আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব নিয়ে লিওনেল স্কালোনি খুবই কম সময়ের মাঝে অভূতপূর্ব একটা ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলেছেন। তার হাত ধরে আর্জেন্টিনা তাদের দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা শিরোপাখরা ঘুচিয়েছে। তার হাত ধরে দলটির পরিবর্তন এখনও হচ্ছে, উন্নতি স্পষ্ট ধরা পড়ছে প্রতিটা ম্যাচে। কিন্তু স্কালোনির নাম কোনো পত্রিকার শিরোনামে নেই। ধোঁয়া-ওঠা চায়ের কাপ ও নিকোটিনের সাথে চলা ফুটবলের তুমুল আড্ডায় তার নাম আসে না। বিভিন্ন ফুটবলবোদ্ধারাও তার নাম এড়িয়ে যাচ্ছেন বারবার, হয়তো সেটা কাকতালীয়। হয়তো মেসিদের দলের সামনে তার মতো আনকোরা কোচের কাজগুলো দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু স্কালোনি এবং আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে তার ফুটবল দর্শনের গল্পগুলো কি সামনে আসা উচিত নয়? উচিত বলেই আজকে এই গৌড়চন্দ্রিকা দিয়ে লেখাটার অবতারণা।
স্কালোনির কাছে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বের চাকরি এসেছিল খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে। তার কোচিং ক্যারিয়ার তিনি শুরু হয় হোর্হে সাম্পাওলির সহকারী কোচ হিসেবে। স্কালোনি তার সাথে ছিলেন স্পেনের সেভিয়াতে। এদগার্দো বাউজাকে বহিষ্কার করার পর আর্জেন্টিনা যখন সাম্পাওলিকে কোচ হিসেবে নিয়ে এল, তখনও তিনি ছিলেন সাম্পাওলির সহকারী কোচ। এরপর বিশ্বকাপ-ব্যর্থতা, সাথে আর্জেন্টিনা বোর্ডের অর্থস্বল্পতা। বেশি বেতন দিয়ে নামকরা কোচ নিয়ে আসার ক্ষমতা তখন ছিল না তাদের। তাই স্কালোনি পেয়ে গেলেন তার অন্তবর্তীকালীন কোচের চাকরি। ভাগ্যিস, আর্জেন্টিনা ফেডারেশনের হাতে তখন অর্থের সংকট ছিল!
অনেকে ভেবেছিলেন রিভারপ্লেটের হয়ে দুর্দান্ত কাজ করা মার্সেলো গ্যালার্দোর কথা। অনেকে চেয়েছিলেন নিয়ম ভেঙে স্থানীয় কোচ ছেড়ে বাইরের কোচ আনতে। কিন্তু আর্জেন্টিনা নিয়ে এল অখ্যাত স্কালোনিকে। তাই প্রথম থেকে ‘ফ্যান-ফেভারিট’ বলে যে কথা রয়েছে, সেটার দেখা তিনি পাননি।
প্রথম দিকে তার দলের পারফরম্যান্সে হতাশা ছাড়া আর কিছু ছিল না। দলে সেই পুরনো খেলোয়াড় দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছিল, এবং তাদের ক্রমাগত ব্যর্থতায় আর্জেন্টিনা শিবিরে স্বস্তি ফেরেনি। গোলবারে আরমানি আর রক্ষণে ওটামেন্ডি-পেজ্জিলা জুটিকে দেখে অধিকাংশ দর্শক ছিলেন বিরক্ত। এর মাঝে এলো ‘১৯ সালের কোপা আমেরিকা। আর্জেন্টিনা যথারীতি টুর্নামেন্ট শুরু করল বাজে পারফরম্যান্স দিয়ে। প্রত্যাশার পারদ তাই তখনও উঁচুতে চড়েনি। যেন একদম ‘রকবটম’ ছুঁয়ে ফেলল আর্জেন্টিনা। সেবারের টুর্নামেন্ট থেকে আর্জেন্টিনা ছিটকে যায় ব্রাজিলের সাথে হেরে, কিন্তু সে ম্যাচে পারফরম্যান্স দেখে সিংহভাগ আলবিসেলেস্তে সমর্থক মুগ্ধই হয়েছিলেন।
পাতালদেশের দর্শন যখন পেয়েই গেছে, আর্জেন্টিনার পক্ষে বোধহয় এর থেকে উত্তরণ ছাড়া আর উপায়ও ছিল না। স্কালোনি তাই শুরু করলেন পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া। পরিবর্তন আনার জন্য প্রথমেই যেটা করলেন, দল বাছাই এবং পরিকল্পনায় নিজের প্রজ্ঞার ছাপটা রাখলেন স্পষ্ট। আর্জেন্টিনা থেকে ইতালি, স্পেন থেকে ফ্রান্স, এমনকি নেদারল্যান্ডস — কোনো আর্জেন্টাইন আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেই তাকে দলে ডেকেছেন।
প্রথম প্রথম বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে স্থায়ীভাবে রেখে তিনি নতুন খেলোয়াড়দের ডাকতেন বলে বিষয়টা সবাই ঠিক ধরতে পারতেন না। তবে পুরনো বর্ষীয়ান খেলোয়াড়দের তিনি একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, সেটাও নয়। দলের উন্নতির এই চলমান প্রক্রিয়াতে এই বর্ষীয়ান খেলোয়াড়েরা তাদের অভিজ্ঞতার প্রয়োগ ঘটাতে পারেন কি না, সেটাও বাজিয়ে দেখতে চেয়েছেন তিনি। ফলাফল? দল বাছাই এবং নিজের ফুটবল কৌশলের কার্যকারিতা ফুটে উঠেছে এবারের কোপাতে। এবং এই সবকিছুর সম্মিলিত মিশ্রণেই আজ আর্জেন্টিনার ঘরে দুই দশক পরে জাতীয় শিরোপা। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তাদের খেলায় ফিরে এসেছে ‘উপভোগ্য’ তকমাও।
আর্জেন্টিনার মধুর ‘সমস্যা’টা এখনো সেই মেসিকে ব্যবহার করা নিয়েই। ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং তার পরবর্তী সময়ে টাটা মার্টিনোর হাত ধরে মেসি খেলেছেন সেকেন্ড স্ট্রাইকার এবং প্লেমেকারের ভুমিকায়। এরপর আর্জেন্টিনায় যে দুইজন কোচ এসেছে, তারা নানাভাবে মেসিকে খেলিয়ে দেখতে চেয়েছেন — দিবালা-ইকার্দির সাথে উইঙ্গার হিসেবে, অথবা দুইজন স্ট্রাইকারের নিচে নাম্বার টেন।
কিন্তু শেষ কয়েক বছর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির পারফরম্যান্সটা ঠিক ‘মেসিসুলভ’ ছিল না। আবার স্কালোনি দায়িত্ব নেবার পরপরই মেসি যে বদলে গেছেন, সেটাও নয়। তবে আর্জেন্টিনায় মেসি-নির্ভরতা কমে এসেছে ধীরে ধীরে। তার পূর্বসূরিদের মতো স্কালোনি কখনোই স্রেফ মেসিকে ঘিরে আর্জেন্টিনার একাদশ সাজাননি; বরং তার একাদশে মেসি শুধুই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়মাত্র। মূলত এই ধারণা এবং খেলোয়াড়দের উপর বর্তানো আলাদা দায়িত্ব বদলে দিয়েছে দলের পারফরম্যান্স। এজন্য মেসিকেও আলাদা চাপ নিতে হয়নি; স্কালোনি যখন যেভাবে মেসিকে চেয়েছেন, মেসি নিজেও মাঠে সেভাবেই খেলে যেতে চেয়েছেন।
এ বছরের তাদের স্মরণীয় কোপা আমেরিকার কথা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টানা দুটো ম্যাচে আর্জেন্টিনা পয়েন্ট খোয়ালো নিজেদের ভুলে। কোপার দল ঘোষণার সময় তাদের একমাত্র সেরা ফুলব্যাক ফয়েথকে উপেক্ষা করে স্কালোনি নিলেন আনকোরা মোলিনা এবং গঞ্জালো মন্তিয়েলকে। দলে নেই দিবালা; অবশ্য তার ফর্ম বিবেচনায় সে সময়ে তার থাকারও কথা নয়। তবু প্রথম দফায় স্কালোনি সমালোচিত হলেন।
কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে চিলির সাথে ড্র করার পর সমালোচনার পরিমাণটা আরও বৃদ্ধি পেল। স্কালোনির ফুটবল ট্যাকটিক্স নিয়ে প্রশ্ন উঠল, সঙ্গে জুটল কিছু ভ্রুকুঞ্চনও। ওটামেন্ডির ফর্ম এবং লুকাস মার্টিনেজের অনভিজ্ঞতাকে নিয়েও শঙ্কা ছিল সবার মনে।
৪-৩-৩ ছকে নামা আর্জেন্টিনা কিন্তু চিলির সাথে একদমই ‘যেমনতেমন’ ফুটবল খেলেনি। প্রথম থেকেই তাদের লক্ষ্য ছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল। চিলির গোলবারে তারা শট নিয়েছেও প্রচুর। কিন্তু নিকোলাস ও লাউতারোর গোল মিসের মহড়া শুরু করায় সে ম্যাচে মেসিদের ফিরতে হয় মোটে এক পয়েন্ট নিয়ে।
পরের ম্যাচ উরুগুয়ের বিপক্ষে; একাদশে একমাত্র পরিবর্তন রক্ষণভাগে। ওটামেন্ডির সাথে জুটি বাঁধলেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। মেসির নৈপুণ্যে গিদো রদ্রিগেজ ১৩ মিনিটে এগিয়ে নেবার পর উরুগুয়ে বসেছিল রক্ষণ কামড়ে ধরে। তাই আর বিশেষ কিছু হয়নি সে ম্যাচে।
স্কালোনির ফুটবল দর্শন ঠিক কেমন, সেটার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল প্যারাগুয়ের ম্যাচে। এদুয়ার্দো বেরিজ্জোর দল কিছুটা জমাট-বাঁধা ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত; তাই প্রথাগত মিডফিল্ডার থেকে একজন প্লেমেকার এখানে বেশি কার্যকরী। স্কালোনি ৪-২-৩-১ ছক ব্যাবহার করে গিদো এবং প্যারেদেসকে খেলালেন ডাবল পিভট রোলে। আর পাপু গোমেজ এবং মেসিকে দিলেন প্লেমেকারের রোল। আর ম্যাচে একমাত্র গোল কিন্তু এসেছিল পাপু গোমেজের প্লেমেকিংয়ের দক্ষতায়।
প্রতিপক্ষ বুঝে দলের একাদশ এবং খেলোয়াড় স্কালোনি পরিবর্তন করেছেন বারবার। আসলে সাজানো কোনো পরিকল্পনা নিয়ে তিনি একাদশ সাজান না। তার নিজের পছন্দের ফুটবল-কৌশল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ বুঝে তার কৌশল পাল্টে যায়। এমনকি বদলে ফেলেন খেলোয়াড়ও। প্যারাগুয়ে থেকে বলিভিয়া, কিংবা ইকুয়েডর — প্রত্যেক দলের বিপক্ষে তিনি তাদের কৌশল ব্যবহার করে তাদের রুখে দিতে চেয়েছেন। বিষয়টা অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো।
যখন আক্রমনাত্মক ফুলব্যাক তার দরকার হয়েছে, মাঠে নামিয়েছেন মন্তিয়েলকে। রক্ষণভাগে বেশি নজর দেবার যখন প্রয়োজন হয়েছে, তখন মাঠের ডান অংশে নেমেছেন মোলিনা। মিডফিল্ডেও একই কথা; বক্স-টু-বক্স হিসেবে খেলেছেন ডি পল এবং লো সেলসো। যদি প্লেমেকিং প্রয়োজন হয়, তখন মাঠে থেকেছেন পাপু গোমেজ। ম্যাচের অবস্থা বুঝে সুযোগ পেয়েছেন প্যালাসিওস। ৪-৪-২ ডায়মন্ড শেপের ছকে ডি মারিয়ার দুরপাল্লার শট নেবার দক্ষতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন বিশেষ প্রয়োজনে। স্কালোনির বিশেষত্ব এখানেই।
তবে ফুটবল কৌশল এবং ব্যবহার ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক একটা পরিবর্তন এসেছে এই দলে। এবং সে পরিবর্তন এনেছেন খোদ স্কালোনিই।
গত পাঁচ বছর আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ছিলেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। কিন্তু বাজে রক্ষণের দায়ভার বারবার তাকেই নিতে হয়েছে। কারণ, মার্টিনো থেকে বাউজা কিংবা সাম্পাওলির সময় রক্ষণে কখনোও ভালো একটি জুটি তৈরি করা যায়নি।
স্কালোনির সময়েও প্রথমদিকে ওটামেন্ডির দুর্বল পারফরম্যান্সের সমালোচনা হয়েছে নিয়মিত। কারণটা সেই চিরচেনা, গোলবারে নির্ভরতার অভাব এবং রক্ষণে উপযুক্ত জুটির অভাব। রোমেরো যাবার দীর্ঘদিন পর আর্জেন্টিনা তাদের গোলরক্ষক হিসেবে উপযুক্ত একজনকে খুঁজে পেয়েছে। আর রক্ষণভাগের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। তাই ওটামেন্ডি এখন জানেন, প্রতিপক্ষের আক্রমণের সময় তাদের রক্ষণ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে না। তার আস্থা আছে সতীর্থদের উপর। আর তাই মনস্তাত্ত্বিক এই পরিবর্তনে ওটামেন্ডির পারফরম্যান্সও আমূল বদলে গেছে, নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি।
মধ্যমাঠেও বদল এসেছেন এমন। প্যারেদেস, গিদো এবং লো সেলসো তাদের নিজস্ব ফুটবলার খেলতে পারছেন মিডফিল্ডে একজন ডি পল থাকার বদৌলতে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ডি পলের নৈপুণ্য এবং পারফম্যান্সের দেখে একটা কথাই ঘুরেফিরে বলতে হয়; আলবিসেলেস্তেদের মাঝমাঠে তিনি একাই একশ।
পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য আলবিসেলেস্তে সমর্থকের এখনও বিশ্বাস হতে চায় না। আর্জেন্টিনার দলের প্রত্যেক সদস্যের এখনও হয়ত স্বপ্নের মতো লাগে। এজন্যই বিভিন্ন ইন্টারভিউতে ঘুরেফিরে মেসি শোনান কোপা জয়ের স্বপ্নপূরণের গল্পগাথা। খেলোয়াড়দের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এখনও চলে কোপা জয়ের উদযাপন। নিজেদের টি-শার্টে সেদিনের ছবি প্রিন্ট করে ঘুরে বেড়ান তারা।
২৫ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনা কিন্তু থেমে নেই। এখনও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে স্কালোনির শিষ্যরা, দিনদিন আরও ক্ষুরধার হচ্ছে তাদের খেলার ধরন। বিপরীতে স্কালোনিও থেমে যাননি, ডেকে চলেছেন তরুণ আর্জেন্টাইন মুখদের। যদি এখান থেকে কোনো নতুন মুখ জায়গা করে নিতে পারে আগামী বছরের বিশ্বকাপে!
এই বিশ্বকাপের কথা একটা প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসে। একটা ভিন্ন লড়াইয়ের কথা, যে লড়াই এখনও লড়তে হয়নি স্কালোনির আর্জেন্টিনাকে।
এই নতুন আর্জেন্টিনা কিন্তু লাতিন আমেরিকার বাইরের কোনো দেশের বিপক্ষে এখনও মুখোমুখি হয়নি। তারা প্রায় সব ম্যাচই খেলেছে তাদের মহাদেশের দেশগুলোর বিপক্ষে। ম্যাচগুলো যে স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে, সেগুলোও ইউরোপে নয়, লাতিন আমেরিকায়। তাই আগামী বিশ্বকাপের ময়দানে তারা যখন খেলতে আসবে, তখন সেখানে থাকবে ভিন্ন পরিবেশের মাঠ এবং অন্য মহাদেশের দল।
এমন পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা এখনও নেই এই দলের। গত কয়েক বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে নজরে আসবে লাতিন আমেরিকার দলের পিছিয়ে থাকার প্রচুর নমুনা। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং উরুগুয়ে — লাতিন আমেরিকার সেরা এই তিন দেশই বাছাইপর্বে দারুণ পারফর্ম করে বিশ্বকাপে এলেও ইউরোপের ভিন্ন ঘরানার ফুটবলের সামনে খাবি খেয়েছে বারবার।
আর্জেন্টিনার অবস্থাও বর্তমানে ঠিক এরকম। লাতিন আমেরিকার দেশের বিপক্ষে ও নিজেদের মহাদেশের মাঠে তাদের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। কিন্তু ইউরোপের বড় বড় দেশের বিপরীতে খেলার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই বললেই চলে। আর্জেন্টিনার দীর্ঘ দুই দশকের শিরোপাখরা ঘোচানোর পর স্কালোনি কি এদিকে একবার ভেবে দেখেছেন? সেখানেও পরিত্রাণের উপায় কি মাথায় আছে তার?
যদি না থেকে থাকে, তবে এই চিন্তা মাথায় আনার এটাই মোক্ষম সময়।