সদ্য শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান ফুটবলের মৌসুমের রেশ এখনও যেন কাটেনি। প্রিমিয়ার লিগের শেষ সপ্তাহে ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুলের নাটকীয় দুই ম্যাচের স্মৃতি এখনও তরতাজা। এসব ঘটনার ঘনঘটা শেষ হতে না হতেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল এসে হাজির। সে ম্যাচকে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনা চললো সপ্তাহখানেক।
ভাবছেন মৌসুম তো শেষ, এখন ফুটবল থেকে মুক্তি? সেরকমটা হচ্ছে না। ক্লাব ফুটবল শেষ হতে না হতেই জতীয় ফুটবল দোরগোড়ায় এসে হাজির। চলছে উয়েফা নেশন্স লিগ। মাঝে হয়ে গেল আর্জেন্টিনা এবং ইতালির ভেতর ফিনালিসিমা। এবং এখানেই শেষ নয়, আসছে নভেম্বর ফুটবলের সব থেকে বড় আসর — বিশ্বকাপ। ততদিনে আবার ক্লাব ফুটবলও শুরু হয়ে যাবে।
বুঝুন অবস্থা, তাহলে টানা এক মৌসুম এবং দেশের হয়ে একগাদা ম্যাচ খেলার পর একটু স্বস্তিতে বিশ্রাম নেবার সময় কোথায়!
২০২২ বিশ্বকাপ যে কাতারে আয়োজন করা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল সেই ২০১০ সালেই। মূলত জুন মাসে বিশ্বকাপ শুরু হয়, এজন্য প্রথমে এমন সময়েই শুরু করার কথা ভাবছিল আয়োজকেরা। কিন্তু পরবর্তীতে কাতারের প্রচণ্ড গরমের বিষয়টা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান তারা। জুন মাসে কাতারের মাটিতে ৯০ মিনিটের একটা ম্যাচ খেলা মানে একদম জীবনীশক্তিটুকু শুষে নেওয়ার উপক্রম। তাই বিশ্বকাপ পিছিয়ে নেওয়া হয় নভেম্বরে। ততদিনে কাতারে গ্রীষ্মকাল বিদায় নেবে। শীতে একটু হলেও তো স্বস্তি হবে খেলোয়াড়দের। কিন্তু আদতে হচ্ছে কী? ক্লাবের হয়ে টানা একটা মৌসুম পাশাপাশি দেশের হয়ে বিভিন্ন ম্যাচে খেলার পর খেলোয়াড়েরা প্রতি বছর মোটামুটি আট সপ্তাহের একটা ছুটি কাটান। কিন্তু এবার সব প্রতিযোগিতার পর বিশ্বকাপ থাকায় এই ছুটির পরিমাণ নেমে দাড়িয়েছে মাত্র চার সপ্তাহে।
তবে কেউ কেউ আবার এই বিশ্বকাপের জন্য সুবিধা পেলেও পেতে পারে। যেমন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ। তার দেশ মিশর এবার বিশ্বকাপ খেলবে না। এজন্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেবার পাশাপাশি আরাম করে খেলা দেখাটাও সেরে ফেলতে পারবেন। একই কথা ম্যানচেস্টার সিটির নয়া স্ট্রাইকার হালান্ডের জন্যও প্রযোজ্য। আবার বার্সার স্ট্রাইকার অবামেয়াং, ইতালির ডোনারুমা, ভেরাত্তি, আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ, অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা, এবং ইনজুরির কারণে স্লাতান ইব্রাহিমোভিচও থাকছেন না কাতারে ফুটবলের মহাআসরে।
কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ সালে গ্রীষ্মকালীন ছুটি খুবই কম দেয়া হয়েছিল। পরের বছর আবার আয়োজন করা হলো ইউরো। এজন্য ইংল্যান্ডের প্রথম দুই সারির লিগের খেলোয়াড়েরা টানা দুই বছর ফুটবল খেলেই যাচ্ছেন। আবার এ বছর যেমন বিশ্বকাপের জন্য নেশন্স লিগের সময়সীমা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই যেমন ওয়েলস; ১ জুন পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাদের নেশন্স লিগের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই ম্যাচ শেষ করে অনুশীলন করতে হয়েছে ৫ জুনের ম্যাচের জন্য। কারণ সেদিনের ম্যাচই ছিল তাদের জন্য ফাইনাল, বিশ্বকাপে যাবার টিকেট। এবং গ্যারেথ বেল এবং অ্যারন রামসির ওয়েলস সে যাত্রায় পার পেয়ে গেছে ঠিকই। কিন্তু দুটো প্রতিযোগিতার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়েছে ওয়েলস দলের কোচ রব পেইজকে।
লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা ট্রেন্ট আলেক্সজান্ডার আর্নল্ড ইংল্যান্ড দলের হয়ে ১১ দিনে খেলবেন ৪ ম্যাচ, তাও আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ। প্রথমে জার্মানি এবং হাঙ্গেরি এবং পরবর্তীতে ইতালি এবং হাঙ্গেরির সাথে মোট চার ম্যাচে আর্নল্ডের জন্য অবশ্যই সহজ হচ্ছে না।
ফিনালিসিমায় আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে ছিলেন এমি মার্টিনেজ, যিনি লিগের শেষ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে মাঠেই নামেননি। পুরোপুরি ফিট না হয়েও তাকে খেলতে হয়েছে জাতীয় দলের হয়ে। একই কথা আলবিসেলেস্তে ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে নিয়ে। ফাইনাল ম্যাচে তিনিও ইনজুরি নিয়েই নেমেছিলেন।
প্রাক-মৌসুম কবে শুরু হচ্ছে?
প্রায় সব ক্লাবই চাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাক-মৌসুমের অনুশীলন শুরু করে দিতে। প্রিমিয়ার লিগ যেমন বলেছে, জুলাইয়ের শুরুর দিকে প্রাক-মৌসুমের অনুশীলন শুরু করার কথা; কিন্তু সেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুরু করেছে ২৭ জুন। নেশন্স লিগের ম্যাচগুলো শেষ হবে আগামী ১৪ জুন। তাহলে নতুন মৌসুমের অনুশীলন শুরু আগে তারা বিশ্রামের জন্য সময় পাচ্ছে মাত্র ১৪ দিন, যেখানে ফিফা পরিস্কার করে বলে দিয়েছে খেলোয়াড়দের ন্যূনতম ২১ দিনের ছুটি দেওয়ার কথা।
আর্সেনাল লিগের নিয়ম মেনেই তাদের প্রাক-মৌসুমের অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছে। এবার তারা পাড়ি জমাবে ইউএসে। ম্যাচ খেলবে তিনটি – এভারটন, চেলসি এবং ওরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে। আর্সেনালের বড় প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পার যাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে। সেখানে তাদের ম্যাচ আছে লা লিগার ক্লাব সেভিয়ার বিপক্ষে। এবং ম্যানচেস্টার সিটি টেক্সাসে ২১ জুলাই তাদের প্রাক-মৌসুম ম্যাচ মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে। লা লিগা এবং জার্মান বুন্দেসলিগাও প্রায় একই সময়ে খেলবে তাদের প্রাক-মৌসুমের ম্যাচ।
২০২২-২৩ মৌসুম শুরু হবে কবে থেকে?
প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে ৬ই আগস্ট, সবসময় যে সময়ে লিগ শুরু হয় তার থেকে ৭ দিন আগেই। এবং ৩১ই আগস্ট লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটি খেলবে কমিউনিটি শিল্ড – এই ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে আগেভাগেই। লিগ ওয়ান শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগের মতো একই সময়ে। এবং লা লিগা, সিরি-আ তাদের আগের সময় থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে। ওদিকে জার্মান বুন্দেসলিগা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নতুন মৌসুমের যাত্রা শুরু হবে ৫ই আগস্ট।
২০২২-২৩ মৌসুমকে বিশ্বকাপ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে?
বিশ্বকাপ শুরু হবে ২১ নভেম্বর। আর প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত থাকবে ১৩ই নভেম্বর থেকে। ১৬ রাউন্ডের ম্যাচ শেষ হবার পর বিশ্বকাপ শুরু হবার ৮ দিন আগে। ক্লাব থেকে ছাড়া পেয়ে জাতীয় দলের সাথে যোগ দেবার জন্য খুব বেশি সময় পাবে না খেলোয়াড়েরা। সাথে কাতারের মাটিতে অনুশীলনের ব্যাপারও থাকছে।
বিশ্বকাপ শেষ হবার সাথে সাথেই ইউরোপে শুরু হয়ে যাবে মহা-আরাধ্য ‘উইন্টার ব্রেক’। এই বিরতিতে ফুটবলারেরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাবে। নতুন বছরে পুনরায় লিগ শুরু হবে জার্মান বুন্দেসলিগা দিয়ে – শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবার এক মাসের বেশি সময় পর। কিন্তু লা লিগা এবং ইতালিয়ান লিগ সিরি-আ শুরু হয়ে যাবে কাতার থেকে ফেরার ছোট্ট একটি বিরতির পর। যদি কোনো প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় অথবা বিশেষ করে ইংল্যান্ড যদি কাতারে ফাইনাল পর্যন্ত যায়, তবে বক্সিং ডে’তে ম্যাচ শুরু হবার আগে তারা বিরতি পাচ্ছে মাত্র ৮ দিন।
সহজ কথা, নভেম্বরে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আগামী মৌসুমের প্রত্যেক ইউরোপিয়ান লিগের টাইম-টেবিল উলটে পালটে যাবে। নির্ধারিত সময়ের আগে লিগ শুরু হবে এবং শেষ হবে মাসখানেক আগেই। এবং মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহের মাঝে ম্যাচের সময়সীমা কমে আসবে, এজন্য বিরতি থাকবে কম।
ইউরোপ এবং জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোর কী অবস্থা?
চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা রিয়াল মাদ্রিদ এবং ইউরোপা জেতা ফ্রাঙ্কফুর্ট সুপার কাপ খেলবে ১০ই আগস্ট। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো শুরু হতে যাচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে, যেখানে ২০২১-২২ মৌসুমে আরও এক সপ্তাহ পরে গ্রুপপর্বের খেলা শুরু হয়েছিল। এবার গ্রুপপর্বের খেলা থাকবে প্রত্যেক সপ্তাহে, যেখানে আগের মৌসুমগুলোতে ম্যাচগুলোর মাঝে ১৪ থেকে ২১ দিনের বিরতি থাকত। গ্রুপপর্বের সব খেলা শেষ হয়ে যাবে বিশ্বকাপ শুরু হবার আগেই – ২ নভেম্বর।
ইউরোপা এবং কনফারেন্স লিগের ম্যাচ শুরু হবে ৩ নভেম্বর, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হবার পরদিনই। এছাড়াও কোয়ালিফাইং ও প্লে-অফের ম্যাচগুলো শুরু হবে আগস্টে।
যেকোনো প্রিমিয়ার লিগের দলের কথা যদি ধরা যায় যারা লিগের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়ও আছে, বিশ্বকাপ শেষ হবার এবং প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবার ১০০ দিনের ভেতর তারা ম্যাচ খেলবে ২৩টা। যার অর্থ: গড়ে ৪ দিনে ম্যাচ খেলতে হবে ১টা।
কোচ এবং খেলোয়াড়েরা কী ভাবছে?
ক্রোয়েশিয়ার কোচ স্লাৎকো দালিচ মনে করেন, এ সময়ে বিশ্বকাপ হওয়াতে দলের জন্য ভালোই হয়েছে। তিনি বলেছেন,
“আমরা উজ্জীবিত একটা দল নিয়ে কাতার যেতে পারব। আগে হতো কি, তারা টানা ১০ মাসের ফুটবল খেলে স্বভাবতই ক্লান্ত থাকত। কিন্তু এখন আর এ সমস্যা নেই। এমন একটা মৌসুম শেষ করে বিশ্বকাপ খেলা সহজ কিছু না। তবে আমি আশা করছি, এ সময়ে কাতারে সুন্দর একটা বিশ্বকাপের দেখা আমরা পাব।”
কিন্তু দালিচের এমন মন্তব্যের সাথে অনেকেই সম্মত নন। তিনি শুধু নিজের দলের সুবিধার কথা দেখছেন। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড় অথবা ক্লাবের কথা আমলে নিচ্ছেন না। কারণ একজন খেলোয়াড় সপ্তাহের শুরু, মাঝে, এবং আবার সপ্তাহের শুরুতে ৯০ মিনিটের ফুটবল খেলতেই পারেন। কিন্তু তারপর? প্রত্যেক সপ্তাহে তো আর এই রুটিন মেনে চলা যায় না। কারণ এভাবে ফুটবল খেললে বর্তমান একজন উদীয়মান ফুটবলারের ক্যারিয়ার মাঝপথেই থেমে যাবে। টানা খেলার ধকলে ফর্ম হারানো সাথে ইনজুরি সমস্যা তো রয়েছেই ক্যারিয়ারকে ছোট করে দিতে। আর একজন খেলোয়াড়কে মৌসুমের মাঝপথে হারানো যে কতটা ভয়াবহ, সেটা ক্লাব ভালো করেই অনুধাবন করতে পারে। সাথে করোনা মহামারির জন্য এখনও অনেক ক্লাবের দলে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় নেই, ব্যাকআপ নেই। তাই একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইনজুরি ক্লাবের অগ্রগতিকেও থামিয়ে দিতে পারে।
ক্লপ-গার্দিওলার মতো কোচও ইংল্যান্ডের লিগের ব্যস্ত শিডিউল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ বিগত দুই মৌসুম তাদের দলের তারকা খেলোয়াড়ের ইনজুরি নিয়ে বেশ ভুগেছেন তারা। এখন অতিরিক্ত খেলার কারণে কোনো দেশের তারকা ফুটবলার যদি বিশ্বকাপের আগে বা মাঝপথে ছিটকে যায়, এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।
অতিরিক্ত খেলার ধকলে পেশী এবং লিগামেন্ট ইনজুরি হতে পারে। সাথে হাঁটু ও গোড়ালির চোট তো রয়েছেই। এবং এই চার ধরনের ইনজুরি সামান্য হলেও ১৪ দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকতে হয়। আর মারাত্মক হলে তো কথাই নেই। তাই বিশ্বকাপের পর যদি দেখেন আপনার ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরা পেশী ও লিগামেন্টের চোট নিয়ে ক্লাবে ফিরেছে, অথবা ঘনঘন এসব চোটে পড়ছে, অবাক হবেন না। আগামী মৌসুমের ক্লাব ফুটবলের জন্য এটাই নিয়তি। শুধু আশার বাণী একটাই, ২০২২-২৩ মৌসুম নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশ আগে শেষ হবে। তাই তখন খেলোয়াড়দের নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি ছুটি পাবার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
গত দুই মৌসুম ধরে ইউরোপের প্রায় সকল খেলোয়াড় টানা ফুটবল খেলে এসেছেন। তবে ফুটবল খেলাও মূল কথা নয়, অনুশীলনের ঝক্কি রয়েছে, সাথে অ্যাওয়ে মাচের ঝামেলা। এমন টানা খেলার কারণে অনেক খেলোয়াড় ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি, অনেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ইনজুরিতে মাঠের বাইরে। এ সম্পর্কে বিজ্ঞজনেরা বলেন, একজন খেলোয়াড়ের জন্য একটা ম্যাচের পর পাঁচ দিনের একটা বিরতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ দিনের কম সময় বিরতি দিয়ে পরের ম্যাচে নামিয়ে দেওয়ার অর্থ তার ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলা। ফিফপ্রো এজন্য এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা নিশ্চিত করতে চায় একজন খেলোয়াড় একটা ম্যাচের পর কমপক্ষে ৫ দিনের বিশ্রামের সুযোগ যাতে পান।
কিন্তু আদতে সেটা হবে কী? এবার না হয় বিশ্বকাপের জন্য সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে। আগামী মৌসুমের পর হয়তো আবার সব শিডিউল আগের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু ফিফা ও উয়েফা তো ভাবছে আরও বিশেষ কিছু। তারা প্রতিযোগিতায় ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে চায়, দরকার হলে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু করতে চায়। বাড়তি অর্থের জন্য ক্লাবগুলোও এতে সায় দেবে। খেলোয়াড়রাও খেলতে বাধ্য। কারণ দিনশেষে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ খেলতে তারা বাধ্য, সাথে ট্যাঁকে বাড়তি পয়সাও যোগ হবে। তবে তারা তো রক্তমাংসের মানুষ, কিন্তু দিনশেষে বলির পাঁঠা হতে হবে তাদেরই।