পতন কি একদিনে হুট করে ঘটে? নাকি তিলে তিলে তৈরি হয়ে, একদিন বড় হয়ে ফুটে উঠে সবকিছুকে ঠেলে নিচে নামিয়ে দেয়? পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যেসব সভ্যতা বা জাতির পতন হয়েছে, তার পেছনে মুখ্য বিষয় এটিই। দীর্ঘদিন ধরে তারা আভাস পেয়েছে বিপদজনক কিছু ঘটবার। কিন্তু তারা গায়ে মাখেনি।
বার্সেলোনার পতনের সূচনা হয়েছিল স্যান্দ্রো রোসেলের সময় থেকেই; তিনি বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হবার পর থেকেই এই গল্পের শুরু। একসময় তার স্থানে আসেন জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ। সান্তোস থেকে নেইমারের মতো খেলোয়াড় এনে এবং ‘১৪-‘১৫ সালের ট্রেবল জেতার পর প্রায় সকলেই দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে ট্রেবল জয়ের উল্লাস করেছে। কিন্তু কেউ ভাবেনি, আগামী দিন কেমন হবে; কেউ ভাবেনি, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য, অথবা নতুন নির্বাচিত বোর্ড ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেমন ভাবছেন।
বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তি শেষ হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখের দিকে। তখন বার্সেলোনা কেন দ্রুত তার সাথে নতুন চুক্তিতে যেতে পারল না, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। কিন্তু হুয়ান লাপোর্তা সবসময়ই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন, মেসি থাকছেন এই ক্লাবে, চুক্তি হবে খুব দ্রুত। ওদিকে ফ্যাব্রিজিয়ো রোমানোও অনেক আগেই নিশ্চিত করেছেন, মেসির ইচ্ছাও বার্সার সাথে নতুন চুক্তি নবায়ন করা। কিন্তু যেদিন নতুন চুক্তি করার কথা, সেদিনই সবকিছু ভোজবাজির মতো পালটে গেল। বার্সা আর মেসি খুঁজে নিলেন ভিন্ন পথ। বার্সা জানাল, এই চুক্তি হয়নি আর্থিক কাঠামোগত বাধার কারণে। মহামারীর জন্য ইউরোপের প্রায় সব ক্লাবই সমস্যার মুখে পড়েছে। কিন্তু বার্সার এমন বেহাল দশা হলো কীভাবে?
২০১৭ মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি পাড়ি জমান নেইমার। বার্সেলোনা এই দলবদল থেকে পায় ২২২ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু এই অর্থ পরবর্তীতে তারা ব্যবহার করে হেলাফেলার ছলে। প্রথমে বার্সা দলে টানে ফরাসী উইঙ্গার উসমান দেমবেলেকে, দলবদলের অঙ্ক ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো; সাথে তার বাৎসরিক বেতন প্রায় ১১ মিলিয়ন ইউরো। এরপর ইনিয়েস্তাও বিদায় নিলে বার্সেলোনা পা বাড়ায় বড় কোনো খেলোয়াড়ের দিকে। এবার ইতিহাস গড়ে আনা হয় কৌতিনহোকে, যিনি বার্সেলোনা থেকে বেতন পান বছরে ২১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। এছাড়াও আছেন গ্রিজমান। তাকে আনা হয়েছিল ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে, এবং বেতন নির্ধারিত করা হয় প্রায় ৩১ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়াও আছেন একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়া প্রায় ১৪ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাওয়া পিয়ানিচ ও এক মৌসুমে ভালো খেলে বেতন বাড়িয়ে ১১ মিলিয়ন ইউরোতে নিয়ে যাওয়া ফরাসি ডিফেন্ডার উমতিতি। কিন্তু মেসির সাথে চুক্তি না করতে পারার পেছনে খেলোয়াড়দের ভূমিকা কোথায়?
খেলোয়াড়দের সেভাবে কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই। তারা এবং তাদের এজেন্ট সবসময়ই আশা করবে উচ্চমানের বেতন ও সুবিধা। কিন্তু এক্ষেত্রে কাজ করতে হবে তো ক্লাবেরই। তাদের সাথে আলোচনা করে সাম্যতা বজায় রেখে চুক্তিতে আসতে হবে, যেটা কখনই করতে পারেনি বার্তোমেউ বোর্ড। তিনি অর্থ দিয়ে বা ঋণ করে যেভাবে হোক বার্সাতে তারকা ফুটবলার এনেছেন। কারণ নেইমারের মতো তারকা বিদায়ের ফলে তাদের জার্সি থেকে আসা অর্থ কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামো করে ফেলেছেন অবাস্তব ও হাস্যকর।
ইউরোপে বর্তমানে নামজাদা ডিফেন্ডারদের অনেকেই ১১ মিলিয়ন ইউরোর মতো বেতন পান না। আর বয়সের সাথে ফর্মও পড়তির দিকে থাকলে তো বেতন কমতেও থাকে। কিন্তু বার্সা উমতিতির সাথে আগেই ১১ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি করে বসেছে, যিনি ২০১৮ বিশ্বকাপের পর থেকে ক্লাবকে আর কিছুই দিতে পারেননি।
বার্তোমেউ রীতিমত বার্সা ফুটবল ক্লাবকে নিয়ে ব্যবসা করেছেন। নিয়ে গেছেন ক্লাবকে দেউলিয়া হবার দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু পর্দার পেছনের থাকা গল্পগুলো সামনে না আসার কারণে ২০১৯ সালের আগে বার্সার আর্থিক কোনো সমস্যা হয়নি। হয়তো হতোও না, যদি না মহামারী পৃথিবীর বুকে আসতো। বৈশ্বিক এই মহামারীর কারণে যখন স্পেনসহ গোটা ইউরোপে লকডাউনের জোরাজুরি শুরু হয়, তখন বিপাকে পড়ে বার্সা। মাঠে দর্শক নেই, নেই জার্সি বিক্রির টাকা। টিভিস্বত্ত থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণও কমে গেছে। তখনই থলের বিড়ালের মতো বেরিয়ে এলো, বার্সার ঋণ প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরোর মতো!
বিপাকে পড়ে বার্তোমেউ সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে যাবার পর লাপোর্তা যখন ক্লাবের দায়িত্ব নিলেন, তখন বার্সার কোষাগার একেবারেই খালি; উপরন্তু ঋণের একগাদা বোঝা। তখন নতুন খবর এলো, ঋণ ১.২ বিলিয়নের ভেতর ৭২০ মিলিয়ন হচ্ছে শর্ট টার্ম। মানে এই পরিমাণ অর্থ শোধ দিতে হবে খুবই অল্প সময়ের মাঝে।
আয় নেই, ঋণ শোধ করার সুযোগ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বিপরীতে রয়েছে খেলোয়াড়দের বেতন। আর এমন ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে খেলোয়াড় কেনার প্রশ্নও আসে না। তাই ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দেবার আগে বার্তোমেউ চেষ্টা করলেন খেলোয়াড়দের বেতন কমিয়ে আনার। ২০১৯-২০ সিজনের শুরুতে বার্সার খেলোয়ারদের মোট বেতন ছিল ৬৭১ মিলিয়ন ইউরো, যেটা কমিয়ে ৩৪৮ মিলিয়নে নামিয়ে আনা হয় প্লেয়ারদের পে-কাটের মাধ্যমে। কিন্ত মাত্র বেতনের ৫০ শতাংশ কমিয়ে অল্প সময়ের জন্য আর্থিক দিকের সমস্যাকে সমাধান করা গেছে, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
মহামারির কারণে বার্সেলোনার সাথে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও, তাদের ঋণের পরিমাণও প্রায় বার্সার কাছাকাছি। কিন্তু তাদের বেতন কাঠামোর অবস্থা বার্সেলোনার মতো নয়। তাই খেলোয়াড়দের দলে রাখতে অতটা ভুগতে হয়নি তাদের। কিন্তু ক্লাবগুলোর এই দুরূহ সময়ে লা লিগার যেভাবে সাহায্য করার কথা ছিল, তারা সেটা তো করেইনি, উল্টো মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হবার পর তারা যেসব নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছে, তাতে বার্সা বিপাকে পড়েছে আরও বেশি করে।
প্রথমে আয় ও ব্যয়ের সাম্য হবার নিয়ম, যেখানে আয় হতে হবে ব্যয়ের পরিমাণ থেকে বেশি। কিন্তু বার্সেলোনা হাজার চেষ্টা করেও আয় ছাড়া ব্যয়ের খরচ কমাতে পারবে না। আর আয়ের সবচেয়ে বড় পথই এখনও বন্ধ। তাই ব্যয়ের পরিমাণ কমানোর জন্য একমাত্র পথ ছিল ক্লাবের বেশি বেতনের খেলোয়াড়দের বিক্রি করে বেতন কমানো। কিন্ত গ্রিজমান, দেমবেলে ও কৌতিনহোকে কোনোমতেই বিক্রি করা যায়নি। উমতিতিকেও কেউ দলে ভেড়াতে রাজি হয়নি, বর্তমানে পিয়ানিচের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। তাই আয় ও ব্যয়ের সমতা হবার যে নিয়ম ছিল, তা পূরণ করতে পারেনি বার্সেলোনা।
বার্সা পারেনি খেলোয়াড় বিক্রির অর্থের পুরোটা ব্যবহার করতে। কারণ, লা লিগার নিয়ম অনুসারে কোনো খেলোয়াড়কে বিক্রি করলে তার ২৫ শতাংশ ব্যবহার করতে পারবে খেলোয়াড় কিনতে, আর ৭৫ শতাংশ যাবে বেতন ও অন্যান্য দিকে। তাহলে বার্সেলোনা যদি কয়েকজন খেলোয়াড় বিক্রি করে ৫০ মিলিয়ন ইউরোও পেত, তার পুরোটা ব্যবহার করতে পারত না নতুন খেলোয়াড় কেনার জন্য। তবে বেতন কাঠামো ঠিক করার জন্য সে অর্থ ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ থাকত। কিন্তু খেলোয়াড় তো বিক্রিই করা যায়নি, অর্থ আসবে কোথা থেকে? বার্সা খেলোয়াড়দের লোনে দেবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেখানেও বাধা। লোনে দেওয়া খেলোয়াড়ের পেছনে যদি বছরে ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়, তাহলে লাভ তো কিছুই হচ্ছে না।
এরপর বার্সা চেয়েছিল খেলোয়াড়দের বেতন কমিয়ে চুক্তি করতে। আগুয়েরো, ডিপাই, গার্সিয়া ও এমারসনের মতো বার্সায় নতুন সাইনিংরা এসেছেন এমন বেশ কিছু চুক্তিতে রাজি হয়ে। কিন্তু দলের পুরনো খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর কানাঘুষো চললেও এখনও সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য জানা যায়নি। সব থেকে দুঃখজনক বিষয় হলো: উমতিতি-পিয়ানিচ-কৌতিনহো ক্লাব থেকে চলে গেলেও বার্সা আরো ৬৪ মিলিয়ন ইউরো বেতন বাঁচাতে পারত, যেটা স্যালারি স্ট্রাকচার ঠিক করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাই মেসির নতুন চুক্তি আগে থেকেই বেশ ধোঁয়াশার ভেতর ছিল। সেটা জানতেন সভাপতি লাপোর্তা ও মেসির এজেন্টও। তবে তারা সময়ের ভেতর কোনো নতুন আশার রেখার অপেক্ষায় ছিলেন; হয়তো তারা খেলোয়াড় বিক্রি করে বেশ কিছু অর্থ পাবে, হয়তো লা লিগা তাদের নিয়ম শিথিল করবে। মেসির বার্সার সাথে ৫ বছরের নতুন চুক্তি সই করার কথাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল, যেখানে মেসি প্রায় ৫০% পে-কাট নিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক কথাবার্তা বলার পর এক মাস চলে গেলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এরপর লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ে তেবাস নিয়ে এলেন নতুন এক চুক্তিকথা; সে চুক্তি পরিবর্তন করে দিতে পারে ক্লাবগুলোর বর্তমান অবস্থা। হয়তো বার্সেলোনাও পেতে পারে মেসির সাথে নতুন চুক্তি করার সুযোগ।
ক্লাবগুলোর আর্থিক দুর্দশার কারণে লা লিগা এই সিজনে ২.৭ বিলিয়ন ইউরোর লোনের সুযোগ করে দেয় সিভিসির সাথে চুক্তির মাধ্যমে। এই টাকা লা লিগা দলগুলোকে মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হতো এবং প্রত্যেক ক্লাব এই টাকার ৭০% তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ১৫% শর্ট টার্ম লোন পরিশোধ এবং বাকি ১৫% খেলোয়ার সাজানোতে খরচ করতে পারত। সিভিসি চুক্তির মাধ্যমে বার্সা এই মৌসুমে লা লিগা থেকে মোট ২৮০ মিলিয়ন ইউরো পেত, যার ১৫% অর্থাৎ ৪২ মিলিয়ন ইউরো খেলোয়াড়দের দলবদল এবং বেতনের ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারত। এ কারণে মেসির সাথে নতুন চুক্তির একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু এই চুক্তির বিনিময়ে লা লিগার সব ক্লাবগুলোকে ৪০ বছর ধরে নিজেদের টেলিভিশন রাইটসের ১০% করে দিয়ে দিতে হতো, যার মাধ্যমে বার্সা প্রায় ১-২ বিলিয়ন ইউরোর মতো হারাত। এজন্য বার্সেলোনা প্রথমত এই চুক্তিকে ফিরিয়ে দেয়। এখানে বার্সা যে ২৮০ মিলিয়ন ইউরো পেত, তা কয়েক দফায়; কানাঘুষো আছে, সেটা তিন মৌসুমজুড়ে। তাহলে বার্সা এই মৌসুমে যে পরিমাণ অর্থ পেত, তা দিয়ে তেমন কোনো লাভ হতো না। তাই বার্সেলোনা আর এই চুক্তিতে এগোয়নি, একই চিন্তা করেছে রিয়াল মাদ্রিদও। তাই এই দুই দল এই সিভিসি চুক্তির বিপরীতে।
এত সব ঝক্কিঝামেলার পরও বার্সেলোনা ও মেসি রাজি ছিল নতুন চুক্তির জন্য। কিন্তু প্রেসিডেন্ট লাপোর্তা সিভিসি চুক্তি যে ফিরিয়ে দিচ্ছেন, এবং এই চুক্তি না হলে মেসির আসার কোনো সুযোগ নেই জেনেও তিনি কেন অপেক্ষা করলেন এতদিন? শেষদিন কেন মেসিকে তার বাবার সাথে বৈঠকে বসলেন নিজের অফিসে?
লাপোর্তার রক্তে রাজনীতি বইছে। হয়তো তিনি অন্যরকম ভেবেছেন, যা এখনও সামনে আসেনি। হয়তো জড়িয়ে আছে সুপার লিগের কথাও; কারণ বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ এখনও এই লিগ নিয়ে আশাবাদী। অথবা ব্যাপারটা অতি সাধারণ, মেসিকে ডেকে এনে সব খুলে বলে বোঝানো। কারণ তিনি এই ক্লাবের ছেলে, তার সবকিছু জানার অধিকার আছে। তবে এসব বিষয়ে জানার আর সুযোগ নেই এখন।
২১ বছর পর মেসি ও বার্সেলোনার পথচলা শেষ হয়ে গেল। বার্সা প্রবেশ করলো নতুন এক যুগে। আর মেসি হয়তো পাড়ি দেবেন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। কিন্তু এই অসম সম্পর্ক শুধুমাত্র শেষ হয়ে গেল, লিগের নিয়মের মারপ্যাঁচ, আর্থিক দুর্দশা আর ক্লাবের প্রাক্তন বোর্ডের চরম ব্যর্থতায়। লা লিগা হয়তো চাইলেই নিয়ম একটু শিথিল করতে পারত, কিন্তু তারা তাদের স্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরে যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি লাপোর্তা এসে মেসির সাথে তাদের চুক্তির সকল বিষয়বস্তু ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। নিজে মুখে বলেছেন, এই ক্যাম্প ন্যু’র প্রবেশদ্বার মেসির জন্য আজীবন খোলা, এটাই তার বাড়ি। মেসিও চেয়েছিলেন এই ক্লাবের সাথে আরও কয়েক বছর কাটাতে। আগেও অনেকবার বলেছেন, তিনি চান ক্যারিয়ারটা এখানেই শেষ হোক। কিন্তু ফুটবল-বিধাতার হয়তো ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন, সর্বকালের সেরা এই খেলোয়াড় এবার নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ উপভোগ করুক।
নতুন ক্লাবে নতুন চ্যালেঞ্জ কি উপভোগ্য হবে লিওনেল মেসির জন্য? বার্সেলোনার জার্সি গায়ে চাপালে তিনি যেমন ভয়ংকর উঠতেন, অন্য কোনো ক্লাবে কি একইভাবে তাকে দেখা যাবে? উত্তরটা তোলা রইলো সময়ের হাতেই!