লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের সেরা সময় কোনটি, সেরা মুহূর্ত কোনটি- এ নিয়ে অনেক তর্ক হতে পারে। তবে মেসি নিজেই বেছে নিয়েছেন তার সেরা সময়।
ফোর ফোর টু ম্যাগাজিনে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ১৪টি খেলাকে বেছে নিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
এসপানিওল ০-১ বার্সেলোনা
লা লিগা, ১৬ অক্টোবর, ২০০৪
আমাদের স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এসপানিওলের বিপক্ষে ২০০৪ সালে আমি ডেকোর বদলী হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম। আমি আমার অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছিলাম, তাই অবশ্যই খানিকটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। এটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্ত ছিলো। এমন একটা কিছু, যেটা আমি অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলাম। আর সম্ভবত খানিকটা অধৈর্যও হয়ে পড়েছিলাম।
আমি এর মধ্যে কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের সাথে ও খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলাম। আমি স্টাফ ও দলের সাথে আগে থেকেই ট্রেনিং করছিলাম। এতে প্রথম একাদশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা একটু সহজ হয়েছিলো। এটা আমার জন্য খুব বিশেষ একটা দিন ছিলো। এটা এমন একটা স্বপ্ন ছিলো, আমি সবসময় যেটা সত্যি হবে বলে আশা করেছি। যদিও এখন মনে হয় সেটা অনেককাল আগের কথা।
বার্সেলোনা ৭-১ বায়ার লেভারকুসেন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, শেষ ষোলো, ৭ মার্চ, ২০১২
কী অবিশ্বাস্য একটা রাত! আমি নিশ্চিত নই যে, এই ম্যাচের একটা গোলের থেকে আরেকটা গোলকে আমি এগিয়ে রাখতে পারবো কি না। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এই ম্যাচের প্রতিটা গোল অন্যটার চেয়ে সুন্দর ছিলো।
আমি পাঁচটা গোল করতে পেরে স্রেফ উচ্ছসিত ছিলাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দল খুব সহজে জিতেছিলো। আমি সে সময় বুঝতে পারিনি যে, আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে পাঁচ গোল করা প্রথম খেলোয়াড়। আমার মনে হয়, আমরা দল হিসেবে খুব ভালো খেলেছিলাম এবং এটা নিয়ে আমি খুশি ছিলাম। সত্যি বলছি, আমি এটাকে দলীয় খেলা হিসেবেই এগিয়ে রাখি। দল ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না।
নাইজেরিয়া ০-১ আর্জেন্টিনা
অলিম্পিক ফাইনাল, ২৩ আগস্ট, ২০০৮
একটা লম্বা সময় ধরে আমার সার্জিও আগুয়েরোর সাথে দারুণ একটা বন্ধুত্ব আছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকে একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। এরপর বিশেষ করে যখন জাতীয় দলে খেলি আমরা একসাথে তখন আমরা একসাথে ‘ফিফা’ খেলি। সত্যি কথা বললে, বেইজিংয়ে সফরটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় একটা সফর।
অলিম্পিকস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। শুধু এজন্য নয় যে, এখানে আপনি দেশের হয়ে পদক জিততে পারেন; বরং অসাধারণ একটা বৈশ্বিক আয়োজনের অংশ হতে পারা এবং অলিম্পিক ভিলেজে ভিন্ন ভিন্ন খেলার অনেক ক্রীড়াবিদের সাথে থাকতে পারার জন্য এটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।
এটা অসাধারণ ছিলো। আমাদের জন্য দারুণ ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপার ছিলো। হ্যাঁ, আমরা ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে সেমিফাইনালে জিতেছিলাম। ব্রাজিল ভালো দল ছিলো, ওরা দারুণ খেলছিলো। এছাড়াও আমরা নেদারল্যান্ডস ও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিতেছিলাম। দুটোই খুব কঠিন খেলা ছিলো এবং জিততে আমাদের সেরাটা খেলতে হয়েছিলো। আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা স্বর্ণপদক পেতে পারি। আমাদের যে দলটা ছিলো এবং দলের যে একতা ছিলো সেটার দিকে দেখুন। আমরা শুরু থেকেই মনে করেছি, আমরা বেইজিংয়ে জিততে পারি এবং আমরা সেটা করতে পেরেছিলাম।
বার্সেলোনা ৫-১ সেভিয়া
লা লিগা, ২২ নভেম্বর, ২০১৪
লা লিগার মতো একটা লিগ, যার ইতিহাসে অসামান্য সব খেলোয়াড় খেলে গেছেন এবং অনেক কিছু অর্জন করেছেন, সেখানে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হওয়াটা অসাধারণ একটা অর্জন ছিলো। এটা আমার জন্য বড় একটা প্রাপ্তি ছিলো।
আমি এর জন্য আলাদা কোনো উদযাপন পরিকল্পনা করে রাখিনি। আমি কখনোই গোল করার পর কী করবো, এটা নিয়ে ভাবি না। তবে ওখানে আমার স্বাভাবিকভাবেই যে উদযাপন হয়েছিলো, সেটা সেরা ছিলো।
আর্জেন্টিনা ২-১ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
বিশ্বকাপ গ্রুপপর্ব, ১৫ জুন, ২০১৪
আমাকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ গোলের জন্য আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা একটা দারুণ টুর্নামেন্ট আশা করছিলাম এবং বসনিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছিলাম। আর আমি আমাদের দ্বিতীয় গোলটা করেছিলাম।
সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে গিয়েছিলো। আমি মধ্যরেখার কাছাকাছি বলটা নিয়েছিলাম এবং চেষ্টা করেছিলাম ওদের পেনাল্টি এলাকায় ঝড়ের মতো ঢুকে পড়ার। আমি গঞ্জালো হিগুয়েইনের সাথে ওয়ান-টু করলাম। এরপর বক্সের সীমানা থেকে শট নিলাম। ভাগ্যক্রমে সবকিছু কাজে লেগেছিলো।
আমরা বাছাইপর্বে খুব ভালো খেলেছিলাম এবং কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই ব্রাজিলে জায়গা করে নিয়েছিলাম। এরপর ফাইনালে পৌঁছে প্রমাণ করেছিলাম, আমরা অসাধারণ একটা দল। আমরা শুধু টুর্নামেন্টটা জিততে পারিনি। এছাড়া আমরা আর যা পারি, সব কিছুই করেছিলাম।
বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার সব মানুষের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একদিন জাতীয় দলের হয়ে এই ট্রফিটা জিতলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে।
বার্সেলোনা ৩-০ বায়ার্ন মিউনিখ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সেমিফাইনাল, ৬ মার্চ, ২০১৫
আমি যখন (জেরোম) বোয়াটেংয়ের সামনে গেলাম, আমি ভাবছিলাম, ওকে পার করে যাবো এবং গোলের যত কাছে যাওয়া যায়, চলে যাবো। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়, অন্য যেকোনো খেলায় আমি বল পেলে এবং প্রতিপক্ষ সামনে এলে আমি এটাই ভাবি।
আমি ওরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে গোল করতে পেরে সত্যিই খুশি ছিলাম। এই জয় আমাদের আরেকটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলো। তবে যখন আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মন্তব্যগুলো দেখতে শুরু করলাম, তখনই আসলে উপলব্ধি করলাম, আমি কতটা ভালো খেলেছি! আমি অনেক মন্তব্য পড়েছি এবং ভিডিওটা দেখেছি।
লুই এনরিকে আমাদের অসাধারণ একজন কোচ ছিলো। আর সে এরকম জটিল একটা ম্যাচ জেতায় আমাদের খুব সহায়তা করেছিলো। ওই ম্যাচের পর আমরা খুব ভালো মেজাজে ছিলাম। আমরা নিজেদের সেরা মানে খেলেছিলাম। তারপরও আমরা খুব শান্ত ছিলাম।
বার্সেলোনা ২-০ অ্যালবাসেতে
লা লিগা, ১ মে, ২০০৫
আমার প্রথম বার্সেলোনা গোল। আমি তখনও ক্যাম্প ন্যুতে খেলা এবং প্রথম একাদশে দারুণ সব খেলোয়াড়ের সাথে খেলা উপভোগ করার স্তরেই আছি। আমি তখন সত্যিই গোল করার কথা ভাবছিলাম না। তবে এটা জানতাম যে, আমার কাছে যদি গোল করার সুযোগ আসে, আমি নার্ভাস হবো না।
সবকিছু খুব দ্রুত হয়ে গেলো। রোনালদিনহো ডিফেন্সের ওপর দিয়ে বল ফ্লিক করে দিলো এবং আমি চিপ করে দিলাম কিপারের ওপর দিয়ে। এটা দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল। বিশেষ করে খেলোয়াড়রা, আমার নতুন সতীর্থরা যখন আমার সাথে উদযাপন করতে দৌড়ে এলো।
বার্সেলোনা ৩-৩ রিয়াল মাদ্রিদ
লা লিগা, ১০ মার্চ, ২০০৭
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তিন গোল করাটা সুন্দর একটা অনুভূতি। কারণ এটা এমন একটা ম্যাচ যে, সারা বিশ্ব এর দিকে তাকিয়ে থাকে। এই প্রথম আমি এটা করতে পারলাম। একটা হ্যাটট্রিক করাটাই অসাধারণ ব্যাপার এবং সেটা যদি ক্লাসিকোতে আসে, তাহলে আরও বিশেষ কিছু।
বার্সেলোনা ৫-২ গেটাফে
কোপা দেল রে, সেমিফাইনাল, ১৮ এপ্রিল, ২০০৭
আমি যখন মাঠে না, তখন আমি খেলার পর কী হবে, ফল কী হবে এবং কী ঘটবে বা ঘটবে না- এসব নিয়ে ভাবি না। ফুটবলে সবকিছু প্রাকৃতিকভাবেই হওয়া উচিত।
গেটাফের বিপক্ষে সেই গোলটার সময়ে আমি বলটা মধ্যরেখার কাছাকাছি ধরেছিলাম। এরপর ডিফেন্ডারদের মাঝে অনেক জায়গা পেলাম। আমি যখন এগিয়ে যাচ্ছিলাম, স্কোর করা নিয়ে ভাবিনি। আমি স্রেফ জায়গা তৈরি করে পেনাল্টি এলাকার দিকে এগিয়ে যেতে চাইছিলাম। আসলে আমি শেষ অবধি শট নেওয়ার আগেও চিন্তা করিনি যে, আমি গোল করতে পারবো।
আমি সবসময় আমার গোলগুলোর গুরুত্ব পরিমাপ করি তাদের গুরুত্ব দিয়ে; সৌন্দর্য দিয়ে নয়। ওটা খুব ভালো গোল ছিলো। তবে ওর চেয়ে অনেক বেশি গোল আমি করেছি, যেগুলো দলের আরও বেশি কাজে লেগেছিলো।
আর্জেন্টিনা ৬-০ সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো
বিশ্বকাপ, গ্রুপপর্ব, ১৬ জুন, ২০০৬
যদিও এটা ছিলো বিশ্বকাপে আমার প্রথম ম্যাচ; কিন্তু জাতীয় দলের সাথে এর আগেই আমি বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ফলে ব্যাপারটা আমার জন্য সমস্যা ছিলো না। আমি স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম না। আমি মাঠে নামার জন্য এবং বিশ্বকাপে খেলা উপভোগ করার জন্য রোমাঞ্চিত ছিলাম।
এটা অসাধারণ একটা দিন ছিলো এর গুরুত্বের জন্যই। কারণ এটা বিশ্বকাপ আর সেখানে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচ ছিলো। আইভরি কোস্টের বিপক্ষে আমি প্রথম ম্যাচে বেঞ্চে ছিলাম। তবে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে শেষ ১৫ মিনিটে মাঠে নামি এবং নিজেদের ষষ্ঠ গোলটা করি। সুন্দর।
জুভেন্টাস ১-৩ বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, ৬ জুন, ২০১৫
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি তুলে ধরাটা অবিশ্বাস্য একটা অনুভূতি। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা সবসময় খুব আনন্দের ব্যাপার। বার্লিনে ওই জয়ের পর আমরা ঠিক উপলব্ধি করতে পারছিলাম না যে, ট্রেবল জয়ের তাৎপর্যটা আসলে কত বড়।
এটা নির্দিষ্ট করে বিশেষ একটা কিছু। কারণ এসব সেরা দলের বিপক্ষে জেতা কঠিন কাজ। এটা খুব কঠিন একটি প্রতিযোগিতা। আপনি ভালো খেলতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ একটা ম্যাচ আপনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে দিতে পারে।
রিয়াল মাদ্রিদ ২-৬ বার্সেলোনা
লা লিগা, ২ মে, ২০০৯
যেভাবে আমরা বার্নাব্যুতে জিতেছিলাম, তাতে এটা নির্দিষ্ট করে বিশেষ একটা রাত। আমি ওখানে নতুন একটা পজিশনে খেলছিলাম, ফলস নাইন। পেপ গার্দিওলা এই বিশেষ পরিকল্পনাটা শুধু এই ম্যাচের জন্য করেছিলো, যাতে আমরা আরও বেশি কাযকর হয়ে উঠি।
আমরা এটা নিয়ে আগেই অনেক আলাপ করে নিয়েছিলাম, যাতে আমরা দুজনই এটা কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে তৃপ্ত থাকতে পারি। এসব বড় ম্যাচ যেকোনো দিকেই যেতে পারে। আমি সেরকম ম্যাচও খেলেছি, যেখানে আমরা রিয়ালের কাছে চার গোল হজম করেছি। আর এই ম্যাচ এলো, যেখানে আমরা ছয়টা গোল করলাম। এটা পুরো দলের কাছ থেকে অসাধারণ একটা পারফরম্যান্স ছিলো। আমি নিশ্চিত নই, এটা সেরা ছিলো কি না। তবে নিশ্চিতভাবেই এই ম্যাচটাকে আমরা সবসময় মনে রাখবো।
বার্সেলোনা ২-০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, ২৭ মে, ২০০৯
এটা কল্পনা করা খুব কঠিন যে, (রিও) ফার্দিনান্দ কাছে দাঁড়িয়ে থাকার পরও আমি হেড দিয়ে গোল করবো। তবে আমার আসলে ওই সময় মার্কার ছিলো না। বল সেন্টারে এলো আর আমি শুধু ছুঁয়ে দিলাম।
জাভির ক্রস থেকে বলটা যখন শূন্যে ছিলো, তখনই আমি গোলটা এঁকে ফেলেছিলাম এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, সেটাই হয়েছে। এটা সবদিক থেকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা গোল ছিলো; আমার দলের জন্য, বিশেষ করে ফাইনালটা যেভাবে আমাদের দিকে ঘুরে গেলো, সেজন্য এবং আমার নিজের জন্য। এটা এখনও আমার সবচেয়ে প্রিয় গোলগুলোর একটা।
২০০৬ ফাইনাল ইনজুরির জন্য মিস করার পর এই খেলাটা খেলতে পারাটাই আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিলো। এরপর তো গোলটা এলো। এটা একটা অসাধারণ মৌসুম পূর্ণ হলো, যখন আমরা সবকিছু জিতেছিলাম।
রিয়াল মাদ্রিদ ২-৩ বার্সেলোনা
লা লিগা, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭
এটা একটা নিখুঁত রাত ছিলো। যখন সবকিছু ঠিকমতো চলেছিলো এবং সবকিছু আমি যেমন চেয়েছি, তেমন হয়েছিলো। আমি বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই গোল করেছিলাম। দ্বিতীয় গোলটা এলো একেবারে শেষ মিনিটে, যেটা আমাদের জয় এনে দিলো। আর ঘটনা হলো ওটা আমার বার্সেলোনার হয়ে ৫০০তম গোলও ছিলো।
আমি এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না। আমি যদি তখন গোল না করতে পারতাম, আমাদেরকে সেবারের লিগ শিরোপাকে ঐ দিনই বিদায় বলে দিতে হতো। এই গোলটা আমাদের লিগ জেতার কঠিন লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছিলো। আমাদের এই জয়টা প্রাপ্য ছিলো। আর এটা বার্সেলোনা সমর্থকদের জন্য আবেগের একটা সময় ছিলো।