Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ফুটবলার ও কোচের মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্বের আলোচিত নানা কাহিনী

বর্তমান সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ মরিনহোর সাথে দলের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রেঞ্চ তারকা ফুটবলার পগবার অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা কারও অজানা নয়। ঘটনার অল্পবিস্তর প্রভাব ইউনাইটেডের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতেও যে পড়ছে, তা ফলাফল দেখে সহজেই অনুমেয়।  ফুটবলে কোচের ভূমিকা কতটা, তা বলা বাহুল্য। কিন্তু, খেলোয়াড়ের সাথে কোচের যেকোনো রকমের মনোমালিন্য কিংবা দ্বন্দ্বের প্রভাব দলের জন্য ইতিবাচক কিছু নয়। এ ধরনের ঘটনার ফলাফল হিসেবে অনেক সময় দেখা যায়, খেলোয়াড় হয়তো দল বদল করতে বাধ্য হয়েছেন কিংবা সামগ্রিক পরিস্থিতির অনুষঙ্গ হিসেবে কোচই একসময় চাকুরিচ্যুত হয়েছেন বা পদত্যাগ করেছেন। বলে রাখা ভালো, এ রকম ঘটনার প্রভাব শুধু জড়িতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। ধীরে ধীরে সেই প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে ড্রেসিংরুমের বাকি খেলোয়াড়দের উপর, মাঠের খেলার, ম্যাচের ফলাফল, এমনকি দলের সমর্থকদের মধ্যেও।

যা-ই হোক, কোচের সাথে খেলোয়াড়দের কোন্দল বা দ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন কিছু নয়। ফুটবলার ও কোচদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের আলোচিত কিছু ঘটনা সংক্ষেপে তুলে ধরা হবে আজকের এই আয়োজনে। 

মরিনহো ও পগবার সম্পর্ক ক্রমশই জটিল হচ্ছে; Image Source: therunnersports.com

ইকার ক্যাসিয়াস বনাম হোসে মরিনহো

স্পেনের সবচেয়ে সফল ক্লাবের তালিকা করলে, নিঃসন্দেহে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা থাকবে সবার উপরে। স্পেন দলের খেলোয়াড়দের তালিকাতেও এই দুই ক্লাবের আধিপত্য দেখা যায়। কাতালান অঞ্চলের বার্সেলোনা এবং স্পেনের রাজধানীর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্ক লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাপিয়ে স্পেন জাতীয় দলেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল একটা সময়। স্পেনের অধিনায়ক হিসেবে এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি স্পেনের কিংবদন্তি গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। 

দুই ক্লাবের বৈরি সম্পর্কের কারণে জাতীয় দলে যেন কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তাই তিনি কথা বলেছিলেন বার্সেলোনা জাভি ও পুয়োলের সাথে, যারা একইসাথে ক্যাসিয়াসের জাতীয় দলের সতীর্থ খেলোয়াড়ও। 

নীরবেই মাদ্রিদ ছেড়েছিলেন কিংবদন্তি ‘সেইন্ট’ ইকার Image Source: thesun.co.uk

ক্যাসিয়াস বলেছিলেন, “জাতীয় দলের বৈরিতা দূর করার জন্য আমি বার্সেলোনার কারও সাথে কথা বলেছি, ব্যাপারটি মরিনহো ভালোভাবে নেননি।” 

ক্যাসিয়াসের সাথে মরিনহোর মনোমালিন্য বা বৈরিতার শুরু সম্ভবত ঠিক এখান থেকেই এবং পুরো ব্যাপারটি আরও প্রকট হয় যখন মরিনহোর দলে ক্যাসিয়াসের আর জায়গা হচ্ছিল না। ২০১১-১২ মৌসুমে রেকর্ড ১০০ পয়েন্ট নিয়ে মাদ্রিদ লিগ জেতার পর, ডিসেম্বরে মালাগার বিপক্ষে তার বদলে মরিনহো মাঠে নামায় তরুণ গোলরক্ষক অ্যান্তোনিও আদানকে। দুই সপ্তাহ পর, ক্যাসিয়াস ইনজুরি আক্রান্ত হলে মরিনহোর দলে অনেকটা ব্রাত্য হয়ে পড়েন মাদ্রিদের সর্বকালের সেরা এই গোলরক্ষক। এই সময়ে মরিনহো দিয়েগো লোপেজকে মাদ্রিদে নিয়ে আসেন এবং সেই সাথে দলে পাকাপাকি জায়গা হারান ঘরের ছেলে ক্যাসিয়াস। 

২০১৫ সালে ফ্রিতে পোর্তোতে যোগ দেন ক্যাসিয়াস। তিনিও আর পরবর্তীতে অভিযোগ বা পাল্টা অভিযোগে জল ঘোলা করেননি। আক্ষেপ নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর শুধু বলেছিলেন, “একই দলে দীর্ঘ একটা সময় খেললে, আপনার উপরে লোকজনের একঘেয়েমি চলে আসে।” 

ডেভিড বেকহ্যাম বনাম স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন

ইংলিশ কিংবদন্তি ফুটবলার বেকহ্যামের সাথে স্যার ফার্গুসনের দ্বন্দ্ব অন্য সব ঘটনার মতো কথা কাটাকাটি কিংবা দল ত্যাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, রেষারেষি শেষপর্যন্ত গড়িয়েছিল অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায়। 

এফএ কাপে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটির প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তেমন একটা ভালো করতে পারেনি। বিরতির সময়ে ড্রেসিংরুমে কোচ ফার্গুসন ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন খেলোয়াড়দের প্রতি এবং বেশিরভাগই ছিল বেকহ্যামকে লক্ষ্য করে।

বেকহ্যামের মতে, আর্সেনালের দ্বিতীয় গোলটির জন্য কোচ তাকেই দায়ী করছিলেন, যদিও সেই গোলটির জন্য দলের আরও প্রায় অর্ধ-ডজন খেলোয়াড়কে দায়ী করা যেত। 

মুহুর্তে শেষ হয়ে গিয়েছিল বেকহ্যাম ও ফার্গুসনের সম্পর্ক; Image Source: goal.com

কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাগের মাথায় ফার্গুসন ড্রেসিংরুমে থাকা একটি বুটে লাথি দিলে তা দুর্ভাগ্যক্রমে সরাসরি গিয়ে লাগে বেকহ্যামের কপালে। বুটের আঘাতে বাম চোখের উপরে কেটে যায় এবং সেখানে দুটি সেলাইও লেগেছিল। ক্রুদ্ধ বেকহ্যাম কোচের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে গেলে তাকে নিবৃত করেছিলেন গিগস, নিস্টলরয় এবং নেভিল। যদিও তখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফার্গুসন তখন বলেছিলেন, “আমি দুঃখিত ডেভিড, এমনটা করতে চাইনি আমি।” কোনো উত্তর না দিয়ে তখন নীরবে ড্রেসিং রুম ছেড়েছিলেন এই ফুটবলার এবং মাসখানেক পরে ছেড়েছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ড। 

সেই দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডেভিড বলেন, “আমি গ্যাফারের (ফার্গুসন) দিকে তেড়ে গিয়েছিলাম। জানি না, জীবনে হয়তো নিজের উপর এতটা নিয়ন্ত্রণ কোনোদিন হারাইনি।” 

নিকোলাস আনেলকা বনাম রেমন্ড দোমেনেক

ফ্রান্সের তৎকালীন কোচ রেমন্ড দোমেনেকের ব্যাপারে খেলোয়াড়দের মৃদু অভিযোগ, কোচকে সরাসরি দলের তারকা স্ট্রাইকার আনেলকার বিষোদগার ও বিশ্বকাপ চলাকালে আনেলকার দল থেকে বাদ পড়া এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সাদামাটা পার্ফরম্যান্স সবই একই সুতোয় গাঁথা। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিলো, দলের খেলোয়াড়দের উপর কোচের নিয়ন্ত্রণ খুবই দুর্বল, কোচের উপর খেলোয়াড়দেরও আস্থার ঘাটতি রয়েছে এবং দল পরিচালনায় কোচের দক্ষতাও তেমন একটা সুবিধার নয়। কোচের সাথে খেলোয়াড়দের এই শীতল সম্পর্কের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে দোমেনেক ও আনেলকার দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে। 

দোমেনেক ও আনেলকার দ্বন্দ্বের মূল্য দিতে হয়েছিল ফ্রান্স দলকেও; Image Source: eurosport.fr

উরুগুয়ের সাথে ড্র করার পর মেক্সিকোর সাথে ২-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে আনেলকা কোচকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়েছিলেন, কারণ তাকে নাকি তখন কোচ বলেছিলেন তিনি তার পজিশনে ঠিকমতো খেলছেন না। কোচও সাথে সাথে তার বদলে মাঠে নামান আন্দ্রে পিয়েরেকে।

এরপর এই ঘটনার আবেশ শুধু ড্রেসিংরুমেই থেমে থাকেনি। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে এবং আনেলকা তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানালে, ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। আনেলকা ক্ষমা না চাওয়ার পর দোমেনেক বলেন, “তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।” 

নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকা আনেলকাও বলেন, “আমি এমন একজন কোচকে অপমানিত করেছি, যে ইতিমধ্যে পুরো ফ্রান্সকে অসম্মান করেছে, যে কিনা লিগ ২ ও টুলন শিরোপা ছাড়া আর কিছুই জেতেনি।”

রয় কিন বনাম স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ এবং রয় কিন, ইউনাইটেডের অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় ও অধিনায়কও তিনি; ইউনাইটেডের এই দুই কিংবদন্তির রেষারেষির শুরুটা অতি সাধারণভাবে শুরু হলেও, শেষটা হয়েছিল খুবই তিক্ত পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে। 

ফার্গুসনের সাথে কিনের সমস্যার শুরুটা সম্ভবত একটি প্রাক মৌসুম প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে থাকার জায়গা নিয়ে কিনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে। এরপর, কিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন ২০০২ বিশ্বকাপে, আয়ারল্যান্ডের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আবারও একই অভিযোগ করেন। সে যাত্রায় ফার্গুসন কিনের পাশে থাকলেও পরে জানিয়েছিলেন, এই আইরিশ তার অসন্তোষ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলেন। 

ফার্গুসন ও কিন, শেষপর্যন্ত ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল কিনকে; Image Source: eurosport.co.uk

MUTV’তে ২০০৫ সালে কিন তার সবচেয়ে কুখ্যাত সাক্ষাৎকারটিতে নিজ দলের তরুণ খেলোয়াড়দের সমালোচনার বিষাক্ত তীরে বিদ্ধ করেছিলেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য যা আর প্রচার করাও হয়নি। ব্যাপারটি অবশ্য ফার্গুসন একেবারেই হালকাভাবে নেননি, কিন ও দলের বাকি খেলোয়াড়দের সাথে নিয়ে সাক্ষাৎকারটি একসাথে দেখার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে কিন বলেছিলেন, রিচার্ডসন ‘একজন অলস ডিফেন্ডার’, তিনি আসলে বিস্মিত কেন ‘স্কটল্যান্ডের মানুষেরা ড্যারেন ফ্লেচারকে নিয়ে এত উচ্ছ্বসিত’। ফার্দিনান্দের ব্যাপারে তার বক্তব্য ছিল আরও অপমানজনক, ‘শুধুমাত্র সপ্তাহে ১২০,০০০ ইউরো বেতন এবং টটেনহ্যামের বিপক্ষে ২০ মিনিট ভালো খেলেই, আপনি নিজেকে একজন সুপারস্টার মনে করেন!’ তাছাড়াও, রয়ের বাক্যবাণ থেকে বাদ পড়েননি অ্যালান স্মিথ, ভ্যান ডার সারও। ড্রেসিংরুম তথা দলের একতার জন্য এমন ঘটনা ছিল খুবই ভয়াবহ। কিন ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার পরই নাকি ফার্গুসন ও তার সহকর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ক্লাব ছাড়তে হবে তাকে এবং শেষপর্যন্ত তা-ই হয়েছিল। 

কিনের সাথে ফার্গুসনের দ্বন্দ্বের পুরো ঘটনা অবশ্য পরবর্তীতে আবারও উঠে আসে সাবেক এই ইউনাইটেড কোচের আত্মজীবনীতে, যেখানে তিনি খেলোয়াড় ও অধিনায়ক কিনের প্রশংসা করলেও তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। লিখেছিলেন, “কিনের শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ তার জিহ্বা।” 

ফার্গুসনের আত্মজীবনী প্রকাশের পর কিনও বলেছিলেন, “তিনি আসলে বিশ্বস্ততা শব্দটির অর্থই জানেন না।”

অ্যালান শিয়ারার বনাম রুড খুলিত

মৌসুমের শুরুতে, ১৯৯৯ সালে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউক্যাসলের ম্যাচটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে এটি যেমন ডার্বি ম্যাচ ছিল, তেমনি মৌসুম শুরুর ছয়টি ম্যাচের পাঁচটিতেই পরাজিত হয়ে নিউক্যাসল তখন জিততে মরিয়া। নিউক্যাসলের তৎকালীন কোচ ডাচ কিংবদন্তি রুদ খুলিত এই ম্যাচটিতেই যেন একটি ভুল বাজি ধরেছিলেন। তিনি দলে তারকা স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়ারারের বদলে নামিয়েছিলেন তরুণ পল রবিনসনকে। শেষপর্যন্ত বাজিতে হেরে গিয়েছিলেন খুলিত, ম্যাচটিতে তার দল ২-১ গোলে পরাজিত হলে তিনদিন পর পদত্যাগ করেন খুলিত। 

নিউক্যাসলে রুদ খুলিত; Image Source: irishmirror.ie

দল থেকে বাদ যাওয়া ও নিউক্যাসলের পরাজয়, দুটি ব্যাপারই ভালোভাবে নেননি শিয়ারার। কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকার পরে জানিয়েছিলেন, যদি খুলিত পদত্যাগ না করতেন, তাহলে হয়তো তিনিই ক্লাব ছেড়ে চলে যেতেন। খুলিতও বলেছিলেন, “আমি তার মুখে উপরেই বলেছিলাম, আমার দেখা সবচেয়ে ওভাররেটেড খেলোয়াড় তিনি।” ঐ মৌসুমেই শিয়ারার ২৩ গোল করে খুলিতের বক্তব্য শুধু ভুলই প্রমাণ করেননি, পরবর্তীতে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন একজন কিংবদন্তি স্ট্রাইকার হিসেবেও।  

ফার্নান্দো রেদোনদো বনাম ড্যানিয়েল পাসারেলা

আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রেদোনদোর সাথে জাতীয় দলের কোচ পাসারেলার ঝামেলার কারণটা বেশ উদ্ভট এবং মজারও বটে, তাদের সমস্যার মূল কারণ ছিল রেদোনদোর চুল!

পাসারেলা আর্জেন্টিনার অবিসংবাদিত কিংবদন্তি, ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন তিনি, যদিও কোনো ম্যাচ খেলেননি। ১৯৯৮ সালে কোচ হিসেবে আবারও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন তিনি। দলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার সেই বিশ্বকাপ খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন শুধুমাত্র তার চুল কাটতে রাজি না হওয়ার কারণে। পাসারেলা সেই বিশ্বকাপে নিয়মানুবর্তিতার দোহাই দিয়ে দলে নিষিদ্ধ করছিলেন বড় চুল এবং কানের দুলের মতো ফুটবলের বাইরে ফ্যাশন সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়। 

এই বড় চুলের জন্যই বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি রেদোনদোর; Image Source: mundoalbiceleste.com

পাসারেলার এই নিয়মের ব্যাপারে রেদোনদো বলেন, “আমি সেরা ফর্মে ছিলাম। কিন্তু শৃঙ্খলার ব্যাপারে তার নির্দিষ্ট চিন্তা-ভাবনা ছিলো এবং চেয়েছিলেন আমার চুল যেন কেটে ফেলি! ফুটবল খেলার সাথে চুলের কী সম্পর্ক আমি বুঝতে পারছি না, তাই আমি আবারও না করে দিয়েছি।” 

এই বিতর্কে একসময় জড়িয়ে পড়েছিলেন ম্যারাডোনা ও প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেনেমও। কিন্তু শেষপর্যন্ত সামান্য চুল কাটাতে অস্বীকৃতি জানানোয় রেদোনদোর আর জায়গা হয়নি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ দলে।

ফিচার ইমেজ- goal.com

Related Articles