরীত পক্ষ এটিকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনারও জন্ম দিচ্ছে। এক পক্ষ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে, নিজেদেরকে স্যাপিওসেক্সুয়াল হিসেবে দাবি করছে। অন্য আরেকটি পক্ষ মূলত প্রথম পক্ষকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতে আছে। তাদের বক্তব্য, এতদিন কেউ শব্দটি জানতো না বলে নিজেকে এমন কিছু দাবি করেনি। এখন হুট করে শব্দটি ছড়িয়ে পড়ায় সবাই যেন স্যাপিওসেক্সুয়াল হয়ে উঠছে!
কতটা জনপ্রিয় স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি?
আসলেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি ঠিক কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে আমরা মোটামুটি একটি ধারণা পাব গুগল সার্চ ট্রেন্ড থেকে।
গ্রাফটি লক্ষ করে দেখুন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসেও কিন্তু এ শব্দটি নিয়ে এ দেশের মানুষের খুব একটা মাথাব্যথা ছিল না। এমনকি গত জুন মাসের এই সময়েও এটি নিয়ে খুব বেশি মানুষ গুগলে সার্চ দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশীদের ফেসবুকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে শব্দটি। এবং শব্দটির অর্থ জানার জন্য প্রচুর মানুষ সাহায্য নিচ্ছে গুগলের। তাই তো গুগল সার্চ ট্রেন্ডে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির এক অবিশ্বাস্য রকমের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা যাচ্ছে।
তবে বৈশ্বিক চিত্র কিন্তু বেশ ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী গুগল সার্চ ট্রেন্ডে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির অবস্থান দেখে নিন এবার।
দেখতেই পাচ্ছেন, ২০১১ সালের শেষাবধি স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি বলতে গেলে একেবারেই সার্চ দেয়া হয়নি। কিন্তু ২০১১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ধীরে ধীরে মানুষ এ শব্দটির ব্যাপারে আগ্রহী হতে শুরু করেছে, এবং ২০১৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত গুগলে এ শব্দটি সার্চের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। মাঝে কিছুটা সময় শব্দটি নিয়ে মাতামাতি থেমে থাকলেও, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শব্দটি তার সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় অবস্থানে পৌঁছে যায়। এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তের অনেক মানুষই শব্দটির অর্থ জানতে উৎসুক।
কীভাবে উৎপত্তি স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির?
বুঝতেই পারছেন, স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি জনপ্রিয় আধুনিক পপ কালচার ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু কীভাবে জন্ম ঘটেছে শব্দটির? তা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ২০০২ সালে, যখন প্রথম এ শব্দটি অনলাইনে ব্যবহার করেন wolfieboy নামের একজন লাইভ জার্নাল (একটি রাশিয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ব্যবহারকারী। তার ভাষ্যমতে, এ শব্দটি তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ১৯৯৮ সালে।
যৌনতা বা সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনি কোন লিঙ্গকে অগ্রাধিকার দেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি লিখেছিলেন:
আমি? আমি খুব বেশি অন্তরঙ্গতার ব্যাপারে ভাবিত নই। আমি একটি ধারালো, অনুসন্ধিৎসু, অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ, নিস্পৃহ মনের অধিকারী মানুষ চাই। আমি এমন কাউকে চাই, যার কাছে দার্শনিক আলোচনাকেই মনে হবে ফোরপ্লে। আমি চাই এমন কাউকে, যে তার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক ও চৌকস রসবোধের সাহায্যে প্রায়সই আমাকে হারিয়ে দেবে। আমি এমন কাউকে চাই, যার কাছে আমি যখন খুশি যেতে পারব, যেভাবে খুশি স্পর্শ করতে পারব। আমি এমন কাউকে চাই, যাকে আমি জড়িয়ে ধরে থাকতে পারব।
এর মানে হলো, আমি একজন স্যাপিওসেক্সুয়াল। আমি মানুষের মনের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হতে চাই।
এভাবেই আত্মপ্রকাশ ঘটে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির, এবং ওই আলোচনার কমেন্ট বক্সেই অনেক মানুষ নিজেদেরকেও একই রকম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছিল, এবং দাবি করেছিল যে তারাও স্যাপিওসেক্সুয়াল। এ থেকে আমরা আরো একটি ব্যাপারেও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি যে, স্যাপিওসেক্সুয়াল হলো তেমন একটি বৈশিষ্ট্য, যার কথা শোনার পর অনেকেই নিজেকে সেটির সাথে সম্পৃক্ত করতে পারে। এ কারণেই তো স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর আমাদের চারপাশ থেকে এত এত স্যাপিওসেক্সুয়াল বের হয়ে আসছে!
চলতি দশকে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি এতটা জনপ্রিয় হলো কীভাবে?
আমাদের পরবর্তী প্রশ্ন হলো: চলতি দশকের শুরু থেকে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি কীভাবে এত বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করল? এর পেছনে একটি প্রধান কারণ হতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশ, এবং সেখানে নিজেদের যৌনতা বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারার স্বাধীনতা, যা আগে কখনো মানুষ সেভাবে পায়নি।
ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে চলতি দশকের শুরু থেকেই মানুষ অনলাইনে নিজেদের যৌনতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, এবং বিপরীতকামিতার পাশাপাশি নিজেদেরকে সমকামী, উভকামী বা যৌনলক্ষণহীন হিসেবেও পরিচয় দিতে থাকে। কিন্তু এমন অনেকেও ছিল, যারা কেবল শারীরিক যৌনতার ভিত্তিতেই নিজেদের পরিচয়কে সংজ্ঞায়িত করতে চায়নি। ফলে তাদের কাছে গে, লেসবিয়ান, স্ট্রেইট, বাইসেক্সুয়াল, অ্যাসেক্সুয়াল, প্যানসেক্সুয়াল প্রভৃতির বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয় স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটি।
মূলধারার আলাপচারিতায় স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির প্রবেশের পথ প্রশস্ত করে দেয় ওকে কিউপিড নামক অনলাইন ডেটিং সাইটটিও। ২০১৪ সালে তারা ব্যবহারকারীদের সুযোগ করে দেয় নিজেদের যৌন পছন্দের জায়গায় স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটিকে বেছে নেয়ার এবং এর ফলে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির জনপ্রিয়তাও হু হু করে বাড়তে থাকে।
আসলেই কি মানুষ স্যাপিওসেক্সুয়াল হয়?
তাহলে স্যাপিওসেক্সুয়াল শব্দটির জনপ্রিয়তার রহস্য তো আমরা জানলাম। এখন আমাদের পরবর্তী প্রশ্ন হলো, আসলেই কি মানুষ স্যাপিওসেক্সুয়াল হয়? উত্তরটি হলো- হ্যাঁ। আমাদের চারপাশে যত মানুষ নিজেদের স্যাপিওসেক্সুয়াল হিসেবে দাবি করে, তারা সকলেই হয়তো তা নয়, কিন্তু সমাজে কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষেই রয়েছে, যারা বিপরীত লিঙ্গের শরীর কিংবা পকেটের পরিধি নয়, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ বলছে, কোনো সমাজে মাত্র ১ থেকে ৮ শতাংশ মানুষ স্যাপিওসেক্সুয়াল হয়ে থাকে।
গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে, যেখানে অংশগ্রহণ করেছিল ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী। তাদেরকে একটি প্রশ্নমালা পূরণ করতে দেয়া হয়, যেখানে জানতে চাওয়া হয় বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা সম্পর্কে, এবং এই মানবীয় বৈশিষ্ট্যটি তাদের মনে যৌন আলোড়ন সৃষ্টি করে কিনা। এছাড়া প্রশ্নমালাটিতে ভালোবাসা ও যৌনতার অন্যান্য নানা দিক সম্পর্কেও প্রশ্ন ছিল, যাতে সকল ফোকাস কেবল বুদ্ধিবৃত্তির উপরই না পড়ে।
প্রধান গবেষক গিলস গিগনাচ বলেন,
“আমরা আবিষ্কার করেছি যে স্যাপিওসেক্সুয়ালিটিকে সাইকোমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিমাপ করা সম্ভব, এবং ১ থেকে ৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী (১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী) স্যাপিওসেক্সুয়াল হতে পারে। তবে একজন মানুষ নিজে অনেক বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী হলেই যে সে স্যাপিওসেক্সুয়াল হবে, এমনটি নয়।”
গবেষণা প্রবন্ধটি থেকে জানা যায়, সম্পর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারা সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় সঙ্গীর মহানুভবতাকে, এবং তার সাথে নিজের বোঝাপড়াকে। এছাড়া সম্পর্কের অন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো: সঙ্গীর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং সঙ্গীর সাথে সহজে মিশতে পারা।
তবে বুদ্ধিমান হলেই যে তাকে আপনার পছন্দ হবে, এমনটিও কিন্তু না। একজন মানুষ ঠিক কতটা বুদ্ধিমান, তা-ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে, স্যাপিওসেক্সুয়ালরা সাধারণত এমন কাউকে সঙ্গী হিসেবে চায়, আইকিউ টেস্টের ভিত্তিতে যার বুদ্ধিবৃত্তি ৯০ শতাংশের আশেপাশে। এটিকেই তারা কোনো ব্যক্তির যথাযথ পরিমাণের বুদ্ধিবৃত্তি বলে মনে করে। কিন্তু কারো বুদ্ধিবৃত্তি যদি ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি হয়, অর্থাৎ সে যদি অতিমাত্রায় বুদ্ধিমান হয়, তাহলে তার প্রতি এমনকি স্যাপিওসেক্সুয়ালদেরও কিছুটা নাক সিঁটকানো ভাব থাকে, এবং তারা এমন জিনিয়াসদের এড়িয়ে চলতে চায়।
অবশ্য এমন কোনো পরিস্থিতি যদি আসে যে একজন স্যাপিওসেক্সুয়ালের সামনে দু’জন সম্ভাব্য সঙ্গী রয়েছে; একজনের বুদ্ধিবৃত্তি ৯৯ শতাংশ বা তার উপরে, এবং অন্যজনের বুদ্ধিবৃত্তি ৫০ শতাংশের নিচে, তবে তারা প্রথমজনকেই বেছে নেবে।
কীভাবে বুঝবেন আপনি একজন স্যাপিওসেক্সুয়াল কিনা?
এই গোটা লেখাটি পড়ে আসার পর অনেক পাঠকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,“আমি কি স্যাপিওসেক্সুয়াল?” খুবই জটিল একটি প্রশ্ন এটি, যার উত্তর খুব সহজে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি স্যাপিওসেক্সুয়াল হয়ে থাকেন, তবে আপনার চরিত্রে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে:
- আপনি কারো চেহারা দেখেই তার সম্পর্কে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান না, বরং তার সাথে কথা বলে ভালো-মন্দ বুঝে নিতে পছন্দ করেন।
- আপনি সঙ্গীর সাথে বিতর্ক করতে পছন্দ করেন।
- সঙ্গীর প্রতি আপনার শারীরিক আকর্ষণ অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু তার সাথে রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন, মনস্তত্ত্ব, খেলাধুলা, বিনোদন প্রভৃতি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনাও আপনাকে যৌন মিলনের সমতুল্য আনন্দ দেয়।
- সঙ্গীকে আপনি যত বেশি জানতে পারেন, তার প্রতি আপনার আকর্ষণ তত বেশি বৃদ্ধি পায়।
- আপনি আপনার সঙ্গীর সকল কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, এবং সঙ্গীর কাছ থেকেও আপনি এমনটিই আশা করেন।
- তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা বলতে আপনি অপছন্দ করেন।
- আপনি রসিক, কিন্তু সস্তা, চটুল রসিকতা আপনাকে আকৃষ্ট করে না। আপনি এমন রসবোধের প্রত্যাশী, যার মধ্যে যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে।
- কারো বোকামি বা নৃশংসতা আপনাকে রাগিয়ে দেয়।
- আপনি প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে স্বভাবের হন। সঙ্গীর কথায় ব্যাকরণগত ভুল থাকলে কিংবা সে গানের লাইন ভুল গাইলেও আপনি বিরক্ত হন।
বিজ্ঞানের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/